
নক্ষত্র ব্লগঃ শুভেচ্ছা আপনার জন্য! কেমন আছেন?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: ধন্যবাদ। ভালো আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগ, ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম সাময়িক লেখালেখি নিয়ে আপনার কি মতামত ?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: একটা সময় ছিলো যখন কোন সৃজনশীল লেখা প্রকাশিত হবে কিনা, তা সম্পাদকের মেজাজের ওপর নির্ভর করতো। জীবন-সায়াহ্নে এসে নিজ লেখার মর্যাদা পেয়েছেন অথবা মৃত্যুর পর তার লেখা প্রকাশিত হয়ে মরনোত্তর পুরস্কার পেয়েছেন, আমাদের সমাজে এমন দৃষ্টান্তও আছে। কিন্তু এখন আমরা আছি অবাধ মত-প্রকাশের যুগে। মতপ্রকাশের সবচেয়ে শক্তিশালি এবং লেখক-বান্ধব মাধ্যম হলো ব্লগ বা ব্লগিং, সাম্প্রতিক কালে যার সংজ্ঞা ও ব্যবহার বিশালভাবে বিস্তৃত হয়েছে। তবে সবকিছুরই ভালো-মন্দ দিক আছে। মুক্তবাণিজ্যে যেমন প্রতিযোগিতা বেড়ে যায় এবং মানসম্পন্ন পণ্যই টিকে থাকে, তেমনি মুক্ত-প্রকাশের এ সময়ে ভালো এবং মান-সম্পন্ন লেখাই টিকে থাকবে আর সফল হবে। সারভাইভাল অভ দ্য ফিটেস্ট!
নক্ষত্র ব্লগঃ বর্তমানে ব্লগ, ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যারা লিখছেন তাদের মাঝে কাদের লেখা আপনার কাছে ভালো লাগে?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: অনেকের লেখাই ভালো লাগে। যাদের লেখা ভালো লাগে, তাদের ব্লগীয় আচরণ খুবই নেতিবাচক। ফলে তারা পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছেন না। তাদের লেখার প্রতি সম্মান হেতু নামগুলো উল্লেখ করতে চাই না। এখানে প্রবাসীদের সংখ্যাটি উল্লেখ করার মতো। মাঝে মাঝে মনে হয় যারা প্রবাসে থাকেন, গণতন্ত্র স্বদেশ ঐতিহ্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নিপীড়িত মানুষের পক্ষে আঙ্গুল চালনায় তাদেরই সাহস বেশি। এর পেছনেও কারণ থাকতে পারে!
নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগ ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যারা লিখছেন তাদের সমাজের প্রতি কতটুকু দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করেন? তারা কি তা পালন করছে বলে মনে করেন?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: তাদের দায়বদ্ধতা নানা কারণেই বেশি। আমার মতে, তারা তা অনেকটাই পালন করছেন। এধারা বজায় রাখতে একটি সুস্থ ব্লগসাইটের খুবই প্রয়োজন আজ। এবিষয়ে অনেক কিছুই বলার আছে, যা এখানে বলে শেষ করা যাবে না।
নক্ষত্র ব্লগঃ সাম্প্রতিক সময়ের লেখক/ব্লগারদের মাঝে কাদেরকে আপনি প্রতিশ্রুতিশীল বলে ভাবছেন?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: ২০০৫, ২০০৬ বা ২০০৭ এর পোস্টগুলো দেখে আমি অনেক চমৎকৃত হই। পোস্টগুলো কালের সাক্ষী হয়ে যুগ-যুগান্তরে ভেসে ওঠবে কমমিউটারের পর্দায়। আমাদেরকে মনে রাখা প্রয়োজন যে, ব্লগাররা নিজের সময় ও অর্থকে খরচ করে, কোন বিনিময়ের আশা না করেই লিখে যাচ্ছেন। তারা লিখে যাচ্ছেন আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছেন একেকটি পদচিহ্ন। তাই সাধারণভাবে সকল ব্লগারকেই প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। টিকে থাকা বা নিয়মিত লিখে যাবার প্রশ্নে প্রতিশ্রুতিশীল ব্লগারের সংখ্যা খুব কম বলতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি ব্যক্তিগত, প্রযুক্তিগত বিষয়ে এবং সংবাদ ও তথ্যভাণ্ডার হিসেবে বাঙলা ব্লগের সংখ্যা বাড়ছে।
নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগকে বলা হচ্ছে বিকল্প মিডিয়া? এই বিষয়ে আপনার কি মত?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: ‘বিকল্প’ গণমাধ্যম তো বটেই, কিছুদিনের মধ্যেই এটি হবে একমাত্র গণমাধ্যম।
নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার পড়া সবশেষ পোষ্ট কোনটি এবং তা কোন ব্লগে পড়েছেন?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: আমাদের ছুটি ব্লগে আন্দামান ভ্রমণ।
নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগে ফেসবুকে লেখকদের লেখার মান কেমন বলে মনে করেন আপনি?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: উন্নত, মাঝারি এবং নিম্ন সব মানের লেখাই ব্লগে আছে। লেখা যত উন্নত, লেখকের সংখ্যাও তত কম। নিম্নমানের লেখাই ব্লগে বেশি, এর কারণ হলো নবীন এবং লক্ষ্যহীন ব্লগারের উপস্থিতি। তবে পাবলিক ব্লগে একে নেতিবাচক হিসেবে আমি দেখছি না। অনেকেই লেখতে লেখতে পড়া শিখছেন, এবং তাতে তাদের লেখারও উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নত লেখা কম হলেও সমস্যা ছিলো না, যদি সেগুলো নিয়মিত প্রকাশিত হতো। ভালো লেখেন এরকম ব্লগাররা অনিয়মিত। তাৎপর্যপূর্ণ আন্তঃযোগাযোগ এবং মিথষ্ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে পারলে আর ব্লগকে সৃজনশীল এবং প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের আড্ডাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, ভালো লেখকদের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে নবীন লেখকদের লেখার মান।
নক্ষত্র ব্লগঃ ব্লগ ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে লেখালেখি করে সাহিত্যের মুল স্রোতে কি মিশতে পারছেন লেখক ব্লগাররা?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: পত্রিকার মাধ্যমেই সাহিত্যের প্রথম প্রকাশ এবং ‘প্রথম প্রাপ্তি’ হয় – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটিই হয়ে এসেছে দীর্ঘ দিন থেকে। পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমটি কিন্তু আজ বিবর্তিত রূপ নিয়েছে। সকলেই জানেন যে, দেশের সবগুলো পত্রিকা এখন গুরুত্বসহকারে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করে। নিয়মিত আপডেটও করে। এমন পরিস্থিতিতে সাহিত্যের ‘মূল’ স্রোত অবশেষে কোনটি হয়, সে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের বহুল প্রসারে প্রিন্ট মাধ্যমের সাহিত্য ‘মূল ধারাটিকে’ কতটুকু ধরে রাখতে পেরেছে বা পারবে, সেখানে প্রশ্ন আছে। সাহিত্যের প্রথাগত সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আসন্ন। অতএব অবশেষে ‘কার স্রোতে কে মেশে’ বলা মুশকিল।
নক্ষত্র ব্লগঃ সম্প্রতি ব্লগারদের লেখা বিভিন্ন সংকলন/বই প্রকাশিত হচব্লগ ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে লেখালেখি করে আসছে। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান জানতে চাই।
মাঈনউদ্দিন মইনুল: যতদিন পর্যন্ত ব্লগ বা ইন্টানেটে প্রকাশিত লেখাগুলো ‘একমাত্র নির্ভরযোগ্য’ মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা না পাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বই/সংকলন ছাপানো যেতে পারে। পৃথিবীর সকল তথ্য ও সাহিত্য এখন চলে আসছে কমপিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্লগেই থেকে যাবার পক্ষপাতি।
নক্ষত্র ব্লগঃ একটি ব্লগ এবং ব্লগারদের ইতিবাচক দিক কোনটি বলে মনে করেন আপনি?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: প্রশ্নটি বেশ জটিল, কারণ এর বিভিন্ন উত্তর হতে পারে। এবিষয়ে বিভিন্ন লেখায় অনেক কথা বলেছি। এখানে শুধু এটুকুই বলতে চাই: ব্লগ এবং ব্লগারদের প্রত্যাশিত ইতিবাচক দিকটি হলো, সকল ধারার পাঠক-লেখকের সাথে মিশতে পারা এবং ভিন্নমতের সাথে সহাবস্থান করতে পারা। এটি অক্ষুণ্ন থাকলে বাঙলা ব্লগ আরও এগিয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে।
নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার শৈশব কোথায় কেটেছে? পারিবারের কথা এবং শিক্ষাজীবন নিয়ে কিছু কথা জানতে চাই।
মাঈনউদ্দিন মইনুল: শৈশব কেটেছে কিশোরগঞ্জের মেঘনা পাড়ে আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। একক পরিবারে আমরা দু’কন্যার জনক ও জননী। শিক্ষা জীবনের অধিকাংশ কেটেছে ঢাকায়। প্রথমে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করি ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। গ্রামীণ শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে ব্যাপ্ত ছিলাম বিগত কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়। বর্তমানে ২০,০০০ শিশুর শিক্ষা ও বেড়ে ওঠার অধিকার নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।
নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার জীবনের আনন্দময় স্মৃতি কোনটি যা মনে হলে এখনো আপনার ভালো লাগে।
মাঈনউদ্দিন মইনুল: অনেকগুলো। এমুহূর্তে উল্লেখযোগ্যটি মনে করা কঠিন। ২০০৭ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্পনসরশিপে কাজাখস্তানে একটি সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্মৃতিটুকু বেশ আনন্দময় ছিলো। কারাখস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও এখনও সেখানে সোভিয়েত রাশার জৌলুস দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আলমাতি শহরটি পর্বত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ।
নক্ষত্র ব্লগঃ প্রিয় বই এর নাম?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: এখানেও দু’একটি বলে শেষ করা যায় না। শুধু উল্লেখযোগ্য একটির নাম হলো: ক্রিস্টোফার মারলো’র ডক্টর ফস্টাস। মন্দের বিপক্ষে মানুষের আত্মিক যুদ্ধের একটি চমৎকার ছবি। এর প্লট ও ডায়ালগগুলো আমি পনের বছর পরও স্পষ্ট মনে করতে পারি।
নক্ষত্র ব্লগঃ আপনার প্রিয় লেখক কারা?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: প্রিয় লেখক বলা আর প্রিয় রাজনৈতিক দল বলা এখন একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু রাজনীতিতে নয়, বই পড়াতেও এখন পলিটিক্স ঢুকে গেছে! রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলকে নিয়ে এখানে ব্যক্তিগত ঝগড়া হতে পারে। আমার প্রিয় লেখকেরা কারও কারও চোখে বিতর্কিত। তাই স্বদেশের অনেক প্রিয় লেখকের নাম বলা থেকে বিরত থাকলাম। প্রিয় কবিদের মধ্যে আছেন শামসুর রাহমান ও রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। আছেন নিমুলেন্দু গুণ। ছাত্র জীবনে আমি ব্রিটিশ লেখক রবার্ট ব্রাউনিং, টেনিসন, কোলরিজ এবং মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ওয়াল্ট হুইটম্যান ও রবার্ট ফ্রস্ট-এর ভক্ত ছিলাম। চলমান জীবনে স্বার্থপরের মতো পেশাগত বই পড়ে যাচ্ছি। তাছাড়া ব্লগারদের লেখা, বিশেষত যারা নবীন, তাদের পোস্ট পড়া আমার প্রিয় অভ্যাস, যদিও সবসময় মন্তব্য দেই না।
নক্ষত্র ব্লগঃ অবসর সময়ে আপনি নিশ্চয় সিনেমা দেখেন। আপনি কি জানাবেন আপনার প্রিয় মুভী/সিনেমার নামগুলো?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: অবসরে খবর দেখি – বেশিরভাগই ‘বেখবর’! খুব বেশি সিনেমা দেখার সময় হয় না। তারে জামিন পার, রাং দে বাসান্তি, পা, থ্রি ইডিয়টস দেখে দারুনভাবে উপভোগ করেছি। দেশের চলচ্চিত্রে শঙ্খনীল কারাগার, শ্রাবণ বেঘের দিন, মুক্তির গান, থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার বা টেলিভিশনকে আমার কাছে বিশেষ মনে হয়। ইংরেজি Knowing বা 2012 সিনেমা দু’টো আত্মিকভাবে চেতনা-জাগানিয়া বলে মনে হয়েছে।
নক্ষত্রব্লগঃ আপনার প্রিয় গান কোনটি?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: ‘এমন একটি মা দেনা, যে মায়ের সন্তানেরা… ফেরদৌস ওয়াহিদ।আমি দেশীয় গানের ভক্ত এবং এবিষয়ে সর্বভুক! একটি বললে অনেকের প্রতি অবিচার হবে। বিশেষত লালন, রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গানের ভীষণ ভক্ত আমি। আধুনিক গায়কদের মধ্যে এসডি বর্মন, ভূপেন হাজারিকা, মান্না দে, ফেরদৌস ওয়াহিদ, নিয়াজ মোর্শেদ, শ্রীকান্ত, তপন চৌধুরি, নচিকেতা, এবং হায়দার হুসেনের গান ভালো লাগে। আইয়ুব বাচ্চু, জেমস বা হাসানের কয়েকটি ব্যান্ড সঙ্গীতও আমার প্রিয়।
নক্ষত্রব্লগঃ আপনার প্রিয় শিল্পী কারা?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: এক সাথে বলে দিয়েছি ওপরে।
নক্ষত্র ব্লগঃ নক্ষত্র ব্লগ নিয়ে আপনার মতামত/পরামর্শ/উপদেশ কি?
