Tagged: ব্লগারের বিশ্বাসযোগ্যতা
৩৯টি ব্লগ অভিজ্ঞতা।
.
:::এক থেকে তেরো
১) উত্তম ভাবনায় উত্তম লেখা – নেতিবাচক ভাবনায় ধ্বংসাত্মক ব্লগিং
২) ভাষাগত শুদ্ধতা ব্লগারের স্ট্যান্ডার্ডকে উন্নত করে: তাই, যথাসম্ভব ভাষাগত ভুল এড়িয়ে চলা
৩) প্রচুর অন্যের ব্লগ পড়া এবং আন্তরিকভাবেই পড়া, অবশ্যই পছন্দমতো – নিজের পছন্দের বিপক্ষে যাবার প্রয়োজন নেই
৪) মন্তব্য দেবার সময় লেখকের উত্তম/ইতিবাচক দিকটিতে ফোকাস করা (একান্তই প্রয়োজন হলে, অন্য উপায়ে নেতিবাচক বলা)
৫) কারও উত্তম/ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে, ইতিবাচক দিকের উন্নয়ন হয় আর নেতিবাচকতা খাটো হতে থাকে
৬) লেখার তাৎপর্য এবং ‘লেখাকে’ লক্ষ্য করে মন্তব্য দেওয়া (ব্যক্তিকে নয়)
৭) লেখা দিয়েই ব্লগারকে মূল্যায়ন করা, তার নাম ছবি সামাজিক পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া
৮) লেখা সংক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়েও বেশি প্রয়োজন লেখায় সারবস্তু থাকা, তবে অহেতুক দীর্ঘ করার প্রয়োজন নেই
৯) সহজ এবং সোজা ভাষায় লিখিত ব্লগ পঠিত হয় সর্বাগ্রে
১০) সাময়িক পোস্ট না হলে প্রচুর প্রুফরিডিং বা সংশোধন করা, পোস্ট করার আগে
১১) উদারতা ক্ষমাশীলতা এবং রসিকতা – উত্তম ব্লগারের গুণ (ভালো মানুষেরও!)
১২) এমন বিষয়ে লেখা যা নিজেকেও সাহায্য করেছে, উপকৃত করেছে, বিদগ্ধ করেছে
১৩) সারবস্তুহীন লেখা মনে আসলে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা
.
:::চৌদ্দ থেকে ছাব্বিশ
১৪) পাঠককে প্রাজ্ঞ বিচক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণশীল মনে করা, এবং সেটাই যথার্থ!
১৫) যা কিছুই লেখা হোক, তাতে নিজের মতামত ও বিশ্লেষণ থাকা উচিত
১৬) লেখায় নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করতে দেওয়া (প্রথাগত লেখকের জন্য ১৫ এবং ১৬ প্রযোজ্য না-ও হতে পারে)
১৭) নিজ বিষয়ে প্রচুর অনুসন্ধান ও অধ্যয়ন করা এবং শ্রম বিনিয়োগ করা
১৮) লেখার বক্তব্য যথাসম্ভব সরাসরি পেশ করতে হয়, অনাবশ্যক ভূমিকায় বিরক্তি উৎপাদন করে
১৯) নিজের প্রিয়/অর্জিত বিষয়টি দিয়েই লিখতে শুরু করা
২০) তথ্য বা তত্ত্বের পরিবেশনায় রেফারেন্স করার সময় যে কোন একটি মাধ্যমকে আস্থা না করা
২১) “১ ছবি ১০০০ শব্দের কথা বলে” – লেখায় প্রাসঙ্গিক ছবি যুক্ত করা
২২) পাঠকের সময়ের মূল্য দেওয়া: লেখার ‘আকৃতি ও প্রকৃতি’ নিয়ে ভালোভাবে চিন্তা করা
২৩) প্রশ্ন এবং মন্তব্যের উত্তর দিতে হয়, এটি ন্যূনতম সৌজন্যতা
২৪) অন্য ব্লগারের উপস্থিতিকে সম্মান করা, অনাবশ্যক বিতর্ক এড়িয়ে চলা
২৫) ব্লগিংএ জুনিয়রদেরকে অনুপ্রাণিত করা, গঠনমূলক মতামত দেওয়া এবং তাদেরকে গেঁথে তোলা
২৬) লেখায় অন্যের অবদান বা অনুপ্রেরণা থাকলে তা যথাযথভাবে স্বীকার করা
.
:::সাতাশ থেকে ঊনচল্লিশ
