Tagged: লেখকের দ্বন্দ্ব
লেখা নিয়ে সুধী পাঠকের কাছে আমার কৈফিয়ত
মাধ্যম আর ভাষার শুদ্ধতা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে অবশেষে প্রকাশটাই হয় না। ফলে লেখকের মস্তিষ্কে বদহজম! নিজের চিন্তা বা জীবন দর্শনকে শব্দ-বাক্য-কবিতা-বা-গল্পে প্রকাশ না করা পর্যন্ত সেটাকে মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন কিছুই করা যায় না। ভাষার শুদ্ধতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা লেখকের জন্য শুরুতেই জরুরি নয়। জরুরি হলো নিজেকে প্রকাশ করার আকুতি নিবৃত্ত করা। সাধারণত সমাজ বা রাষ্ট্র ব্যক্তির আত্মপ্রকাশের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।ভাষা ও মাধ্যম যদি লেখকের মননে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তবে সমাজ বা রাষ্ট্র যা করার তা লেখক নিজেই করে ফেললেন।আমার পর্যবেক্ষণে, লেখকের মনে ভাষার চিন্তা করার পূর্বেই আসে ‘বিষয়ের চিন্তা’।
.

( মেহেরবানি করিয়া ব্রাকেটের কথাসমূহ ব্রাকেটের ভিতরেই রাখিবেন, বাহিরে আনিবেন না )
[১ এপ্রিল ২০১৩, অসম্পাদিত]
.
.
.
প্রথম আলো ব্লগে প্রাপ্ত মন্তব্য: (লেখাটি সরাসরি স্থানান্তরিত)
================================================
৫৬ টি মন্তব্য (প্রথম আলো ব্লগ)



















হাছা কিনা?
কথার কথা!
বুঝেন, আমি কী কিছিমের লেখক!
পুরাই অস্থির! ……..এগুলোর কথা বলছেন তো


আমরা সমালোচনায় যাই না এর দুটি কারণ থাকতে পারে এক. অনেকে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নেন না। অনেকে হালকা চটে যান। আমার সমালোচনামূলক এক মন্তব্যে হালকা করে সেটার আভাস পেয়েছিলাম। দুই. আমরা অনেকে প্রথম আর শেষ দুলাইন পড়েই মন্তব্য লিখে ফেলি—-
“খুব ভালো হয়েছে”, “দারুন”, “অসাধারণ” টাইপের দায় সারা কথা দিয়ে মন্তব্য শেষ করি। অনেকে মন্তব্য দেন দিতে হবে সেজন্য। অনেকের কথাটি কিছুটা বেমানান তবু ভালো “সময় করে পড়ে নেব”। ইত্যাদি ইত্যাদি—
আমি মনে করি যে লেখাগুলো আমি উপভোগ করি না সেখানে মন্তব্য না দিলে তেমন কোন ক্ষতি নেই। না পড়ে ভালো হয়েছে টাইপের মন্তব্য দেয়া একটি প্রতারণা।
একদিন এক সহব্লগার দু:খভারাক্রান্ত মন নিয়ে তাঁর হতাশার কথা লিখে পোস্ট দিলেন।
“একজন মন্তব্য করে দিলেন বেশ চমৎকার হয়েছে।” অবশ্য লেখক উত্তরে যথার্থ বলেছেন- “এখানে চমৎকার কী দেখলেন?”মইনুল ভাই, আজিব কিছু লিখলাম মনে হয়।









তবে আপনি কিন্তু অনেক ভাল লিখেন, হাছা কতা উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন






ইট্টু পরে ঘুমাইতে যাইবেন এইডা কইয়া গেলাম
বেশী রাইতে পইড়া আমি মন্তব্যাবু ভাই
এখন তবে অন্য পোস্টে ঘুইরা আসি তাই।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন












#সমালোচনার জন্য আমার একটি অনুভূতি আপনি কিছুটা প্রকাশ করেছেন এ লাইনের মাধ্যমে “ভাষার শুদ্ধতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা লেখকের জন্য শুরুতেই জরুরি নয়। জরুরি হলো নিজেকে প্রকাশ করার আকুতি নিবৃত্ত করা” পাঠক হিসেবে অবশ্যই সমালোচনা করার অধিকার আছে তবে তা করার পূর্বে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা জরুরী (আমি জানি আমার নেই, তাই করিনা), ইতোপূর্বে অনেকেরই এ বিষয়ে লেখা গোচরীভূত হয়েছে তবে বলার সুযোগ পাইনি..আমার মতে কোন একটি ফিল্ডকে বুঝতেও সময় লাগে বছর তিনেক..তাই পর্যাপ্ত সময় না নিয়েই তাড়াহুড়ো করা আমার মতের বাইরে।
#একটি ফিল্ডে আমি হুট করে একটি কমেন্ট করতে পারি (যা সমালোচনার কাভারে আসতেও পারে আবার নাও আসতে পারে) আমি ভাবছি আমি কমেন্টের মাধ্যমে একটি বিষয়কে কেন্দ্র কর সমালোচনা করেছি কিন্তু তা পোস্টদারীর বক্তব্যের বাইরেও চলে যেতে পারে আর যদি নাও যায় তাহলেও তার লেখার প্ল্যাটফর্মে হানতে পারে বিশাল আঘাত যা কোনভাবেই কাম্য নয়..আমার করা কোন একটি কমেন্টের জন্য সেই ব্লগারের লেখার প্রতি কাজ করতে পারে চরম বিতৃষ্ণা..হয়তোবা কমে যেতে পারে পোস্টের সংখ্যা। ব্যাপারটি কিন্তু খুবই দু:খজনক হবে তখন। হ্যাঁ..বলতে পারেন কারো সমালোচনায় সেই ব্লগারের লেখার উৎকর্ষ সাধন হতে পারে প্রাথমিক সময় থেকে, পেতে পারে উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনা তবে সেখানেও সমস্যা আসবে..তিনি কতোটুকু ভাল জানেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায়।
#আমার মনে হয় “এখানে/ওখানে কেউ সমালোচনা করেনা” এ ধরনের গন্ডিতে আমাদের বক্তব্যকে আটকে না রেখে..নিজে নিজেই শুরু করিনা কেনো? আপনিই শুরু করুননা..আপনাকে (প্রিয় ব্লগ রত্নকে) দেখে দেখে যদি আমরা কিছুটা শিখতে পারি….কারন “উৎকর্ষতা অনেক পরের বিষয়” অন্তত আমি আমার কথা বলতে পারি..এখনো ব্লগিংয়ের এলিমেন্টারি লেভেলেই আছিতো।
#ভাল থাকুন..আপনার সাবমিসিব মুড ভালো লেগেছে..জয়তু প্রথম আলো ব্লগিংউত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

না, গতানুগতিক ধারায় বলছি না। একদম সত্যটাই বলছি।
সো, লিখে যান। পাশে আছি, পাঠক হয়ে।——————-






তবে বেরাকেটের ভিত্রের বিষয় ভিত্রে রাখসি


এই পর্যন্ত আপনার যত লেখা পড়েছি, তার সবগুলোর মধ্যেই আন্তরিকতা, গভীরতা এবং শিক্ষণীয় কিছু পেয়েছি। আমার তো মনে হয়, যদি আপনি যত্ন নিয়ে লিখেন (যদিও লিখেন) তাহলে সাহিত্যের যে কোন শাখায়ই আপনি নিঃসন্দেহে ভালো করবেন। কারণ আপনার মধ্যে সবই আছে। এখন শুধু দরকার সেটা লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের সাথে শেয়ার করা। যা দ্বারা পাঠক উপকৃত হবে। মন্তব্যের ব্যাপারে যা বলেছেন তাতে সহমত জানালাম। সমালোচনামূলক মন্তব্যের ভালো এবং মন্দ দুটো দিকই আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হল, আমরা শুধু মন্দটাই দেখি, ভালোটা বুঝার চেষ্টা করি না। আর সেই জন্য শেষ পর্যন্ত আর লেখক হওয়া হয়ে উঠে না। আমি অনেককেই বলেছি, আমি পুরো লেখা না পড়ে মন্তব্য করি না। তারপরেও মন্তব্যে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে সেটা আমার না বুঝার ভুল। হয়তো আমি লেখাটিকে ঠিক মতো বুঝতে পারি নাই। এখানে লেখকের কোন দোষ নাই। আবার কিছু লেখা আছে যেখানে আসলে বলার মতো কিছুই থাকে না অথবা লেখাটি এতোই তথ্যবহুল যে, নতুন করে যোগ করার সেখানে কিছুই নাই। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে চমৎকার, দারুণ, অসাধারণ, অপূর্ব, মুগ্ধ বা সহমত এইধরনের শব্দই ব্যবহার করতে হবে। আসলে সব কিছুই নির্ভর করে লেখার ওপরে। অনেক কিছুই বলার ছিল, কিন্তু অনেকেই বলে গেছেন। তাই আর কষ্ট করে ওমুখো পা বাড়ালাম না। আমি আবার কিছুটা অলস কিছিমের। আত্মসমালোচনামূলক কিন্তু আমাদের জন্য শিক্ষণীয় সুন্দর এই পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই। আমি কিন্তু ভিত্রের লেখা আরও ভিত্রে হান্দাইয়া দিছি। কিনুতা পেরকাশ করি নাই।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন








আমাদের অস্তিত্বের শিকড় নড়ে উঠল,,,,,,,,,একটি ফুলকে বাঁচাবো বলেউত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


মজা নিয়ে পড়তে পারলেই নিজের লেখাটা মজা করে লেখা যায়।আপনিও খুব ভাল থাকুন সব সময়।শুভেচ্ছা আর ভালবাসা।মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
================================================
লেখা নিয়ে লেখকের দ্বন্দ্ব: আজই লিখুন!!
লেখকের কাজ হলো এমন কিছু লেখা, যা অন্যে লেখতে অসমর্থ। এটি আমার কথা নয়। আবার কেউ বলেন, এমন কিছু লেখো – যা কখনও ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। মাঝে মাঝে ভাবি, কেন লেখবো, যদি পাঠক তাতে নতুন কিছু না পান, যদি সেখানে মনে রাখার মতো কিছু না থাকে? অহেতুক জায়গা নষ্ট করার কোন মানে আছে? তার চেয়ে পড়তে থাকি, সেটাই ভালো। তাছাড়া এমন কিছুই আমার মাথায় আসছে না, যা কখনও বলা হয় নি। অন্য কারও চেয়ে লেখকের কাছেই লেখার কাজটি সবচেয়ে কঠিন। লেখকের মনের এই দ্বন্দ্বটি নিয়েই আজকের লেখা।
লেখা নিয়ে চলমান অনুসন্ধানে এমন কিছু বিষয় যোগাড় হয়েছে, যা আলোচনা না করলে লেখকের (পোস্টদাতা) আর খেয়াল থাকবে না! পরে লেখক নিজেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার উপরে থাকবে। অনুভূতি এক হলে প্রকাশও অনেক সময় মিলে যায়, সেক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম বলা যায় কিনা, পাঠক বিচার করবেন। লেখা নিয়ে আজ আমি যা ভাবছি, তা যে কাল অন্য একজন ভাববেন না তার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই আগেই লিখে ফেলছি, যাতে পরে যিনি লিখবেন, তাকে প্লেজিয়ারজমের ব্যাপারে সাবধান হতে হয়।
ইতিহাস লেখক নাকি ইতিহাসের সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এজন্যেই মনে হয় ম্যাকিয়াভেলি বলেছিলেন, ইতিহাস হলো বিজয়ীদের লেখা। তাই আগে লেখার অনেক সুবিধা। কেউ কেউ বলে থাকেন, আমি যা লেখব বলে ভাবি, সেগুলো দেখা যায় রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দরা আগেই লিখে ফেলেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল বলেছিলেন, ইতিহাস আমার প্রতি সদয় হবে, যদি আমি নিজেই তা লেখতে মনস্থ করি। লেখকেরা প্রতিনিয়ত অনুভূতির ইতিহাস লিখে চলেছেন, তাই প্রত্যেক লেখকই কোন-না-কোনভাবে একেকজন ঐতিহাসিক। লেখক তার লেখায় তার সমসাময়িকতার ইতিহাস তুলে ধরেন শৈল্পিকভাবে। তাই, আগে লেখার সুবিধাটি ওড়িয়ে দেয়া যায় না।
একজন অনুভূতি-প্রবণ ব্যক্তি সহজেই লেখক হতে পারেন। লেখকরা সাধারণত অনুভূতিপ্রবণই হয়ে থাকেন। “লেখকের চোখে অশ্রু না এলে, পাঠকের চোখেও অশ্রু ঝরবে না – লেখক বিস্মিত না হলে পাঠকও বিস্মিত হবে না”।
আমার প্রিয় কবি রবার্ট ফ্রস্টের কথা। “লেখায় যদি নিঃশ্বাস ছাড়তে না পারেন, লেখার মাধ্যমে যদি কেঁদে ওঠতে না পারেন, গান গাইতে না পারেন – তবে বাদ দিন আপনার লেখা।” ফরাসী-কিউবান লেখক আনাই নিন-এর কথা। ভাষাগত দক্ষতার চেয়েও প্রয়োজন একটি বিদগ্ধ হৃদয়ের, লেখক লেখা নিয়ে লেখা’র পূর্বের পর্বটিতে একথাটিই বলেছিলাম।
অনেকে বলে থাকেন, পরিচ্ছন্ন জীবনবোধ থেকে জন্ম হয় লেখকের। চোখ-কান-নাক খোলা রাখুন, নিজের বিশ্লেষণী শক্তি প্রয়োগ করুন আর তা সাদা কাগজে ঢেলে দিন – ফলাফল হলো আপনি একজন লেখক! নিজেই নিজের আইডল। “যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে মানুষ সম্পর্কে আমি এতকিছু কীভাবে জানি, আমার সোজাসাপ্টা উত্তর: মানুষ সম্পর্কে আমি যা-কিছু জেনেছি, তা আমার নিজের থেকে শেখা।” বলেছেন রাশিয়ান চিকিৎসক-নাট্যকার আনটন চেখভ। একই কথা টি এস ইলিয়ট বলেছেন, নিজে বুদ্ধিমান হওয়া ছাড়া লেখক হবার অন্য কোন পদ্ধতি নেই। আনাতোল ফ্রাঁসে’র সোজা কথা: “কোন কিছু জানাটাই আসল কথা নয়, কল্পনাশক্তিই সবকিছু।” অর্থাৎ একটি পর্যবেক্ষণশীল মন আর সূক্ষ্ম কল্পনাশক্তি – এই দু’য়ে মিলে লেখকের সত্ত্বা।
পাঠকের মধ্যে লুকিয়ে আছে লেখকের বীজ। সাম্প্রতিক সময়ে এবিষয়টি নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছিল। পড়তে পড়তে লেখার ভুল-শুদ্ধ সফলতা-ব্যর্থতা আবিষ্কার করা যায়। পূর্বের লেখকের পদচিহ্নগুলো সঠিক গন্তব্যে গিয়েছিলো কিনা, তা পড়ে পাঠক তার লেখার গতিপথ নির্ণয় করতে পারেন। তাই পড়ার কোন বিকল্প নেই, লেখক হবার জন্য। সমসাময়িক হরর ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক স্টিফেন কিং-এর মতে, কেবল দু’টি পদ্ধতি আছে ভালো লেখক হবার জন্য: এর একটি হলো প্রচুর পড়া, অন্যটি প্রচুর লেখা।
লেখার পূর্বেই যত দ্বিধা এবং ভয় সংশয়। লেখা শুরু করে দিলে একটা কিছু দাঁড়াবেই। অনুভূতি বা ধারণাকে ধরে রাখা অনেকটা মাছ ধরার মতো একটি বিষয়। প্রথমে দু’একটিকে ধরে রাখা শিখে ফেললে আরও কিছু এসে যোগাড় হয়। লেখকের কাজ হলো শুধু একটি সত্য বাক্য লেখা। একটি নতুন সত্য। এটি আর্নেস্ট হেমিংওয়ের কথা। “অনুপ্রেরণা লাভ করার জন্য আপনাকে অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। হাতে লাঠি নিয়ে অনুপ্রেরণার পিছু নিন।” বলেছেন মার্কিন লেখক সাংবাদিক ও সমাজকর্মী জ্যাক লনডন। “একটি গল্প লেখলে তা খারাপ হতে পারে, কিন্তু একশ’ গল্প লেখলে দেখা যাবে, বিজোড়গুলো আপনার স্বপক্ষে গিয়েছে।” (এডগার রাইস বারোজ, টারজানের লেখক)
আমার ক্ষেত্রে যা হয়, তা হলো আজকের চিন্তাকে আগামিকালের জন্য ফেলে রাখা। বাঁচা গেলো যে, আমি কোন লেখক নই। ধরুন একটি বিষয় অনুভূতিতে প্রবল আঘাত হানলো। ভাবলাম এনিয়ে অবশ্যই লিখতে হবে আমাকে, কিন্তু সময় করে পরে একবার বসবো! পরে আর বসা হয় না – বসলেও সেই অনুভূতি আর ফিরে আসে না। এমন কিছুই আমি লিখতে পারি না, যা অন্যের লেখায় আসে নি বা অন্যের পক্ষে লেখা অসম্ভব। তবে আর কেন লেখা? লেখা বিষয়ে ব্রিটিশ গল্পকার এবং কমিক লেখক নীল গেইম্যান বলেছেন, আগামিকাল কিয়ামত আসতে পারে, আজই হলো লেখা মোক্ষম সময়। তাই লেখা ছাড়া আর সবকিছুই আজ গৌণ। আমার পক্ষে কিছুই সম্ভব নয়, তাই ব্লগিং করি!