মাঈনউদ্দিন মইনুল: অল্প সময়ে অনেক ব্লগারের সমন্বয ঘটিয়ে নক্ষত্র চমক দেখিয়েছে। সঞ্চালনাও এখন পর্যন্ত খুব ভালো। পরামর্শ/উপদেশ তো সকলেই দিতে পারে, উদ্যোগ নিতে পারে ক’জন? তবু জিজ্ঞাসার উত্তর দিচ্ছি: সব বাঙলা ব্লগেই একটি চ্যালেন্জ রয়েছে, নক্ষত্র’রও তাই। সেটি হলো নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। দ্বিতীয়ত, নিয়মিত বিচক্ষণ এবং ফলপ্রসূ সঞ্চালনা। আর্থিক স্বালম্বীতার জন্য ব্লগ নিজেই নিজের পথ বের করতে পারে – শুধু সুযোগ করে দিতে হবে। লেখার মান নির্ণয় করতে পারেন না বা সাহিত্য/ব্লগ রসিক নন, এমন ব্যক্তি যেন সঞ্চালনা পরিষদে না থাকেন। তবে নবীন ব্লগারদেরকে ওঠিয়ে নিয়ে আসার মতো মেকানিজমও থাকতে হবে ব্লগে। সামাজিক মূল্যবোধ, স্বদেশ চেতনা, মানবাধিকার এবং জলবায়ূ ইস্যুতে বাঙলা ব্লগকে আরও তৎপর হতে হবে।
নক্ষত্রঃ আমাদের সময় দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মাঈনউদ্দিন মইনুল: নক্ষত্র ব্লগে শুভ কামনা করছি।
————-
১৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখের কথা। তখন নক্ষত্র ব্লগ কেবল শুরু হলো। এখন তারা ই-কমার্সসহ বিশাল এক ওয়েবপোর্টালের মালিক। ব্লগ শুধুই একটি অংশ। নক্ষত্র চাইলো ব্লগারদেরকে প্রেরণা দিতে। আমিও তাদের প্রশ্নের জবাবে সেভাবেই নিজের কথা জানালাম। মূল সাক্ষাৎকারটি এখানে।
————-
ব্লগ বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু লেখা
◀ আদর্শবাদী ব্লগার বনাম সৃজনশীল ব্লগার
◀ ব্লগ ও ব্লগিং সম্পর্কে এক্সপার্টদের ৩৯ উক্তি
◀ একটি ব্লগসাইট যেভাবে প্রসার লাভ করতে পারে
উপস্থিত স্যার।।
হাহাহা!
সালাম জানবেন, জনাব মেজদা
আমার গানের ব্যাপারে কি কি করলে পাঠক আরও বেশী করে পড়বে স্যার?
তার আগে বলুন, ব্লগে কার লেখাটি প্রকাশের ১০ মিনিটের মধ্যে অন্তত ১২টি মন্তব্য এসে পড়ে?
জনাব কামাল উদ্দিন আর মাননীয় সংগ্রামের
আমার মতে, জনাব মেজদা। তারাও সমানভাবেই জনপ্রিয়, কিন্তু তারাও আমার সাথে একমত হবেন।
ডাহা মিছা কথা। এইটা আপনার বেলায় সত্য। বিশ্বাস না হলে এখনই গুনে দেখেন।
এখানে তো আপনিই ‘এই কামডা’ করেছেন….
আঁই কি বুঝি ন’ মনে কইচ্চেন? ………….
বিজ্ঞজনচিত কথাবার্তায় আমি নাই
অনেক সময় না বুঝেই, পড়ে যাই ।
-হাহাহা! আমারও এমন হয়, না বুঝেই পড়ে যাই!
দুইজনেই সত্য কথা বলে নাই।।
হুম…. আপনার কথাও ফেলে দেওয়া যায় না, মেজদা
তবু ভাল, মিথ্যের অপবাদ যে দেয় নাই ।
আপনার এ লেখায় কি আছে মইনুল ভাই
কেন সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে জানতে চাই।
হুমরি কি ধরনের খাদ্য বালুচর ভাই?
হাহাহা, বালুচর ভাই, অনেক মজা পেলাম
আমার কথা আমাতেই প্রয়োগ, সেলাম!
মেজদা, আমি গেলাম………..
বুঝতে পারার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
অনলাইনে লেখা নিয়ে এই লেখাটি সুলিখিত ও দিকনির্দেশনামূলক।
প্রিয় মইনুল ভাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা …
আমার পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানাইলাম।।
-হাহাহা…. ধন্যবাদ, সোহেল আহমেদ ভাই!
ধন্যবাদ, মেজদা
মূল্যবান এবং শিক্ষণীয় পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
একটি যথার্থ ব্লগীয় পোষ্ট লেখার জন্য এর বেশী কিছুর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।
আহারে!
আমরা যখন ব্লগিং শুরু করেছিলাম এভাবে আমাদের যদি কেউ শেখাতো তাহলো কি আরামই না হত। আমিতো মনে করি এখনকার ব্লগাররা ভাগ্যবান যে তারা এমন দিক নির্দেশনা সম্বলিত পোষ্ট পাচ্ছেন।
ভালোবাসা জানবেন সুপ্রিয় ভ্রাতা!
কী ভয়ানক প্রশংসা…. লেখক তো চাংগে ওঠে যাবে, কবি সাব!
ধন্যবাদ। আমারও ভালোবাসা যেন আপনার সাথে রয়………..
শুভেচ্ছা
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং অনেক কিছু শিখলাম।
আপানার আরকটি শিক্ষামুলক পোস্টের কথা মনে পড়ে গেলো
” অন্যের লেখায় ভুল ধরবো নাকি ধরবো না “
-হাহাহা! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
শুভেচ্ছা।
ব্লগিং এর একদম শুরুর দিকে কয়েকবার হতাশ হয়েছি। সেই সময় এই লেখাটা পেলে অনেক উপকার হত। এখনো যে উপকার হবে না তা কিন্তু নয়। আপনি যে দিকগুলো তুলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমি একটা পয়েন্ট এড করতে চাচ্ছি সাথে। একজন ব্লগারকে পাঠক এর আগ্রহ সম্পর্কে জানতে হবে। কি রকম ভাবে উপস্থাপন করলে পাঠক আকৃষ্ট হবে ঠিক সেভাবেই পোস্ট এর ভাষা নির্বাচন করলে ভাল হয়। একটি তথ্য সমৃদ্ধ ভাল পোস্ট উপস্থাপনের কারণে অনেক সময় পাঠক আকৃষ্ট করতে পারে না।
হুম…. গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য দিয়েছেন, প্রবাসী ব্লগার!
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা…..
কাজের পোস্ট। পাঁচটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কেন্দ্রীয় বিষয় থাকাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপুর্ণ মনে হয়। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
আমি একমত, হামিদ ভাই
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
১) পোস্টটিতে একটি কেন্দ্রীয় বিষয় (key point) আছে কি না?
বিষয়টি না নিয়ে আসলে পোস্টের শুরু শেষ বুঝা মুশকিল হয়ে যাবে। আবার অনেকের হাতে বেশ রস আছে । সাধারণ ঘটনাকে লেখনীর মাধ্যমে অসাধারণ এবং উপভোগ্য করে তোলতে পারেন। শ্রদ্ধেয় হেনাভাইকে অফিসলিপি লিখতে দিলে তিনি অসাধারণ রসালো করে তোলতে পারেন।
২) পোস্টের লেখা কীভাবে পাঠককে উপকৃত করতে পারে?
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিষয়টি নির্ধারণ করা খুব একটা সোজা হয় না । (নিজের ক্ষেত্রে) তবে নতুন তথ্য দিতে বেশ মজা লাগে।
৩) পোস্টের লেখককে কতটুকু/কীভাবে উপকৃত করতে পারে?
এ বিষয়টি বেশ খেয়াল করেছি। আমি কোন লেখা দেয়ার আগে ব্লগে দিয়ে যাচাই করে নিই আমার তথ্যগত ভুল আছে কিনা। আমার জানা আছে অফলাইনে অনেক বিদদ্ধ পাঠক পড়ছেন। প্রয়োজন হলে লগইন করবেন এমন অবস্থা। ব্লগের মন্তব্য থেকে বুঝে ফেলতে পারি। পত্রিকায় প্রকাশের পর পাঠকদের কেমন প্রতিক্রিয়া হবে। আপনার হয়হো আপনার জানা থাকতে পারে। আমার এক চিঠিতে অনেকেই রিএক্ট করেছিলেন। তবে তথ্যগত বিষয়ে নয় অনুভূতির বিষয় নিয়ে।
৪) পোস্টে লেখা ও তথ্যের বিন্যাস (format) ঠিক আছে কি না?
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্যবিন্যাস ঠিক না হলে মূল্যবান লেখা ছাই হয়ে যেতে পারে।
৫) পোস্টের শিরোনামটি কি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে?
বিষয়টির দিকে আমার নজর থাকে। তাই চেষ্টা করি নির্বাচন নিয়ে সময় ব্যয় করি। অনেক শিক্ষানীয় পোস্ট। আরো আলোচনা আসবে।
ব্লগরত্ন মইনুল নামটি আবারো যথার্থ প্রমাণিত হলো।
শুভকামনা।
পুনশ্চ: ====কামাল ভাইয়ের মন্তব্যের উপর কড়া নজর রাখছি।
বাবলা ভাই, আপনি আরেকটি পোস্ট বানিয়ে দিয়েছেন।
প্রত্যেকটি কথা গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার পরিপূরক হয়েছে…..
পুনশ্চতে দৃষ্টি রাখলাম…. হাহাহা!
কামাল ভাইয়ের মন্তব্যের উপর কড়া নজর রাখছি।
আমিও নজর রাখছি…
লেখার শিরোনাম দেখেই পাঠক ঠিক করবেন, আপনার লেখাটি পড়বেন কি না। অতএব ভালোভাবে চিন্তা করে শিরোনাম নির্ধারণ করুন।
আমার ছড়ার পাঠক কি করলে বাড়বে তা তো বললেন না।
ধন্যবাদ মাইনুল ভাই পোষ্টটি খুব ভাল লাগল। অনেক মূল্যবান পোষ্ট। শুভেচ্ছা রইল।
আপনার ছড়ার পাঠক কীভাবে বাড়বে/থাকবে, তা বলছি। শুনুন-
ছড়ার শিরোনামের নিচে যেন আপনার নামটি থাকে, কারণ আপনার নাম আর ছড়াকার, একাকার হয়ে গেছে।
অনেক শুভেচ্ছা প্রামানিক ভাই
এত কিছু মানুষ কেমনে ভাববে এক সাথে?
একসাথে ভাবতে হবে, তা তো বলি নি….. আপনি দুই সাথেও ভাবতে পারেন, ইকু কবি!
শুভেচ্ছা জানবেন…………
হিহিহি … ওকে তিন সাথে ভাবতে হবে আমারে
এই পোস্টটি ব্লগিং নিয়ে যারা ভাবে তাদের কাছে একটা টিউটোরিয়াল পোস্ট হতে পারে। ব্লগে এসে কে কি করবেন বা কে কি লিখবেন তারও একটা রূপরেখা টেনে দেয়া হয়েছে।
আমি মনে করি ব্লগ একজন সাধারণ বা নতুন লেখককে বা একজন সাধারণ ব্লগারকে উন্নত ও রুচিশীল লেখকে পরিণত করার এক অবৈতনিক পাঠশালা। এখানে যে কেউ নিজের লেখার দক্ষতা, কৌশল ও মান উন্নয়নের দিকটা সহজেই রপ্ত করে নিতে পারে। কারণ ব্লগ এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে নিজের প্রকাশিত লেখার সরাসরি ফীডব্যাক বা আলোচনা/সমালোচনা তাৎক্ষণিকভাবে দেখতে পারেন। পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানার এর চেয়ে সহজ মাধ্যম মনে হয় আর কিছু নেই। যদি সত্যিই কেউ সিরিয়াস লেখক, কবি বা ছড়াকার হতে চান ব্লগ অবশ্যই তার জন্য একটা চমৎকার অনুশীলন কেন্দ্র। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমি ব্লগ থেকেই লিখতে শিখেছি। লেখার বিষয়ে আমার যা কিছু অর্জন তার অনেকটাই ব্লগের সাহায্য পেয়ে। তবে ঈশ্বর প্রদত্ত কিছু জ্ঞান মানুষের মধ্যে থাকে সেটাকে শাণিত ও পরিচর্যা করার জন্য ব্লগের বিকল্প কিছু নেই। হয়তো মূলধারার লেখকরা আমার সাথে একমত প্রকাশ করবেন না তবে এর উত্তর পেয়েছি বিগত বইমেলাগুলোতে। ব্লগারদের লেখা কবিতার বই সেরাদের সেরা, ছোটগল্পের বেলায়ও তাই। আরও অনেক প্রতিভাবান ব্লগারদের লেখা আমি পড়েছি যা মূলধারার লেখক, কবিদের চাইতেও অনেক বেশী মানসম্মত। এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে কিন্তু সত্য সততই সত্য।
ব্লগারদের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক মূল্যবান কথা বলেছেন, কালপুরুষ ’দা…. চমৎকার সংযুক্তি!
আমি কোথায় যেন বলেছি, ব্লগের মতো প্রেরণা রবী-নজরুলের ভাগ্যেও জুটে নি। তারা যদি জানতেন, তবে আমাদের সময়ের লেখকদের চর্চার সুযোগ দেখে হিংসা করতেন।
অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা রইলো, প্রিয় কবির জন্য
কালপুরুষ দাদার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।
অনেক কিছু জানলাম। সেরা ব্লগারের ব্লগিং পরামর্শ আমার বেশ কাজে আসবে।
অনেক শুভকামনা জানবেন মইনুল ভাই।
কবিদের জন্য এসব জানার খুব একটা দরকার নেই….
তবে ব্লগীয় মিথষ্ক্রিয়ার বিষয়টি সকলের জন্যই বিবেচনার যোগ্য।
শুভেচ্ছা জানবেন, কবি পুলক বিশ্বাস!
একটি সুলিখিত পোষ্টে সুচিন্তিত অনেক মন্তব্য থাকে- এই পোষ্টটিও তার ব্যতিক্রম নয়। পোষ্টের গুরুত্ব অনুযায়ী সহ ব্লগাররা এখানে যে মন্তব্য করছেন তাতে করে পোষ্টের বক্তব্য এবং অলংকার হিসেবে মন্তব্যগুলো মিলিয়ে একটি অসাধারণ পুর্নাংগ পোষ্ট হিসেবে এটি আমার কাছে তোলা রইলো। ধন্যবাদ জানাই পোষ্ট দাতা সহ মন্তব্য-কারী সকলের প্রতি।
একদম আমার কথা বলেছেন, সুন্দর মন্তব্য একটি ব্লগপোস্টের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
শুভেচ্ছা জানবেন, কবি নীলসাধু!
ব্লগারদের জন্য সুন্দর নির্দেশনা দিলেন ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ!
শুভেচ্ছা রইলো।
কিশোর কারুণিককে অনেক ধন্যবাদ……..
কালপুরুষ ভাইয়ের সাথে আমিও একই কথা বলছি-
ব্লগারদের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক।
ধন্যবাদ ।
কবি আয়েশা আহমদ আপাকে অনেক ধন্যবাদ……..
গেয়ানী মানুষদের জন্য এই পোষ্ট……আমি নিরিহ
কামাল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ……..
নিরিহ শব্দের মানে কী কামাল ভাই?
@কামাল উদ্দিন
প্রিন্ট মাধ্যমের কথা আলাদা, কিন্তু অনলাইন লেখকের জন্য পাঠক-প্রিয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে যতই লেখুন আর তা যত্ই সময়োপযোগী হোকনা কেনো্ আপনি কোন সুফল পাবেন না। লেখার জনপ্রিয়তার জন্য জন্য আপনাকে পাঠকের কৃপাদৃষ্টি লাভ করতে হবে। তাদের লেখা পড়তে হবে মন্তব্য করতে হবে তাদের পোস্টে বিনিময়ে আপনিও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হব্নে। মোট কথা গিভ এ্যান্ড টেক এর এই পৃথিবীতে যত দেবেন তত প্রত্যাশা করতে পারেন। তাই জনপ্রিয় হতে হলে অন্যের ব্লগে মন্তব্য করার বিকল্প নেই। ধন্যবাদ মইনুল ভাই সত্য কথাটি বলে দেবার জন্য।
ব্লগ লেখে ভালো লেখক হতে গেলেও মন্তব্য করার মধ্য দিয়েই যেতে হবে….
মন্তব্যই ব্লগারের প্রথম রচিত বাক্য………
মন্তব্যের জন্য নূরু ভাইকে ধন্যবাদ!
অাপনার এমন দিক নির্দেশনামূলক পোস্টগুলো একজন ব্লগারের জন্য সত্যিই পরম পাওয়া। আপনার লেখাগুলো অনেক ভাল লাগে। ভাল থাকবেন সতত
ধন্যবাদ, মোকসেদুল ইসলাম ভাই!
খুব সুন্দর তো কথাগুলো কিন্তু সময় হলো বড় শত্রু……..
ভাল লাগা পোষ্টে………. আগামীতে কাজে লাগবে ভাইয়া আন্তরিক ধন্যবাদ
ছবি আপুকে অনেক থ্যাংকস!
সালাম জানবেন গুরু আমি সাধারন্ত কুবিতা পোষ্টাই সময়ের অভাবে বড় লেখা লিখতি পারিনা
আমার জন্য কি কুন ফরমেট আছে !
সালাম জানবেন অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আশা করি সবার অনেক কাজে আসবে
মেজদা বলেছেন, আপনি হলেন সেই ব্লগার যার লেখা প্রকাশের কয়েক মিনিটের মধ্যে মন্তব্য চলে যায় ১০এর ওপরে….
আপনাকে শেখাবার কিছু নেই….
আমাকে কিছু শেখান ভাই, কীভাবে সংগ্রামী কবিতা লিখতে হয়…
সংগ্রাম ভাইকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা!
ব্লগে লিখতে হলে অনেক ভাবতে হবে, জানতে হবে অনেক আর সেই সাথে পড়তেও হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্লগে লেখার ধারায় অনেক পরিবর্তনও এসেছে। শুদ্ধ বানানে, বাক্যে ও অর্থ পূর্ন ধারণায় তথ্য সমৃদ্ধ লেখায় এখন ব্লগ পোষ্ট লেখা হচ্ছে
অনুমান করা যায় ব্লগ লেখকরাই এক সময় মূল ধারার লেখার জায়গাটি দখল করে নিবে, পাঠাগারে দেখা মিলবে ব্লগ লেখকদের বই।
একটি অর্থ পূর্ন ও তথ্য সমৃদ্ধ লেখা শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।
‘ব্লগ লেখকরাই একসময় মূলধারার লেখার জায়গাটি দখর করে নেবে’…. ভাই শক্তি পেলাম আপনার এই কথায়।
বাংলা ব্লগের ফিরো দাঁড়াবার সময় এখন….
শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় সহব্লগার রব্বানী ভাই!
ওয়াও। নাইস পোষ্ট। আমার পোষ্ট লেখা শেখা দরকার। আমি ব্লগে নতুন।
পরীকে ভুল দেখছি না তো! এই পরী কি সেই পরী?
মন্তব্যে অনেক শক্তি পেলাম ভাই!
পছন্দের লেখাগুলোতে দৃষ্টি দিন আর মন খুলে মন্তব্য দিন…. ব্লগার হবার এটিই সঠিক পথ।
অন্তত আমি এটাতেই বিশ্বাস করি।
অনেক ধন্যবাদ…………
কি আর ভাবুম কন? না পাই মন্তব্যে করার সময়, না পাই হাবিজাবি পোস্ট করার সময়। দুঃখের ইমু হবে।
যাক মাথায় থাকবে বিষয় গুলো
বান্ধবী…. সময় পাবেন না…. কইলাম না?
আরফিকায় ফিরে যান… সময় আগের জায়গায় চলে আসবে….
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন, ফেরদৌসা আপা!
আরফিকায় ফিরা যাওন ছাড়া গতি নাই।
কিন্তু নিজের দেশ ছাইড়া যাইতে ইচ্ছা করেনা।
ওটা তো আমার কথা! আমি কোন সময় দেশ ছাড়ার পক্ষে নই…
যেখানে থাকুন নিজের জন্য সময় বের করুন……
জীবন একটিই…
শুভেচ্ছা আবারও!