আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। বাঙালি জাতিয়তাবাদের শুরু হয়েছিল ভাষাগত বিভেদ থেকেই। বাংলার সাথে বাঙালির যত আবেগ, যত ভালোবাসা, সেটি অন্য কোন ভাষার ক্ষেত্রে তেমনভাবে আছে কিনা জানা নেই। ব্লগে প্রকাশিত একটি লেখায় সহব্লগারদের অংশগ্রহণ আমাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছিল। তিন-চার বছর আগের কথা। অনেকেই সামু’র ব্লগার। তাদের মন্তব্য নিয়ে আজকের মন্তব্য সংকলন। লেখার শিরোনাম ছিলো: বাংলা ভাষায় অন্য ভাষার মিশ্রণ। প্রকাশিত হয়েছিলো শুরুতে প্রথম আলো ব্লগ অবশেষে সামুতে । লেখাটির শেষে আমি আরও কিছু দৃষ্টান্ত/পরামর্শ আহ্বান করেছিলাম, যেন ভাষামিশ্রণের বাস্তবিক কিছু নমুনা সংগ্রহ করা যায়। সহব্লগাররা আমার অনুরোধ রেখেছেন! তাদের মন্তব্যে যেমন পেয়েছি গভীর অন্তর্দৃষ্টি, তেমনই পেয়েছি নিজ ভাষার প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা। এ লেখায় তাদের মতামতগুলো তুলে না ধরলে হয়তো লেখাটি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। আমার লেখার প্রতি প্রশংসাসূচক মন্তব্য বা বাক্যাংশগুলো সংগত কারণেই বাদ রেখেছি।
১) ফেরদৌসা: এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কথায় কথায় বলে: কুল, গাই, ওয়াটস আপ। আমি ‘চান্স’পেয়ে বলি: একটু ‘বিজি’আছি, আই এম ব্যাক ইত্যাদি। প্র/আ
২) লুৎফুন নাহার জেসমিন: কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু-বউ আমাদের বাসায় বেড়াতে এলে দেখলাম বাচ্চাকে ইংরেজি শব্দ শেখানোর জন্য কীভাবে কথা বলছে। আমাদের কাছে তার একটি উক্তি খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো: ‘বেবি বেবি, ডারটি!’ আমার মেয়েও মাঝে মাঝে বলে আর হাসে। প্র/আ
৩) স্বদেশ হাসনাইন: ভাষা তো বই পড়ে শিখছে না। টিভিতে হিন্দি চলছে চব্বিশ ঘণ্টা, ইংরেজির আগ্রাসন তো গোটা পৃথিবী জুড়েই। প্রযুক্তিতে হাজারো যন্ত্র তাদের মত শব্দ শেখাচ্ছে। কলকাতায় হিন্দি বাংলার যে রকম মিক্স হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। কোড মিক্সিং বলেন আর যাই বলেন, এটা থেকে পরিত্রানের চেয়ে একে গ্রহণযোগ্য একটা জায়গায় রাখা ইম্পোর্টেন্ট। সামু
৪) অনিন্দ্য অন্তর অপু: আমার মনে হয় নিজে সতর্ক হলে আর মাতৃভাষার ওপর মমত্ব থাকলে শুদ্ধ বাংলা চর্চা করা যায়। প্র/আ
৫) ইকথিয়ান্ডর: আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের একটা কথা মনে পড়ছে: “যে বাংলা জানে, সে বাংলায় সম্পূর্ণ বাক্য বলতে পারে, যে ইংরেজি জানে, সে সম্পূর্ণ বাক্যই ইংরেজিতে বলতে পারে। আর যারা কোনটাই জানে না, তাদেরই আশ্রয় নিতে হয় মিশ্রণের।” সামু
৬) গ্রাম্যবালিকা: আমি আমার গ্রামের কথা ১০০% পারি, কোন ইংরেজি বলতে হয় না, কিন্তু শুদ্ধ বাংলা পুরোপুরি পারিনা বলে ইংরেজী শব্দ বলতে হয়। সামু
৭) জনদরদী: আমি নিজেই বাংলার সাথে কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করি । বিশেষ করে প্রযু্ক্তির সাথে সম্পকিত শব্দগুলো । আমার বেশিরভাগ সময় ইংরেজির সমার্থক বাংলা শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যা হয় । চেষ্টায় আছি সংশোধনের। সামু
৮) শহীদুল ইসলাম প্রামাণিক: (যথারীতি ছড়ায়) বাংলা ভাষার আন্দোলনে/ ইংলিশ বলে কত, এমন নেতা বাংলাদেশে/ আছে অনেক শত। তাই তো বলি, “বাংলা ভাষায়/ শুদ্ধ বাংলা চাই, বাংলার সাথে ইংলিশ বলা/ ‘লাইক’করি না তাই”।
৯) মনিরুল ইসলাম (মনির): এটা এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে, যা থেকে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব। যেখানে বাংলিশ বলাটাকে আধুনিক-মনা বুঝানো হয়, সেখানে কি করার আছে? এ থেকে উত্তরণের কোনো উপায় মনে হয় নেই। তবে সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে হয়ত হলেও হতে পারে।
১০) মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা: আরও কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। জাস্টিফাই, সবচেয়ে বেটার, প্লাস এর সাথে যোগ করা যায়, আসল ফ্যাক্ট, স্বাভাবিকলি, মন্ত্রী-মিনিস্টার, আপনি তো দারুণ এক পাবলিক! ফাস্টে আমি বলি… ইত্যাদি। যিনি ভালো বাংলা বলতে পারবেন, তিনি অন্য ভাষা সহজেই রপ্ত করতে পারবেন। প্রফেসর সিরাজুল ইসলামকে বাংলার সাথে ইংরেজি বলতে শুনি নি। অথচ তিনি সারাজীবন পড়ালেন ইংরেজি! অবাক লাগে। জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে ভালো করে নিজের ভাষার উপর দখল চাই। চাই বাংলা সংস্কৃতির প্রতি মমতা। নিজের ভাষাকে এড়িয়ে কোন জাতি উন্নতি করেছে কিনা আমার জানা নেই।
১১) মাটির ময়না: ডুড! জোস লিখেছেন। হায় বাঙালি!
১২) মুক্তমন৭৫: থ্যাংকস ব্রাদার। ইউ আর রিয়েলি জিনিয়াস। মাইরি কইলাম আপনে একটা চিজ! উই আর লুকিং ফর দ্য শত্রুজ।
১৩) ঘাস ফুল: আপনার লেখাটি পড়ে জীবনের লাইফটাকে বৃথা মনে হলো! প্রতিনিয়ত আমরা নিজের অজান্তেই কতো ইংরেজি হিন্দি শব্দ বাংলা ঢুকিয়ে দিয়ে অনর্গল নির্লজ্জের মতো কথা বলে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে আবার গর্ববোধও করি, যা কি না বেশরমের চূড়ান্ত। এর জন্য শুধু সাধারণ মানুষকে দায়ি করলে ব্যাপারটি আমার কাছে একতরফা মনে হয়। এর জন্য দায়ি অনেকেই। আমাদের গণমাধ্যম, আমাদের সরকার, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা – কেউ তার দায় এড়াতে পারেন না। অন্যতম উদাহরণ হলো, আমাদের বিচার ব্যবস্থা। গণমাধ্যম বাংলা ভাষার প্রয়োগের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে কোন বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে নি। আরও অনেক কারণ আছে। মন্তব্যের ঘরে সব বলা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে টুকটাক হিন্দি বা ইংরেজি বললেও নিজের ভাষার প্রতি সম্মান আর শ্রদ্ধা আজন্ম ভালোবাসার মতো অটুট থাকবে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’শুনার সাথে সাথেই এখনও মনের অজান্তে অশ্রু ঝরে।
১৪) নাজমুল হুদা: গত শতাব্দীর ষাটের দশকে ঢাকা কলেজে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে-নামতে পেন্সিল-দিয়ে-লেখা দেয়ালের এই কথাগুলো নিয়ে আমরা খুব মজা করতাম, “Always বাংলা use করুন”।
১৫) মুরুব্বী: আজকের এই অবস্থা বা ভাষার প্রেক্ষাপট অথবা প্রচলিত প্রক্ষেপণ একদিনে তৈরী হয় নি। যা আপনি পোস্টে আলোচনা করেছেন। বাইরের কথা বলবো না, চুপিচুপি বাংলিশ উচ্চারণ আমার ঘরেও বসত নিয়েছে। আজ শুদ্ধ উচ্চারণ যেন বিলাসিতা। পরিচ্ছন্ন বাংলা আজও অনেকের দুর্ভেদ্য। জানি না কবে প্রমিত ভাষা ফিরে আসবে আমাদের জনজীবনে। তবু আশায় বুক বেঁধে রই। কিছুক্ষণ আগে শহীদ বেদী থেকে আমার সন্তানদের নিয়ে রিকশায় ফিরতে গল্পচ্ছলে যখন ‘একুশ’মানে বোঝাচ্ছিলাম, আমাদের বোঝা টেনে-নিয়ে-চলা-রিকশাচালক অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলেন: এ আমি কী বলি! বাড়ির গেটে নেমে অমিমাংসিত ভাড়া এক কথায় মেটাতে ভদ্রলোক মুগ্ধ চোখে তাকালেন। বললেন, ‘আমি পারি না আমার সন্তানদের এভাবে বোঝাতে।’ (শব্দনীড় ব্লগ)
১৬) নাজমুন নাহার: ভাষামিশ্রণের দৃষ্টান্তগুলো আসলেই মজার। কিন্তু সমস্যা হলো ভাষার এই যে মিশ্রণ – এটা হবে এবং হতে থাকবে। কতজন সতর্ক হতে পারে ভাষার এই ব্যবহারে? যেমন অফিস-আদালতে বাংলা বা ইংরেজি দু’টোই চলে। ইংরেজির ব্যবহার আভিজাত্যের প্রতীক বলে মনে করা হয় অফিসগুলোতে। তাই ইংরেজির ব্যবহার করতেই হবে, এরকম একটা অলিখিত ব্যাপার থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চিঠিপত্র লেনদেনে বাংলা ব্যবহার করা যায়। করা হচ্ছে না! তবু ভাষায় পরিবর্তন হবেই। ১৮০০ সালের বাংলা অথবা ১৫০০ সালের দিকে বাংলা ভাষার যে অবস্থা ছিল, সে অবস্থা তো নেই এখন আর। এটা হয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির সাথে আমাদের মিথষ্ক্রিয়তার ফলে। যেমন ‘টেবিল’এর শুদ্ধ বাংলা হলো ‘মেঝ’, চেয়ার হলো ‘কেদারা’।
এরকম আরও হাজার শব্দ বাংলা ভাষায় আছে, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষার শব্দ নয়। কিন্তু আমরা বাংলা ভাষায় ব্যবহার করছি অবলীলায়। তবে ভাষার এই যে মিশ্রণ, এটা সমাজের কিছু মানুষের – সকল মানুষের নয়। যেমন গ্রামবাংলার কোটি কোটি মানুষ এখনও ভাষার এই মেশামেশি বুঝে না বলে আমার ধারণা। কিন্তু ওখানে ভাষা পরিশুদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে আশার কথা হলো: বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হচ্ছে, এক্ষেত্রে ব্লগগুলোও ভূমিকা রাখছে। শব্দনীড়
১৭) সাঈদ মোহাম্মদ ভাই: লেখাটি ডেফিনিটলি চমৎকার। তবে আমড়া এখন র’এর ওপর ব্রেক মেরে কথা বলি: র হয়ে গেছে ড়। যারা বাংলিশ ভাষাকে একসেপ্ট কড়ছেন না তাড়া ভীষণ অন্যায় কড়ছেন। সবাই ড়াবিশ।
১৮) জুলিয়ান সিদ্দিকী: আমরা দিনরাত নানা সংস্কৃতির চিপাগলি দিয়ে অতিক্রম করি, আমাদের প্রতিটি দিন। এক্ষেত্রে খুব সচেতন না থাকলে মিশ্রণ থেকে বাঁচার উপায় নেই। কিন্তু কথা হলো: আমরা কতক্ষণ সচেতন থাকবো বা আশপাশের লোকজনকে কতটুকু সচেতন রাখতে চেষ্টা করবো।
১৯) ফরিদুল আলম সুমন: আমি বিবর্তনে বিশ্বাসী। বিবর্তনের মধ্যেই পৃথিবী টিকে আছে। আমাদের সংস্কৃতি, পোশাক, ভাষা, কৃষ্টিতে মৌলিকত্ব থাকা উচিত। তবে মৌলিকত্ব সবসময় ‘অতীব জরুরি’নয়। যে ভাষায় যত বেশি বিদেশী প্রচলিত শব্দকে ধারণ বা গ্রহণ করা হয়েছে, সে ভাষা তত বেশি সমৃদ্ধ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণীয় হয়েছে। অতিমাত্রায় মৌলিকত্ব ধারণ করতে গিয়ে চাইনিজ ভাষা পৃথিবীবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিচারে মার খাচ্ছে। এতো মৌলিকত্বে বিশ্বাসী চাইনিজরাও এখন ‘সিমপ্লিফাইড চাইনিজ’নামে আধুনিক, সংক্ষিপ্ত ও সহজ চাইনিজ ভাষার প্রবর্তন করেছে। আমরা বিশুদ্ধ বাংলার চর্চা করবো ঠিকই, তবে সেই সাথে যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশী শব্দকেও ঠাঁই করে দিতে হবে। আমরা ‘কেদারায়’বসতে পারিনি বেশিদিন, ‘চেয়ারে’বসতে হচ্ছে। ‘সন্দেশ’পড়তে পড়তে আমরা কীভাবে যেন ‘পত্রিকা’বা ‘সংবাদপত্র’পড়তে শুরু করেছি বুঝতেই পারিনি। ‘পেয়ালায়’চা খেতে খেতে নিজের অজান্তেই এখন ‘কাপে’চা খাচ্ছি। ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে আমরা যে ‘আভিজাত্য’বোধ করি, সেটা খুব সহজে যাবেনা। তাই কোডমিক্সিং দূর করতে হলে এ ব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা দরকার। কোডসুইচিং খুব একটা মন্দ নয়। নিজের ভাষা ছাড়াও অন্য যে কোনো ভাষায় শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারাটা আমার কাছে স্মার্টনেস-ই মনে হয়। তবে স্থান-কাল-পাত্র তো অবশ্যই বিবেচ্য। বাংলা-হিন্দী-ইংরেজি মিশিয়ে যারা কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা যেতে পারে: ‘আপনি কি উল্লিখিত যে কোনো একটি ভাষায় শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারেন? যদি না পারেন, তাহলে তো আপনার একূল ওকূল দু’কুলই গেলো।
এবার একটু অন্য কথায় আসি। সামহোয়্যারইন ব্লগের জনপ্রিয় গল্পকার এবং রম্যলেখক আবুহেনা মো: আশরাফুল ইসলাম ফেইসবুক মারফত আমাকে পরামর্শ দিলেন, যেন ভাষার মিশ্রণ নিয়ে এবার কিছু একটা লেখি। এবার দেখুন তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি কী লিখলেন এবং সামু’র ব্লগাররা তাতে কী উত্তর দিলেন:
আবুহেনা মো: আশরাফুল ইসলামের ফেইসবুক স্ট্যাটাস/ ৪ ফেব্রুয়ারি:
একজনকে দেখলাম ফেসবুকের বাংলা করেছে ‘মুখবই’। কবি নির্মলেন্দু গুন মোবাইল ফোনের বাংলা করেছিলেন ‘মুঠোফোন’। আক্ষরিক অনুবাদ না হলেও এটা ঠিকই আছে। শুনতেও শ্রুতিমধুর। কিন্তু মুখবই শব্দটি আমার কাছে ভালো লাগছে না। তারচেয়ে বরং ফেসবুকের বাংলা ফেসবুক-ই থাক। যেমন কম্পিউটারের বাংলা কম্পিউটার, ওয়েবসাইটের বাংলা ওয়েবসাইট ইত্যাদি ইতিমধ্যেই বাংলায় বহুল প্রচলিত হয়ে গেছে। এগুলোর বাংলা করতে গেলে না বুঝবে বাঙালি, না বুঝবে অবাঙালি। উচ্চারণ করতে গেলে দুর্বল দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে। এরকম কত ইংরেজি শব্দই তো বাংলা ভাষায় আত্মিকৃত হয়ে গেছে। তাতে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ছাড়া কোন ক্ষতি তো হয়নি। ভাষা আন্দোলনের মাস বলে সব কিছুর নামই বাংলায় রাখতে হবে, এমন দিব্যি কে দিয়েছে? আপনারা কী বলেন?
স্ট্যাটাসে বন্ধুদের/ব্লগারদের উত্তর:
শাহ আজিজ: এরকম করতে করতে operation searchlight এর কি করুন অনুবাদ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রার্থী। কিছু শব্দকে বাংলায় আত্তীকরণ অতিআবশ্যিক কারন এর বিকল্প নেই।
মেজদা (কোহিনূর): সত্যি কথা ৷ যেমন হরলিক্সের কোন বাংলা প্রতিশব্দ নাই ৷
-শাহআজিজ: লাক্স এর নাই , ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির নাই
-গোলাম মোস্তফা: এখানে হরলিক্স কেমনে আইলো?
-শাহআজিজ: বাজার থেকে এসেছে। (এরপর অনেকের বাক্য বিনিময়…)
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা: দারুণ আলোচনা। পড়ে আসবো। মইনুল ভাই কী বলেন দেখি।
-মাঈনউদ্দিন মইনুল: কোন কথা হবে না। আবুহেনা ভাইয়ের পক্ষে ভোট চেয়ে এবার আমরা মাঠে নামতে পারি, বাবলা ভাই।
আহমেদ রব্বানী: বাংলাভাষায় অনেক বিদেশি শব্দ এসে স্বকীয় স্থান লাভ করেছে। এতে তো কোনো সমস্যা নেই। ফেসবুক, ডিজিটাল, মোবাইলসহ সময়ের প্রয়োজনে আরো শব্দ বরং বাংলাভাষার শ্রীবৃদ্ধিই করবে। চমৎকার একটি বিষয়কে সামনে আনবার জন্যে ধন্যবাদ প্রিয় হেনা ভাইকে।
মাঈনউদ্দিন মইনুল: কথায় যুক্তি আছে… আবুহেনা ভাই!!! খুব সতর্কভাবে দেখলাম কেউ বিরোধিতা করেন কিনা… করলে ভাষার মাসে আবার আরেকটা বায়ান্নো ঘটিয়ে দিতাম!
আমি একাধিক জায়গায় লেখেছি যে, ভাষা বহমান নদীর মতো। এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন অনিবার্য। এর কোনকিছুই চূড়ান্ত নয়। ব্যকরণ, অভিধান সবকিছুই পরিবর্তনশীল। ভাষার ব্যবহাকারীরাই নির্ধারণ করবে এর গতিপথ। ভাষাবিদেরা কেবলই এসব ঘটনাকে বিধিবদ্ধ করবেন।
কিন্তু আশংকা হলো সেই ভাষাভাষীদেরকে নিয়ে, যারা প্রযুক্তির প্রভাবে ভাষার যথেচ্ছাচার করছেন। সেটি হয়তো বাংলা ভাষার স্বাভাবিক অগ্রগতি বা গতিপথকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে। যেসব ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, সেসবের অনুগামী হতে পারে।
মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম করা এবং জীবন দিয়ে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করা – এটি একান্তই বাঙালির গৌরব। বায়ান্নো আমাদের, একুশ আমাদের। পৃথিবী থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ব্যবহৃত ভাষাগুলো ইংরেজি, ফরাসী, চিনা, জার্মানি ইত্যাদি প্রভাবশালী ভাষার দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে ভাষাবিদেরা করছেন হাহাকার। তারা দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন বাঙালির, বাংলাদেশের; কারণ ভাষার জন্য নিজের প্রাণ দেবার দৃষ্টান্ত আমাদেরই। সেই আমরা যদি নিজ ভাষা ছেড়ে অন্য ভাষার প্রতি আসক্তি হই, নিজের ভাষায় অযাচিতভাবে বিদেশি ভাষার মিশ্রণ দেই, তবে আমরাই আমাদের গৌরবকে কলঙ্কিত করি।
ভাষা আন্দোলনে অর্জিত মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা পৃথিবীর মানুষের কাছে একটি বিশেষ স্থান লাভ করে আছে। সেই বাংলা ভাষার নিজস্ব কোন স্বকীয়তা অবশিষ্ট থাকবে কিনা, এখন সেটি ভাবনার বিষয়।
মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সকল ভাষা শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
[২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭] পাবলিক ব্লগে পাঠকের অভিমত।
যে লেখাটি থেকে উপরোক্ত মন্তব্য প্রতিমন্তব্য: কোডমিক্সিং এবং ভাষার দূষণ: বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ। লেখাটি প্রথম প্রকাশ পেয়েছিল প্রথম আলো ব্লগে।
প্রথমেই শুভেচ্ছা, পরে পড়ছি———–
আর পড়া দরকার নাই।
মেজদা, বাম হাত ঢুকিয়ে কই গেলেন…….!
লুকটা সব সময় ডান হাত পকেটে রেখে বাম হাত ডুকিয়ে দেয়
হাহাহা…. ঠিক ধরেছেন, কামাল ভাই…
কেন নাই মেজদা, টাসকি খাওয়ার ভয়ে !!!!
কামরুন্নাহার আপা, অবশেষে সাইন-আপ করতে পেরেছেন তাহলে।
দেখে খুশি হলাম……..
এত ভাষা আর ছন্দ নিয়ে ভাবেন কেন। যত ভাববেন তত ডুববেন। শুভেচ্ছা রইলো। একদিন রবীন্দ্র নাথ হবে দোয়া করলাম।
হাহাহা…. ভাবি না, ভাবায়!
যারা মহাকাব্য লেখে আর যারা শব্দখোর, তাদের সমস্যা হবে… আমার কী, ‘মুই তো মামুলি পাঠক’…
মেজদাকে ধন্যবাদ।
আপনি তো খৈই হারিয়েও সৃষ্টি করেছেন সেটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু শুদ্ধতার প্রশ্নে যে প্রতিজ্ঞ তার জন্য ও সাধুবাদ। লেখা হোক সু-চিন্তিত এবং শুদ্ধ এটাই কাম্য।
//লেখা হোক সু-চিন্তিত এবং শুদ্ধ//
আর কী চাই!…………
চমৎকার বললেন, সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল…..
শুভেচ্ছা আপনার জন্যও……
‘পেয়েছিলাম প্রেমের স্বাদ, লিখে দিলাম বিচ্ছেদের রাগ।’ হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা। যথারীতি আপনার স্টাইল। হিউমার।
অনেক লেখকই কিছু না ভেবেই লেখা শুরু করেন। কলম বা কীবোর্ড দ্বারা তাঁরা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত, এবং ধাবিত হোন। অনেকে খুব ভেবেচিন্তে লেখাটি শুরু করেন।
কেউ কেউ হয়তো এ দুটোর মিশেলে অভ্যস্ত- যেমন আমি। একটা থিম মাথায় ঢুকে গেলে ইনস্ট্যান্টলি ওটা লেখা হয়ে যায়। মাথায় থিম না থাকলে বারান্দায় পায়াচারি করার মতো কলমের ডগাও অর্থহীন শব্দ খুঁজতে থাকে।
আপনি আপনার সহজাত হাতে লিখলেই আপনার সেরা লেখাটি আমরা পাবো।
ভালো থাকুন মইনুল ভাই।
আমার স্টাইলটি ধরে ফেলার পরই আমি আপনাকে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজে বের করতে হলো, কারণ নামটি অচেনা……
‘অনেক লেখকই কিছু না ভেবেই লেখা শুরু করেন।’ প্রায় লেখক শুরু করেন একভাবে ভাবে, শেষ হয় অন্যভাবে… প্রায় ক্ষেত্রে ভালোর দিকেই শেষ হয়।
‘সহজাত লেখলেই সেটি সেরা’… সত্য। সহজাত লেখতে পারলে তো ওটা একটা কিছু হবে… কিন্তু সহজাত ধারাটিই মার খেয়ে যায়…….
আপনাকে চেনার আরেকটি চিহ্ন হলো, আপনার এই সহজাত বিস্তারিত মন্তব্য। অনেক কৃতজ্ঞতা ………
মইনুল ভাই আ——পনি !!!!! ভাষাদ্বন্দে ভুগছেন !!!! ইয়া মা’বুদ, রক্ষে কর। আমার অস্তিত্ব বিলীন হবার আর বাকি রইল না !!!!
নাহার আপু ইমো কিভাবে দিমো?
আলভী ভাই ১ নাম্বার টেবিলে যান, আমি নিজেই আজ সবে ঢুকলাম——–
//নাহার আপু ইমো
কীভাবে দিমো//
-হাহাহা!
ধন্যবাদ, কামরুন্নাহার আপা… দ্বন্দ্বের দেখছেন কী
আমি তো লেখক নই…. (ব্লগার ওরফে আড্ডাবাজ)
তাড়াতাড়ি ভ্রমণ পোস্ট ছাড়ুন, যতগুলো জমে আছে……
উপরে শব্দকবিতা ভাই বেশ কিছু মুল্যবান কথা বলেছেন। ধন্যবাদ জানাই।
আমি মনে করি সহজাত ভাবে যে লেখাটি মনে আসে সেটিই হতে পারে সেরা কোন লেখা। লেখার সময় আমরা অতো কিছু ভাবিওনা। সবার কথা নয় আমি আমার কথা বলতে পারি। আবার কিছু লেখা ভেবেও লিখতে হয়। তবে ছন্দ বাক্য গঠন কবিতায় রুপক উপমা এসবে দক্ষতা থাকাও প্রয়জন হয় যদি আপনি লেখালেখিটাকে সিরিয়াসলি নেন। জানা থাকলে তা না মানলেও হয়। অজ্ঞানতা নিয়ে সৃজনশীলতা হয়না।
শুভেচ্ছা পোষ্টটির জন্য।
ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ সাধু ভাই। একমত।
‘জানা থাকলে তা না মানলেও হয়।’ -সুন্দর বলেছেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের প্রতিটি শব্দে আমি একমত। লেখাটি আপনাদের মতো কবিদের জন্য নয়। আমার মতো হাতুড়ে লেখক, যারা ভাষার দ্বন্দ্বে লেখা থামিয়ে দেন, তাদের জন্য। ভাবনা আর অনুভব যার আছে, ভাষা থাকে তার ভৃত্য হয়ে।
শুভেচ্ছা!
মইনুল ভাই ভাষা দিয়ে হাসালেন! আমি কি লিখবো সে ভাষা হারিয়ে ফেললাম………..
ছড়াকার আলভী ভাইকে দেখে আমি আনন্দিত……..
ছড়া দিয়ে চলে আসুন আজই………
মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা
এমন উপলব্ধি থেকেই হয়তো বেরিয়ে আসে কোনো সৃষ্টি। এ শুধু ভাবনাকে দীর্ঘায়িত করায়। হয়তো আরো ভালো কিছু বেরিয়ে আসব বলে এই পীড়ন।
শুভ কামনা মইনুল ভাই।
খাঁটি কথা।
সুমন আহমেদ ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
” একনম্বর হলো ভাষার সৌন্দর্য্য; তারপর ছন্দ বা শব্দের তাল; তারপর আছে রূপক আর উপমা ব্যবহারের প্রচলিত প্রথা। ছন্দ মিলাতে গিয়ে ভুলে যাই কী ভেবেছিলাম। ভাষার সৌন্দর্য্য নির্ধারণ করতে গিয়ে ভাবনার ‘খেই’ হারিয়ে ফেলি।”
মনের কথাগুলি তুলে এনেছেন আর কথাগুলি বড় লেখক কবিদের বেলায় প্রযোজ্য হলেও আমার মত লেখকদের বেলায়ও খাটে যদিও কিছুদিন আগে একটি লেখার জায়গা আর লেখাগুলি হারিয়ে যাওয়ার কারণে নিজকে একজন বায়ু লেখক হিসাবে দাবি করেছিলাম। এখনও বায়ু লেখকের র পর্যায়েই আছি, কখন লেথার ধারা থেকে বায়ুতে মিলিয়ে যাই বলা মুশকিল।
অনেক কিছু জানা হলো আপনার এই লেখাটি থেকে, ভালো থাকবেন মইনুল ভাই্
হাহাহা… নামটি খুব জুতসই হয়েছে…. সকল ব্লগারই এক অর্থে বায়ু লেখক, যেহেতু তাদের লেখা কাগজে আসে না। লেখতে লেখতে যদি ভালো কথাগুলো মনে রাখতে পারি, তবে অন্তত ভালো কাজটুকু করতে ভুলে যাবো না। এজন্যই লেখি।
আপনার মন্তব্যে সবসময় আনন্দ পাই, রব্বানী ভাই। ধন্যবাদ!
মাইনুল ভাই আপনার লেখা এক নিঃশ্বসে পড়লাম। আপনি আমার মনের কথাগুলো পুরোটাই
লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাহাহা, তাই নাকি? প্রামানিক ভাইয়ের মতো প্রাকৃতিক কিছু থাকা চাই, তা হলে ঠেলেটুলে কি লেখক হওয়া যায়?
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় ছড়াকার!
দারুন লাগলো
ধন্যবাদ, কবি সকাল রয়!
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটা সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন, ‘ছন্দ জানা দরকার, কিন্তু ছন্দের দাসত্ব স্বীকার করা ক্ষতিকর।’ কথাটা আমার মনে ধরেছিল খুব।
দারুণ একটি বিষয়ে আপনার অন্তর্গূঢ় কথা ভাল লাগলো।
শুভেচ্ছা…….
বিশাল বড় একজন সাক্ষী যোগাড় করলেন, প্রিয় মিশু মিলন।
আপনার আন্তরিক মন্তব্য আনন্দ পেলাম………
ভালো থাকবেন…….
এত দেখি পুরাই হাই থট … মাথার উপর দিয়ে কেন যায়? আমি এত কম বুঝি কেন? :O
//আমি এত কম বুঝি কেন?//
-হাহাহাহা………..
কবি ইকুকে শুভেচ্ছা……
আমি আইয়া পরছি
মনের কথা পরকাশ পাইলেই হয়, আমি কিন্তু বাউন বাইড়ার কথায় কমু, হুম
আফা নি? আফনে ডুব মারেন কিতার লাগি?
ফুস্ট কই… ফুস্ট দেন বাউনবাইরা ভাসায়
সহজাত লেখাটাই ভাল একটা লেখা হতে পারে। তবে লেখকের উপমা, অলঙ্কার ইত্যাদির জ্ঞান থাকলে ভাল। তখন সহজাত লেখাটার মধ্যে সহজাতভাবেই সেসব ঢুকে যেতে দেখি আমরা। ধন্যবাদ মেইনুল ভাই সুন্দর বিষয়টির অবতারণের জন্য
সহজাত লেখাটাই ভালো…… হুম!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, হামিদ ভাই……….
“লেখার শুরুতেই ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যকরণগত শুদ্ধতা আর রূপক-উপমার দৌরাত্ম্য আমার কোমলমতি ভাবনাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলে।”
আতঙ্কগ্রস্ত শুধু আপনাকেই করে তুলে না, বরং আমার মনে হয় যারা আজ প্রতিষ্ঠিত লেখক, তাদের লেখালেখি জীবনের শুরুতেও আপনার আমার মতো এমন ভাষা আর ভাবনার সংঘাত হয়েছে। যারা শুরুতেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল তারা নিজেরাই নিজেদের অঙ্কুরে বিনষ্ট করে ফেলেছে। যারা অধ্যবসায় সহকারে চর্চা করে যাচ্ছে, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’ টাইপের স্লোগান বুকে নিয়ে নবোদ্যময়ে এগিয়ে যাচ্ছে………… তাদের হাতেই বাংলা সাহিত্য সুরক্ষিত থাকবে।
যে সব শত্রুদের কথা বলেছেন, সেগুলোকে শত্রু বলে দূরে ঠেলে না দিয়ে বন্ধু বলে বুকে জড়িয়ে নিতে হবে। তবে একদিনে হবে না, নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই শত্রুগুলোই এক সময় প্রভুভক্ত কুকুরের মতো লেখকের আশেপাশে ঘুরঘুর করবে। তখন লেখকও যখন যেটা দরকার লেখার মধ্যে বসিয়ে দিতে পারবেন।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকারটি আমারও পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম আলোতে পড়েছিলাম। বাংলা সাহিত্যের এই বিখ্যাত লেখক যথার্থই বলেছেন। মিশুকে ধন্যবাদ উনার মূল্যবান কথাটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
কবিতা নিয়ে আমরা অনেকেই অস্বস্তিতে পড়ে যাই কী মন্তব্য করবো বলে। কারণ অনেক সময়ই এর অন্তর্নিহিত অর্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হই। তবে কবি বুদ্ধদেব বসুর নিচের উক্তিটি আমাদের মনে হয় এই অস্বস্তি থেকে রেহাই দিবে। তিনি বলেছেন,
“কবিতা সম্বন্ধে ‘বোঝা’ কথাটাই অপ্রসঙ্গিক। কবিতা আমরা বুঝিনা, কবিতা আমরা অনুভব করি। কবিতা আমাদের ‘বোঝায়’ না; স্পর্শ করে, স্থাপন করে একটা সংযোগ। ভালো কবিতার প্রধান লক্ষণই এই যে তা ‘বোঝা’ যাবে না, ‘বোঝানো ‘ যাবে না”।
কবিতার ব্যাপারটা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলো, তবে মিশু মিলনের জন্য একটু উৎসাহ পেলাম।
সবাই বেশ চুটিয়ে ব্লগিং করে যাচ্ছেন দেখেও অসুস্থতার জন্য আমি অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। হাফসোস! এখনো অসুস্থ। সুস্থ হয়ে আমিও চুটিয়ে ব্লগিং করবো ইনশাল্লাহ। অনেক দিন হল চুটিয়ে ব্লগিং করা হয় না।
ভালো একটা লেখা পড়ার সৌভাগ্য করে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
কবিতা সম্বন্ধে ‘বোঝা’ কথাটাই অপ্রসঙ্গিক। কবিতা আমরা বুঝিনা, কবিতা আমরা অনুভব করি। কবিতা আমাদের ‘বোঝায়’ না; স্পর্শ করে, স্থাপন করে একটা সংযোগ। ভালো কবিতার প্রধান লক্ষণই এই যে তা ‘বোঝা’ যাবে না, ‘বোঝানো ‘ যাবে না
— দারুন একটা কথা।শুভেচ্ছা ঘাসফুল ভাই , সুন্দর একটা উক্তি পড়তে পারলাম
কবিরা কবির মতোই কথা বলে………… আর কবিই কবিকে বুঝে
থেংকু আলভিনা চৌধুরী……..
দীর্ঘ মন্তব্য মানেই ঘাসফুল। চুটিয়ে ব্লগিং করা যায় না ঘাসফুল ছাড়া। সুস্থ হোন!
.
.
কবিতা আমরা বুঝি না, অনুভব করি…
আমার জন্য ওই কথাই নিরাপদ…. সত্যিই বুঝি না…
ভাষা আসে ভাবনা আর অনুভবের পর…
জীবনবোধের ফলে আসে অনুভব/ভাবনা/অভিজ্ঞতা ইত্যাদি
জীবনবোধ আসতে পারে দেখা থেকে পড়া থেকে ভ্রমণ থেকে….
তীব্র জীবনবোধ যার, তার পেছনে ভাষা ঘুরে মৌমাছির মতো….
আমার কথা আমি বলে যাই। সকলকে একমত হতেই হবে, তা তো নয়।
মিশু মিলন একটা জোরানো সাক্ষী জোগাড় করেছেন…
আপনার মন্তব্যে সবসময় শক্তি পাই। থ্যাংকস, প্রিয় ঘাসফুল…..
আমিও মন্তব্যে সাহস পাই ব্লগরত্ন আমাদের আশেপাশে থাকে বলেই।
আমার কাছে ওহী ও আসে না, আবার আমি ছন্দ, তাল, লয়ও বুঝি না, আমি স্বাধীন
সবাই তো ওহি আসলে লেখতে বসে না….
কেউ শিষ্য যোগাড় করতে শুরু করে
কেউবা কোন দেশের ছাদ পরিদর্শনে বের হয়ে যায়…. হুম!
চমৎকার একটা লেখা।শব্দের প্রয়োগ,শৈল্পিকতা,রুপকতা, ভাবনাবিলাস এবং একটা লেখা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা এই বিসয়গুলো সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। ভাষার গভীরতা এবং মাধুর্যত্যা দিয়ে একটা লেখা যেমন পাঠককে ছুঁয়ে যায় তেমনি সহজ ভাষা প্রয়োগে ও একটা লেখা পাঠককে স্পর্শ করে। আমি মনে করি একটা লেখা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই ভাষাগত দ্বন্ধটা মাথায় রাখা উচিত না। লেখালেখি বিষয়টা একটা সাধনার বিষয়।এখানে যতটা সময় দেওয়া যাবে ক্রমে ততটা দক্ষতা অর্জিত হবে।আর একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে আমি যদি লিখতে চায় তবে আমাকে প্রচুর পড়তে হবে।
এই পোষ্টের জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্বা মইনুল ভাই।হৃদ্যতা জানবেন।
‘হৃদ্যতা’ শব্দটি হলো মেঘনীলের নিজের…. ওটি দেখলেই বুঝা যায় মন্তব্যটি কার…
চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ভাই….
লেখালেখি বিষয়টা সাধনার বিষয়…. কিন্তু সাধনার কোন বিষয় আমার আবার পছন্দের না….
.
যা হোক, কৃতজ্ঞতা জানবেন……….
সালাম জানবেন গুরু
কার গুরু যে কেডা… সেটা আসর গুরুর কাছে না যাওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না….
গুরুভাই বলাটাই শ্রেয়….
সংগ্রাম গুরুভাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ওয়াস্সালাম!
বরাবরই আপনার পোস্ট গুল অসাধারন
ফটো না পাওয়াতে আপনার অনেক কষ্ট হচ্ছে… বুঝতে পারছি….
এবিষয়ে শিঘ্রই ব্যবস্থা হবে…. নিশ্চিত!
জ্বি মইনুল দা
খুবি জ্ঞানের কথা লেখেছেন
প্রতিটি চয়ণের মাঝে অনুভূতির উপলদ্ধি করেছি
ভাল থাকুন———
ধন্যবাদ
একদম সত্যি কথা । আমার তো মনে হয় সবার সাথেই এমন হয়।


শুভেচ্ছা মাঈনুল ভাই
আমার লেখা আপনার চোখে পড়লো কেমনে, তাই ভাবছি… (চিন্তার ইমো)
আমি তো কবিতা লিখি নি ভাই
অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা…………
লেখাই যদি না হলো, তবে হে রূপময় ভাষা, তোমায় আমি কোথায় রাখবো?
সহমত পোষণ করছি প্রিয় মইনুল ভাই। শুরুটা আসলেই কঠিন। আমরা কেউই আছাড় না খেয়ে হাঁটতে শিখিনি। লেখার খেত্রেও তাই। আগে তো শুরু করতে হবে। তার পরে তার শুদ্ধতা, পরিমার্জন।
শুভেচ্ছা অফুরান ।
হুম… এই কথাডায় কেউ কর্ণপাত করলো না….
এটা যদি কোন ব্রাউনিং বা হেমিংওয়ে বলতো, দেখতেন কী কদর!
তাহলে আছড় খাওয়া থামবে কীভাবে বলুন…..!
আপনাকেও অফুরান কৃতজ্ঞতা, প্রিয় কবি সুখেন্দু বিশ্বাস
ফন্টের সমস্যা আছে। আমি ফায়ারফক্সেও চেক করেছি। ডিফল্ট ফন্ট ভালো নয়।
ডিফল্ট ফন্ট ভালো নয়, আমিও তাই মনে করি।
কিন্তু ফন্টটি খুব পরিচ্ছন্ন……..
ধন্যবাদ, প্রিয় আব্দুলহাক ভাই