২৭) নিজের ভালো লেখা এবং অন্যের লেখায় দায়িত্বশীল মন্তব্য দিয়ে ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি বা পাঠকের আস্থা ধরে রাখা
২৮) দেশপ্রেম মূল্যবোধ ক্ষমা ভালোবাসা স্নেহ ইত্যাদি মানবিক উৎকর্ষতার বিষয়গুলো, আচরণে না থাকলেও, অন্তত লেখায় তুলে ধরা
২৯) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসগুলো এবং বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষ দিনের প্রতি মনোযোগ রাখা
৩০) একটি নির্দিষ্ট শেডিউল রক্ষা করে পোস্ট দিলে উত্তম, যেমন প্রতি বৃহস্পতি ও শনিবার ইত্যাদি
৩১) নিজের চাহিদামত প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোতে (যেমন, এসইও বা অপটিমাইজেশন স্কিল) দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সোনায় সোহাগা
৩২) আত্মমূল্যায়ন এবং নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারার জন্য নিজের প্রকাশিত ব্লগে এবং অন্যের মন্তব্যে মাঝে মাঝে দৃষ্টিপাত করা
৩৩) সৌন্দর্য্য সকলেরই কাম্য – লেখায় পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্যবোধের পরিচয় দিতে হয়
৩৪) সামাজিক অসঙ্গতি অবিচার দুর্নীতি অন্যায় অত্যাচার দ্বারা ক্ষুব্ধ ব্যথিত হলে, তথ্য তত্ত্ব ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ ও দৃষ্টান্তসহ লেখা উচিত
৩৫) লেখায় দেশমাতৃকা ও স্বদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রাখা
৩৬) রাজনীতি না বুঝলে এবং নিজের বক্তব্য যৌক্তিকভাবে তুলে ধরতে না পারলে, রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা
৩৭) ধৈর্য্য যেমন সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়, ব্লগিং-এ এর প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক
৩৮) সমাজের উন্নয়নের জন্য, পরিবেশ প্রকৃতি উত্তম কোমলতা সৌন্দর্য্য দেশ নারী শিশু অক্ষম অবহেলিত পিছিয়ে-পড়া নিপীড়িত – ইত্যাদি সংস্কারমূলক ইস্যুতে যথাসম্ভব এবং আপ্রাণ পক্ষপাতিত্ব থাকা
৩৯) ব্লগারকে ব্লগিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, অন্য কিছু নিয়ে নয় – অর্থাৎ অন্যের দুর্বলতার অনুসন্ধান বা ক্যাচালে অংশ না নিয়ে, নিজের লেখায় মনোনিবেশ করা।
[কাউকে জ্ঞান দেবার জন্য নয়, নিজের চিন্তাকে যাচাই করার জন্যই লিখে রাখলাম ব্লগে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আধুনিক ব্লগারদের শক্তি সামর্থ্যে আর সম্ভাবনা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি। বিশ্বাস করি, ছাপার অক্ষরের চেয়ে ব্লগারের লেখার শক্তি অন্যরকমভাবে বেশি, কারণ এখন বইয়ের পাতার চেয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনে মানুষ বেশি দৃষ্টি রাখে। তাই, এবিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।]
৫৮ টি মন্তব্য




চুল ছিঁড়ে ফেললে পরে সমস্যা হলে সব দোষ মইনুল ভাইয়ের মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

অনেক শুভচ্ছা রইল উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন



শুভেচ্ছা রইলো মাঈনুল ভাই।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

বড় মাপের মোবাইলের দাম যেভাবে নীচে নেমে আসছে তাতে নেটে পড়ার সংখ্যা দুই এক বছরে অনেক অনেক বেড়ে যাবে। আর এখনই বা খুব কম কিসে? তাই ব্লগিং এর বিষয়ে এ লেখাটা সবার কাজে আসবে। সবার আসলে দায়িত্বের একটা বিষয় চলে আসাটা খুব জরুরী ব্লগিং , এই বাস্তবতা ফুটে উঠেছে লেখাটায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


নিয়মিত চাই এমন দিক নির্দেশনামূলক পোস্ট ।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

আপনার সৃজনশীল পরামর্শ হদয়ঙ্গম করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি…..। সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক কৃতজ্ঞ…..

#অভিনন্দন আপনাকে প্রিয় মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই..ব্লগিং নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখবার জন্য..শুভেচ্ছা
#শেখার আছে অনেক কিছু…আপনার পোস্টগুলো আসলে ভ্যারিয়েশন ক্রিয়েট করে…এক্সিলেন্ট
#পৃথিবীর অনেকগুলো শক্তিশালী যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে ব্লগিং তার স্থান ক্রমান্বয়ে উচুতে নিয়ে যাচ্ছে..হাইলাইট করছে চারপাশের পরিবেশকে অত্যন্ত দারুনভাবে..অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন…একজন আইডিয়াল ব্লগারের জন্য পোস্টটি হবে দারুন কিছু
#ব্লগ রত্নকে আবারো শুভেচ্ছা..ভাল থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশা

এই লেখার চাহিদা হলো একাধিকবার পড়ে তারপর কথা বলা


————–উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

অনেক ধন্যবাদ জানাইউত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন



ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন








ইহার পরও বলিব আপনি লিখিয়া যাইতে থাকুন। বেশ গুছাইয়া লিখিতে পারেন। আপনার লেখা প্রায় হারাইতে বসিয়াছিলাম। ভাগ্যগুনে পাইয়া গিয়াছি।
শুভকামনা থাকলো।
উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

এমন সময় শ্রম এবং একাগ্রতা নিয়ে যে পোষ্ট লেখা হয় তা নিশ্চিত ব্লগের নির্বাচিত পোষ্টে জায়গা পেতে পারে। আল্লাহ জানে সঞ্চালক কি করে! যাই হোক আমরা ভাগ্যবান এমন মানসম্পন্ন পোষ্ট পেয়ে।
ভালো থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর!উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

ব্লগারকে ব্লগিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়, অন্য কিছু নিয়ে নয়।——–এই লাইনটা নিয়ে আমি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছি। আমি তো এখনও ছাত্র। তবে গদবাঁধা পরীক্ষা পাসের পড়াশুনা পড়াশুনা প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু চাকরির জন্য তো পড়াশুনা করতে হবে। আর চাকরি না করলে আমার চলবে না। সে ক্ষেত্রে কি আমার ব্লগার হওয়া হবে না? কারণ আমার বেশির ভাগ সময় তো ঐ দিকেই চলে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা নিবেন।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন


ব্লগার/অনলাইন একটিভিস্ট হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের উপায়
ফ্রান্সিস বেইকনের ভাষায়, “কিছু লেখা চেখে দেখার জন্য, অন্যগুলো গিলে খাওয়ার জন্য আর সামান্য কিছু লেখা আছে যা চিবিয়ে খেয়ে হজম করতে হয়।” হজম করার মতো লেখা যারা দিতে পারেন, তাদের আর চিন্তার কিছু আছে? পশ্চিমা দেশগুলো ব্লগিং করে জীবিকা অর্জন করছে এরকম ব্লগারের সংখ্যা গুণা যায় না। এখানে পুরোপুরি হুমায়ূন বা খুশবন্ত শিং হবার প্রয়োজন নেই। বরং তা হতে চেষ্টা করলেই বিপথে যাবার সম্ভাবনা আছে, কাকের কোকিল হবার চেষ্টার মতো। দরকার শুধু ব্লগার হবার।
ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি কী ও কেন
প্রতিদিন লেখা হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন ব্লগ, প্রকাশিত হচ্ছে আর আরকাইভ হচ্ছে; কিন্তু কেউ কি খেয়াল করেছেন, কতগুলোর কথা মানুষ মনে রেখেছে? অথবা আবার ফিরে গিয়ে পড়ে এসেছে, বা অন্য জায়গায় এর উল্লেখ করেছে, ব্যবহার করেছে? বাংলা ভাষায়ই হাজার হাজার ব্লগের সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ব্লগার অন্যদের মনে স্থান করে নিয়েছে, দখল করে নিয়েছে হৃদয়ের একটুখানি জায়গা – এই অশরীরী পৃথিবীর মধ্যেই। পুরোটাই দৃশ্যমান বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল, স্পর্শ করে বা ‘লাইভ’ দেখে যাচাই করার কোন প্রয়োজন নেই।
একজন ব্লগার যখন পাঠকের মনোভাব ও তার দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব সৃষ্টি করে, তখন অবচেতনে তার লেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তার লেখা এবং মন্তব্যে ফুটে ওঠে সৃজনশীলতা। অন্য দশজন ব্লগার বা অনলাইন একটিভিস্ট যেসব ভুল করেন, সেগুলো থেকে তিনি স্বভাবগতভাবেই মুক্ত। তখন বলা যায় তিনি ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি (blogging credibility) অর্জন করেছেন। পেয়ে গেছেন লেখার জন্য একটি নিশ্চিত নিরাপদ বিষয়। পাঠক যে রকমের লেখার প্রতি বেশি আগ্রহী, সেবিষয়ে যার দক্ষতা আছে, তার তো আর কিছুরই প্রয়োজন নেই। আবার লেখার বিষয়, ধরণ ও গুণগত মান দিয়ে কোন ব্লগার পাঠক সৃষ্টি করে চলেছেন, ঠিক তার মতো করে। উভয়েরই ফলাফল অভিন্ন: ব্লগে নিরাপদ স্থান (niche)।
কীভাবে ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি অর্জন করা যায়
কোন ব্লগারের লেখার ‘বিষয় ও ধরণের’ প্রতি সাধারণ পাঠকের আস্থাকে ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি বলা যায়। কোন কোন ব্লগার পোস্ট দিলেই সেখানে পাঠক গিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন, অথবা তিনি কিছু নির্দিষ্ট পাঠক সকল ব্লগ পোস্টেই পেয়ে থাকেন। এরকম অবস্থাকে সাধারণভাবে ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি বলা যায়। কথা হলো, কীভাবে ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি অর্জন করা যায়? এবিষয়ে কোন ওয়ান-স্টপ সমাধান নেই। নানা জনের নানা কৌশল। সবচেয়ে বড় কৌশল হলো ভালো কিছু লেখা, নিশ্চিত হয়ে লেখা এবং সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা কথাটিকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা। অন্যভাবে বলা যায়, পাঠককে উচ্চতর স্থানে রাখা এবং তাকে হেয় জ্ঞান না করা।
.
.
বিষয়টি নিয়ে পাঠকের কৌতূহল নিবৃতির জন্য ব্লগিং ক্রেডিবিলিটি অর্জনের দু’একটি জনপ্রিয় এবং পরীক্ষীত পদ্ধতি উল্লেখ করছি। আমি একে কৌশল বলছি না, কারণ কৌশলের সাথে কেন যেন ধূর্ত শট প্রতারক ইত্যাদি এট্রিবিউট চলে আসে। আস্থা অর্জনকারী ব্লগারদের মধ্যে এগুলোর স্থান খুব একটা নেই।
ক) প্রতিদিন হাবিজাবি পোস্ট না দিয়ে মানসম্মত লেখা দিন:
নিজের সাথে একটি গোপন চুক্তিতে আসুন। তা হলো, আপনি যে বিষয়ে লিখবেন, শপথ নিন যে তাতে ষোলআনা জেনে শুনেই লিখবেন। অথবা যা জানেন মানেন এবং বুঝেন সেগুলো দিয়েই লিখতে শুরু করবেন। প্রতিদিন পোস্ট দেবার বালখিল্য তাগিদে হাবিজাবি পোস্ট দেবেন না। অন্যের ব্লগ পড়া এবং মন্তব্যদানের ক্ষেত্রেও সাশ্রয়ী হোন। দেখে শুনে বুঝে মন্তব্য দিন। অযাচিত পরামর্শ দেবেন না বা কারও মনোভাবকে আঘাত করে মন্তব্য দেবেন না। এরকম আরও কিছু বিষয়, কমন সেন্স দিয়ে ভাবলেই বুঝা যায়। ওই ধরণের বিষয়গুলো নিয়ে নিজেকে সংযত রাখুন।
খ) আসল ‘আপনাকে’ তুলে ধরুন:
লেখায় আসল আপনাকে তুলে ধরুন। ব্যক্তিগত হোন। নিক আপনার যা-ই হোক, মানুষ এখনও বিশ্বাস করে যে, রোবটেরা ব্লগিং শুরু করে নি। ‘ভেতরের মানুষটি’ প্রত্যেকেরই অনেক ভালো, গুডি বয় অথবা গার্ল! সামাজিক ও বাহ্যিক কারণেই ইগো তৈরি হয়। অন্যকে অনুকরণ করার প্রয়োজন নেই। আপনার নামেই ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করুন। আপনার ‘আপনাকে’ তুলে ধরুন। ব্লগিং ছাড়া অন্য কোন এজেন্ডা না থাকলে, প্রোফাইলে যতটুকু সম্ভব আপনাকে জানতে এবং বুঝতে দিন। লেখা ও মন্তব্যে নিজস্ব বিশ্লেষণ তুলে ধরুন।
গ) সাংগঠনিক আস্থা অর্জন করুন এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সরব থাকুন:
একই ধরণের লেখা লেখেন, একই রকমের ভাবেন – এমন ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। মদনের লেখা চন্দনের পছন্দ। এদিকে চন্দনের বন্ধু হওয়ার সুবাদে সুমনও একদিন মদনের লেখায় ক্লিক করতে শুরু করলো। এভাবে একদিন সুমনের বন্ধু রোমনের চোখে পড়লো মদনের লেখা। ভালো ব্লগার হবার জন্য সেলিব্রিটি হবার প্রয়োজন নেই, তবে লেখার মাধ্যমে অন্যের সাথে ভাবের বিনিময় করুন। আন্তরিকতা, যদি থাকে, তবে প্রকাশ করুন নির্দ্বিধায়।
ঘ) কন্ট্রোল ইয়োর আঙ্গুল – আঙ্গুল দিয়ে বিষ ছড়াবেন না!
বাস্তবিক জীবনে সবাই যেখানে মেজাজ দমন নিয়ে চিন্তিত, সেখানে শুধু আঙ্গুল দমন করেই আপনি কিন্তু মহাত্মা ব্লগারে রূপান্তরিত হতে পারেন। চোখের দেখা হয় না বলে অনেকেই চশমখোর হতে পারেন, শুনিয়ে দিতে পারেন দু’টি শক্ত কথা। আপনার মেজাজটাও খিটমিট করবে, লিখে দিতে তার যথাযথ উত্তর। কিন্তু থামুন, যা লেখবেন তা-ই রয়ে যাবে – বয়ে যাবে আপনার বদমেজাজের সাক্ষ্য। যা ভাবছেন, তা যদি নেতিবাচক হয়, তবে যত সঠিকই হোক না কেন সেটিকে ওল্টে প্রকাশ করুন আপনার কম্পিউটারের স্ক্রীনে। শুধু দু’টো আঙ্গুলকে সংযত হয়ে ব্যবহার করলেই দেখুন কী চমৎকার ফল!
ঙ) লিখিত বক্তব্য চড়ে বসে – থিংক বিফোর ইউ ক্লিক!
Verba volant, scripta manent. এটি একটি ল্যাটিন প্রবাদ যার অর্থ হলো অনেকটা এরকম “মৌখিক বক্তব্য ওড়ে যায় – লিখিত বক্তব্য চড়ে বসে।” লিখিত বক্তব্য সাজিয়ে লিখুন, পলিশ করুন। মুখের কথা অনেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, কিন্তু লেখা শুদ্ধ করা যায়, মুছে দেওয়া যায় এবং সম্পাদনা করা যায়। লেখা পোস্ট দেবার সময় শেষ ক্লিকটি করার পূর্বে দেখে নিন, আপনার লেখায় মানবতা সত্য সৃজন সুন্দর আর ভালোবাসা আছে কিনা। শুভ ব্লগিং!
.
.
ব্লগার হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা বা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করা একটি সময় সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের বিষয়। ভালো লেখা এবং ভালো মন্তব্য দিতে পারলে, স্বল্পতম সময়ে েএকটি পরিচিতি প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। সাইবার বিশ্বে নিজের নামে একটি ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে পারলে, এটি আপনার জীবিকা অর্জনের মাধ্যম হতে কতোক্ষণ!
_______________________________________________________________________________________
*প্রথম আলো ব্লগে পাঠক প্রতিক্রিয়া।
এবিষয়ে প্রাসঙ্গিক লেখাগুলো
১)) নেটিকেট বা ইন্টারনেটের আচার-ব্যবহার
হৃদ্যতা মইনুল ভাই।শুভকামনা নিরন্তন।উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন