Tagged: ব্লগ
আদর্শবাদী ব্লগার বনাম সৃজনশীল ব্লগার বনাম ফেইসবুকিং ব্লগার বনাম…
কেউ কেউ বলেন, ব্লগার সিজনাল, ব্লগ থাকে চিরকাল। পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত লেখা দিনান্তে ভাঁজে পড়ে যায়, কিন্তু ব্লগের লেখা সব সময় থাকে পড়া ও উদ্ধৃতির জন্য প্রস্তুত। বই অথবা সংবাদপত্রের পাতা হারিয়ে যেতে পারে দৃষ্টিসীমানা থেকে, কিন্তু বোদ্ধারা বলেন, ইন্টারনেটে নাকি ইরেজার নেই! ওখানে কোন কিছুই মুছে যায় না। পোস্টদাতা মুছে দিলেও সেটি কোথাও-না-কোথাও থেকেই যায়।
ব্লগারদের মধ্যে একটি বড় অংশ আসে যুবসম্প্রদায়ের কর্মহীন ও স্টুডেন্ট অংশ থেকে। তারা ইন্টারনেটে এসে একটি সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করেন। ব্লগে যতদিন থাকেন চুটিয়ে ব্লগিং করেন: লেখায় প্যাশনেট, মন্তব্যে অনেস্ট। পোস্ট দেন, মন্তব্য দেন এবং এমনকি বিভিন্ন ব্লগারদের পোস্ট নিয়ে সংকলনও বের করেন। তারা নতুন পুরাতন সকল ব্লগারকে জাগিয়ে রাখেন, লেখায়-মন্তব্যে-সংকলনে। অল্পকাল স্থায়ি হলেও একটি ব্লগকে প্রাণচঞ্চল রাখতে এই ব্লগারদের রয়েছে বিরাট ভূমিকা। সকলেই সিজনাল ব্লগার নন। অনেকেই কর্মজীবনে গিয়েও ব্লগিং করছেন।
স্ট্যাটাস লেখতে লেখতে লেখক। ভাষার ভুল আর বানানের ভুল করার একচ্ছত্র অধিকার তারা ভোগ করেন! ব্লগে যদি ভুল না করা যায়, তবে আর কোথায়! আই ডোন্ট মাইন্ড দেয়ার ল্যাংগুয়েজ। নতুনেরা আদর্শ নিয়ে আসুন, গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ নিয়ে আসুন অথবা দৈনিক স্ট্যাটাস নিয়ে আসুন, যত বেশি ব্লগে থাকেন ততই হয় সৃষ্টি। আজকের দিনের কোন টিনেজ বালিকার তাৎক্ষণিক একটি প্রতিক্রিয়া, অথবা পাঁচ লাইনের একটি স্ট্যাটাস, আগামি দশ বছর পর হতে পারে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার নির্ভরযোগ্য সাক্ষী। অথবা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র। কে জানে!
আমি খুব চাই, ব্লগের সঞ্চালক যেন তাদেরকে কোনভাবেই নিরুৎসাহিত না করেন, অথবা থামিয়ে না দেন। দিনে একাধিক ততোধিক পোস্ট দিলেও না! সামুতে অবশ্য এই কথা বলে দিতে হয় না। ব্লগ হওয়া উচিত তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসে ভরা হইহুল্লাপূর্ণ এক আড্ডাখানা। এখান থেকে বের হয়ে আসুক ভবিষ্যত সমাজের নেতৃত্ব ও মননশীলতার পথনির্দেশ। কিন্তু জীবন ও জীবিকার অদম্য আকর্ষণে তাদেরকে যেতেই হয়। মজার ব্যাপার হলো, পেশা যা-ই হোক ব্লগার নামটি অন্তর থেকে মুছে ফেলেন না তারা! হয়তো তা সম্ভবও হয় না!
২.
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে ‘বাংলাদেশ’ আর অধিকাংশ তরুণের নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হতে পারে না। কাজ অথবা বিদ্যালাভের জন্য তারা স্বদেশ ছাড়েন এবং অধিকাংশই (স্থায়ীভাবে) ফেরেন না। কিন্তু স্বদেশকে ভুলে থাকতে পারেন না – বরং দূরত্বের বেদনায় তীব্র স্বদেশপ্রেমে আপ্লত থাকেন অনেকে। গণমাধ্যমে স্বদেশের সংবাদ নেন, সংবাদ বিশ্লেষণ করেন ও অভিমত দেন। ফেইসবুক, টুইটার, ব্লগ ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমে তারা দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক ঘটনাবলীতে জড়িয়ে থাকার চেষ্টা করেন। নিজ দেশের মানুষের সাথে আকাশপথে পরিচিতি গড়ে তোলেন। দূরে থেকেও স্বদেশের আকর্ষণ নতুনভাবে উপলব্ধি করেন।
বলছি প্রবাসী ব্লগারদের কথা। তাদের মধ্যে অনেকের নিকনেইম আজ কিংবদন্তি লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে ছাপে তাদের লেখা। (কেউ আবার বিদেশী নাগরিকত্ব বা দূরত্বের সুবিধা নিয়ে একটু একটু বাড়তি কথা বলার সুযোগ নিয়ে থাকেন। অপমানজনক, দেশপ্রেমহীন এবং দায়িত্বহীন মন্তব্য দিয়ে থাকেন বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে, যা হয়তো স্বদেশে থাকলে সাহস করতেন না।) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষী ব্লগাররা ব্লগকে চব্বিশ ঘণ্টা মাতিয়ে রাখেন। ফটোপোস্ট, ভ্রমণ পোস্ট এবং প্রবাসী জীবনের লেখা দিয়ে সমৃদ্ধ করে চলেছেন বাংলা ব্লগকে। ফলে ব্লগ হয়েছে মেধাবী তরুণদের স্বদেশে ফেরার প্রেরণা। জয়তু প্রবাসী ব্লগার!
৩.
ব্লগ লেখার প্রেরণা আসে ‘ব্লগারের উদ্দেশ্য’ থেকে। তার উদ্দেশ্য যদি হয় কোন আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা, তবে লেখায় থাকে যুক্তি ও তথ্যের সম্মিলন। এখানে নতুন/পুরাতন বলে কোন কথা নেই। তিনি প্রবন্ধ লেখছেন, নাকি নিবন্ধ লেখছেন, নাকি কবিতা লেখছেন – কিছুই যায় আসে না। লেখার মূল বক্তব্যে থাকে আদর্শের প্রতিচ্ছবি। আদর্শবাদী ব্লগাররা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্য হতে আসেন এবং তুলনামূলকভাবে বেশিদিন টেকেন। এঁরা ব্লগের বটবৃক্ষ! অতীত ও ভবিষ্যৎ ব্লগারদের মধ্যে যুগবন্ধনকারী। ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। ব্লগে তাদের মন্তব্য সাধারণত শ্লেষপূর্ণ ও প্রতিক্রিয়াশীল হয়।
বলাবাহুল্য, প্রতিক্রিয়াশীলতা পুরোপুরি নেতিবাচক কোন বিষয় নয়। বিপ্লব ও সংস্কারের তাড়না আসে প্রতিক্রিয়াশীলতা থেকে। দেশের প্রচলিত আইন ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রেখে পরিবর্তনের কথা বলা কোন অপরাধ নয়। বাংলা ব্লগের শুরুর সময়টি ছিল আদর্শবাদী ব্লগারদের সোনালি দিন। বর্তমান সময়টিও ফেলনা নয়, তবে সোনালি রুপালি ইত্যাদি ‘রঙ’ দিয়ে এখন আর ব্যাখ্যা করা যায় না!
যা হোক, আদর্শবাদী ব্লগাররা কিন্তু ব্লগের ‘হিট লক্ষ্ণী’। মন্তব্য ১টি, পঠিত ১১,২৮৮বার! অথবা তিন লাইনের একটি লেখায় দেখবেন মন্তব্য পড়েছে মাত্র ৩০২টি! (অবশ্য, ট্যাগিং, বিভক্তি সৃষ্টি এবং দেশের হারিয়ে যাওয়া ও গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ‘অবহেলিত গালিগুলোকে’ একত্রিত করে সেগুলোকে বহুলপ্রচলিত ও জনপ্রিয় করার কাজে কিছু ব্লগারের অবদান অনস্বীকার্য।)
জাতীয় এবং সামাজিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুাতে জনমত সৃষ্টি করা এবং কর্তৃপক্ষকে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছেন এশ্রেণীর ব্লগাররা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি এবং জাতীয়তাবাদের ভিত মজবুত করে চলেছেন তারা। নাগরিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে সৃষ্টি করেছেন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।
৪.
ব্লগ যেন সৃজনশীলতার চারণভূমি! এখানে সৃজনশীলতা পয়দা হয়! তাৎক্ষণিক প্রকাশ, তাৎক্ষণিক মন্তব্য আর অভিমতের সুযোগ নিয়ে অনেক স্ট্যাটাস লেখক জীবনমুখী গল্পকার, ছড়াকার বা কবিতে পরিণত হয়েছেন। কেউবা হয়েছেন বিবর্তিত! নাকি মেটামরফোসিস? ছিলেন কবি, হয়েছেন গল্পকার; অথবা ছিলেন ডাক্তার, হয়েছেন কবি! (কেউ কেউ লেখতে লেখতে আরও ভোঁতা হয়েছেন। কিছুই হতে পারেন নি/হন নি, বরং যা ছিলেন, তা হারাবার দশা হয়েছে! নেভার মাইন্ড, তাদের সংখ্যা এতই কম যে খালি চোখে দেখা যায় না!)
ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারবো না, কিন্তু ব্লগ থেকে সৃষ্ট লেখকেরা যেন ‘ভিন্ন একটা জেনার’ সৃষ্টি করছেন বাংলা সাহিত্যে। প্রথাগত গ্রন্থকারদের সাথে তাদেরকে পুরোপুরি মেশানো যায় না। তাতে ব্লগারদেরই লস হবে। (অন্যদিকে কেউবা হয়েছেন বনসাঁই – বয়স বাড়লেও অন্যকিছু বাড়ে নি। বছরের পর বছর লেখেও ‘জাতীয়’ বানান লেখতে পারেন না। প্রচলিত শব্দগুলোকে না জেনেই নতুন শব্দগঠনে নামেন। আর, কবিতার কী ছিরি! যাক, এসব বিষয় তত ব্যাপক নয়।)
সৃজনশীল ব্লগাররা ব্লগের সাহিত্য সম্ভারকে গড়ে তুলেছেন। সৃজনশীলেরা একদিনে তৈরি হয় নি। পরিশ্রম, একনিষ্ঠতা, অধ্যয়ন ও জীবনবোধ হলো সৃজনশীল ব্লগারদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। কেউ ব্লগার হয়ে লেখক হয়েছেন, কেউবা আগেই লেখক ছিলেন। তবে ব্লগে প্রথম শ্রেণীর লেখকের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু সকলেরই আদি এবং অন্ত ব্লগ। এঁরা সৃজন করেন। নামের কারনেই সৃজনশীলদের নাম অনেক ওপরে!
ব্লগারদের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। কেউ বলছেন বেড়েছে, কেউ বলছেন কমেছে। জনসংখ্যা আর ইন্টারনেট ইউজার যদি বাড়ে, তবে ব্লগারের সংখ্যা কমে কীভাবে? আমি বলছি, দু’টোই হয়েছে। বেড়েছে ব্লগার এবং ব্লগসাইট; কমেছে প্রতি ব্লগসাইটের নিজস্ব ব্লগারের সংখ্যা। সব মিলিয়ে একটি বৃহৎ ব্লগার কমিউনিটি গড়ে ওঠেছে বাংলা ভাষায়। সংবাদ মাধ্যমের কোন বিষয়ে সন্দেহ বা বিভ্রান্তি থাকলে মানুষ ব্লগে তাকায়, ব্লগের পৌনপুনিক দাবিগুলো অবশেষে মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে গড়ায়। কারও অধিকার ক্ষুণ্ন হলে উভয়ে (অনলাইন ও অফলাইন) সমস্বরে চেঁচিয়ে ওঠে। ব্লগার এবং সামাজিক মাধ্যমের বলিষ্ঠ অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম।
ব্লগের বিশালত্ব – ব্লগ ব্লগিং ও ব্লগার সম্পর্কে এক্সপার্টদের ৩৯ উক্তি
“আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা”
———————————————————
1) সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমে ব্লগিংএর প্রভাবটি খুবই ইতিবাচক এক শক্তি। -গ্যারেট গ্রাফ
2) একটি চমৎকার ব্লগের মালিক হওয়া নয়, এমন ব্লগ লেখুন যা পাঠকের জন্য পড়তে চমৎকার। -ব্রায়ান ক্লার্ক
3) ব্লগারের সর্বশেষ ভোক্তা হলো পাঠক, সার্চ এন্জিন নয়। -গুগল এসইও গাইড
4) ব্লগে ব্যবহার্য মুদ্রার নামটি হলো বিশ্বাসযোগ্যতা আর আস্থা। –জেসন ক্যালকানিস
5) ইন্টারনেটে কোন ইরেজার নেই। -লিজ স্ট্রস
6) একবার একটি হিট পাওযাকে সফল ব্লগিং বলে না – দীর্ঘ সময়ের জন্য অনুগত ফলোয়ার সৃষ্টি করা চাই। -ডেভিড অ্যাস্টন
7) ইন্টারনেটে প্রচুর তথ্য আছে যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়; আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, নিজের তথ্যসমূহকে ভিন্নতা দেওয়া। -ম্যাট উল্ফ
8) সফল ব্যক্তিরা স্প্যাম করেন না, অর্থাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত লেখা/পোস্ট/ইমেল দেন না। -এডরিন স্মিথ
9) র্যাংকিংয়ে ওপরে ওঠার পেছনে অগণিত কারণ রয়েছে – তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভালো কনটেন্ট থাকা। -ডেভিড সিনিক
10) ব্লগার যখন পাঠকের মনোভাব আর দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব সৃষ্টি করে, তখন অবচেতনে তার লেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
11) বাস্তবিক জীবনে সবাই যেখানে মেজাজ দমন নিয়ে চিন্তিত, সেখানে শুধু আঙ্গুল দমন করেই আপনি কিন্তু মহাত্মা ব্লগারে রূপান্তরিত হতে পারেন। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
12) মন্তব্য ছাড়া নিজের লেখাকে নিজেই আমি চিনতে পারি না। কম বা হালকা মন্তব্যের লেখাগুলোকে যেন অন্যের সন্তানের মতো অচেনা লাগে! (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
13) সবচেয়ে বড় কৌশল হলো ভালো কিছু লেখা, নিশ্চিত হয়ে লেখা এবং সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা কথাটিকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা। অন্যভাবে বলা যায়, পাঠককে উচ্চতর স্থানে রাখা এবং তাকে হেয় জ্ঞান না করা। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
“অর্থ আয়/ ব্লগিং ক্যারিয়ার”
———————————————————
14) ‘পেশাদার ব্লগার’ কথাটি এখন আর পরস্পর-বিরোধী বিষয় (oxymoron) নয়। -লুক ল্যাংফোর্ড
15) ব্লগিং করে টাকা বানাতে হলে মাত্র দু’টি কাজ করতে হয়- প্রচুর হিটের ব্যবস্থা করা এবং তা থেকে নিজের আয়কে বাড়িযে তোলা। -জন চউ
16) ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং ভালো মাধ্যম। একটি উত্তমভাবে প্রস্তুত ব্লগ আপনাকে নিজ বিষয়ে অভিজ্ঞ করে তুলতে পারে। -পেনিলোপি ট্রাংক
17) শুধুমাত্র ইন্টারনেটেই একজন মানুষ একাকীত্ব এবং জনপ্রিয়তাকে একসাথে পায়। -এলিসন বারনেট
18) আমি আমাদেরকে সাংবাদিকেই মনে করি, আমাদের মাধ্যম হলো ব্লগ। -জশুয়া মিকা রিচিল
19) ব্লগিংকে পেশা হিসেবে নেবার সময় এসেছে। পশ্চিমে ব্লগিং করে জীবিকা অর্জন করছে এরকম ব্লগারের সংখ্যা গুণা যায় না। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
20) নিজের সাথে একটি গোপন চুক্তিতে আসুন। তা হলো, আপনি যে বিষয়ে লিখবেন, শপথ নিন যে তাতে ষোলআনা জেনে শুনেই লিখবেন। অথবা যা জানেন মানেন এবং বুঝেন সেগুলো দিয়েই লিখতে শুরু করবেন। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
“শ্রম, সময় ও আন্তরিকতা”
———————————————————
21) সামাজিক মাধ্যম একটি ধারণা নয়, এটি মানবিক। -গ্যারি ভেইনারচুক
22) ভেতরে আমরা যা দিচ্ছি সেটাই হলো ব্লগ, সংজ্ঞা নিয়ে ব্যস্ত থাকা হলো বোকামি। -মাইকেল কনিফ
23) যদি সব প্রশংসা গ্রহণ করতে পারেন, তবে সব সমালোচনাকেও মেনে নিতে হবে। -ক্রিস ব্রগান
24) আমার ব্লগিং জীবনটি মূলত লক্ষ্যহীন। আমি এর স্বভাবটি পছন্দ করি এবং উল্টোভাবে এটিই ভালো ফল দিচ্ছে। -সেত গোডিন
25) নিজের পোস্ট প্রকাশ করা এবং অন্যের পোস্টে মন্তব্য দেওয়া – মাত্র দু’টি কাজ করেই ইন্টারনেটের ভারচুয়াল সমাজে আমরা নিজেদের অস্তিত্বকে ধরে রেখেছি। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
“ব্লগিংয়ের প্রেরণা”
——————————————————–
26) একটি কোমল উপায়ে আপনি নাড়িয়ে দিতে পারেন দুনিয়া । -মহাত্মা গান্ধি (জানতাম না তিনিও যে ব্লগিং করতেন )
27) সবচেয়ে কার্যকর প্রেরণা পাওয়া যায় ব্লগ থেকে। ‘প্রাইসলেস প্রেরণা’ আসে সহব্লগারদের সাহচর্য্য থেকে। ব্লগ থেকে যে প্রেরণা পাওয়া যায়, রবীন্দ্র-নজরুল-শেইক্সপিয়র-ওয়র্ডসওয়র্থরাও তাতে হিংসা করতেন যদি বেঁচে থাকতেন। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
28) ব্লগিং করুন, নিজের চেতনা ও বিশ্বাসকে প্রকাশ ও পরীক্ষা করার জন্য। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
29) ব্লগিং করি জানাবার জন্য, যোগাযোগ সৃষ্টি করার জন্য, সৃষ্টি করার জন্য এবং প্রেরণার জন্য। (নাম পাওয়া যায় নি)
30) অনেকেই বলেন, লেখার মানটাই আসল। বানান ভুলটুল কোনো ব্যাপার না। আমিও মনে করি লেখার মানটাই আসল। এবং এও মনে করি, নির্ভুল বানান এবং নির্ভুল বাক্যবিন্যাস মানসম্মত লেখার একটি অন্যতম উপাদান । অলওয়েজ ড্রিম
“সামু’র ব্লগারদের ব্লগীয় উক্তি”
———————————————————
31) ব্লগিং নিয়ে যতটুকু জানি, তাতে আমি ভীষণ আশাবাদি। ব্লগ আমাদের আলোচনার জায়গা, শেখার জায়গা, তথ্য আদান প্রদানের জায়গা। প্রফেসর শঙ্কু
32) বাংলা ব্লগিংয়ের সাম্প্রতিক দুঃসময় নিয়ে আমি চিন্তিত নই। সময়টাকে আমি রুপান্তরকরণ হিসাবেই দেখছি। মামুন রশিদ
33) ব্লগের দরকার না ফুরিয়ে বলবো আগের থেকে অনেক বেড়েছে। বড় পোস্ট ফেইসবুকে মানুষ পড়তে চায়না দিতে চায়না। আর তথ্য দেবার জন্য ব্লগ এখনো সেরা মাধ্যম। ফেইসবুকে তথ্য খুঁজে পাওয়া খুবই ঝামেলার। ব্লগে লেখা পড়তে বেশ আনন্দ লাগে। রাজিব
34) আজ ব্লগ এবং ব্লগার এই শব্দ দু’টির বিশেষ মান তৈরী হয়েছে, একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগে। নানান সামাজিক মঙ্গলে, জাতিয় স্বার্থ রক্ষায়, সামাজিক অন্ধকার বিমোচনে ,মানবিকতায় বাংলা ব্লগাররা একত্রিত হয়ে এক অনন্য উদাহরণ তৈরী করেছেন যা বিশ্বের অন্যন্য ব্লগ পরিমন্ডলে দেখা যায়নি।সামু’র নোটিশ বোর্ড
“মন্তব্য নিয়ে ব্লগারদের মন্তব্য ”
———————————————————
35) যেসব ব্লগার অনবরত পোস্ট প্রজনন করেই চলে, আগের পোস্টের মন্তব্যের জবাব না দিয়েই আরেকটি পোস্ট করে – তাদের লেখায় মন্তব্য না দেওয়াই উচিত। এতে দুটো কাজ হতে পারে, তিনি মন্তব্যের জবাবের প্রতি যে দায়বদ্ধ তা বুঝতে পারবেন, ফ্লাডিংটাও কমার সুযোগ থাকে। স্বাধীকার
36) মনোযোগী পাঠকের মন্তব্য সৃজনশীল হতে বাধ্য, যদি সে অকপটে নিজেকে প্রকাশ করে, আর যদি সেইটা লেখার সময় ও ভাব তার থেকে থাকে! … ব্লগের অন্যতম প্রধান শক্তি হচ্ছে এখানে সরাসরি লেখক পাঠকের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ, আর তার প্রধান বাহন হচ্ছে মন্তব্য। ৎঁৎঁৎঁ
37) সত্যিকার অর্থেই শুধু পোস্ট নয়, মন্তব্য একজনের সম্পর্কে আমাদের অনেক ধারণা দেয়। তার ব্যক্তিত্ব, তার ইমেজ সব কিছুই। তাই মন্তব্য হেলাফেলায় করা উচিত নয়। মন্তব্য ছোট হতে পারে। তবুও তা সুন্দর হওয়া উচিত। সমালোচনা করলেও গঠনমূলক হওয়া উচিত। মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব
38) আমি যখন দেখব আনাড়ি ব্যক্তি নিয়মিত কিছু লিখছেন তখন সেখানে গিয়ে তাকে সত্যিকার ভালো মন্দ জানানোটা জরুরি। নতুন হিসেবে তার যদি শেখার মনোভাব থাকে তাহলে সেখানেও তাকে পরামর্শ দেয়া যায়। তবে অনেকেই পরামর্শ ভালো ভাবে নিতে চান না। তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেয়া এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।কাল্পনিক ভালোবাসা
39) পাঠকের একটি চিন্তাশীল মন্তব্যকে আমি নিজের লেখার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করি। পাঠকের মন্তব্য দেখে আমি বারবার ফিরে যাই নিজের লেখায়। নিজেকে অন্যের চোখে দেখে ভীষণভাবে প্রভাবিত হই। একেকটি মন্তব্য যেন নিজেকে দেখার একেকটি আয়না। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
ব্লগ ও ব্লগিং বিষয়ে সামু’তে প্রকাশিত পূর্বের কয়েকটি পোস্ট:
ক. সংকলিত ব্লগ লেখার কৌশল
খ. ৩৯টি ব্লগিং অভিজ্ঞতা
গ. আধুনিক ব্লগারদের ১০টি প্রিয় ভুল
ঘ. লেখকের প্রতি পাঠকের আস্থা
ঙ. অন্যের পোস্টে সৃজনশীল মন্তব্য
চ. ‘মন্তব্য’ নিয়ে সামু’র সহব্লগারদের মন্তব্য
ছ. ব্লগার হিসেবে মালালা ইউসুফজাই
জ. ভারচুয়াল পারসোনালিটি – একটি আলোচনা
ঝ. বাংলা ব্লগের সম্ভাবনা
ঞ. কেন ব্লগিং করবেন…
———————————————————
টীকা: ব্লগারদের মন্তব্যগুলো লেখকের পোস্টে সংশ্লিষ্ট ব্লগারদের মন্তব্য থেকে সংগৃহীত। বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুসন্ধান থেকে উক্তিগুলো সংগৃহীত। সকল ছবি ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত।
==========================================================================
লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে সরাসরি স্থানান্তরিত।
==========================================================================
০

০
লেখক বলেছেন: প্রিয় ঢাকাবাসী, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। একটু ভুল বুঝি নি। আমি সারা বাংলাদেশের লোকদের সাথে কথা বলছি না, আমার ওডিয়েন্স কিন্তু ব্লগার এবং ফেইসবুকার। অতএব…তাছাড়া, আপনি তো ১৫/২০ বছর আগের পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলছেন। দেশের শিক্ষার হার এখন ৬০/৭০ পেরিয়ে ৮০ কাছাকাছি; দরিদ্রমুক্তির হারও প্রায় একই। দৈনিক পত্রিকা এখন ক্ষেতের আঁল পর্যন্ত যায় এবং ১/৩য়াংশের বেশি মানুষের হাতে আছে মোবাইল। তাদের অধিকাংশের হাতে এখন থ্রিজি। তারা ফেইসবুকের মধ্য দিয়ে ব্লগেও উঁকি দিতে শুরু করেছে। আমি কিন্তু গ্রামেরই ছেলে।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ

ব্লগিং বিষয়ে সেদিন আমি গুগুলে অনেক কিছু তথ্য দেখলাম কিন্ত আপনার মত করে চমৎকার গুছিয়ে লেখার সাধ্য আমার নেই, তাই শুধু দেখে যাই

+
০
লেখক বলেছেন: জুনাপাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার উপস্থিতি সবসময় আনন্দদায়ক।গুগলে তো দুনিয়ার সকল জ্ঞানই পাওয়া যায়। এখন প্রকৃত জ্ঞান হলো, কোন্ জ্ঞান আপনি গ্রহণ করবেন সেটি বুঝতে পারা। হাহাহা!

০
লেখক বলেছেন: ‘আগুন পোস্ট’ ….হাহাহা!অনেক ধন্যবাদ, সুমাইয়া আলো…. ভালো থাকুন সবসময়!
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,ভেবে দেখার মতো বিষয় ।
ব্লগারদের উক্তিগুলোই আমাদের চোখ খুলে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে ।
০
লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জনাব আহমেদ জী এস…শুভেচ্ছা জানবেন
আমি তুমি আমরা বলেছেন: 17) শুধুমাত্র ইন্টারনেটেই একজন মানুষ একাকীত্ব এবং জনপ্রিয়তাকে একসাথে পায়। -এলিসন বারনেট23) যদি সব প্রশংসা গ্রহণ করতে পারেন, তবে সব সমালোচনাকেও মেনে নিতে হবে। -ক্রিস ব্রগান
এই মন্তব্য দুটো সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
জানতে নন এক্সপার্ট মন্তব্য বলতে কি বুঝিয়েছেন?
পোস্টে প্রথম ভাল লাগা রইল
০
লেখক বলেছেন: ১৭ এবং ২৩! ওয়াও… আপনি আমার পছন্দের দু’টি উক্তি বেছে নিয়েছেন, আমি তুমি আমরা!নন-এক্সপার্টের মন্তব্য মানে হলো ‘যে মন্তব্যটি এক্সপার্টের নয়’
অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা জানবেন……

০
লেখক বলেছেন: ব্লগিং সম্পর্কে ৩৯ উক্তি পড়ার জন্য এবং শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ছড়াকার ভাই….( আগামি শুক্রবার সারাদিনের জন্য বইমেলায় যাচ্ছি। আশা করছি দেখা হবে? )
শায়মা বলেছেন: মাত্র ৩৯!!!!!!!!!!
০
লেখক বলেছেন: মাত্র ৩৯??? এইটুকু বের করতেই ‘নন-এক্সপার্টের’ সহায়তা নিতে হয়েছে। ইন্টারনেটের সবকিছু আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল না, শায়মা! বাঙালি ব্লগারদের উক্তিগুলো চেখে দেখবেন। ব্লগিং সম্পর্কে ভালো উক্তি বাঙালি ছাড়া আর কে দিতে পারে বলুন?!
ভালো থাকবেন…..

০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:শততম পোস্টের শুভেচ্ছা। অভিনন্দন গ্রহন করুন প্রিয় ব্লগার।
০

আপাতত অভিনন্দনেই সীমাবদ্ধ রাখলাম। মূল মন্তব্যটা রাতে করবো।

০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: শততম পস্টে অভিনন্দন ।চমতকার শেয়ার । উক্তিগুলো যে কাউকেই সফল ব্লগিং করতে অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে ।
শুভ কামনা ।
০

যা হোক অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তার জন্য দুঃখিত।উক্তিগুলো অসাধারণ। নিজেই অনুপ্রাণিত হলাম। ভালো থাকবেন।
০
লেখক বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, দিশেহারা রাজপুত্র।আপনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন জেনে আমি আনন্দিত

০
সুমন কর বলেছেন: শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন।
সবগুলোই মনযোগ দিয়ে পড়লাম। ভাল লাগল।
৩, ৬, ৮, ১২, ১৭, ২০, ২৩, ২৪, ২৫, ২৯, ৩৪, ৩৯ চমৎকার।
শুভ রাত্রি।
০

০


০
লেখক বলেছেন: ওয়াও…. বিশাল বড় প্রশংসা। মন ছুঁয়ে গেলো ভাই রামন!আপনাকেও জানাই আন্তরিকত কৃতজ্ঞতা।
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শততম পোস্টের শুভেচ্ছা প্রিয় মইনুল ভাই।পোস্ট প্রিয়তে।
০

নন-এক্সপার্টটা কেডায়? আমাগো ব্লগরত্ন মইনুল ভাইজান না?

আওয়াজ দিয়ে যাই-তে শেয়ার দিয়েছিলাম। মুছে দিয়েছেন মনে হয়। ক্যারে? সরমিন্দা হইছেন নাকি? এই জন্যই কিন্তু আমি ‘বিদ্রোহী বাঙালি’ শেয়ার দিয়েছিলাম। ইট্টু আক্কল আছে অহনো।

০
লেখক বলেছেন: হাহাহ!….. অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালি। আপনারাই আমার ব্লগ লেখার প্রেরণা হয়ে আছেন। পথচলা এমনভাবেই অব্যাহত থাকবে।শুনুন, আপনি সম্পাদক হিসেবে পোস্ট দেন নি; এজন্য ‘আওয়াজ দিয়ে যাই’ সেটিকে পাশে রেখে দিয়েছে। আমি কিছু মুছি নি।
জাফরুল মবীন বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নন-এক্সপার্টটা কেডায়? আমাগো ব্লগরত্ন মইনুল ভাইজান না? -আবার জিগায়!
মন্তব্য ছাড়া নিজের লেখাকে নিজেই আমি চিনতে পারি না। কম বা হালকা মন্তব্যের লেখাগুলোকে যেন অন্যের সন্তানের মতো অচেনা লাগে! (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি) – হাঃ হাঃ হাঃ…বেশ ভাল বলেছেন মিঃ “ননএক্সপার্ট”
সবচেয়ে কার্যকর প্রেরণা পাওয়া যায় ব্লগ থেকে। ‘প্রাইসলেস প্রেরণা’ আসে সহব্লগারদের সাহচর্য্য থেকে। ব্লগ থেকে যে প্রেরণা পাওয়া যায়, রবীন্দ্র-নজরুল-শেইক্সপিয়র-ওয়র্ডসওয়র্থরাও তাতে হিংসা করতেন যদি বেঁচে থাকতেন।(ননএক্সপার্ট-এর উক্তি) -চমৎকার কথা বলেছেন!
০
লেখক বলেছেন: লেখার জন্য নিজ হাতে কার্ড বানানো এত বড় শুভেচ্ছা আমি এর আগে পাই নি। এ আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রিয় জাফরুল মবীন…সামহোয়্যারইন ব্লগে আপনার দৃপ্ত পদচারণায় সকলের মতো আমিও গর্বিত।…… শুভেচ্ছা থাকবে সবসময়!
আরজুপনি বলেছেন:আমি সাধারণত বর্ষপুর্তিতে যত বর্ষ হয় ততগুলি ইমো দেই…এবার শততম পোস্টে কী করবো ?
……………………………………………………………………………………..
অনেক অনেক অভিনন্দন রইল…ছাড়িয়ে যান হাজার পোস্টের সীমানা।
গতরাতে অফলাইনে পুরোটা মন্তব্য সহ দেখছিলাম আর আমিও ননএক্সপার্ট মন্তব্য কার হতে পারে ভাবছিলাম
০
লেখক বলেছেন: ইমো-যুক্ত শুভেচ্ছা পেয়ে আমি আনন্দিত। ইমোর সংখ্যা ঠিকই আছে আপনার মতো স্টার ব্লগারদের সঙ্গ পেলে হাজার পোস্টের সীমানা ছাড়াবার চেষ্টা থাকবে।
অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রিয় সহব্লগার আরজুপনি!

০

দীপান্বিতা বলেছেন: সবচেয়ে কার্যকর প্রেরণা পাওয়া যায় ব্লগ থেকেশততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন
০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: উপরে যতগুলো উক্তি আছে তার মাঝে আমি প্রথমে রাখব এইটাকেঃ “শুধুমাত্র ইন্টারনেটেই একজন মানুষ একাকীত্ব এবং জনপ্রিয়তাকে একসাথে পায়। -এলিসন বারনেট”বাকিগুলোও চমৎকার। আহেম আহেম নন এক্সপার্ট কিছু মন্তব্য বেশ পরিচিত মনে হলো
মহাত্মা গান্ধীর ব্লগ লিঙ্কটা আছে নাকি আপনার কাছে?? ইনবক্স কইরেন তো
শততম পোস্টের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন প্রিয় মইনুল ভাই। ইয়ে মানে….. শততম পোস্ট আমাকে উৎসর্গ করায় যার পর নাই আনন্দিত এবং কিঞ্চিৎ লজ্জিত
১
লেখক বলেছেন: সকল সহব্লগারকেই উৎসর্গ করেছি। একমাত্র আপনার নিকট থেকেই প্রাপ্তিস্বীকার পেলাম। অনেক খুশি হলাম, প্রিয় মহামহোপাধ্যায় মহাত্মা গান্ধীর লিংকটি ধরুন ……..
শুভেচ্ছা
সুফিয়া বলেছেন: ব্লগিং সম্পর্কে অনেকের ভিন্নধর্মী মতামত জানা গেল আপনার পোস্ট থেকে।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আর পোস্টে সেঞ্চুরি করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন রইল। আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারের আরও অগ্রযাত্রা কামনা করছি।
০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ‘এক্সপার্টদের চেয়ে দেখি ‘নন-এক্সপার্ট’র’ মন্তব্যেই জটিল লাগছে! হাহাহাযাইহোক, অনেক অনেক অভিনন্দন আপনার শততম পোস্টের জন্য। অবশ্যই এটিও অসাধারণ একটি পোস্ট। আমি প্রথম থেকেই দেখে আসছি যে, আপনি সামু-র একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষ। আপনাদের জন্যই আমরা এখানে আসি বা আছি।
আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্টের প্রত্যাশায়…।
০
//শ্রদ্ধেয় ‘এক্সপার্টদের চেয়ে দেখি ‘নন-এক্সপার্ট’র’ মন্তব্যেই জটিল লাগছে!//


-বিশাল বড় প্রাপ্তি।ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানবেন

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনিঃশেষ শুভকামনা মইনুল ভাই।অন্তর্জালের করণীয় সম্পর্কে সামান্য যা শেখার চেষ্টা করেছি, যাঁদের কাছে, তাঁদের মধ্যে আপনি অন্যতম একজন।
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা থাকছে।
শুভকামনা থাকছে অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
11) বাস্তবিক জীবনে সবাই যেখানে মেজাজ দমন নিয়ে চিন্তিত, সেখানে শুধু আঙ্গুল দমন করেই আপনি কিন্তু মহাত্মা ব্লগারে রূপান্তরিত হতে পারেন। (ননএক্সপার্ট-এর উক্তি)
আঙ্গুল দমনের বিষয়টা নতুন ভাবে মাথায় ঢুকলো!!!
শুভকামনা পুনরায়।
০
লেখক বলেছেন: কবি দীপংকর চন্দ কেমন আছেন? আপনার আন্তরিক মন্তব্য সবসময় আমি উপভোগ করি।ননএক্সপার্টের উক্তিটিতে দৃষ্টি দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন….
অনেক শুভেচ্ছা!
আবু শাকিল বলেছেন: ১০০তম পোষ্টের জন্য অভিনন্দন মইনুল ভাই ।ভাল থাকবেন সব সময় ।
ব্লগ ব্লগিং ও ব্লগার সম্পর্কে এক্সপার্টদের দারুন দারুন কথা পড়লাম ।
ধন্যবাদ ।
০
লেখক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় আবু শাকিল ভাই!ভালো থাকুন আপনিও!

০

০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এক্সপার্ট-এর চেয়ে, নন-এক্সপার্টের উক্তিগুলো বড়বেশী আপন আপন মনে হলো !!!!আমাদের এই সাদামাটা ব্লগার (নন-এক্সপার্ট) ভাইটি চিরদিন এমনি করেই লিখতে থাকুন !!!
শততম পোষ্টে শত কোটি শুভেচ্ছা !!!
১
লেখক বলেছেন: //আমাদের এই সাদামাটা ব্লগার (নন-এক্সপার্ট) ভাইটি চিরদিন এমনি করেই লিখতে থাকুন!!! //হাহাহাহা!
কামরুন নাহার আপা, সামুতে আপনি আসায় ফুলের শুভেচ্ছা পেতে শুরু করলাম। সেই আন্তরিক সব কথাগুলোও পেতে শুরু করলাম।
অনেক কৃতজ্ঞতা!
০
লেখক বলেছেন: কবি নাসরিন চৌধুরীকে অনেক কৃতজ্ঞতা।ভালো থাকবেন…..
০
লেখক বলেছেন: প্রিয়তে যেতে পেরে অনেক খুশি হলাম…. কবি রোদেরা আপা!শুভেচ্ছা জানবেন….

ব্লগের দরকার না ফুরিয়ে বলবো আগের থেকে অনেক বেড়েছে। বড় পোস্ট ফেইসবুকে মানুষ পড়তে চায়না দিতে চায়না। আর তথ্য দেবার জন্য ব্লগ এখনো সেরা মাধ্যম। ফেইসবুকে তথ্য খুঁজে পাওয়া খুবই ঝামেলার। ব্লগে লেখা পড়তে বেশ আনন্দ লাগে।
০
লেখক বলেছেন: নিশ্চয়ই বেড়েছে ৫বছর আগে মাত্র দু’একটা ব্লগ ছিল। এখন অগণিত ব্লগসাইটের মাঝেও ব্লগারদের তেমন কমতি নেই।শুভেচ্ছা জানবেন, এনামুল রেজা!
হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল লাগল ৷ ব্লগার হিসেবে নিজেদের একটা অবস্থান যেন খুঁজে পেলাম৷ ১২ অার ১৩ নং উক্তি দুটি বিশেষভাবে মনে ধরেছে৷ অার ৩২ নম্বর উক্তিটা তো অামার মনেরই কথা৷শুভেচ্ছা মইনুল ভাই …..
০

০
টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো ব্লগ ভাবনা।
সাথে অভিনন্দন।
০

আরও হাজার হাজার পোষ্ট লিখুন আমাদের জন্য …
আমরা সমৃদ্ধ হই …
০
লেখক বলেছেন: “হাজার হাজার পোস্ট” … হাহাহা, ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা জানবেন, মনিরা সুলতানা আপা!

অনেক দিন পরে জামাল হোসেন সেলিন ভাইকেও পেলাম!!!
০
লেখক বলেছেন: সবাই আপনার সুন্দর পোস্ট পেলে… এখানেও ভালো লাগবে।শুভেচ্ছা জানবেন, কামরুন নাহার আপা!
এহসান সাবির বলেছেন: শততম পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা।আমাদের সাথে থাকুন সব সময়।
শুভ কামনা রইল।
০


ব্লগের বিশালত্ব ত্ব প্রত্যয়টির সূত্র ধরে আমিও দারুণ আশাবাদী। তবে আঙ্গুল দমন করতে চাইলে স্বভাব ও উদ্দেশ্যও তো নিয়ন্ত্রণ করা চাই। পাঠককে হেয় করে লেখালেখি বেশিদূর এগিয়ে নেওয়া যায় না, ষোলআনা জানাশুনা পাঠক সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন কিন্তু। প্রেরণার বিষয়ে দ্বিমত করছি না। আবার বলতেও হয় তৈলোসঙ্গ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা চাই। রবীন্দ্র-নজরুল-শেইক্সপিয়র-ওয়র্ডসওয়র্থরাও চলেছেন ….জনাব,
শুভ কামনায় কোনও কমতি রাখলাম না। ভালো থাকবেন।
০
লেখক বলেছেন: ক’টি লাইনে আমার পোস্টের মূলবক্তব্য বলে দেওয়া আপনার কাজ, প্রিয় অন্ধবিন্দু।তৈলোসঙ্গ…. চমৎকার শব্দ কয়েন করেছেন…হাহাহা!
জনাব, আপনি কোন কমনি রাখেন না কোন সময়। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন… এবং ভালো থাকবেন আপনিও!
==========================================================================
কমিউনিটি ব্লগ: কেন এখনও মন্তব্য দেবেন – কেন এখনও ব্লগিং করে যাবেন!
১) কেন ব্লগিং করবেন
ব্লগিং করুন, নিজের চেতনা ও বিশ্বাসকে প্রকাশ ও পরীক্ষা করার জন্য। আমাদের কিছু বিশ্বাস শক্তি যোগায়, অধিকাংশই শক্তিকে রোধ করে! কিছু সংস্কার অস্তিত্বের কথা বলে, অধিকাংশই কুপমুণ্ডুক করে তোলে। কিছু ধারণা পথনির্দেশ হয়ে কাজ করে, অধিকাংশই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কিছু বিষয়ে আমাদের জ্ঞান পর্যাপ্ত, অধিকাংশ বিষয়েই আমরা জানি না। জানা ও না জানার মধ্যে উপযুক্ত সেতুবন্ধন এনে দেয় আত্মপ্রকাশের। আত্মপ্রকাশ না ঘটলে আত্মমূল্যায়ন হয় না। বিভিন্ন বয়সের বৈচিত্রময় রুচির বাঙালিকে নিয়ে গড়ে ওঠেছে বাংলা ব্লগ। আত্মপ্রকাশের সুপরিসর মাধ্যম! সবচেয়ে কার্যকর প্রেরণা পাওয়া যায় ব্লগ থেকে। ‘প্রাইসলেস প্রেরণা’ আসে সহব্লগারদের সাহচর্য্য থেকে। ব্লগ থেকে যে প্রেরণা পাওয়া যায়, রবীন্দ্র-নজরুল-শেইক্সপিয়র-ওয়র্ডসওয়র্থরাও তাতে হিংসা করতেন যদি বেঁচে থাকতেন। ব্লগিং করি সৃষ্টির জন্য। সমাজকে শুদ্ধতার পথে এগিয়ে নেবার জন্য।
২) কীভাবে ব্লগিং করবেন
ব্লগিং করার প্রযুক্তিগত বিষয় সম্পর্কে বলার আর কিছু নেই। টাইপিং আর ইন্টারনেট ব্যবহারের মৌলিক বিষয়গুলো জানা থাকলেই হয়। তাছাড়া, যে কোন ব্লগসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে লেখতে শুরু করা যায়। কেউ কেউ ফেইসবুকেও ব্লগিং জুড়ে দেয়। টুইটারে নিজের মনের কথা প্রকাশ করা যায় – ওটাও ব্লগিং। মাইক্রো ব্লগিং। নিজস্ব ব্লগসাইট থাকতে পারে ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে।
ব্লগিং করতে গিয়ে কী বিষয়ে লিখতে হবে, কীভাবে মন্তব্য করতে হবে এবিষয়ে ধারণা না থাকলে অবশ্য প্রযুক্তির দক্ষতা খুব কাজে আসে না। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে লেখা ও মন্তব্য করা প্রায় সমান গুরুত্বের। বাকি থাকলো, লেখার বিষয় ও লেখার মান। সৃজনশীল লেখক হলে লেখার গুণগত মান ‘প্রেরণা’ থেকেই আসে। কবিতা, ছড়া বা গল্প লেখায় হাত থাকলে শুধু লেখে গেলেই সেটাকে এক প্রকার ব্লগিং বলা যায়। কিন্তু পাবলিক ব্লগে ভালো লেখার পাশাপাশি কিছু বেইসিক এটিকেটও মেনে চলতে হয়।
৩) সৃজনশীল লেখক না হলে কী করবেন
নিজের স্বাভাবিক আগ্রহ অনুসারে যে ধরণের লেখা ভালো লাগে, সেগুলোতে নিয়মিত দৃষ্টি দেওয়া যায়। কারও কবিতা ভালো লাগলে, তিনি একান্তই কবিতার প্রতি মনযোগ নিবদ্ধ রাখতে পারেন। কবিতা পড়ে কবিতায় মন্তব্য দিন। মন্তব্য দিন আন্তরিকভাবে – প্রকাশ করুন নিজের অনুভূতিকে। কবিতার অর্থ লেখক আর পাঠকের জন্য ভিন্ন হতেই পারে। নিঃসঙ্কোচে নিজের মন্তব্য দিলে সেটি হতে পারে আত্মপ্রকাশের প্রথম মাধ্যম। একই কথা গল্প, ছড়া, ট্রাভেলগ অথবা প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মন্তব্য থেকেই লেখক হবার প্রথম তালিম পাওয়া যায়, যদি সেটি আন্তরিক মন্তব্য হয়। আন্তরিক মন্তব্য দেবার প্রথম শর্তটি হলো, অন্যের লেখাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা।
৪) লেখার ‘বিষয়’ কোথায় পাই
লেখার জন্য চাই পর্যাপ্ত পড়া এবং জীবনকে দেখার সুযোগ। যারা স্ব স্ব জীবনের অধিকাংশই দেখতে পেরেছেন, তারা হাতে কলম নিলেই তা যেকোন এক প্রকার লেখা হয়ে যায়। কিন্তু এটি একমাত্র পথ নয়। বই/সংবাদপত্র পড়ার আগ্রহ থাকলে, প্রিয় বই/খবরটি পড়ে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা যায়। কোন বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে, সেটি পোস্ট আকারে প্রকাশ করা যায়। কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রমণ করলে, তার বিবরণ লেখা যায়। দেখা সিনেমাটি মনে ‘দাগ কাটলে’ সেই দাগগুলো লেখায় ফুটিয়ে তোলা যায়। আজ একটি মজার/দুঃখের অভিজ্ঞতা হলো, সেটি নৈর্ব্যক্তিকভাবে লিখে রাখা যায়। নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি সবসময়ই অন্যের জন্য কৌতূহলের বিষয়। নিজের দেখা সমাজ ও রাজনীতি ভালো ও মন্দ দিক নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে লেখে গেলে, সেটি হবে নাগরিক সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মন্তব্যও এক প্রকার ব্লগিং। প্রাথমিক স্তরে থাকলে, নিজের পছন্দ মোতাবেক অন্যের পোস্টগুলো পড়া যায়। পড়ে সেখানে সুন্দর করে একটি প্রতিক্রিয়া রেখে আসা যায়। একটি মন্তব্য সংশ্লিষ্ট ব্লগারের পক্ষে একটি ‘ব্লগচিহ্ন’। ব্লগের কোন লেখা পড়ে তাতে আন্তরিক মন্তব্য দিলে একজন সুহৃদ বন্ধু লাভ করা যায়। তিনি আপনার মন্তব্যটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়ে তাতে প্রতি-মন্তব্য দেবেন। এখান থেকে মৌলিক লেখার হাতেখড়ি পাওয়া যায়।
৫) মন্তব্য কীভাবে দেবো
মন্তব্য হবে মনের মতো। যেভাবে আপনার মন চায়, সেভাবেই দেবেন মন্তব্য। তবে কোন লেখা পড়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হলে, সেখানে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ না করাই হবে বিচক্ষণতা। প্রতিক্রিয়া করলে প্রতিপক্ষ সৃষ্টি হবে। প্রতিপক্ষ বানাবার মতো স্বার্থবাদী প্রয়োজনীয়তা ইন্টারনেটে কখনও সৃষ্টি হয় না। নেহায়েত আত্ম-অহংকারের বিষয়। তাই এবিষয়ে একটিই নীতি, কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নয় – নো রিএকশন নীতি। পঠিত লেখাটি পুরোপুরি নেতিবাচক হলে, তাতে মন্তব্য না দেওয়াই উত্তম। আংশিক নেতিবাচক হলে, ইতিবাচক দিকটি নিয়ে মন্তব্য করা যায়। অন্যদের মন্তব্য পড়ে সংশ্লিষ্ট লেখক সম্পর্কে ধারণা হবে এবং মন্তব্য দেবার জন্যও নির্দেশনা মিলবে। এখানে একটু সতর্ক থাকতে হবে: অন্যের মন্তব্যের অনুকরণে নিজের মন্তব্যটি লেখা হবে বিপদজনক পদক্ষেপ। হিতে বিপরীত হতে পারে। অন্যের মন্তব্য দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত না হয়ে লেখায় নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশেই বেশি মনোযোগী হলে ভালো। অনেক সময় ব্লগারদের মধ্যে বিশেষ ইতিবাচক/নেতিবাচক সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের বিশেষ মন্তব্য থাকতে পারে। তাই মন্তব্য অনুকরণে সাবধান!
৬) মন্তব্যের উত্তর না দিলে কী করা উচিত
সততার বিকল্প নেই। অনলাইনে সততার ভাবমূর্তি সৃষ্টি করলে তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতির কিছু নেই। লেখার জন্যই যদি মন্তব্য দেওয়া হয়, তবে মন্তব্যের প্রতি-উত্তর না পেলে ক্ষতি কি? লেখার মানবিচারে মন্তব্য দিয়ে যাওয়াই হবে সততার পরিচয়। মন্তব্য না দেবার একমাত্র কারণ হতে পারে, লেখকের লেখাটি যথেষ্ট মানসম্পন্ন না হওয়া। এই যদি হয় মন্তব্যকারীর উদ্দেশ্য, তবে নতুন লেখকদের লেখাতেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য দেওয়া উচিত। নতুন লেখকদেরকে প্রেরণা দেবার জন্য একটু পক্ষপাতিত্ব করা যেতে পারে। অর্থাৎ ভালো লেখার চেষ্টা করা হলেও, সেটিকে স্বীকৃতি দিয়ে মন্তব্য দেওয়া যেতে পারে। নতুন লেখকেরা মন্তব্যের যথাযথ উত্তর নাও দিতে পারেন। নতুন লেখক বলতে নতুন নিবন্ধিত লেখক বুঝাচ্ছি।
৭) নতুন নিবন্ধনকারী লেখকদের প্রতি কেমন আচরণ থাকা উচিত
নতুন নিবন্ধনকারী মানেই যে নতুন লেখক, তা কিন্তু নয়। নতুন নিবন্ধিতরা অনেক ভালো লেখকও হতে পারেন। হয়তো কর্মজীবনের ব্যস্ততা অথবা ব্লগ সম্পর্কে না জানার কারণে আসতে পারেন নি। ব্লগে নতুন হলেও তাদের লেখায় পরিপক্কতা থাকতে পারে। অন্যদিকে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক এবং পুরাতন লেখকের লেখাও বালখিল্যতাপূর্ণ হতে পারে। কাউকেই তাচ্ছিল্যপূর্ণ বা অসম্মানজনক মন্তব্য করা উচিত হবে না। অন্যদিকে কমবয়সী লেখকের মধ্যেও থাকতে পারে প্রাপ্তবয়স্কের পটুতা। পুরোটাই জীবনবোধের ওপর নির্ভর করে। সকল অবস্থায় পোস্টের কনটেন্টসই হোক মান যাচাইয়ের মাধ্যম। ২০০৫ থেকে ২০১০ এর মধ্যে যারা ব্লগিংয়ে জড়িয়েছেন, অথবা যারা বিগত ৪/৫ বছর যাবত ব্লগিং করছেন, বয়সে কম হলেও তাদের অনেকে মন্তব্যে দুর্বিনীত বা অহংকারী হতে দেখা গেছে। এসব প্রবণতা নতুন ব্লগারদের আসা ও থাকার পরিবেশকে বৈরী করে তোলে।
৮) নিজের লেখায় প্রেরণাদায়ক/প্রাসঙ্গিক মন্তব্য পেলে কী করা উচিত
আন্তরিকভাবে এবং যথাসম্মানে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। মন্তব্যকারীর উদ্দেশ্য যা-ই হোক লেখকের জন্য এটি বিরাট পাওয়া। প্রকৃত লেখকের কাছে একটি মন্তব্য একটি প্রেরণা। অন্যের দৃষ্টিতে নিজেকে দেখা যে কতটা আনন্দের, সেটি ভালো লেখকমাত্রই বুঝতে পারেন। নিজের লেখায় অন্যের উপস্থিতিকে সম্মান করার মানে হলো মেহমানের সেবা করা। যথাসময়ে মন্তব্যের উত্তর দেওয়া উচিত এবং প্রতি-উত্তর হওয়া উচিত মন্তব্যের ক্রমানুসারে। ২০নম্বর মন্তব্যকারী যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন তিনি যেন ১২নম্বর মন্তব্যকারীর আগে উত্তর না পান। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হতে পারে, কিন্তু পরাম্পরায় যেন ভুল না থাকে। কেউ মন্তব্য দিতে শুরু করেও কিছু সময় বিরতি দিয়ে দিয়ে একেকজনের উত্তর দেন। পাঠক তার চতুরতা বুঝতে পেরে দুঃখ পান। পাঠকের মন ভাঙ্গা ব্লগ লেখকের জন্য কল্যাণকর নয়, কারণ এটি একটি ইন্টারএকটিভ ফোরাম। একদিন দু’দিন দেরি হতে পারে, অনলাইনে আসতে না পারলে মাসাধিকও দেরি হতে পারে। কিন্তু সময় নিয়ে একসাথে সকলের উত্তর দেওয়া এবং দেরিতে উত্তর দিলে দুঃখ প্রকাশ করা উত্তম স্বভাব।
৯) নিজের লেখায় পাঠকের পরামর্শ/সংশোধন পেলে কী করা উচিত
পরামর্শটি সঠিক না হলেও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা উচিত কারণ, পাঠকের উদ্দেশ্য যা-ই হোক, সকলের কাছে এর অর্থ হলো লেখার মানউন্নয়ন করা। পাঠকের পরামর্শকে ভুল বলার আগে বিভিন্ন উৎস থেকে যাচাই করে নিতে হবে, সকল দৃষ্টিকোণ থেকে সেটি ভুল কিনা। পরামর্শটি একান্তই ভুল হলে, বিনীতভাবে এবং অল্প কথায় সেটি বলা যেতে পারে। সঠিক হলে তো কোন কথাই নেই, ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা না বলে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। তবে যারা চোখ বন্ধ করে ইতিবাচক-নেতিবাচক সকল সংশোধন সম্মানের সাথে গ্রহণ করেন, তারা অনেক বিচক্ষণ।
১০) নিজের লেখায় তাচ্ছিল্যপূর্ণ/অসম্মানজনক/অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য হলে কী করা উচিত
‘নো রিএকশন নীতি’ মোতাবেক কিছুই করা উচিত নয়। (কারণ যতই লেখবেন, ততই ক্যাচাল বাড়বে। শেষে দেখবেন শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে দু’একটা কিল-গুঁতো দেবার খায়েস জাগতেছে। কিন্তু সেটি তো সম্ভব নয়। অতএব, অহেতুক খায়েস জাগিয়ে লাভ কী!) অন্য লেখক/পাঠকেরাই তার মূল্যায়ন করবেন। অন্তরটা একটু বড় থাকলে ধন্যবাদ বা শুভেচ্ছাও দেওয়া যেতে পারে, কারণ তার একটি মন্তব্য মানেই লেখার জন্য একটি ইতিবাচক সাড়া। মন্তব্যকারীর অসম্মানজনক মন্তব্য প্লাস লেখকের ধন্যবাদ: এর যোগফল যায় লেখকের পক্ষে। প্রতিক্রিয়া দেখালে সেটি অন্য লেখকদের মনেও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয়টি হলো, এতে লেখকের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। একান্তই যদি ‘রিএকশন নীতি’ অনুসরণ করতে হয়, তবে সম্মানের সাথে ‘মাত্র একবার’ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা যেতে পারে। এরপর একাধিকবার মন্তব্য আসলেও আর উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই। এসব বিষয় খেয়াল করেই প্রথম প্রতিক্রিয়াটি পরিপূর্ণভাবে দেওয়া উচিত।
১১) ব্লগসাইটের ব্যবস্থাপনায় বা সঞ্চালনায় অভিযোগ থাকলে কী করা উচিত
পাবলিক ব্লগ একটি সামাজিক ক্ষেত্র। বাস্তবিক জীবনে যেমন সমাজে আছে সমাজপতি আর মোড়ল, ব্লগেও তেমনি আছে। কুমিরের সাথে ঝগড়া করেও জলে বাস করা যায়। তবে কুমিরের মতো স্বভাব ও শক্তি থাকতে হয়। সেটি না থাকলে এবং ভবিষ্যতে মোড়ল হবার দুরারোগ্য ব্যাধি (মজা করে বললাম) না থাকলে, সংশ্লিষ্ট ব্লগসাইটের বিধি মোতাবেক কর্তৃপক্ষকে জানানোটাই উত্তম পন্থা। এ নিয়ে আরেকটি পোস্ট খরচ করার মতো মোড়ল ব্লগারও আছেন। তাদেরকে সেটি করতে দেওয়াই উত্তম। তবে মজার ব্যাপার হলো, ব্লগ কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে পোস্ট দিলে তাতে প্রচুর হিট পাওয়া যায় এবং সহজেই বিখ্যাত হওয়া যায়। এসবের ভালো-মন্দ উভয় দিক আছে। ভালো দিকটি তাৎক্ষণিকভাবে আসে কিন্তু থাকে না। মন্দটি থাকে গোপনে অনেকদিন, চিরদিন। বিধিমোতাবেক জানাবার পরও কোন ফল না হলে এবং সমস্যাটি দুঃসহ ও সর্বজনব্যাপী হলে, সবকিছু মূল্যায়ন করে একটি পরিপূর্ণ পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। সেটি অভিযোগ পোস্ট হিসেবে নয়, স্থায়ি এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবন্ধ আকারে দেওয়া যেতে পারে। (৫ ডিসেম্বর ২০১৪)
উৎসর্গ: ৬ষ্ঠ বাংলা ব্লগ দিবস ২০১৪। ব্লগ ও ব্লগারের জন্য গতানুগতিক কিছু চিন্তাকণা উপহার হিসেবে নিবেদন।
——————————
ব্লগ ও ব্লগিং বিষয়ে সামু’তে প্রকাশিত আরও কয়েকটি পোস্ট:
ক. সংকলিত ব্লগ লেখার কৌশল
খ. ৩৯টি ব্লগিং অভিজ্ঞতা
গ. আধুনিক ব্লগারদের ১০টি প্রিয় ভুল
ঘ. লেখকের প্রতি পাঠকের আস্থা
ঙ. অন্যের পোস্টে সৃজনশীল মন্তব্য
চ. ‘মন্তব্য’ নিয়ে সামু’র সহব্লগারদের মন্তব্য
ছ. ব্লগার হিসেবে মালালা ইউসুফজাই
জ. ভারচুয়াল পারসোনালিটি – একটি আলোচনা
ঝ. বাংলা ব্লগের সম্ভাবনা
————————–
‘কেন ব্লগিং করবেন’ শীর্ষক অনুচ্ছেদটি লেখকের অন্য একটি লেখা থেকে উদ্ধৃত।
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): ব্লগ দিবস; ব্লগিং ;
প্রকাশ করা হয়েছে: বাঙলায় ব্লগিং বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর…এডিট করুন | ড্রাফট করুন | মুছে ফেলুন
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: সুন্দর এবং খুবয় উপকারী একটি পোষ্ট ।
পোষ্ট প্রিয়তে রাখলাম ।
পোষ্টটি কৃতপক্ষ স্টিকি করলে সকল ব্লগারের জন্য ভাল হতো ।
০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে!
শুভেচ্ছা জানবেন

০
লেখক বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রফেসর

০
লেখক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে….. ইমতিয়াজ১৩
ডি মুন বলেছেন:
পাবলিক ব্লগে ভালো লেখার পাশাপাশি কিছু বেইসিক এটিকেটও মেনে চলতে হয়।
মন্তব্য দিন আন্তরিকভাবে – প্রকাশ করুন নিজের অনুভূতিকে।
নিঃসঙ্কোচে নিজের মন্তব্য দিলে সেটি হতে পারে আত্মপ্রকাশের প্রথম মাধ্যম।
মন্তব্য থেকেই লেখক হবার প্রথম তালিম পাওয়া যায়, যদি সেটি আন্তরিক মন্তব্য হয়। আন্তরিক মন্তব্য দেবার প্রথম শর্তটি হলো, অন্যের লেখাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা।
কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নয় – নো রিএকশন নীতি। পঠিত লেখাটি পুরোপুরি নেতিবাচক হলে, তাতে মন্তব্য না দেওয়াই উত্তম। আংশিক নেতিবাচক হলে, ইতিবাচক দিকটি নিয়ে মন্তব্য করা যায়।
যথাসময়ে মন্তব্যের উত্তর দেওয়া উচিত এবং প্রতি-উত্তর হওয়া উচিত মন্তব্যের ক্রমানুসারে।
মজার ব্যাপার হলো, ব্লগ কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে পোস্ট দিলে তাতে প্রচুর হিট পাওয়া যায় এবং সহজেই বিখ্যাত হওয়া যায়। এসবের ভালো-মন্দ উভয় দিক আছে। ভালো দিকটি তাৎক্ষণিকভাবে আসে কিন্তু থাকে না। মন্দটি থাকে গোপনে অনেকদিন, চিরদিন। বিধিমোতাবেক জানাবার পরও কোন ফল না হলে এবং সমস্যাটি দুঃসহ ও সর্বজনব্যাপী হলে, সবকিছু মূল্যায়ন করে একটি পরিপূর্ণ পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। সেটি অভিযোগ পোস্ট হিসেবে নয়, স্থায়ি এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবন্ধ আকারে দেওয়া যেতে পারে
সকালবেলা ব্লগে লগ ইন করতেই মইনুল ভাইয়ের দিক নির্দেশনামূলক পোস্ট, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।
পুরো লেখাটাই এক কথায় অসাধারণ। তবে এই পোস্টের শুরুটা অর্থাৎ প্রথম প্যারাটা আমার কাছে দুর্দান্ত মনে হয়েছে। প্রত্যেকটি শব্দ, বাক্য ভালো লেগেছে। সার্থক উপস্থাপনা/ভূমিকা যাকে বলে।
পোস্টে উল্লিখিত অনেককিছুই মেনে চলা হয়, আবার অনেক বিষয়ে আরো নজর দিতে হবে। নিজেকে আরো সংযত ও সহনশীল করতে হবে।
নতুন পূরাতন যে কেউ এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হবেন বলে আশাকরি।
প্লাসসহ প্রিয়তে++++
শুভসকাল মইনুল ভাই
ভালো কাটুক সারাদিন
০
লেখক বলেছেন:
ডি মুন আপনার স্বভাবজাত আন্তরিক ও বিশ্লেষণী মন্তব্য আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি।
বাংলা ব্লগ হোক স্বদেশপ্রেমে উজ্জীবিত…. এরকম আশা থেকেই প্রকাশ করে যাচ্ছি আদর্শ ব্লগের স্বপ্নগুলো….
আপনাদের মতো প্রতিশ্রুতিশীল লেখকেরাই পারেন বাংলা ব্লগের নতুন গতিপথ নির্ধারণ করতে।
অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানবেন….

০
লেখক বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ…
শুভেচ্ছা জানবেন
০
লেখক বলেছেন:
জুনাপা, থেংকু
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দারুণ উপকারী পোস্ট।
প্রিয়তে রাখলাম।
০
লেখক বলেছেন:
থ্যাংকস
মামুন রশিদ বলেছেন: লেখাটিকে একটি ‘ব্লগিং গাইডলাইন’ হিসেবে বিবেচনা করা যায় । ব্লগিংয়ের জরুরী সবগুলো ব্যাপার সুন্দর এবং সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
মন্তব্য থেকেই লেখক হবার প্রথম তালিম পাওয়া যায়, যদি সেটি আন্তরিক মন্তব্য হয়। আন্তরিক মন্তব্য দেবার প্রথম শর্তটি হলো, অন্যের লেখাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা।
উপরের কথাটি শতভাগ সত্য ।
শীতের মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা মইনুল ভাই ।
০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ, জনাব মামুন রশিদ ভাই
অফিস থেকে ফিরে মন্তব্যের উত্তর লিখছি…..
শীতের মিষ্টতা না থাকলেও আছে সন্ধার স্নিগ্ধতা….
তা দিয়েই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই
আবু শাকিল বলেছেন: ব্লগ সম্পর্কে জানার জন্য চমৎকার ।
মামুন ভাইয়ের সাথে একমত।
” লেখাটিকে একটি ‘ব্লগিং গাইডলাইন’ হিসেবে বিবেচনা করা যায় । ব্লগিংয়ের জরুরী সবগুলো ব্যাপার সুন্দর এবং সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন ।”
০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, আবু শাকিল ভাই
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ‘ব্লগিং ম্যানুয়াল’।
খুব ভাল লিখেছেন। আমাদের অনেকের উপকারে আসবে এটি।
স্বচ্ছ, সুন্দর এবং মননশীল ব্লগিং পরিবেশ কামনা করি।
ভাল থাকবেন।
০
লেখক বলেছেন:
অনেকের উপকারেই আসলেই আমি খুশি….
ধন্যবাদ আপনাকে, ইছামতির তীরে..

০
লেখক বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
সুমন কর বলেছেন: ব্লগিং করার জন্য এ পোস্টটি সকলের পাঠ করা অাবশ্যক।
অতি প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট দেবার জন্য মইনুল ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
প্লাস সহ প্রিয়তে।
০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, সুমন কর….!
বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় আপনাদের অনেককেই খুঁজলাম….
পেলে আনন্দ আরও জমতো….

০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ, লায়লা আপা
ভালো থাকুন এই শীতে!

০
লেখক বলেছেন:
ঢাকাবাসীকেও অনেক ধন্যবাদ……
ভালো থাকবেন
০
লেখক বলেছেন:
হাহাহাহা! শিক্ষক না, শিক্ষামন্ত্রী! (পদবি ভুলে গেলে কিন্তু পদত্যাগ করবো! )
ধন্যবাদ আপনাকে, দীপ্র

ব্লগিং এর সময় এসমস্ত বিষয়ের সবটা মাথায় রেখে যদি কাজ করা যায়, ব্লগারের উৎসাহ, সৃজনশীলতা কিংবা সততা সব কিছুই গতী পাবে।
০
লেখক বলেছেন:
‘স্বাস্থ্যকর পোস্ট’……. হাহাহাহা!
সবার ব্লগীয় স্বাস্থ্য ভালো থাকুক…. এই আমি চাই।
আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম, এনামুল রেজা
০
লেখক বলেছেন:
আপনাকে পাওয়া তো ভাগ্যের বিষয়, জনাব চিরতার রস!
আপনারা না থাকলে নতুনেরা পথ পাবে কীভাবে?
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

০
লেখক বলেছেন:
একমাসে ১০৫ পোস্ট….মে ২০০৭
কে দিয়েছেন? ব্লগার কৌশিক
সেরা দশ হিট ব্লগারের মধ্যেও ব্লগার কৌশিকের নাম!
কী তুখোড় ব্লগিংয়ে আপনার জড়িয়েছিলেন একেকজন… আপনার সেদিনের কথার সাথে মেলাতে চেষ্টা করলাম।
নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আপনাদের সময়ের ব্লগিং ছিলো অনেক আনন্দময় ও রোমাঞ্চকর….
বেনামী থাকার মধ্যে আরেকটি মজা আছে….
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কৌশিক ভাই

০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, তুষার কাব্য

০
লেখক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
একটি “মইনুলীয়” লেখা ।
বরাবরের মতোই গোছানো, বক্তব্য সমৃদ্ধ । প্রতিটি উপপাদ্যই নিজস্ব ঢংয়ে সয়ম্বরা ।
শুভেচ্ছান্তে ?
অথৈ শ্রাবণ বলেছেন: আমার মত নতুন ব্লগারের জন্য খুবই কাজের পোস্ট ।
ভালো থাকবেন ভাইয়া ।
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অন্তর্জালের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আপনার লেখা ভীষণ শিক্ষণীয় আমার নিজের ক্ষেত্রে।
অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।

এমএম মিন্টু বলেছেন: পোষ্টে প্লাস++++++++++++
এবং প্রিয়তে
হামিদ আহসান বলেছেন: দরকারী এবং শিক্ষণীয় একটি পোস্ট।
বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা মইনুল ভাই।
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রাতা।।
ভালো থাকবেন সবসময়
প্রিয় ব্লগ সংকলন: প্রথম আলো ব্লগ (closed)
*প্রিয় ব্লগ সংকলন: ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং ৮ (মূল শিরোনাম)

লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি। তাই প্রিয় বিষয়টি একটু পক্ষপাতিত্বমূলক হলেও এনিয়ে আমি কোন চাপে থাকি না। প্রকাশ করতেও দ্বিধা রাখি না। এটি আমার স্বভাবও না। মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও কাউকে অযাচিতভাবে খুশি করার চাপে আমি থাকি না। সময় পেলে এবং ভালো লাগলে পড়ি, প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য দেই। কারও লেখায় বা মন্তব্যে ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত পেলে নিজে হজম করি। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে হেয় করা হয় এরকম লেখাকে এড়িয়ে চলি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিবাদ করি। তবে একদম খারাপ লাগে এরকম লেখা খুবই কম পেয়েছি। সাধারণভাবে প্রায় সব লেখাই মঙ্গলজনক। চূড়ান্ত করার জন্য ব্লগে অনেক সমঝদার লেখক আছেন।
প্রথম সংকলন নিয়ে আরেকটু বলছি। নতুন, পুরাতন, অতি পুরাতন এবং প্রয়াত ব্লগারের উৎকৃষ্ট পোস্টগুলো (সংকলকের মতো) নিয়ে এই পোস্টটি সংকলিত হয়েছে। এবার শুধু ‘প্রিয় তালিকার’ পোস্টগুলো দিলাম, পরবর্তিতে প্রিয় ব্লগারদের লেখাগুলো নিয়ে সংকলন দেবার ইচ্ছা আছে।
ব্লগ ও লেখালেখি বিষয়ক পোস্টগুলো
নতুন এবং পুরোনোদের বলছি: একটি ব্লগ আলোচনা: সাইফ ভূঁইয়া (প্রয়াত!) [৩২]
চুম্বক অংশটুকু: প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্লগার তথা নিক নিবন্ধন হচ্ছে। এদের অনেকের লেখা বেশ মান সম্মত। চর্চাটা অব্যাহত রাখলে তাঁরা একসময় ব্যাপক নন্দিত হতে পারেন। সুযোগটা কেউ কেউ নিচ্ছেন না যে তা কিন্তু নয়। অন্যের লেখা পড়ে,সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে এরা এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ভিন্নতাও দেখি। সেটাই বেশি ভাবায়। অনেকে লেখা দিয়ে অপেক্ষা করেন তাঁর লেখায় কত মন্তব্য আসে। তাঁর চিন্তা চেতনা শুধু নিজেকে ঘিরে, চারপাশে কি হচ্ছে তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। (প্রথম আলো ব্লগ এবং সামহোয়ারইন ব্লগের একজন জনপ্রিয় ব্লগার। তার অকাল প্রয়ানে সামুতে অনেক দিন শোকবার্তা লাগানো ছিলো। প্রথম আলো ব্লগেও ছিলো শোকের ছায়া। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রবাসী ছিলেন।)
ব্লগিং কি এমন হতে হবে? সুস্থ ধারার ব্লগিং কাকে বলবো? মুক্তমন৭৫ [২১৪]
চুম্বক অংশটুকু: আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি প্রায়শই দেখছি, ব্লগিং এ ব্লগার কত দিন ধরে ব্লগে লিখছেন সেই জিনিসটিকে যতখানি মুল্যায়ন করা হয়, তার চেয়ে অনেক অনেক কম মুল্যায়ন করা হয় এখানে ব্লগের তার লিখাটিকে। এই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ আমি অনেক আলোচিত আর সমালোচিত পোস্টে প্রায়শই করতে দেখছি অনেক ব্লগারকে। কেউ একজন কোন কিছুতে মন্তব্য করলে তার বিপরীতে উত্তর হিসেবে এখানে লিখা হচ্ছে, কত মাস বা কত দিন ধরে কতটি পোস্ট এসেছে আর মন্তব্য এসেছে সেই ব্লগারের। তার মন্তব্যটিকে গুরুত্ব না দিয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তার অবস্থান আর মেয়াদকে। এটি কি ঠিক বলে আপনারা মনে করেন? সেক্ষেত্রে সেই নবীন ব্লগারের মনবল আপনারা কতখানি দুর্বল করে ফেলছেন, তা আপনারা অনেকেই অনেক অনেক প্রবীন ব্লগার হবার পরেও ভুলে যাচ্ছেন। আমার কাছে এই বিষয়টি একদম অনুচিত মনে হয়েছে। লেখার যোগ্যতা পরিমাপ করা উচিত লেখার মান বিশ্লেষণ করে লেখকের লেখক জীবনের বয়সকালকে হিসেবে নিয়ে নয়। (মুক্তমন৭৫ বাস্তবেও একজন মুক্তমনা ব্লগার। সমস্যা হলো উনি সাগর বাসিন্দা হবার কারণে সবসময় ইন্টারনেট পান না। ফলে আমরাও তাকে নিয়মিত পাই না। )
মন্তব্য বিষয়ক ইতিহাস ও বর্তমান: নীল সাধু [৭৬]
চুম্বক অংশটুকু: এক সময় আমাকে ব্লগ পাহারাদার বলা হত। কারন দিনের সবটূকু সময় আমি ব্লগে থাকতাম। ব্লগার সুজন ছিল মন্তব্যের ব্যাপারে সবার আগে। তার আগে মন্তব্য করা ছিল কঠিন। এমন কোন ব্লগার নেই যার ওখানে তিনি মন্তব্য করেননি। মধ্যে আমি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি সবার ব্লগে যেতে মন্তব্য বা কিছু একটা বলে তাদেরকে উৎসাহিত করতে। মন্তব্যের ব্যাপারে ব্লগার সুজনের সঙ্গে পেরে উঠিনি আমি। তিনি সেরা মন্তব্যকারী। ইদানীং তিনি ব্লগে আসেন না। … ব্লগার দেবদাস যিনি এই ব্লগে পরিচিত ছিলেন কিং অফ কমেন্ট হিসেবে। যার পোষ্টের চেয়ে আমাদের কাছে মুল্যবান ছিল মন্তব্য। এমন মজার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য এই ব্লগে খুব কম এসেছে। দুঃখজনক তিনি ব্লগে এখন অনিয়মিত। তীব্র বিদ্রুপ এবং অসাধারন সব মন্তব্য দিয়ে তিনি তার অবস্থান তৈরী করেছেন সবার হৃদয়ে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি আমার কথা বলতে পারি আমি যখনই দেখতাম দেবদাস কোথাও মন্তব্য করেছে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেই মন্তব্য দেখার জন্য ছুটে যেতাম সেই ব্লগে।… আ শ ম এরশাদ যিনি মন্তব্যের আর এক রাজকুমার। দীর্ঘ, সমালোচনামুলক, বিশ্লেষনধর্মী, মজার কথা- সব ধরনের মন্তব্যে ইনি পারদর্শী। যেখানেই তিনি মন্তব্য করেছেন সংস্লিষ্ট ব্লগার খুশী মনে তা গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক মতাদর্শের পোষ্টগুলোতে ব্লগার খালেদ এবং ব্লগার আ শ ম এরশাদ এই দুজনের মন্তব্য ছিল দারুন ইনফরমেটিভ। চুলচেরা বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যের জন্য ব্লগার এরশাদ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। (আ শ ম এরশাদের একটি পোস্ট আমার প্রিয় তালিকাভুক্ত।)
কী লিখবো, কীভাবে লিখবো: মাহবুব আলী [১২]
চুম্বক অংশটুকু: প্রথমেই যদি এই প্রশ্ন ধরে চিন্তা করি যে, কী উদ্দেশ্যে লিখছি? তাহলে অনেকেই হয়তো জবাবে সহজবোধ করবেন না। কেননা, বনের পাখি আপন মনে গান গায়, তার আবার উদ্দেশ্য কী? কিন্তু যৌক্তিক কথা এই যে, পাখি কিন্তু এমনি এমনি গান গায় না। তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য আছে। গানের পাখি কোকিল গাছের ফাঁকে লুকিয়ে যখন ডাকে বা গান গায় মানুষ হিসেবে তা শুনে আমরা মুগ্ধ হলেও ওই পুরুষ কোকিলের উদ্দেশ্য বায়স-ফিঙেকে তার বাসা থেকে বের করে আনা, যাতে স্ত্রী কোকিল সেখানে ডিম পাড়তে পারে। তাই প্রতিটি লেখার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। লেখককে সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে কাদের জন্য লিখছেন তার সমন্বয় ঘটাতে হয়। (সাথে আছে ১০টি চমৎকার টিপস!)
বাংলা ব্লগ কোন পথে: আ.শ.ম. আরশাদ [১৩৮]
চুম্বক অংশটুকু: ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গের দেবাশীষ ও সুকন্যা বাংলা ভাষায় অনলাইন ব্লগিং শুরু করেন এবং পরিচিতজনদের ব্লগিংয়ে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন বলে কথিত হয়। কিন্তু তখন বাংলা ভাষায় ব্লগিং করাটা খুবই ঝামেলার ছিলো। ফন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় অনেকেই ব্লগিংয়ে আগ্রহী হতেন না। এখনও সে সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। ২০০৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর “বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ” বাংলাদেশী ব্লগসাইট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। হাসিন ও এমরান এমবেডেড এডিটর ব্যবহার করে বাংলার প্লাটফর্ম সমস্যার সমাধান করে দেন। এখন ভার্চুয়াল কীবোর্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই ফোনেটিক বাংলা লেখা যায়। ২০০৬ সালে ব্লগটিকে ইউনিকোডে নিয়ে আসা হয়। মূলত তখনই একটি বিপ্লব ঘটে যায়। (২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলা ব্লগের একটি ডায়েরি হিসেবে বিবেচনা করা যায় লেখাটিকে।)
এক নজরে প্রথম আলো ব্লগ মিট আপ: First to Last: ইঊসুফ [৪৩]
চুম্বক অংশটুকু: কিছুদিন আগে হয়ে গেল প্রথম আলো ব্লগের প্রথম মিট আপ। …এই দীর্ঘ সময়ে ছিল কত পোষ্ট, কত মন্তব্য… কত সুখ, কত দুঃখ… কতগুলো মানুষের অনুভূতি, প্রচেষ্টা আর প্রেরণা কাজ করেছে এ মিট আপকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে.. সেগুলোকে এক জায়গায় একত্রিত করার ইচ্ছায়ই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এতে মিট আপের প্রস্তাবনার শুরু থেকে মিট আপের পর পর্যন্ত প্রায় সব পোষ্টের লিংক একত্রিত করার চেষ্টা করেছি। (২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্লগারদের পারস্পরিক সাক্ষাৎ করার বিষয়টি ছিলো রোমাঞ্চকর এবং বহুল প্রত্যাশিত। তার পূর্বে থাকতো অনেক আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তাবনা।)
বইপড়া; সাহিত্য আলোচনা, কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ, ব্যক্তিত্ব
বাঙালির পাঠ্যাভ্যাস: মেহেদী হাসান মঞ্জুর [৮]
চুম্বক অংশটুকু: একদিনের একটা ঘটনা বলি, যাতে বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট হয়ে উঠবে । মেট্রো রেলে যাতায়তের সময় দেখি, ষ্টেশনের এক কোনে দাঁড়িয়ে একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা করছে; তার পায়ের কাছে একটি টুপি রাখা, সেখানে লোকজন রুবল(রাশিয়ান মুদ্রা) ফেলছে, তার বাম হাতে ধরা একটি কার্ড, যেখানে লেখা ‘পামাগাত মিনিয়া’ (আমাকে সাহায্য করুন) এবং ডান হাতে ধরা একটি বই। হাজার কোলাহলের মাঝখানেও লোকটি বই পড়ে যাচ্ছে । টুপিতে কতগুলো রুবল জমা হচ্ছে, সেদিকে তার কোন খেয়ালই নেই। বাংলাদেশের কোন জায়গায় এরকম দৃশ্য, আমরা সম্ভবত কল্পনাতেও আনতে পারবনা। (এই ব্লগারকে এখন আর বাত্তি লাগিয়ে পাত্তা পাওয়া যায় না )
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ওপর বাংলাদেশ এবং লালন সাঁইজির প্রভাব: জমির হায়দার বাবলা[২০]
চুম্বক অংশটুকু: রবি ঠাকুর বাংলাদেশের হৃদয়ে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন বলেই তাঁর জীবনে “বাংলাদেশ” অধ্যায়টি সাহিত্য সৃষ্টির রত্নগর্ভা হয়ে আছে। এ অধ্যায়ের কারণে রবি ঠাকুর তাঁর সাহিত্যে ঝুলিতে অসংখ্য মানিক তুলে নিতে পেরেছিলেন। এ অধ্যায়েই রবি ঠাকুর সৃষ্টি করেছেন করেছেন অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম। (বাবলা ভাইয়ের সাহিত্য-বিষয়ক প্রবন্ধগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।)
ভং ছাড়ো কাঙ্গাল: বিধুভূষণ ভট্টাচার্য্য [১০০]
চুম্বক অংশটুকু:
আমরাউ চাষাভূষা
আমরাউ বাঙ্গাল
অউ দেশ আমরার
ভং ছাড়ো কাঙ্গাল
ছড়াকারের কথা: এই ছড়াটি সিলেটের স্বনামধন্য আবৃত্তি সংগঠন মৃত্তিকায় মহকাল-এর প্রধান, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সংগঠক সৈয়দ সাইমূম আঞ্জুম ইভান (প্রথম আলো ব্লগের ‘সাইমূম ইভান’)-এর অনুরোধে রচিত এবং গত বছর ও চলতি বছর নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মৃত্তিকায় মহকাল কর্তৃক মনমুগ্ধকর ভাবে পরিবেশিত হয়েছে। আলো ব্লগের বন্ধুদের জন্য এখানে নিবেদন করলাম। (আমার ব্লগে আসার প্রথম সময়টিতে বিধু’দা এতই নিয়মিত ছিলেন যে, সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীদের তালিকায় তার নাম থাকতো। তখন জিনজির নামেও আরেকজন ব্লগারকে খুব দেখা যেতো।)
ঈদের ছুটিতে ভারত ভ্রমণ: রব্বানী চৌধুরী [৫৫]
চুম্বক অংশটুকু: গত ৩০শে অক্টোবর ছিল প্রকৃতির ভূ-স্বর্গ মানালিতে আমাদের শেষ দিন। বিকাল পাঁচটায় পর্যটকদের বাসে করে দিল্লীতে যাওয়ার সময়সূচি। সকাল থেকে আমাদের অবসর, আর মালানি ও পুরাতন মানালি ঘুরে দেখার দিন। বাজার-ঘাট, পার্ক, আর টুকি-টাকি সোপিং। ঝকঝকে রোদে হোটাল থেকে তোলা পাহাড়ে রোদের বন্ধুত্ব। (যুক্ত আছে বেশকিছু চমৎকার ছবি। পেয়ে যাবেন জনপ্রিয় এই ব্লগারের সুখময় পারিবারিক জীবনের সচিত্র প্রতিবেদন।)
আদিবাসী নারী: এইচ এস মং মারমা [৪০]
চুম্বক অংশ:
অগ্নিমাখা বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ক্রমান্বয়ে তুমি
হারিয়ে যাও, হারিয়ে যেতে থাকো;
একদিন তুমি আর ফিরে আসো না,
কল্পনা চাকমাও আর ফিরে আসেনি।
কবিকে আমি এই বলে সেদিন অনুভূতি জানিয়েছিলাম: “এতো আহত আমি আর কখনও হই নি।” ব্লগ থেকে মং মারমা ভাইয়ের অন্তর্ধান নিয়ে একবার আলাদা পোস্ট দিয়েছিলাম। তারপর তিনি ছিলেনও কয়েকদিন। তারপর আবারও উদাও! আদিবাসীদের ওপর যতবার উপদ্রুব এসেছে ততবারই তাদের বিবেকের প্রতিনিধি হয়ে কবি মং মারমা আমাদের সাথে তার কবিতায় কেঁদেছেন। কাঁদিয়েছেন আমাদেরকেও। ভালো থাকুন কবি!
শৈল্পিক হাততালী: কবি কুহক [৬২]
চুম্বক অংশ: “টুপ করে খসে পড়ে তার নব যৌবন
সুযোগ বুঝে বাতাসী উড়িয়ে দেয় মার্কসবাদী চুল”
কবির সাথে আমার কথোপকথন:
আমি: হাহাহা, ভালো লাগলো সমগ্র কবিতাটি। কোন এক সময় আরও বিস্তারিত বলার ইচ্ছা আছে।
কুহক: দুহাই লাগে আর বিস্তারিতো কিছু কইয়েন না। পুরাই লজ্জায় পইড়া যামুগা।আমি:
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: তুহিন সরকার [১০০]
চুম্বক অংশটুকু: বান্দরবন জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি আছে, এলাকার বাসিন্দাদের মুখে প্রচলিত রূপকথায় অত্র এলাকায় এ সময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এই বানরগুলো শহরের প্রবেশ মুখে ছড়ার পাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অতি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেলে বানরের দল ছড়া পাড় থেকে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পার হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে জায়গাটি “ম্যাঅকছি ছড়া” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মার্মা ভাষায় ম্যাঅক শব্দটির অর্থ হল বানর আর ছি শব্দটির অর্থ হল বাধঁ। কালের প্রবাহে বাংল ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম বান্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবনের প্রকৃত নাম “রদ ক্যওচি চিম্রো’।
মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মিনারের স্থপতি ও চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান: নূর মোহাম্মদ নূরু [১৬]
চুম্বক অংশটুকু: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে হামিদুর রহমানের নকশা অনুসারে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। উল্লেখ্য হামিদুর রহমানের রূপকল্পনা অনুসারে ১৯৬২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়। (কৃতী মানুষের জীবনী লেখে এই ব্লগার বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন মহাকালের জন্য।)
রেলপথ ধরে বাংলাদেশ ভ্রমণ: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, লক্ষ্য আখাউড়া [২৩]
চুম্বক অংশটুকু: সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাঁটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাঁটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাঁটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌঁছতে পারি । (ব্লগের ট্যুরিস্ট ব্লগার কামাল উদ্দিন ভাইয়ের একটি জনপ্রিয় আয়োজন এটি।)
ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং ৭
ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং ১
——————————
*‘প্রিয়’ কথাটি নিয়ে কৈফিয়ত এবং এপোলজি আছে: সকল ‘প্রিয়কে’ এক সংকলণে আনা যায় নি। আগেই বলেছি তালিকার বাইরেও অনেক প্রিয় পোস্ট আছে। প্রিয় ব্লগারের তালিকাটিও এক্ষেত্রে আমার সহায়ক। তাই পাঠক যেন মনে না করেন যে প্রিয় তালিকা এখানেই শেষ। পরে আরও আসবে।
লেখকমাঈনউদ্দিন মইনুল
- মাঈনউদ্দিন মইনুল -এর ব্লগ
- ৬৫ টি মন্তব্য
- ১৭ মে ২০১৪, ২১:০৩
- ব্লগালোচনা
- গড় রেটিং: ১০
প্রিন্ট করুন
- ৬৫ টি মন্তব্য
-
রফিকুল ইসলাম সাগর১৭ মে ২০১৪, ২১:১৩
লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি।
সময় পেলে এবং ভালো লাগলে পড়ি, প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য দেই। কারও লেখায় বা মন্তব্যে ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত পেলে নিজে হজম করি। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে হেয় করা হয় এরকম লেখাকে এড়িয়ে চলি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিবাদ করি।আপনার সাথে একমত। -
ফেরদৌসা১৭ মে ২০১৪, ২১:১৪
চুম্বক অংশটুকু পড়ে উনাদের পুরো পোস্ট পড়ার লোভ হচ্ছে। যদিও রব্বানী ভাই আর কামাল ভাইয়ের পোস্ট দেখা আছে । -
নীল সাধু১৭ মে ২০১৪, ২১:২০
বাহ। চমৎকার।আপনার প্রিয় পোষ্ট মানে অনেক কিছু। আমার প্রায় পোষ্ট পড়া আছে।
একটি পোষ্ট পড়ে আসি। সেটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল মনে হচ্ছে।এভাবেই আমরা ভালো লেখাগুলোকে সবার সামনে নিয়ে আসতে পারি। মুল্যায়িত হতে পারে সেরা/প্রিয় পোষ্টগুলো।
ধন্যবাদ জানবেন।
ভালোবাসা সহ -
পরানের কথা১৭ মে ২০১৪, ২১:২৩
অনেক ভালো লাগলো এই আলোচনা । আমার মতো নতুনদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রলাম।অফুরান আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । -
নীল সাধু১৭ মে ২০১৪, ২১:৩৪
ইহা একটি বিজ্ঞাপন মন্তব্যপ্রথম আলো ব্লগে চলছে “প্রথম আলো-ঘুড়ি প্রিয় চিঠি আয়োজন ২০১৪”
মে ১৫ থেকে পোষ্ট-কৃত সকল চিঠি এই আয়োজনের জন্য বিবেচিত হবে। চিঠি পোষ্ট করার শেষ সময় জুন ১৫।
চিঠি লিখুন। চিঠি পড়ুন।
প্রথম আলো ব্লগে পোষ্ট করুন আপনার নিজের লেখা চিঠিটি!ধন্যবাদ।
-
আরজু মুন জারিন১৭ মে ২০১৪, ২১:৪২
কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি। তাই প্রিয় বিষয়টি একটু পক্ষপাতিত্বমূলক হলেও এনিয়ে আমি কোন চাপে থাকি না। প্রকাশ করতেও দ্বিধা রাখি না।(*
চমৎকার মইনুল ভাই।আপনার সব লেখায় আমার মুগ্ধতা সিল মেরে বলে দিলাম।আমার লেখায় যখন আমি আপনার কমেন্টস দেখি নিজেকে সন্মানিত বোধ করি গুরুত্বপূর্ন মনে করি।কমেন্টসে বুঝতে পারি আপনার উদারতা।পুরা লেখা নিখূঁতভাবে পড়ছেন বিশ্লেষন করছেন।কিন্তু কমেন্টস করার সময়ে লেখককে আপনি তাই বলছেন যা তাকে প্রেরনা দেওয়ার মত আপনার দৃষ্টিতে প্রেরনা পাওয়ার মত।আপনার এই মানসিক গঠনকে আমার শ্রদ্ধা।
আর লেখাতো সবসময় অসাধারন লিখেন।আপনার লেখা বিশ্লেষন করার স্পর্ধা আমার নাই।অনেক ভাল লাগা/মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।অনেক শুভকামনা রইল আপনার চলার পথে।ভাল থাকবেন কেমন।
-
পুলক বিশ্বাস১৭ মে ২০১৪, ২১:৪৫
ব্লগিং মুক্তভাবে লেখার ও মত প্র্রকাশের দারুণ এক প্লাটফরম হতে পারে যদি আমরা একটু ধীরস্থিরভাবে শুদ্ধ-অশুদ্ধ যাচাই করে নিজের পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করি। আমাদের মতো নতুনদের নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে একটু সময় লাগবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা নিয়ে আমার কোন খেদও নেই। অগ্রজদের, ভাল লেখকদের মূল্যায়ণ করা যেমন জরুরি তেমনি নতুনদের ভাল লেখাকেও অনেকে মূল্যয়ণ করেন যা আমাদেরকে অণুপ্রাণিত করে সবসময়।মইনুল ভাইকে অনিঃশেষ শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন। -
আলভী১৭ মে ২০১৪, ২১:৫৫
এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী পোষ্ট আশা করছি আমার মত সবার ভালো লাগবে। এক পোষ্টেই অনেক কিছূ জানা সম্ভব বিশেষ করে যারা নতুন ব্লগার তাদের জন্য অনেক ভালো লাগবে কারন আমাদের পুরাতন অনেক প্রিয় ব্লগা্র আজ যারা ব্লগে যে কারনেই হোক সক্রিয় না তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা সম্ভব হচ্ছে। ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই। -
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা১৭ মে ২০১৪, ২২:১০
প্রথমে মইনুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই অনেকগুলো পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
এ পোস্টগুলো বাছাই করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে সাথে বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়েছে। ব্লগিং নিয়ে পোস্টগুলো প্রত্যেকটিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।আগের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পের্কে ধারনা পেলাম।আপনি যেই পোস্টগুলোর কথা লিখলেন সেই পোস্টগুলোর সূত্র ধরে আগামীতে আরো আগাতে পারবো।
মইনুল ভাইকে আমাদের বড়বেশী দরকার। কারণগুলোর একটি আজকের মতো পোস্টগুলি।
শুভকামনা। -
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা১৭ মে ২০১৪, ২২:২০
কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না,
যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি।মাঝে মাঝে কিছু পোস্টে সতর্কতার সাথে “দারুন” “অসাধারণ” কথাগুলো না লিখে কেবল কোথায় বা কোন কথাগুলো ভালো লেগেছে তা উল্লেখ করেই বলি “ভালো লেগেছে”।
আমি মাঝে মাঝে মনে করি-ডাহা মিথ্যাচারিতা না করে উৎসাহমূলক মন্তব্য ব্লগিং এ তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে হয় না। অনেকে উৎসাহিত হতে পারেন।
“ব্লগরত্ন” কথাটি আবারো প্রমানিত হলো।
শুভেচ্ছা মইনুল ভাইকে। -
রব্বানী চৌধুরী১৭ মে ২০১৪, ২২:৪৩
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় মইনুল ভাই।
“লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি। তাই প্রিয় বিষয়টি একটু পক্ষপাতিত্বমূলক হলেও এনিয়ে আমি কোন চাপে থাকি না। প্রকাশ করতেও দ্বিধা রাখি না।”একজন লেখক কতটা নিরপেক্ষ, মেধার বিচারে, দক্ষতার কলম দিয়ে লিখে থাকেন উপরের কথাগুলি খুব স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে। এ লেখার যোগত্যা নিয়ে যারা চিন্তা করবেন আমার ধারণা মতে তাঁরা একদিন লেখকের খাতায় নাম লেখাবে। আমাকে দিয়ে যে এমন লেখা হবে না, এ আমার সৌজন্যতা করে বলা নয়, মন থেকেই বলা তবে আমারও নাম লেখকের খাতায় উঠতে পারে যদি আমার যোগ্যতা আমাকে লিখায়।এ পোষ্টটি আমাদের শিখাবে এক একটি পোষ্ট থেকে আর একটি পোষ্টের পার্থক্য কত !! আপনার প্রিয় কিছু পোষ্ট যুক্ত করে দিয়ে আমাদের পড়ার পরিধী বাড়িয়ে দিলেন। আর আমরা বুঝে নিলাম কোন পোষ্টগুলিকে কি ভাবে গুরুত্ব দিতে হয়, নবীন কবি ও লেখকদের জন্য একটি ভুবন তৈরী করে দিলেন অতীতকে জানার।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।
-
কাছের মানুষ১৭ মে ২০১৪, ২২:৫৯
চমৎকার একটা পোষ্ট, এর মাঝে কিছু পোষ্ট আগেই পড়েছিলাম !!চুম্ভক অংশটি দিয়ে আবারো লেখা গুলো পড়ার জন্য লোভ বাড়িয়ে দিলেন।আপনার এই উদ্দগটি ব্লগারদের লেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং লেখার প্রতি উৎসাহ এই বিষয় গুলোতে গুরুত্বপূর্ন্য ভুমিকা রাখবে ।
আপনার পোষ্ট মানেই ভিন্ন কিছু পাই, এবারো তার ব্যাতিক্রম হল না
-
কামরুন্নাহার১৭ মে ২০১৪, ২৩:১৭
লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি।
সময় পেলে এবং ভালো লাগলে পড়ি, প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য দেই। কারও লেখায় বা মন্তব্যে ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত পেলে নিজে হজম করি। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে হেয় করা হয় এরকম লেখাকে এড়িয়ে চলি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিবাদ করি।
আপনার এই লেখাটুকু আবারও প্রমাণ করলো আপনিই ব্লগরত্ন।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য, সমালোচনা, একজন লেখককে কতখানি অনুপ্রাণিত করে তা’ একবাক্যে সবাই স্বীকার করবেন। এমনটাই সবার প্রয়োজন। যা আপনি দিয়ে আসছেন, দিচ্ছেন, দিতে থাকবেন।
আপনার লেখায় ডাহা-মিথ্যাচার করবার প্রশ্নই আসে না। আপনি এমন করে লিখতে থাকুন, ব্লগকে এগিয়ে নিয়ে চলুন তার পরিপূর্ণতায়, প্রাপ্তিতে।আপনি সে সব ঐতিহাসিক লেখাগুলো আবারও আমাদের সামনে এনে দিলেন, তা’ সত্যিই অসাধারণ !!
ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।অনেক শুভকামনা রইল। এমনটাই আরো চাইব, এ আমার দাবি। -
মেজদা১৮ মে ২০১৪, ০১:১৯
বিভিন্ন জনের কথা জানলাম। ভাল লাগলো। কয়েকজনকে চিন্তে পারি নাই। সেটা আমার ব্যর্থতা। ধন্যবাদ মঈনুল ভাই। -
লুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ মে ২০১৪, ০১:২৯
বেশ কিছু পোস্ট আগেই পড়েছিলাম । আজ আবার একটু করে উকি দিয়ে এলাম । না পড়াগুলো পড়ে ফেলতে হবে খুব তাড়াতাড়ি ।
এমন অসাধারণ আর সময়সাপেক্ষ চিন্তা মাথায় এনে তা আবার প্রকাশ করার সময় পান কিভাবে ? আসলেই যারা গুণী তারা সবদিকেই তার ছাপ রাখে । শুধু আমার মত বে গুণীরা চেয়ে চেয়ে দেখে আর অবাক হয় ।আর বেশি কিছু কইতে পারুম না । আমার স্টক অল্প থাকে আপ্নে জানেন । এই নিয়ে এক মজার ঘটনা বলি । আমাদের এখানে এক ভাবীর( পলাশের কলিগ ) বিদায় উপলক্ষে আমরা সবাই মিলে একসাথে হলাম । ভাবী চলে যাচ্ছে তাই সবাই তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলছিলেন । দুই তিনজন বলার পর আমার পালা এলো । আমি অল্প কথার মানুষ । দুই লাইন বলেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পুরো অনুষ্ঠান থামিয়ে দিলাম । এরপর আর বেশিক্ষণ কথা চলে নি । কিন্তু আমার ঐ দুই লাইন সবাইকে আবেগাক্রান্ত করে দিল ।ওরে বাবা অনেক কথা বলা হয়ে গেল । ভাল থাইকেন
-
হাফিজুল ইসলাম১৮ মে ২০১৪, ০২:০৮
এইসব ঘোড়ার ডিম না কইরা যা করলে সমাজের কোন কামে লাগে হেইডা করতে পারেন না? মানুষের মধ্যে কোন রকম সচেতনতা ছড়াইতে পারেন না? বড় একখান পোস্ট দিছেন তাতে আবার এত্ত প্রশংসা! ভাই, ব্লগটারে খাজুইরা আলাপের আর গুছানো কিছু মিষ্টি কথার বিতরণের স্থান না বানাইয়া পারলে কামের কাম কিছু করেন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রকৃতি তুইলা ধরেন, সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন নইলে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে মিষ্টির মাঝে যেমনে ওষুধ খাওয়ায়- তেমনে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেন।
আর সহজ বাংলায় মন্তব্য করলে কি মাইনষের কষ্ট হয়? “ভালোলাগা রেখে গেলাম, শুভেচ্ছা শতত, পাশে রইলাম” এইসব আঁতেল মার্কা কথা বাদ দিয়া লেখার ব্যাপারে সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন না? লেখার মান বা লেখার বিষয়- এইসব নিয়া?
বহুত তো করছেন, এইবার ভণ্ডামি বাদ দেন। পাগলের বোর্ড বসাইছে একলগে। আর ব্লগরত্ন আবার কী? ফাইজলামির টাইটেল?? -
নীল সাধু১৮ মে ২০১৪, ১৫:৩৩
হাফিজুল ইসলাম ভাই আপনি দড়ি ছিড়া কই থেইকা বাইর হইলেন?
কে ছাড়লো আপনারে?
এতো জ্ঞান নিয়ে সাগরে ঝাপ না দিয়ে ব্লগে কি করেন?এমন বেয়াদপি মন্তব্য আমি অনেকদিন পর দেখলাম।
ভ্রাতা মাঈনউদ্দিন খুব ভদ্র এবং সজ্জন একজন মানুষ। তাই বেঁচে গেলেন। আমাদের হাতে পড়লেতো ভাই মাফ চাইয়া কুল পাইতেন না। আপনারে একটা উপদেশ দেই। দৌড়ের উপর থাকেন। নিজের চিন্তা করেন।
ইয়াহ নাফসি ইয়াহ নাফসি করেন।আশা করি বুঝেছেন।
আপনার এমন অশালীন কুরুচিপুর্ন মন্তব্যের প্রতিবাদে আমার রুঢ মন্তব্য- মাঈনদ্দিন ভাই এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। -
ভোরের মিছিল২০ মে ২০১৪, ০১:৪৫
Hafizplp
হাফিজুল ইসলাম
১৮ মে ২০১৪, ০২:০৮
এইসব ঘোড়ার ডিম না কইরা যা করলে সমাজের কোন কামে লাগে হেইডা করতে পারেন না? মানুষের মধ্যে কোন রকম সচেতনতা ছড়াইতে পারেন না? বড় একখান পোস্ট দিছেন তাতে আবার এত্ত প্রশংসা! ভাই, ব্লগটারে খাজুইরা আলাপের আর গুছানো কিছু মিষ্টি কথার বিতরণের স্থান না বানাইয়া পারলে কামের কাম কিছু করেন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রকৃতি তুইলা ধরেন, সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন নইলে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে মিষ্টির মাঝে যেমনে ওষুধ খাওয়ায়- তেমনে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেন।
আর সহজ বাংলায় মন্তব্য করলে কি মাইনষের কষ্ট হয়? “ভালোলাগা রেখে গেলাম, শুভেচ্ছা শতত, পাশে রইলাম” এইসব আঁতেল মার্কা কথা বাদ দিয়া লেখার ব্যাপারে সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন না? লেখার মান বা লেখার বিষয়- এইসব নিয়া?
বহুত তো করছেন, এইবার ভণ্ডামি বাদ দেন। পাগলের বোর্ড বসাইছে একলগে। আর ব্লগরত্ন আবার কী? ফাইজলামির টাইটেল??এই সব সবুজ ঘাস খোর পুলা পাইন পাইলে চটকায়তে মন চায়দেখেন এই জ্ঞানীর অবস্থা
অবস্থানDhaka
ব্লগে আছেন৩ বছর, ৮ মাস, ১ দিন, ১ ঘন্টা, ৫৬ মিনিট
সর্বমোট পোস্ট৫৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য৮১ টি -
হাফিজুল ইসলাম২৮ মে ২০১৪, ২০:১০
ক্যান নীলসাধু সাহেব, কলিজায় লাগলো সত্যকথাগুলান? আর আপনে নিজেই তো বেশি পণ্ডিত। আর আপনের কাছে মাপ চাইতাম মানে? আপনে তো মিয়া একটা চামচা। চামচামির বাইরে কিছু বুঝেন নাকি পারেন? সারদিন তো শুধু আজাইরা লেখা লেইখাই কাম সারেন।
আর শোনেন, বলদামি সবার লগে করন ঠিক না। আমি আপনার মত চামচামি পছন্দ করি না আর করিও না। বুঝছেন? আপনি না কইছেন আমি বেয়াদব? আমি মনে করি আপনি একখান আসল আঁতেল। আর মনে রাইখেন, দেশে ব্লগ কিন্তু একটা না। -
হাফিজুল ইসলাম২৮ মে ২০১৪, ২০:১৩
ভোরের মিছিল, আপনি আবার কে ভাই? আমি ব্লগে কয়দিন আছি আর কয়টা মন্তব্য করছি তাতে আপনার কী? আপনি নিজের পথ দেখেন।
আর চটকাইতে মন চায়? তাইলে চটকানোর বহুত কিছু আছে, দরকারে নিজের কান চটকান।
আর আতলামি না কইরা থাকতে কী খুব কষ্ট লাগে?? নাকি চুলকায়?? -
কামাল উদ্দিন১৮ মে ২০১৪, ০৭:২৫
ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে আপনার এমন গবেষণা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। আমি সব সময় হালকা ব্লগিং করি, আমার মাঝে কখনো আপনাদের মতো গভীরতা খুজে পাবেন না, কারণ সবাকে দিয়ে সব কিছু হয়না। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।………………………………………………………………………………………………………………..
(ব্লগের ট্যুরিস্ট ব্লগার কামাল উদ্দিন ভাইয়ের একটি জনপ্রিয় আয়োজন এটি।)আমি নিজেকে কখনো টুরিষ্ট ব্লগার বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না, আমি আমাকে ট্রাভেলার ব্লগার হিসাবেই ভাবতে চাই।
এবার দেখে নেই টুরিষ্ট আর ট্রাভেলারের পার্থক্য
টুরিস্ট আসলে কারা? টুরিস্ট হচ্ছে, অবকাশ যাপন আর সাথে বিনোদনের জন্য যারা ছুটিতে ঘুরতে বেড়োয়। টুরিস্টদের সাথে থাকে কাঁধে ঝুলানো ক্যামেরা, জামা কাপড়ে ফিটফাট-কেতারদুস্তর। বেড়ানোর জায়গাগুলো হয় বিখ্যাত সব স্থান অথবা স্থাপনা। টুরিস্টরা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের ফ্রেমে বন্দী হয়ে একটি সীমাবদ্ধ গণ্ডীতে আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। এরা ফিটফাট বাবু সেজে স্থান অথবা স্থাপনা’র সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে ব্যাস্ত থাকে ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন (নাকি প্রমাণ) ধরে রাখতে। টুরিস্টরা ব্যাস্ত থাকে ভালো মানের হোটেলে থাকা, আরামদায়ক যানে ভ্রমণ আর সাথে সুস্বাদু লোভনীয় মুখরোচক খাবারের স্বাদ নেয়ায়।
ট্রাভেলার
১. ট্র্যাভেলার সবসময় যে কোন পরিস্থিতিতে নিজের মত করে খাপ খাইয়ে নেয়। একজন টুরিস্ট প্ল্যান মোতাবেক ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু ট্র্যাভেলারের স্বাতন্ত্র্য হল সে প্রতিনিয়ত প্ল্যান আপডেট করতে থাকে সময়ের দাবী মেনে।২. টুরিস্ট মাত্রই যে কাজটি বেশী করে তা হল, সব দর্শনীয় স্থান কাভার করতে হবে, তাই মিনিট পাঁচেকের জন্য হলেও সেখানে যেতে হবেই। কিন্তু একজন ট্র্যাভেলারের কাছে স্থান বা স্থাপনার কাভারেজ সংখ্যা মুখ্য নয়। মুখ্য সেগুলোর পরিপূর্ণ রূপসুধা পান করতে সক্ষম হওয়া।
৩. ছোট ছোট সেই সব বিষয়ে লক্ষ্য করা যা সাধারণত চোখ এড়িয়ে যায়।
৪. পায়ে হেটে অথবা সাইকেলে বা লোকাল পরিবহণে করে ভ্রমণের স্থানের চারিপাশ, লোকালয়, জনবসতি ঘুরে দেখা।
৫. খুব বিখ্যাত নয়, সচরাচর কেউ তেমন একটা বেড়াতে যায় না এমন জায়গাগুলোতে ভ্রমণে বের হওয়া।এক কথায়, বেড়াতে গিয়ে যারা টুরিস্টদের থেকে দূরে পালিয়ে যান, তারাই ট্রাভেলার!
-
কামাল উদ্দিন২০ মে ২০১৪, ০৭:৩১
ডিকশনারী আমাকে মাইর দিয়ে দিয়েছে, এবার দেখলেন আমার ব্লগিং হালকা না পাতলা -
নূর মোহাম্মদ নূরু১৮ মে ২০১৪, ০৯:৩২
অনেক যত্ন নিয়ে, অনেক খাটুনির
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আশা করি
যারা গবেষণাধর্মী কাজের সাথে সম্পৃক্ত
তাদের উপকারে আসবে।
ধন্যবাদ মাইনুল ভাই
আপনার অসাধারণ
লেখার জন্য। -
আমি..১৮ মে ২০১৪, ১৭:৪৬
সঞ্চালক ভাই,সালাম, আমি “আমি মেজদা” নাম নিয়ে লেখা লেখি করতে চাই। এটার সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রথম আলো ব্লগে আমি নতুন। শুরুতেই এরকম একটি ধাক্কা খেয়ে আমি হতাশ। -আমি কালপুরুষ- যদি কালপুরুষ নামের সাথে লেখালেখি করতে পারে তবে আমি নই কেণ? এখানে সকলের স্বাধীনতা রয়েছে। প্রথম আলো মুক্ত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আপনি আমার পূর্বের নামটি ফিরিয়ে দিন। এটা ব্লগারদের প্রতি জুলুম। আমার নাম ঠিক করে না দেয়া পর্যন্ত আমি আন্দোলন চালিয়ে যাব। ইশ্বর আমার সাথে আছেন।আমি মেজদা
-
খালিদ উমর১৮ মে ২০১৪, ১৮:০৪
কেমন আছেন মইনুল ভাই?
অসাধারণ একটা বিশ্লেসনি প্রবন্ধ লিখেছেন। একেবারে বাস্তব চিত্র এঁকেছেন। বোঝাই যাই অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষনের ফল।
ভাল থাকুন। ধন্যবাদ। -
হাসান পারভেজ১৮ মে ২০১৪, ১৯:৩৮
অামার মত নতুন ব্লগকর্মীর জন্য এটা নিশ্চয়ই দরকারী পোস্ট। তাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাঈন ভাইকে।
প্রিয়তে যুক্ত হ’ল। -
মুক্তমন৭৫২২ মে ২০১৪, ১৭:১৯
অনেকদিন পর প্রিয় মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইকে ব্লগে লিখছি।
ফেসবুকে না গেলে জানতেও পারতাম না আপনার এত সুন্দর পোষ্ট এর কথা, যেখানে আমার নিজের লেখাও একটা পোষ্ট দেখতে পারছি।যাহোক, কর্মক্ষেত্রের প্রচন্ড চাপে এবং সেই সংগে অনিয়মিত নেট কানেকশনের জন্য বেশ কঠিনভাবেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি আপনাদের থেকে।তবে চেষ্টা থাকবে যখনই নেট পাবো, অন্তত হাই হ্যালো বলে যাবো
শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
-
মুক্তমন৭৫২৩ মে ২০১৪, ০২:২৬
অবশ্যই প্রিয় মঈন ভাই।আমিও খুব মিস করি আপনাকে সহ সহ ব্লগার সকলকেই।নেট পেলেই পাশে পাবেন ফ্রি সময় গুলোতে।
ভালো থাকবেন।
-
ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী)০৯ জুন ২০১৪, ০৮:২৯
আপনার ব্যক্তিগত প্রিয় তালিকার পোস্টগুলো নিয়ে এই সংকলনে লেখা আপনার মূল্যবান কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং চুম্বক অংশটুকু পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। আপনাদের মত গুণীজনেরাই পারেন সেরা/প্রিয় পোষ্টগুলো সঠিক মূল্যায়ন করতে। আপনার প্রিয় পোষ্টগুলো শেয়ার করার জন্য এবং আমাদেরও দেখার সৌভাগ্য করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মইনুল ভাইকে। আপনাকে সহ আপনার প্রিয় পোষ্টের লেখকদের জন্যও রইলো অনাবিল শুভেচ্ছা।
ব্লাড সার্কুলেশন এবং ব্লগ সঞ্চালন: প্রথম আলো ব্লগ
ব্লাড সার্কুলেশন এবং ব্লগ সঞ্চালন

মানুষের স্বাভাবিক সুস্থতার রাসায়নিক পরিমাপক হলো, তার রক্ত সঞ্চালনা বা ব্লাড সার্কুলেশন। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোন কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ আর বেশিক্ষণ জীবিত থাকতে পারে না। নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর দিকে নুইয়ে পড়ে। রক্ত সঞ্চালনা স্বাভাবিক রাখার জন্য মানুষ কতকিছু করে, কতকিছুই খায়! একই স্থানে একই পোস্চারে বসে থাকলে শরীরের নির্দিষ্ট অংশটি অবশ হয়ে আসে। এর কারণ হলো, রক্ত সঞ্চালনা বন্ধ হয়ে আসা।
ঠিক সেইভাবে একটি পাবলিক ব্লগসাইটের স্বাভাবিক তৎপরতা ধরে রাখে এর নিয়মিত পরিবর্তন অর্থাৎ নিয়মিত সঞ্চালনা। সঞ্চালক নামটির সাথেই ‘গতিশীলতার বিষয়টি’ জড়িয়ে আছে।
•সঞ্চালনা হতে পারে যান্ত্রিক/ অটোমেডেট
•সঞ্চালনা হতে পারে মানুষ পরিচালিত/ হিউম্যান অপারেটেড
অটোমেটেড মডারেশন দ্বারা ব্লগারদের পোস্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে, অনেক সময় আপত্তিকর লেখা প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। বেশি বিপদজনক কিছু হয়ে গেলে, দিনের/সপ্তাহের একটি সময় হিউম্যান মডারেটর এসে শুধু চেক করে গেলেই হয়। সাধারণত, ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয়ভাবে আপত্তিকর পোস্ট বন্ধ রাখার জন্য কিছু ‘প্রতীকী শব্দ’ তালিকাভুক্ত করে রাখা যায়। যেসব পোস্টে শব্দগুলো থাকবে, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকে থাকবে অথবা নির্বাচিত কলামে যাবে। এক্ষেত্রেও যদি কোন ভালো পোস্ট আটকে থাকে অথবা খারাপ পোস্ট প্রকাশিত হয়, নির্দিষ্ট সময়ের হিউম্যান মডারেটর এসে সেগুলোকে সুধরে দিতে পারেন। নিয়মিত আপগ্রেড করতে থাকলে সিস্টেম বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে: ভুলগুলো এক সময় কমে আসে।
হিউম্যান মডারেশন কঠিন, অনিয়মিত এবং ত্রুটিযুক্ত। মানুষ দ্বারা পরিচালিত কোন কিছুই ত্রুটিমুক্ত এবং নিয়মিত হতে পারে না। ‘মানুষ মাত্রই ভুল’ কথাটি দিয়েই বুঝা যায় মানুষের ক্ষমতা কত সীমিত। তার পক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পোস্ট প্রকাশ করা অসম্ভব না হলেও কঠিন। লেখার মান অনুযায়ি নির্বাচিত কলামে দেওয়া অথবা স্টিকি করার কাজটি হিউম্যান মডারেটরের মাধ্যমে হতে পারে। অর্থাৎ শুধুমাত্র বিশেষ লেখাকে নির্বাচন করার জন্য একজন মানুষ এসে সঞ্চালনার কাজটি করে যেতে পারেন। তবে একাজটিও অটোমেটেড মডারেশন দ্বারা করা যায় এবং করা হয়।
নিয়মিত সঞ্চালনার কাজটি এত জটিল নয় – মাত্র দু’চারটি বিষয় এর সাথে জড়িত। মাত্র ৪টি বিষয়ের নিয়মিত সুপারভিশন একটি ব্লগসাইটকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট স্টিকি হবে
৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
৪. অবাঞ্চিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবে
অভ্যন্তরীণভাবে আরও অনেক বিষয় জড়িত আছে। কিন্তু আম-ব্লগারদের দৃষ্টিতে সঞ্চালনার বিষয়টি এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ। উপরোক্ত চারটি কাজ নিয়মিত হতে থাকলে ব্লগার বা প্রদায়করা স্বাভাবিক মাত্রায় লেখতে থাকেন এবং পোস্ট প্রকাশ করতে থাকেন। অন্যের লেখায় মন্তব্য দেবার বিষয়টিও এর ওপরেই নির্ভরশীল। সেরা মন্তব্যকারীকে স্বীকৃতি দেবারও প্রয়োজন নেই, অথবা সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতারও প্রয়োজন নেই। সঞ্চালক মাত্র চারটি দায়িত্ব নিয়মিতভাবে করে যেতে পারলে, ব্লগে তৎপরতা বাড়বে এবং ব্লগে হিট বাড়বে।
একাজগুলো নিয়মিত না হলেই ব্লগের গতি কমে আসে। ঝিমিয়ে পড়ে। গতিহীন হয়ে পড়ে। ব্লগার/প্রদায়করা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। নবীন লেখকরা প্রেষণা হারিয়ে ফেলেন: অন্য কিছুতে মনযোগ দেন। আর লেখা দিতে চান না। অথবা আর মন্তব্যও করতে চান না। ব্লগে সচল ব্লগারের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। ব্লগার দ্বারাই ব্লগ সাইটের উন্নয়ন। ব্লগারই পাঠক, ব্লগারই হিটদাতা। ব্লগারই ব্লগসাইটের অত্যাবশ্যক অংশ।
লেখকমাঈনউদ্দিন মইনুল
- মাঈনউদ্দিন মইনুল -এর ব্লগ
- ৬২ টি মন্তব্য
- ১৪ জুন ২০১৪, ২১:১৬
- ব্লগালোচনা
প্রিন্ট করুন
- ৬২ টি মন্তব্য
-
শাহ আলম বাদশা১৪ জুন ২০১৪, ২১:২৬
ভালো লিখেছেন কিন্তু লাভ নেই, এ ব্লগ কতোবার বন্ধ হয়েছে আবার চালু হয়েছে যদিও উন্নত হয়নি। দায়সারা চালিয়ে নেয়াই কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে সম্ভবত, তাই গণ্ডারের চামড়া পড়েছেন -
পুলক বিশ্বাস১৪ জুন ২০১৪, ২১:৪০
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলোকে আলোকপাত করেছেন মইনুল ভাই। আশা করছি ব্লগ কর্তৃপক্ষ সজাগ হবেন।, কাংখিত ফল আমরা দেখতে পাবো।
অনেক ভালো থাকবেন। -
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা১৪ জুন ২০১৪, ২১:৪৫
লেখার মান অনুযায়ি নির্বাচিত কলামে দেওয়া অথবা স্টিকি করা-
এ বিষয়টি এখানে খুব বেশী গুরুত্বের সাথে দেখা হয় বলে মনে হয় না। অনেক দারুন পোস্ট দেখেছি। অনেকের অনুরোধের পর অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচিত কলামে আসেনি। বর্তমানে বক্স এ তাকালে দেখা যাবে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারীর পোস্ট শোভা পাচ্ছে। অনেক পোস্টের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবার পর থেকে যায়। আশা করি মডারেটর বিষয়গুলো দেখবেণ।
মইনুল ভাইয়ের সাথে আরো যোগ করার সুযোগ পেলেই চলে আসবো।
ব্লগরত্ন মইনুল ভাইয়ের জন্য শুভকামনা। -
নীল সাধু১৪ জুন ২০১৪, ২১:৫২
লেখার মান অনুযায়ি নির্বাচিত কলামে দেওয়া অথবা স্টিকি করা-
এ বিষয়টি এখানে খুব বেশী গুরুত্বের সাথে দেখা হয় বলে মনে হয় না। অনেক দারুন পোস্ট দেখেছি। অনেকের অনুরোধের পর অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচিত কলামে আসেনি। বর্তমানে বক্স এ তাকালে দেখা যাবে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারীর পোস্ট শোভা পাচ্ছে। সহমত। এসব বিষয়ে আমিও পোষ্ট দিয়েছি। টিকা টিপ্পনি করেছি।
কাজ হয়নাধন্যবাদ বাবলা ভাই
-
আলভী১৪ জুন ২০১৪, ২১:৫০
প্রিয় মইনুল ভাই অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকে আপনার চমৎকার এবং সময়োপযোগী লেখা পড়ে ভালো লাগলো। সঞ্চালনার দায়িত্বে যারা আছেন আশা করছি আপনার পোষ্টটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। চিন্তাশিল এবং গবেষণাধর্মী পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। -
নীল সাধু১৪ জুন ২০১৪, ২১:৫০
১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট স্টিকি হবে
৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
৪. অবাঞ্চিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবেএকাজগুলো নিয়মিত না হলেই ব্লগের গতি কমে আসে। ঝিমিয়ে পড়ে। গতিহীন হয়ে পড়ে। ব্লগার/প্রদায়করা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। নবীন লেখকরা প্রেষণা হারিয়ে ফেলেন: অন্য কিছুতে মনযোগ দেন। আর লেখা দিতে চান না। অথবা আর মন্তব্যও করতে চান না। ব্লগে সচল ব্লগারের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। ব্লগার দ্বারাই ব্লগ সাইটের উন্নয়ন। ব্লগারই পাঠক, ব্লগারই হিটদাতা। ব্লগারই ব্লগসাইটের অত্যাবশ্যক অংশ।আমরা শুধু এতোটুকুই চেয়েছিলাম
ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ন পোষ্টটির জন্য। ভালবাসা জানবেন ভ্রাতা
-
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম১৪ জুন ২০১৪, ২১:৫৭
মইনুল ভাই, আপনি খুব চমৎকার ভাবে ব্লগ সচল রাখার উদ্দেশ্যে মডারেশন প্রক্রিয়ার অটোমেশন ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দ্বিমত করার কোন অবকাশ নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমরা আম ব্লগাররা নিশ্চিতভাবে অনিশ্চিত যে, এই কথাগুলো যাদের শোনা দরকার, বিবেচনা করা দরকার, তারা শুনবেন কী না বা বিবেচনা করবেন কী না।ধন্যবাদ, মইনুল ভাই। -
হামি্দ১৪ জুন ২০১৪, ২২:০৩
দায়িত্বহীন সঞ্চালনার উতকৃষ্ট উদাহরণ প্রম আলো্ব্লগ…সুন্দর পোস্ট………শুভেচ্ছা জানবেন মইনুল ভাই……..
-
অনিন্দ্য অন্তর অপু১৪ জুন ২০১৪, ২২:১৩
সেরা মন্তব্যকারীকে স্বীকৃতি দেবারও প্রয়োজন নেই, অথবা সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতারও প্রয়োজন নেই। সঞ্চালক মাত্র চারটি দায়িত্ব নিয়মিতভাবে করে যেতে পারলে, ব্লগে তৎপরতা বাড়বে এবং ব্লগে হিট বাড়বে।
দারুণ বলেছেন— এরকম চিন্তা বা কথা অনেকবার বলা হয়েছে— কিন্তু তাঁদের ঘুম ভাঙেনি । আপনার পোস্ট ওদের ঘুম ভাঙ্গানিয়া গান শোনাবে এই প্রত্যাশা ।
-
ভোরের মিছিল১৪ জুন ২০১৪, ২২:৪১
শুভেচ্ছা নিন, অনেক সুন্দর এক্টি আবেদন, আপ্নার সব লেখা গুলো অনেক গুছানো, -
পরানের কথা১৪ জুন ২০১৪, ২২:৪৭
আমাদের মনের কথাগুলোন খুব সুন্দর করে, প্রাঞ্জল ভাষায় সামনে নিয়ে আসার জন্য প্রিয় মইনুল ভাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি>।১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট স্টিকি হবে
৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
৪. অবাঞ্চিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবে -
আহমেদ রব্বানী১৪ জুন ২০১৪, ২৩:৫৫
ইদানীং আমিও লেখার আনন্দ হারিয়ে ফেলছি।কখনও পোস্ট দিলে অনেক পরে প্রকাশিত হয়।আবার কখনও বা প্রকাশিত হয়েই চলে যায় অপর পৃষ্ঠায়।এখন দেখি আপনার গুরুত্ববহ বিষয়টি কতৃপক্ষ কতটা আমলে নেয়।ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই।
-
সুন্দর বাংলাদেশ১৫ জুন ২০১৪, ০১:১১
সাথেই আছি মাঈনউদ্দিন মাইনুল ভাই। আহমেদ রব্বানী ভাইয়ের সাথে একমত। শুধু পোস্ট প্রকাশের বিলম্বের কারনে আসতে মন চায় না। রাতে দিয়ে যাই সকালেও দেখি প্রকাশ হয় না। আর যখন প্রকাশ হয় তখন আমি নেই। -
নাসরিন চৌধুরী১৫ জুন ২০১৪, ০২:৩৩
:পুরো পোষ্টটির সাথেই সহমত ।
কিন্তু আদৌ কি কোন লাভ হয়েছে !!একটা পোষ্ট দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় যা বড়ই অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনে সময়ের দাম আছে। যখন আমার সময় আছে পোষ্ট দিলাম কিন্তু যখন পোষ্ট ছাড়ে আমি ব্যস্ত হয়ে যাই অন্য কাজে –এভাবে কি ব্লগিং হয় !
ধন্যবাদ মইনুল ভাইকে – সময়োপযোগী পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য ।-bd
-
কামাল উদ্দিন১৫ জুন ২০১৪, ০৭:৪৮
যাদেরকে উদ্দেশ্য করে লিখা ওরা বিষয়টা নিয়ে ভাবলেই হয়৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
নির্বাচিত কলামে কিছু পোষ্ট ঝুলে আছে মাসাধিক কাল ধরে, ওখানে আমারো একটা পোষ্ট আছে, অন্যদের কথা বলতে চাই না, আমার নিজের পোষ্টখানা ওখানে দেখতে দেখতে আমি বিরক্ত হয়ে গেছি। নির্বাচিত কলামের পোষ্ট গুলো প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
-
মন্ময়ী অমৃতা১৫ জুন ২০১৪, ০৮:৩৬
প্রথম-আলো পত্রিকা আর প্রথম-আলোব্লগ কি এক? মানে সম্পাদনায় আনিসুল হোক আর মালিকানায় মতিউর রহমান? -
আরজু মুন জারিন১৫ জুন ২০১৪, ০৯:১৫
ব্লগ সঞ্চালনা বিষয়ক আপনার লিখা সব পরামর্শ প্রয়োজনীয় মনে হল। সুষ্ঠ প্রয়োগে ব্লগ আর ও প্রানবন্ত হবে আশা করছি। ধন্যবাদ মইনুল ভাই ব্লগ সঞ্চালনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় টিপস সম্বলিত পোস্ট টির জন্য। শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন। -
নূর মোহাম্মদ নূরু১৫ জুন ২০১৪, ১০:২৪
সবই অরণ্যে রোদন
সব সুন্দর প্রস্তাব
কিন্তু বাস্তবায়ন
করবে কে?ধন্যবাদ মাইনুল ভাই
চমৎকার প্রস্তাবনা!! -
আমির আসহাব১৫ জুন ২০১৪, ১১:২৩
নিয়মিত সঞ্চালনার কাজটি এত জটিল নয় – মাত্র দু’চারটি বিষয় এর সাথে জড়িত। মাত্র ৪টি বিষয়ের নিয়মিত সুপারভিশন একটি ব্লগসাইটকে এগিয়ে নিয়ে যায়।১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট স্টিকি হবে
৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
৪. অবাঞ্চিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবেএ সহমত।
-
রব্বানী চৌধুরী১৫ জুন ২০১৪, ১৪:৪৮
অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাইচিন্তনীয় প্রস্তাবগুলির জন্য আমার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আর সবই প্রশংশনীয়১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট স্টিকি হবে
৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
৪. অবাঞ্চিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবেতবে আমরা তীর্থের কাকের মত হয়ে থাকলাম।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।
-
রফিকুল ইসলাম সাগর১৬ জুন ২০১৪, ০০:২৬
বড় ভাই, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোকপাত করেছেন।লেখার শুরুতে দারুন যুক্তি দাড় করিয়েছেন।
একাজগুলো নিয়মিত না হলেই ব্লগের গতি কমে আসে। ঝিমিয়ে পড়ে। গতিহীন হয়ে পড়ে। ব্লগার/প্রদায়করা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। নবীন লেখকরা প্রেষণা হারিয়ে ফেলেন: অন্য কিছুতে মনযোগ দেন। আর লেখা দিতে চান না। অথবা আর মন্তব্যও করতে চান না। ব্লগে সচল ব্লগারের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। ব্লগার দ্বারাই ব্লগ সাইটের উন্নয়ন। ব্লগারই পাঠক, ব্লগারই হিটদাতা। ব্লগারই ব্লগসাইটের অত্যাবশ্যক অংশ।
চরম সত্য কথা….
-
দীপংকর চন্দ১৬ জুন ২০১৪, ২১:৫৫
১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট স্টিকি হবে
৩. কোন পোস্টকে কিছু দিন/সময় পর্যন্ত দৃষ্টিআকর্ষণে রাখার জন্য নির্বাচিত কলামে রাখা
৪. অবাঞ্চিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবেঅভ্যন্তরীণভাবে আরও অনেক বিষয় জড়িত আছে।প্রত্যেকে যার যার আচরণে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে হতাশার কিছু নেই সম্ভবত।
জীবনে হাজার ত্রুটি আছে বলেই তো ত্রুটি কাটিয়ে অভিযাত্রা।
আমার বসবাস আশাবাদে।অনেক অনেক ভালো লাগা। অজানা অনেক বিষয় জানলাম।
শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন। সবসময়।
-
কামাল উদ্দিন১৭ জুন ২০১৪, ১৮:৫৯
মইনুল ভাই এই পোষ্ট দেওয়ার পর আজ তিন দিন যাবৎ অনুপস্থিত, ব্যাপার খানা কি
Blogging Ideas: ব্লগ লেখার কৌশল
ক] ব্লগ লেখার প্রচলিত বিষয়গুলো
————————————————————————————————————————————–
.
কী নিয়ে ব্লগ লিখবো, এটি একটি অবান্তর প্রশ্ন। বলা উচিত ‘কী উদ্দেশ্যে’ ব্লগিং করবো। উদ্দেশ্য ঠিক করা থাকলে, ব্লগিংএর বিষয় এমনিতেই চলে আসে। সৃজনশীল লেখক/ব্লগাররা তো লেখতে লেখতে আঙ্গুলে ব্যথা করে, তবু তাদের ভাবের নির্গমন শেষ হয় না। সহজ বিষয়ে গুরুগম্ভীর অনুচ্ছেদ না লিখে, সরল উপস্থাপনায় তুলে ধরলাম। উদ্দেশ্য: আড্ডার খোরাক যোগানো।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন:
১) ব্যক্তিগত মূল্যবোধ: আপনি যা বিশ্বাস করেন বা মেনে চলেন
২) কোন স্মরণীয় ঘটনা, যা থেকে আপনি অনেক কিছু শিখেছেন, অনেক চেতনা পেয়েছেন
৩) আপনার অনাগত সন্তানকে লক্ষ্য করে একটি চিঠি লিখতে পারেন
৪) কোন খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে থাকলে, সেটা কীভাবে ত্যাগ করতে পেরেছেন লিখতে পারেন
৫) বাল্যস্মৃতি বা ছোটকালের কোন স্মরণীয় ঘটনা বা দুর্ঘটনা
‘সেরা’ নিয়ে লিখুন: সেরা হয়ে যান
৬) আপনার দেখা সেরা সিনেমা অথবা আপনার পড়া সেরা বইটি/ ব্লগপোস্ট
৭) আপনার চোখে সেরা লেখক/রাজনীতিক/পেশাজীবি/শিক্ষক/ক্রিকেটার/ব্লগার ইত্যাদি
৮) আপনার অভিজ্ঞতায় সেরা অ্যাপস/ওয়েবসাইট/প্রযুক্তি ইত্যাদি
৯) সপ্তাহের আলোচিত সংবাদটি নিয়ে একটি বিশ্লেষণী মন্তব্য লিখতে পারেন
১০) পৃথিবীর সেরা ব্যক্তি/বিষয়টিকে কেন আপনার ‘সেরা’ মনে হয় না, তা নিয়ে লিখুন
.
.
সাক্ষাৎকার বা অনুসন্ধানী লেখা
১১) দেশের ‘পাগলাটে গার্মেন্টস শিল্পটিকে’ কীভাবে বাঁচানো যায়, তা নিয়ে অনুসন্ধান করুন
১২) বিশেষ পেশা বা ব্যতিক্রমী জীবনের কোন ব্যক্তির সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপে লিপ্ত হোন
১৩) বাংলা ব্লগের সাথে অন্য কোন বিখ্যাত ভাষায় লিখিত পাবলিক ব্লগের সাথে তুলনা খুঁজুন
১৪) চল্লিশ-ঊর্ধ্ব এবং ষাটের নিচের বয়সী নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে কীভাবে সাক্ষরতা দান করা যায় প্রস্তাব লিখুন
১৫) পৃথিবীর উন্নত গণতন্ত্রের দেশগুলো নেতানেত্রীদের আচরণ ও রাজনৈতিক পরিবেশ অনুসন্ধান করে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ হাজির করতে পারেন
সৃজনশীল লেখা
১৬) আপনার শিক্ষা/কর্মজীবনের মজাদার ব্যক্তিটিকে নিয়ে লিখুন
১৭) প্রবাস জীবনের ব্যতিক্রমী বিষয়গুলো যা স্বদেশে দুষ্প্রাপ্য/অকল্পনীয়
১৮) প্রবাস জীবনের হতাশাগুলো যা স্বদেশে থাকলে ভিন্নরকম হতো
১৯) ঘুনেধরা ও বিপদগ্রস্ত রাজনীতিকে উন্নয়নের দিশা দিন (তবে সাবধানে!)
২০) এসিডদগ্ধ মেয়ে বা অপহৃত শিশুর মানসিক যন্ত্রণাকে তুলে ধরে গল্প
…. এরকম চলতে থাকবে শত থেকে সহস্র পর্যন্ত, অথবা আরও দূরে!
ব্লগিং আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে করতে সমাজের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতির বিষয় মনে পড়ে গেলো। আজ সব লিখলাম না। আমার মনে হয় এবিষয়ে আড্ডা হতে পারে সহব্লগারদের মধ্যে। তুমুল আড্ডা! ব্লগ পোস্ট হোক বা না হোক, কিছু প্রণিধানযোগ্য বিষয় ওঠে আসবে সকলের সামনে। এবিষয়ে আজ আর বেশি না বলে, সকলের ব্লগারের অংশগ্রহণ কামনা করছি।
.
.
.
খ] স্টিকি পোস্ট কীভাবে লেখবেন?
————————————————————————————————————————————–
.
একটি স্টিকি পোস্ট লেখতে খুব মুনচায়, যেমন মুনচায় রবীন্দ্র সঙ্গীত লেখতে! আইয়ুব আমলে দেশের সুশীল সমাজে রবি বাবুর প্রভাব ‘সইহো’ করতে না পেরে রবীন্দ্র সঙ্গীত লেখার জন্য চাপ আসে বাংলা একাডেমি’র ওপর। তখন জনৈক আব্দুল হাই সাহেব বিনম্র প্রতিবাদে জানালেন, “স্যার, রবীন্দ্র সঙ্গীত তো কেবল রবি বাবুই লেখতে পারবেন। আমি লেখলে তা হবে হাই সঙ্গীত।” স্টিকি পোস্ট লেখা আবার সেরকম কঠিন নয় – ব্লগের গতিধারা বুঝতে পারলে সকলেই তা লিখতে পারেন। অনেক ব্লগার আছেন, তারা নিয়মিত স্টিকি পোস্ট লিখে যাচ্ছেন! (অবশ্য সব লেখাই স্টিকি হয়না!) এখানে লেখকের স্বাধীনতা একটু খর্ব হয় বটে। তবু অনেকেই চান তার লেখাটি ব্লগের ব্যানারের নিচে শোভা পাক। মানসম্মত লেখা হলে গল্প-কবিতাও কি স্টিকি হয়না? হওয়া উচিত। কিন্তু লেখায় কী থাকলে সেই পোস্ট স্টিকি হবে?
প্রশ্ন হলো, ১) স্টিকি পোস্ট লেখবো, নাকি ২) নিজের মতোই লিখে যাবো, স্টিকি হোক বা না হোক? নিজে দ্বিতীয় শ্রেণীর লেখক হবার কারণে ব্যক্তিগতভাবে আমি দ্বিতীয় তন্ত্রে বিশ্বাসী। তবু ‘প্রথম তন্ত্রে’ যারা একটু সময়ের জন্যও বিশ্বাস করেন, তাদের বিষয়ে এই আলোচনা।
পোস্ট স্টিকি করা বা কোন ‘লেখা নিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার বিষয়টি’ অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্লগ কর্তৃপক্ষের মন-মেজাজ এবং তাদের সম্পাদকীয় নীতিমালার ওপর। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দেশের অধিকাংশ ব্লগেই ‘পোস্ট দৃষ্টি আকর্ষণে নেবার জন্য’ কোন সু্স্পষ্ট/লিখিত নীতিমালা বা স্ট্যান্ডার্ড নেই। তারা অনেকাংশেই বিশেষ দিন, বিশেষ ব্যক্তি এবং বিশেষ ঘটনাবলীর ওপর ভিত্তি করে লেখায় অনুমোদন দেন। এক্ষেত্রে হয় তারা ব্লগার বা পোস্টদাতা কর্তৃক প্রভাবিত হন, নয়তো নিজেদের খেয়াল-খুশি বা মুখ-চেনা লেখক দ্বারা পরিচালিত হন।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে কীভাবে ‘স্টিকি পোস্ট’ লেখা যায়, সে সম্পর্কে কিছু ‘মনগড়া’ আলোচনা করছি।পাঠক এখানে সম্পূর্ণ দ্বিধাহীনভাবে অংশ নিয়ে মন-খোলা মন্তব্য দিতে পারেন।
১) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ দিন: এখানে খেয়াল রাখতে হবে দেশের চলমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে কোন্ দিকটি বেশি প্রাসঙ্গিক। অহেতুক তথ্যের পুনরাবৃত্তি কেউ পছন্দ করে না।
২) বিশেষ ব্যক্তির জন্ম/মৃত্যু দিবস: কোন খ্যাতিমান ব্যক্তির মৃত্যু হলে, তখন মৃত্যু দিবসটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মৃত ব্যক্তিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হাস্যকর। তাদের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি/ট্রিবিউট জানানোটাই বেশি প্রাসঙ্গিক।
৩) চলমান ঘটনাবলী নিয়ে বিশ্লেষণী লেখা: চলমান ঘটনাবলী নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হলে যথেষ্ট পূর্বজ্ঞান থাকা চাই। খবরের কাগজ থেকে কপি-পেইস্ট করলে, সেই পোস্ট কিন্তু স্টিকি হবে না!
৪) চলমান রাজনৈতিক/সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক/রসাত্মক বস্তুনিষ্ট লেখা: রাজনৈতিক বিষয়ে লেখতে গেলে সাবধান! পর্যাপ্ত তথ্য, যুক্তি এবং ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে না পারলে ‘জীবনের মতো’ দাগি ব্লগারে রূপান্তরিত হতে হবে।
৫) ব্লগে গুরুত্বপ্রাপ্ত প্রকাশিত লেখাকে বিবেচনায় আনা: সংশ্লিষ্ট ব্লগে কোন্ ধরণের লেখাকে এপর্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বা বেশি পড়া হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করলে ফায়দা আছে বহুত!
.
.
লেখা স্টিকি করা বা নির্বাচিত কলামে নেবার বিষয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ যা করতে পারেন
ক) কোন্ লেখা ব্লগ কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেন তা সাধারণ ব্লগারদেরকে বুঝতে দেওয়া।
খ) নির্বাচিত কলামে লেখা দেবার বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা এবং তা প্রকাশ করা।
গ) লেখা স্টিকি করার বিষয়ে যুক্তিসংগত নীতিমালা থাকা এবং তা প্রকাশ করা।
ঘ) মুখ চিনে মুগেরডাল না দেওয়া।
ঙ) নবীন লেখক বা নবাগত ব্লগারকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ‘উদার’ নীতিমালা থাকা।
বাংলা ভাষায় এমন ব্লগও আছে, যেখানে সঞ্চালকের লেখাই স্টিকি হয়ে থাকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে। নির্বাচিত কলামেও থাকে তারই লেখা, অথবা তার কোন নিকাটাত্মীয়ের। একটি ব্লগের চরিত্র এবং এর গতিপথকে বুঝতে পারা যায় তাদের ‘লেখা নির্বাচনের’ নমুনা দেখে। এসব বিষয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ যত স্বচ্ছ হবে, ব্লগের এগিয়ে চলা হবে ততই মসৃণ। আমি মনে করি, লেখক সত্ত্বার বিকাশ ঘটে অন্তরে-সৃষ্ট প্রেরণা থেকে; কিন্তু ব্লগার সত্ত্বার সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষের কিছুটা হলেও অবদান থাকে – কম হলেও এর প্রভাব অপরিসীম।
.
.
.
————————————————————————————————————————————–
৩৯টি ব্লগ অভিজ্ঞতা।
.
:::এক থেকে তেরো
১) উত্তম ভাবনায় উত্তম লেখা – নেতিবাচক ভাবনায় ধ্বংসাত্মক ব্লগিং
২) ভাষাগত শুদ্ধতা ব্লগারের স্ট্যান্ডার্ডকে উন্নত করে: তাই, যথাসম্ভব ভাষাগত ভুল এড়িয়ে চলা
৩) প্রচুর অন্যের ব্লগ পড়া এবং আন্তরিকভাবেই পড়া, অবশ্যই পছন্দমতো – নিজের পছন্দের বিপক্ষে যাবার প্রয়োজন নেই
৪) মন্তব্য দেবার সময় লেখকের উত্তম/ইতিবাচক দিকটিতে ফোকাস করা (একান্তই প্রয়োজন হলে, অন্য উপায়ে নেতিবাচক বলা)
৫) কারও উত্তম/ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে, ইতিবাচক দিকের উন্নয়ন হয় আর নেতিবাচকতা খাটো হতে থাকে
৬) লেখার তাৎপর্য এবং ‘লেখাকে’ লক্ষ্য করে মন্তব্য দেওয়া (ব্যক্তিকে নয়)
৭) লেখা দিয়েই ব্লগারকে মূল্যায়ন করা, তার নাম ছবি সামাজিক পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া
৮) লেখা সংক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়েও বেশি প্রয়োজন লেখায় সারবস্তু থাকা, তবে অহেতুক দীর্ঘ করার প্রয়োজন নেই
৯) সহজ এবং সোজা ভাষায় লিখিত ব্লগ পঠিত হয় সর্বাগ্রে
১০) সাময়িক পোস্ট না হলে প্রচুর প্রুফরিডিং বা সংশোধন করা, পোস্ট করার আগে
১১) উদারতা ক্ষমাশীলতা এবং রসিকতা – উত্তম ব্লগারের গুণ (ভালো মানুষেরও!)
১২) এমন বিষয়ে লেখা যা নিজেকেও সাহায্য করেছে, উপকৃত করেছে, বিদগ্ধ করেছে
১৩) সারবস্তুহীন লেখা মনে আসলে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা
.
:::চৌদ্দ থেকে ছাব্বিশ
১৪) পাঠককে প্রাজ্ঞ বিচক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণশীল মনে করা, এবং সেটাই যথার্থ!
১৫) যা কিছুই লেখা হোক, তাতে নিজের মতামত ও বিশ্লেষণ থাকা উচিত
১৬) লেখায় নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করতে দেওয়া (প্রথাগত লেখকের জন্য ১৫ এবং ১৬ প্রযোজ্য না-ও হতে পারে)
১৭) নিজ বিষয়ে প্রচুর অনুসন্ধান ও অধ্যয়ন করা এবং শ্রম বিনিয়োগ করা
১৮) লেখার বক্তব্য যথাসম্ভব সরাসরি পেশ করতে হয়, অনাবশ্যক ভূমিকায় বিরক্তি উৎপাদন করে
১৯) নিজের প্রিয়/অর্জিত বিষয়টি দিয়েই লিখতে শুরু করা
২০) তথ্য বা তত্ত্বের পরিবেশনায় রেফারেন্স করার সময় যে কোন একটি মাধ্যমকে আস্থা না করা
২১) “১ ছবি ১০০০ শব্দের কথা বলে” – লেখায় প্রাসঙ্গিক ছবি যুক্ত করা
২২) পাঠকের সময়ের মূল্য দেওয়া: লেখার ‘আকৃতি ও প্রকৃতি’ নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা করা
২৩) প্রশ্ন এবং মন্তব্যের উত্তর দিতে হয়, এটি ন্যূনতম সৌজন্যতা
২৪) অন্য ব্লগারের উপস্থিতিকে সম্মান করা, অনাবশ্যক বিতর্ক এড়িয়ে চলা
২৫) ব্লগিংএ জুনিয়রদেরকে অনুপ্রাণিত করা, গঠনমূলক মতামত দেওয়া এবং তাদেরকে গেঁথে তোলা
২৬) লেখায় অন্যের অবদান বা অনুপ্রেরণা থাকলে তা যথাযথভাবে স্বীকার করা
.
:::সাতাশ থেকে ঊনচল্লিশ
২৭) নিজের ভালো লেখা এবং অন্যের লেখায় দায়িত্বশীল মন্তব্য দিয়ে ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি বা পাঠকের আস্থা ধরে রাখা
২৮) দেশপ্রেম মূল্যবোধ ক্ষমা ভালোবাসা স্নেহ ইত্যাদি মানবিক উৎকর্ষতার বিষয়গুলো, আচরণে না থাকলেও, অন্তত লেখায় তুলে ধরা
২৯) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসগুলো এবং বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষ দিনের প্রতি মনোযোগ রাখা
৩০) একটি নির্দিষ্ট শেডিউল রক্ষা করে পোস্ট দিলে উত্তম, যেমন প্রতি বৃহস্পতি ও শনিবার ইত্যাদি
৩১) নিজের চাহিদামত প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোতে (যেমন, এসইও বা অপটিমাইজেশন স্কিল) দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সোনায় সোহাগা
৩২) আত্মমূল্যায়ন এবং নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারার জন্য নিজের প্রকাশিত ব্লগে এবং অন্যের মন্তব্যে মাঝে মাঝে দৃষ্টিপাত করা
৩৩) সৌন্দর্য্য সকলেরই কাম্য – লেখায় পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্যবোধের পরিচয় দিতে হয়
৩৪) সামাজিক অসঙ্গতি অবিচার দুর্নীতি অন্যায় অত্যাচার দ্বারা ক্ষুব্ধ ব্যথিত হলে, তথ্য তত্ত্ব ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ ও দৃষ্টান্তসহ লেখা উচিত
৩৫) লেখায় দেশমাতৃকা ও স্বদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রাখা
৩৬) রাজনীতি না বুঝলে এবং নিজের বক্তব্য যৌক্তিকভাবে তুলে ধরতে না পারলে, রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা
৩৭) ধৈর্য্য যেমন সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়, ব্লগিং-এ এর প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক
৩৮) সমাজের উন্নয়নের জন্য, পরিবেশ প্রকৃতি উত্তম কোমলতা সৌন্দর্য্য দেশ নারী শিশু অক্ষম অবহেলিত পিছিয়ে-পড়া নিপীড়িত – ইত্যাদি সংস্কারমূলক ইস্যুতে যথাসম্ভব এবং আপ্রাণ পক্ষপাতিত্ব থাকা
৩৯) ব্লগারকে ব্লগিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, অন্য কিছু নিয়ে নয় – অর্থাৎ অন্যের দুর্বলতার অনুসন্ধান বা ক্যাচালে অংশ না নিয়ে, নিজের লেখায় মনোনিবেশ করা।
[কাউকে জ্ঞান দেবার জন্য নয়, নিজের চিন্তাকে যাচাই করার জন্যই লিখে রাখলাম ব্লগে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আধুনিক ব্লগারদের শক্তি সামর্থ্যে আর সম্ভাবনা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি। বিশ্বাস করি, ছাপার অক্ষরের চেয়ে ব্লগারের লেখার শক্তি অন্যরকমভাবে বেশি, কারণ এখন বইয়ের পাতার চেয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনে মানুষ বেশি দৃষ্টি রাখে। তাই, এবিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।]
৫৮ টি মন্তব্য

হৃদ্যতা মইনুল ভাই।শুভকামনা নিরন্তন।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন




চুল ছিঁড়ে ফেললে পরে সমস্যা হলে সব দোষ মইনুল ভাইয়ের মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

অনেক শুভচ্ছা রইল উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন



শুভেচ্ছা রইলো মাঈনুল ভাই।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

বড় মাপের মোবাইলের দাম যেভাবে নীচে নেমে আসছে তাতে নেটে পড়ার সংখ্যা দুই এক বছরে অনেক অনেক বেড়ে যাবে। আর এখনই বা খুব কম কিসে? তাই ব্লগিং এর বিষয়ে এ লেখাটা সবার কাজে আসবে। সবার আসলে দায়িত্বের একটা বিষয় চলে আসাটা খুব জরুরী ব্লগিং , এই বাস্তবতা ফুটে উঠেছে লেখাটায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


নিয়মিত চাই এমন দিক নির্দেশনামূলক পোস্ট ।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

আপনার সৃজনশীল পরামর্শ হদয়ঙ্গম করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি…..। সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক কৃতজ্ঞ…..

#অভিনন্দন আপনাকে প্রিয় মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই..ব্লগিং নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখবার জন্য..শুভেচ্ছা
#শেখার আছে অনেক কিছু…আপনার পোস্টগুলো আসলে ভ্যারিয়েশন ক্রিয়েট করে…এক্সিলেন্ট
#পৃথিবীর অনেকগুলো শক্তিশালী যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে ব্লগিং তার স্থান ক্রমান্বয়ে উচুতে নিয়ে যাচ্ছে..হাইলাইট করছে চারপাশের পরিবেশকে অত্যন্ত দারুনভাবে..অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন…একজন আইডিয়াল ব্লগারের জন্য পোস্টটি হবে দারুন কিছু
#ব্লগ রত্নকে আবারো শুভেচ্ছা..ভাল থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশা

এই লেখার চাহিদা হলো একাধিকবার পড়ে তারপর কথা বলা


————–উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

অনেক ধন্যবাদ জানাইউত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন



ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন








ইহার পরও বলিব আপনি লিখিয়া যাইতে থাকুন। বেশ গুছাইয়া লিখিতে পারেন। আপনার লেখা প্রায় হারাইতে বসিয়াছিলাম। ভাগ্যগুনে পাইয়া গিয়াছি।
শুভকামনা থাকলো।
উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

এমন সময় শ্রম এবং একাগ্রতা নিয়ে যে পোষ্ট লেখা হয় তা নিশ্চিত ব্লগের নির্বাচিত পোষ্টে জায়গা পেতে পারে। আল্লাহ জানে সঞ্চালক কি করে! যাই হোক আমরা ভাগ্যবান এমন মানসম্পন্ন পোষ্ট পেয়ে।
ভালো থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর!উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

ব্লগারকে ব্লগিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, অন্য কিছু নিয়ে নয়।——–এই লাইনটা নিয়ে আমি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছি। আমি তো এখনও ছাত্র। তবে গদবাঁধা পরীক্ষা পাসের পড়াশুনা পড়াশুনা প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু চাকরির জন্য তো পড়াশুনা করতে হবে। আর চাকরি না করলে আমার চলবে না। সে ক্ষেত্রে কি আমার ব্লগার হওয়া হবে না? কারণ আমার বেশির ভাগ সময় তো ঐ দিকেই চলে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা নিবেন।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


১. ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩০