Tagged: বাংলা ব্লগ
বাংলা ব্লগ ব্লগার ব্লগসাইট এবং সঞ্চালনা
নানাবিধ কারণে ব্লগে নিয়মিত লেখা হচ্ছে না। কিন্তু সময় পেলেই ব্লগ পড়ি এবং পড়লে মন্তব্য দিই। এটি করতে এখনও ভালো লাগে। এদিকে অনেক নতুন ব্লগারের আগমন হয়েছে। তার চেয়েও বেশি সংখ্যক পুরাতন ব্লগার আজ এখানে নেই। তবে কেউ কেউ পাসওয়ার্ড সমস্যার কারণে নতুন আইডি নিয়ে নতুনভাবে ফিরে এসেছেন। কেউবা ইমেইলে যোগাযোগ করে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করে আগের নামেই ফিরে এসেছেন। ফেবুতে নিজেদের ফিরে আসার সংবাদ জানাচ্ছেন, বেশ ঘটা করে। ব্লগে ফিরে আসার চলমান প্রবণতাটি বেশ ভালো লাগছে।
কিন্তু তাতে কি ব্লগের স্থায়ি কোন সমাধান হবে? একসময় অসংখ্য বাংলা ব্লগসাইট ছিল, এখন তো নেই! তবু কেন এখানে আগের মতো পাঠক/ব্লগার নেই? এভাবেই কি শেষ হবে বাংলা ব্লগের ইতিহাস?
সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞান এবং জবাবদিহিতা না থাকলে বাংলা ব্লগের গৌরব ও অহংকার একসময় ইতিহাস হয়ে যাবে।
ব্লগের লেখা প্রসঙ্গে:
আমার অনেক প্রতিভাবান বন্ধুবান্ধব আছেন যারা ভালো লেখেন, ভালো চিন্তা করেন এবং ভালো বিশ্লেষণ করতে পারেন। তাদের লেখা পড়ে এবং বুদ্ধিদীপ্ত পোস্টগুলো দেখে অনেক সময় মজা পাই, উচ্ছ্বসিত হই।
সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের চিন্তাচেতনার বিস্তৃতি দরকার। কিন্তু আমরা যখন ব্যক্তি বা দল বা একটি নির্দিষ্ট মতবাদকে কেন্দ্র করে কথা বলি, তখন ‘বিষয়’ গুরুত্ব পায় না – ব্যক্তি বা মতবাদই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন নির্দিষ্ট মতবাদে সংশ্লিষ্ট মানুষ ছাড়া অন্যরা তাতে মনোযোগ দেয় না। অতিমাত্রায় সাবজেক্টিভ না হয়ে তারা যদি আরেকটু অবজেক্টিভ হতেন, ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক না হয়ে তারা যদি আরেকটু বিষয়কেন্দ্রিক হতেন, তবে আরও বেশি মানুষকে তারা নিজের কথা শুনাতে পারতেন।
আমাদের সমাজে এত বিচ্ছিন্নতা এত মেরুকরণ আগে কখনও দেখি নি। সবাই তাদের মতো করে ঘটনাকে ব্যাখ্যা করে। কেউ বক্তার অবস্থান থেকে বিষয়কে উপলব্ধি করতে চায় না। এমন মানুষ খুব কমই আছেন, যাদেরকে বিনাবাক্যে বিনাশর্তে সবাই সম্মান জানায়। অবিসংবাদিত কিংবদন্তির অস্তিত্ব এসমাজে বিরল হয়ে গেছে।
ব্লগের সঞ্চালনা প্রসঙ্গে
সরকার আজকাল সঞ্চয়কে চরমভাবে নিরুৎসাহিত করছে। সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক সেভিংস বা এফডিআর ইত্যাদিতে সুদ কমিয়ে দিচ্ছে। ফিক্সট ডিপোজিটে সুদের হার মাত্র ৩ শতাংশ – ভাবা যায়? সঞ্চয়কে নিয়ন্ত্রণ করার কারণটি খুব সহজে অনুমান করা যায়। সরকার অর্থের সঞ্চালন চায়। উন্নত অর্থনীতির ভিত্তি ‘অর্থের সঞ্চয়’ নয় – অর্থের সঞ্চালন। তরল অর্থের নিয়মিত চলাচল।
মানুষের স্বাভাবিক সুস্থতার রাসায়নিক পরিমাপক হলো, তার রক্ত সঞ্চালনা বা ব্লাড সার্কুলেশন। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোন কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর দিকে নুইয়ে পড়ে। রক্ত সঞ্চালনা স্বাভাবিক রাখার জন্য মানুষ কতকিছু করে, কতকিছুই খায়! একই স্থানে একই পোস্চারে বসে থাকলে শরীরের নির্দিষ্ট অংশটি অবশ হয়ে আসে। এর কারণ হলো, রক্ত সঞ্চালনা বন্ধ হয়ে আসা।
একই কথা বলা যায় ব্লগের সঞ্চালনা নিয়ে। নিয়মিত সঞ্চালনা না থাকলে, শুধু পোস্টদাতাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর পাঠক – যারা সবাই ব্লগার না। দৈনিক এবং মাসিক হিট কমে যাবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্লগ। মানসম্মত লেখাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে পাঠকের সামনে নিয়ে আসা এবং অনাকাঙিক্ষত ঘটনা থেকে ব্লগকে নিরাপদে রাখাই ব্লগের সঞ্চালকের প্রধান কাজ। ব্লগ কার সহায়তায় চলে, ব্লগাররা টাকা পায় কিনা – ওসব শর্তে বাংলা ব্লগ শুরু হয় নি। ব্লগাররা টাকা পাবে এআশায় কেউ এখানে আসে নি।
সঞ্চালনা সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব
সঞ্চালক নামটির সাথেই ‘গতিশীলতার বিষয়টি’ জড়িয়ে আছে। একটি পাবলিক ব্লগসাইটের স্বাভাবিক তৎপরতা ধরে রাখে এর নিয়মিত পরিবর্তন অর্থাৎ নিয়মিত সঞ্চালনা।
•সঞ্চালনা হতে পারে যান্ত্রিক
•সঞ্চালনা হতে পারে মানুষ পরিচালিত
অটোমেটেড মডারেশন দ্বারা ব্লগারদের পোস্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে, অনেক সময় আপত্তিকর লেখা প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। বেশি বিপদজনক কিছু হয়ে গেলে, দিনের/সপ্তাহের একটি সময় হিউম্যান মডারেটর এসে শুধু চেক করে যেতে পারেন। সাধারণত, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে আপত্তিকর পোস্ট বন্ধ রাখার জন্য কিছু ‘প্রতীকী শব্দ’ বা বাক্যাংশ তালিকাভুক্ত করে রাখা যায়। একইভাবে তালিকাভুক্ত করে রাখা যায় ইতিবাচক ও গ্রহণযোগ্য শব্দ বা বাক্যাংশকে। যেসব পোস্টে শব্দগুলো থাকবে, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকে থাকবে অথবা শর্তানুযায়ী নির্বাচিত কলামে যাবে। এক্ষেত্রেও যদি কোন ভালো পোস্ট আটকে থাকে অথবা খারাপ পোস্ট প্রকাশিত হয়ে যায়, নির্দিষ্ট সময়ের হিউম্যান মডারেটর এসে সেগুলোকে সুধরে দিতে পারেন। নিয়মিত আপগ্রেড করতে থাকলে সিস্টেম বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে: ভুলগুলো এক সময় কমে আসে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে স্বয়ংক্রিয় সঞ্চালনাকে গ্রহণ করা যায়, যদিও এতে এককালীণ কিছু খরচ জড়িত আছে।
হিউম্যান মডারেশন কঠিন, অনিয়মিত, ধারাবাহিকতাহীন এবং ত্রুটিযুক্ত। মানুষ দ্বারা পরিচালিত কোন কিছুই ত্রুটিমুক্ত এবং নিয়মিত হতে পারে না। ‘মানুষ মাত্রই ভুল’ কথাটি দিয়েই বুঝা যায় মানুষের ক্ষমতা কত সীমিত। তার পক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পোস্ট প্রকাশ/নির্বাচন করা অসম্ভব না হলেও কঠিন (এখানে সঞ্চালক বেতনভুক্ত বা অবৈতনিক সেটি বিবেচ্য নয়)। লেখার মান অনুযায়ি নির্বাচিত কলামে দেওয়া অথবা স্টিকি করার কাজটি হিউম্যান মডারেটরের মাধ্যমে হতে পারে। শুধুমাত্র বিশেষ লেখাকে নির্বাচন/স্টিকি করার জন্য একজন মানুষ এসে সঞ্চালনার কাজটি করে যেতে পারেন। তবে একাজটিও অটোমেটেড মডারেশন দ্বারা করা যায় এবং করতে দেখা যায়।
তারপরও হিউম্যান মডারেটর দ্বারা নিয়মিত সঞ্চালনার কাজটি করতে হলে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। আমার দৃষ্টিতে মাত্র ৪টি বিষয় নিয়মিত তদারকি করলে যে কোন পরিস্থিতিতে একটি ব্লগসাইট অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। তা হলো…..
১. নিয়মিতভাবে ব্লগ পোস্টগুলো প্রকাশিত হবে
২. গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো নির্বাচিত কলামে যাবে
২. দিনের/সপ্তাহের বিশেষ কোন পোস্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে যাবে/স্টিকি হবে
৪. অবাঞ্চিত/ অনাকাঙ্ক্ষিত/ নিয়মবহির্ভূত পোস্ট বাতিল হবে
একাজগুলো নিয়মিত না হলেই ব্লগের গতি কমে আসে। ঝিমিয়ে পড়ে। গতিহীন হয়ে পড়ে। ব্লগার/প্রদায়করা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। অভিজ্ঞ ব্লগাররা লেখা অন্যত্র প্রকাশ করেন। নবীন লেখকরা প্রেষণা হারিয়ে ফেলেন: অন্য কিছুতে মনযোগ দেন। অথবা আর মন্তব্যও করতে চান না। ব্লগে সচল ব্লগারের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকে। ব্লগার দ্বারাই ব্লগ সাইটের উন্নয়ন। ব্লগারই পাঠক, ব্লগারই হিটদাতা। ব্লগারই ব্লগসাইটের অত্যাবশ্যক অংশ।
সঞ্চালনা নিয়মিত থাকলে ব্লগার বা প্রদায়করা স্বাভাবিক মাত্রায় লেখতে থাকেন এবং পোস্ট প্রকাশ করতে থাকেন। অন্যের লেখায় মন্তব্য দেবার বিষয়টিও এর ওপরেই নির্ভরশীল। সেরা মন্তব্যকারীকে স্বীকৃতি দেবারও প্রয়োজন নেই, অথবা সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতারও প্রয়োজন নেই।
সঞ্চালক মাত্র চারটি দায়িত্ব নিয়মিতভাবে করে যেতে পারলে, ব্লগে তৎপরতা বাড়বে এবং ব্লগে হিট বাড়বে। এমন ব্লগসাইটকে বিজ্ঞাপনদাতার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সময় উপযোগী নেতৃত্ব এবং নিয়মিত সঞ্চালনা থাকলে ব্লগ কারও বোঝা হবার কথা নয়, ব্লগ নিজেই নিজের খরচ যোগাড় করতে পারার কথা।
শেষ কথা
ব্লগ শুরু হয়েছিল বাংলা ভাষায় বাধহীন আত্মপ্রকাশকে প্রমোট করার জন্য। নিঃস্বার্থে। ব্লগাররাও এসেছেন নিঃস্বার্থে। লেখেছেন হৃদয় উজাড় করে। ব্লগে একটি লেখা দেবার জন্য অনেকে বিদ্যাসাগর বনেছেন। ঘটিয়েছেন একটির পর একটি বিপ্লব। ব্লগের লেখাকে কপি করে প্রকাশ করছে বিখ্যাত প্রিন্টমিডিয়াগুলো। কারণ, সামু আজ বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বড় তথ্যভাণ্ডার – এটি কোন উইকিপিডিয়ার কাজ নয়।
সামুর জন্য কেউ কীভাবে SEO করেছিল জানা নেই, কিন্তু পেইজ ভিউ বলুন, ওয়েভ ট্রাফিক বলুন, এক সময় বাংলাদেশে সামুকে প্রথম কয়েকটির মধ্যে দেখা যেতো। কিন্তু সামু কি পাঠক/ব্লগারদের পরিবর্তিত প্রয়োজন এবং চলমান ট্রেন্ডকে ধারণ করতে পেরেছে? ভোক্তার চলমান প্রয়োজনকে বুঝতে না পারার জন্য মোবাইল ফোন জায়ান্ট নোকিয়ার পতন হয়েছিল – এখন পুনর্জনম নিয়েও টিকতে পারছে না।
আজ সামু কোথায়? অথচ আজও বাংলায় কোন বিষয়ে ‘গুগল সার্চ’ দিলে সামহোয়্যারইন ভেসে ওঠে। প্রশ্ন হলো, এটি কি ‘অকাল কিংবদন্তী’ অর্জন করবে? নাকি সময়ের সাথে নিজেকে সুধরে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে? প্রশ্ন থাকলো ব্লগারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।
পাবলিক ব্লগে পাঠক প্রতিক্রিয়া: ১৫ অগাস্ট ২০১৭।
———————————————
*ব্লগে লেখা ও ব্লগের সঞ্চালনা সম্পর্কে নতুন/পুরাতন চিন্তার সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে এই পোস্ট।
সামু’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘আমার’ সাক্ষাৎকার
১। আমাকে আমার প্রশ্ন: কী খবর… ব্লগ নিয়ে এত গবেষণা করলেন, অথচ এখন ব্লগে দেখাই যাচ্ছে না কেন?
আমার উত্তর: গবেষণা করি নি – পড়াশোনা করেছিলাম। তারপর যা উপলব্ধি হয়েছে, তা-ই তাৎক্ষণিকভাবে লেখে দিয়েছি।
২। আআপ্র: তার মানে হলো, আপনি আজকাল আর পড়ছেন না! তাই লেখছেন না? কী লজ্জার বিষয়!
আউ: আংশিক সত্য। আজকাল কাজের পড়া ছাড়া ‘পড়ার জন্য পড়া’ তেমন হচ্ছে না। কাজের পড়ায় বেশি আনন্দ পাচ্ছি মনে হচ্ছে। কাজকর্ম বিষয়ক লেখাগুলো ব্যক্তিগত ব্লগে তুলে রাখছি।
৩। আআপ্র: এখানে নয় কেন? যা ব্যক্তিগত ব্লগে দিতে পারেন, সেটি তো এখানেও প্রকাশ করতে পারেন। ব্লগের মায়া কি কমে গেলো?
আউ: এখানে প্রকাশ না করার অনেক কারণের মধ্যে একটি হলো, পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দিতে পারবো না বলে। ব্লগের জন্য আগের মতোই মায়া আছে এ কথা বললে মিথ্যা হবে। তবে ব্লগকে মন থেকে মুছে ফেলি নি। এটা অনেক ব্লগারের জন্য সহজ কাজ নয়। তবু মায়া একটু কমে গেছে। মায়া-মহব্বত-ভালোবাসা প্রেমিকার প্রতিও এক থাকে না সবসময়।
৪। আআপ্র: তো বলছেন, মায়া কিছু কমেছে। সবকিছুর পেছনে কারণ থাকে। ব্লগের প্রতি মায়া কমে যাওয়ার কারণটা কি সহব্লগারদের জন্য শেয়ার করা যায়?
আউ: কাজের ব্যস্ততা আছে, এটি আগেও ছিল। তবু একে বাতিল করা যায় না। এটি একটি কারণ। অন্যদিকে, নানাভাবে ব্লগও তার আকর্ষণ হারিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠাতাদেরও ব্লগের প্রতি মায়া কমেছে। এটিও প্রকৃতির নিয়ম। অথবা বলা যায়, তাদের কর্মপন্থায় পরিবর্তন এসেছে।
৫। আআপ্র: এসব কারণ দেখিয়ে যদি ব্লগে না আসেন, তবে কি বিষয়টি একটু আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেলো না? ব্লগের প্রতি ব্লগারের দায় বলে তো একটা বিষয় আছে। সেটি কি আপনি করছেন?
আউ: অভিযোগ মেনে নিচ্ছি। আত্মকেন্দ্রিক সমাজের প্রভাব আমার ওপরও পড়েছে। কিন্তু আমার অধিকাংশ পোস্টই ব্লগ এবং ব্লগের উন্নয়ন বিষয়ক। ব্লগের প্রতি ব্যক্তিগত দায় থেকে ব্লগার এবং কর্তৃপক্ষ সবারই জন্য লেখেছি। এই ব্লগেই আছে। মুছে ফেলিনি। সময় বদলেছে, ব্লগারদেরও রকম বদলেছে। পড়ার অভ্যাস বদলেছে। মাঝেমাঝে মনে হয়, আমার লেখার প্রাসঙ্গিকতা এসময়ের ব্লগে নেই। এর দায়ও হয়তো আমারই।
৬। আআপ্র: এসব যুক্তি ব্লগে না আসার কারণ হিসেবে যথেষ্ট নয়। যা হোক, এবার একটি ‘সার্বজনীন প্রশ্ন’ করি – ব্লগারের সাক্ষাৎকার নিলে এটি জিজ্ঞেস করতে হয়। ‘ব্লগ আর আগের মতো নেই’ এবিষয়ে আপনার অভিমত কী?
আউ: সহমত। ব্লগ আর আগের মতো নেই, এটি সার্বজনীন সত্য কথা। ব্লগ হলো সময়ের সাক্ষী। সময় ও নদী এক জায়গায় থাকে না। অতএব ব্লগও আর আগের মতো নেই। তবে আক্ষেপের বিষয় হলো, ব্লগ খারাপ আর শূন্যতার দিকে মোড় নিয়েছে। এটি হতে দেওয়া উচিত ছিল না। কিছু মানুষ বা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত, যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবে। তারা আজ তেমনভাবে নেই। মান্না দে’র কফিহাউস (কলকাতার কলেজ স্ট্রিট) যেমন স্নিগ্ধতা হারিয়ে শুধুই প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ব্লগের অবস্থা আজ ঠিক তেমন।
৭। আআপ্র: এর কারণ কী? কী উপায় আছে এ থেকে বের হবার?
আউ: এ থেকে বের হবার কোন উপায় দেখছি না, কারণ এমন পরিস্থিতি একদিনে একজনের মাধ্যমে হয় নি। এটি অনিবার্য পরিণতির দিকে যাচ্ছে। ভেতরে হয়তো অনেক কারণই আছে, কিন্তু বাইরের (সামাজিক ও রাজনৈতিক) কারণগুলো বড়ই খতরনাক। এখানে প্রতিরোধ সৃষ্টি করা কঠিন। তবু সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ যে, অন্যান্য ব্লগের মতো একে তারা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় নি। যেকোন ভাবে চালিয়ে রেখেছে। দু’একজন অন্তপ্রাণ ব্লগার আছেন, যারা এখনও আগের মতোই লেখে যাচ্ছেন, মন্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। দু’এক বছর যাবত লেখছেন, এমন কিছু দায়িত্বশীল ব্লগার আছেন। আর নতুনেরা তো বরাবরই সুপার একটিভ। হয়তো তাদের জন্যই ব্লগটি টিকে আছে।
৮। আআপ্র: ব্লগের অব্স্থা এর চেয়ে কি ভালো হতে পারতো না? অন্তত সামু তো সব থেকে আলাদা!
আউ: হয়তো হতে পারতো, কারণ সব বাংলা ব্লগের অবস্থা ম্রিয়মান। বন্ধ অথবা সংকোচিত। এর কিছু সুবিধা এ ব্লগ পেতে পারতো। বাংলা ব্লগের পাইয়োনিয়ার হিসেবে এব্লগের অবস্থা আরও ভালো হতে পারতো। এবং আমি বলছি, ভালোই তো। অন্য যেকোন বাংলা ব্লগের চেয়ে সামু’র অবস্থা নিঃসন্দেহে ভালো। তবে এখানে যারা ৪/৫/৭ বছর আগে ব্লগিং করেছেন/করছেন তাদের স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা ছিল হয়তো আরও ওপরে। তারা হয়তো একটু বেশিই প্রত্যাশা করে ফেলেছিল!
৯। আআপ্র: সামু কি কালজয়ী প্লাটফর্ম হতে পারে না? ব্লগার সহযোগে সামু কি সময়ের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে পারে না?
আউ: অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে এভাবে চাপ দেওয়া যায় না। অনেকে শুরু করতে পারে, চালিয়ে যেতে পারে না। শুরু করার জন্য যে ধরণের মেধা প্রতিভা প্রতিশ্রুতিশীলতা দরকার, চালিয়ে যাবার জন্য হয়তো একটু ভিন্ন ধরণের চালিকা শক্তি বা এড্যাপ্টাবিলিটি প্রয়োজন হয়। ব্লগাররা তো অধিকাংশই ঘরকুনো, তা না হলে তারা ব্লগ লেখবে কীভাবে। ব্লগ টিকিয়ে রাখতে মাঝেমাঝে বাইরের শক্তিরও দরকার হয়।
১০। আআপ্র: এত বড় উত্তর দিলে তো পাঠক পড়বে না। যাহোক, সংক্ষেপে সামু’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী মূলক একটি বক্তৃতা দিন!
আউ: সামু আজও যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে, সেটি বাংলা ভাষার জন্য এবং বাংলাভাষী লেখক-পাঠকের জন্য সৌভাগ্য ও গৌরবের বিষয়। একাদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সামহোয়্যারইন ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, কর্মী এবং ব্লগার-পাঠককে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা! সে সাথে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা!!
*পাবলিক ব্লগে পাঠক প্রতিক্রিয়া: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
প্রিয় ব্লগ সংকলন: প্রথম আলো ব্লগ (closed)
*প্রিয় ব্লগ সংকলন: ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং ৮ (মূল শিরোনাম)

লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি। তাই প্রিয় বিষয়টি একটু পক্ষপাতিত্বমূলক হলেও এনিয়ে আমি কোন চাপে থাকি না। প্রকাশ করতেও দ্বিধা রাখি না। এটি আমার স্বভাবও না। মন্তব্য করার ক্ষেত্রেও কাউকে অযাচিতভাবে খুশি করার চাপে আমি থাকি না। সময় পেলে এবং ভালো লাগলে পড়ি, প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য দেই। কারও লেখায় বা মন্তব্যে ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত পেলে নিজে হজম করি। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে হেয় করা হয় এরকম লেখাকে এড়িয়ে চলি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিবাদ করি। তবে একদম খারাপ লাগে এরকম লেখা খুবই কম পেয়েছি। সাধারণভাবে প্রায় সব লেখাই মঙ্গলজনক। চূড়ান্ত করার জন্য ব্লগে অনেক সমঝদার লেখক আছেন।
প্রথম সংকলন নিয়ে আরেকটু বলছি। নতুন, পুরাতন, অতি পুরাতন এবং প্রয়াত ব্লগারের উৎকৃষ্ট পোস্টগুলো (সংকলকের মতো) নিয়ে এই পোস্টটি সংকলিত হয়েছে। এবার শুধু ‘প্রিয় তালিকার’ পোস্টগুলো দিলাম, পরবর্তিতে প্রিয় ব্লগারদের লেখাগুলো নিয়ে সংকলন দেবার ইচ্ছা আছে।
ব্লগ ও লেখালেখি বিষয়ক পোস্টগুলো
নতুন এবং পুরোনোদের বলছি: একটি ব্লগ আলোচনা: সাইফ ভূঁইয়া (প্রয়াত!) [৩২]
চুম্বক অংশটুকু: প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্লগার তথা নিক নিবন্ধন হচ্ছে। এদের অনেকের লেখা বেশ মান সম্মত। চর্চাটা অব্যাহত রাখলে তাঁরা একসময় ব্যাপক নন্দিত হতে পারেন। সুযোগটা কেউ কেউ নিচ্ছেন না যে তা কিন্তু নয়। অন্যের লেখা পড়ে,সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে এরা এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ভিন্নতাও দেখি। সেটাই বেশি ভাবায়। অনেকে লেখা দিয়ে অপেক্ষা করেন তাঁর লেখায় কত মন্তব্য আসে। তাঁর চিন্তা চেতনা শুধু নিজেকে ঘিরে, চারপাশে কি হচ্ছে তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। (প্রথম আলো ব্লগ এবং সামহোয়ারইন ব্লগের একজন জনপ্রিয় ব্লগার। তার অকাল প্রয়ানে সামুতে অনেক দিন শোকবার্তা লাগানো ছিলো। প্রথম আলো ব্লগেও ছিলো শোকের ছায়া। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রবাসী ছিলেন।)
ব্লগিং কি এমন হতে হবে? সুস্থ ধারার ব্লগিং কাকে বলবো? মুক্তমন৭৫ [২১৪]
চুম্বক অংশটুকু: আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি প্রায়শই দেখছি, ব্লগিং এ ব্লগার কত দিন ধরে ব্লগে লিখছেন সেই জিনিসটিকে যতখানি মুল্যায়ন করা হয়, তার চেয়ে অনেক অনেক কম মুল্যায়ন করা হয় এখানে ব্লগের তার লিখাটিকে। এই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ আমি অনেক আলোচিত আর সমালোচিত পোস্টে প্রায়শই করতে দেখছি অনেক ব্লগারকে। কেউ একজন কোন কিছুতে মন্তব্য করলে তার বিপরীতে উত্তর হিসেবে এখানে লিখা হচ্ছে, কত মাস বা কত দিন ধরে কতটি পোস্ট এসেছে আর মন্তব্য এসেছে সেই ব্লগারের। তার মন্তব্যটিকে গুরুত্ব না দিয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তার অবস্থান আর মেয়াদকে। এটি কি ঠিক বলে আপনারা মনে করেন? সেক্ষেত্রে সেই নবীন ব্লগারের মনবল আপনারা কতখানি দুর্বল করে ফেলছেন, তা আপনারা অনেকেই অনেক অনেক প্রবীন ব্লগার হবার পরেও ভুলে যাচ্ছেন। আমার কাছে এই বিষয়টি একদম অনুচিত মনে হয়েছে। লেখার যোগ্যতা পরিমাপ করা উচিত লেখার মান বিশ্লেষণ করে লেখকের লেখক জীবনের বয়সকালকে হিসেবে নিয়ে নয়। (মুক্তমন৭৫ বাস্তবেও একজন মুক্তমনা ব্লগার। সমস্যা হলো উনি সাগর বাসিন্দা হবার কারণে সবসময় ইন্টারনেট পান না। ফলে আমরাও তাকে নিয়মিত পাই না। )
মন্তব্য বিষয়ক ইতিহাস ও বর্তমান: নীল সাধু [৭৬]
চুম্বক অংশটুকু: এক সময় আমাকে ব্লগ পাহারাদার বলা হত। কারন দিনের সবটূকু সময় আমি ব্লগে থাকতাম। ব্লগার সুজন ছিল মন্তব্যের ব্যাপারে সবার আগে। তার আগে মন্তব্য করা ছিল কঠিন। এমন কোন ব্লগার নেই যার ওখানে তিনি মন্তব্য করেননি। মধ্যে আমি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি সবার ব্লগে যেতে মন্তব্য বা কিছু একটা বলে তাদেরকে উৎসাহিত করতে। মন্তব্যের ব্যাপারে ব্লগার সুজনের সঙ্গে পেরে উঠিনি আমি। তিনি সেরা মন্তব্যকারী। ইদানীং তিনি ব্লগে আসেন না। … ব্লগার দেবদাস যিনি এই ব্লগে পরিচিত ছিলেন কিং অফ কমেন্ট হিসেবে। যার পোষ্টের চেয়ে আমাদের কাছে মুল্যবান ছিল মন্তব্য। এমন মজার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য এই ব্লগে খুব কম এসেছে। দুঃখজনক তিনি ব্লগে এখন অনিয়মিত। তীব্র বিদ্রুপ এবং অসাধারন সব মন্তব্য দিয়ে তিনি তার অবস্থান তৈরী করেছেন সবার হৃদয়ে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি আমার কথা বলতে পারি আমি যখনই দেখতাম দেবদাস কোথাও মন্তব্য করেছে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেই মন্তব্য দেখার জন্য ছুটে যেতাম সেই ব্লগে।… আ শ ম এরশাদ যিনি মন্তব্যের আর এক রাজকুমার। দীর্ঘ, সমালোচনামুলক, বিশ্লেষনধর্মী, মজার কথা- সব ধরনের মন্তব্যে ইনি পারদর্শী। যেখানেই তিনি মন্তব্য করেছেন সংস্লিষ্ট ব্লগার খুশী মনে তা গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক মতাদর্শের পোষ্টগুলোতে ব্লগার খালেদ এবং ব্লগার আ শ ম এরশাদ এই দুজনের মন্তব্য ছিল দারুন ইনফরমেটিভ। চুলচেরা বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যের জন্য ব্লগার এরশাদ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। (আ শ ম এরশাদের একটি পোস্ট আমার প্রিয় তালিকাভুক্ত।)
কী লিখবো, কীভাবে লিখবো: মাহবুব আলী [১২]
চুম্বক অংশটুকু: প্রথমেই যদি এই প্রশ্ন ধরে চিন্তা করি যে, কী উদ্দেশ্যে লিখছি? তাহলে অনেকেই হয়তো জবাবে সহজবোধ করবেন না। কেননা, বনের পাখি আপন মনে গান গায়, তার আবার উদ্দেশ্য কী? কিন্তু যৌক্তিক কথা এই যে, পাখি কিন্তু এমনি এমনি গান গায় না। তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য আছে। গানের পাখি কোকিল গাছের ফাঁকে লুকিয়ে যখন ডাকে বা গান গায় মানুষ হিসেবে তা শুনে আমরা মুগ্ধ হলেও ওই পুরুষ কোকিলের উদ্দেশ্য বায়স-ফিঙেকে তার বাসা থেকে বের করে আনা, যাতে স্ত্রী কোকিল সেখানে ডিম পাড়তে পারে। তাই প্রতিটি লেখার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। লেখককে সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে কাদের জন্য লিখছেন তার সমন্বয় ঘটাতে হয়। (সাথে আছে ১০টি চমৎকার টিপস!)
বাংলা ব্লগ কোন পথে: আ.শ.ম. আরশাদ [১৩৮]
চুম্বক অংশটুকু: ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গের দেবাশীষ ও সুকন্যা বাংলা ভাষায় অনলাইন ব্লগিং শুরু করেন এবং পরিচিতজনদের ব্লগিংয়ে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন বলে কথিত হয়। কিন্তু তখন বাংলা ভাষায় ব্লগিং করাটা খুবই ঝামেলার ছিলো। ফন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় অনেকেই ব্লগিংয়ে আগ্রহী হতেন না। এখনও সে সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। ২০০৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর “বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ” বাংলাদেশী ব্লগসাইট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। হাসিন ও এমরান এমবেডেড এডিটর ব্যবহার করে বাংলার প্লাটফর্ম সমস্যার সমাধান করে দেন। এখন ভার্চুয়াল কীবোর্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই ফোনেটিক বাংলা লেখা যায়। ২০০৬ সালে ব্লগটিকে ইউনিকোডে নিয়ে আসা হয়। মূলত তখনই একটি বিপ্লব ঘটে যায়। (২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলা ব্লগের একটি ডায়েরি হিসেবে বিবেচনা করা যায় লেখাটিকে।)
এক নজরে প্রথম আলো ব্লগ মিট আপ: First to Last: ইঊসুফ [৪৩]
চুম্বক অংশটুকু: কিছুদিন আগে হয়ে গেল প্রথম আলো ব্লগের প্রথম মিট আপ। …এই দীর্ঘ সময়ে ছিল কত পোষ্ট, কত মন্তব্য… কত সুখ, কত দুঃখ… কতগুলো মানুষের অনুভূতি, প্রচেষ্টা আর প্রেরণা কাজ করেছে এ মিট আপকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে.. সেগুলোকে এক জায়গায় একত্রিত করার ইচ্ছায়ই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এতে মিট আপের প্রস্তাবনার শুরু থেকে মিট আপের পর পর্যন্ত প্রায় সব পোষ্টের লিংক একত্রিত করার চেষ্টা করেছি। (২০০৯ সাল পর্যন্ত ব্লগারদের পারস্পরিক সাক্ষাৎ করার বিষয়টি ছিলো রোমাঞ্চকর এবং বহুল প্রত্যাশিত। তার পূর্বে থাকতো অনেক আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তাবনা।)
বইপড়া; সাহিত্য আলোচনা, কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ, ব্যক্তিত্ব
বাঙালির পাঠ্যাভ্যাস: মেহেদী হাসান মঞ্জুর [৮]
চুম্বক অংশটুকু: একদিনের একটা ঘটনা বলি, যাতে বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট হয়ে উঠবে । মেট্রো রেলে যাতায়তের সময় দেখি, ষ্টেশনের এক কোনে দাঁড়িয়ে একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা করছে; তার পায়ের কাছে একটি টুপি রাখা, সেখানে লোকজন রুবল(রাশিয়ান মুদ্রা) ফেলছে, তার বাম হাতে ধরা একটি কার্ড, যেখানে লেখা ‘পামাগাত মিনিয়া’ (আমাকে সাহায্য করুন) এবং ডান হাতে ধরা একটি বই। হাজার কোলাহলের মাঝখানেও লোকটি বই পড়ে যাচ্ছে । টুপিতে কতগুলো রুবল জমা হচ্ছে, সেদিকে তার কোন খেয়ালই নেই। বাংলাদেশের কোন জায়গায় এরকম দৃশ্য, আমরা সম্ভবত কল্পনাতেও আনতে পারবনা। (এই ব্লগারকে এখন আর বাত্তি লাগিয়ে পাত্তা পাওয়া যায় না )
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ওপর বাংলাদেশ এবং লালন সাঁইজির প্রভাব: জমির হায়দার বাবলা[২০]
চুম্বক অংশটুকু: রবি ঠাকুর বাংলাদেশের হৃদয়ে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন বলেই তাঁর জীবনে “বাংলাদেশ” অধ্যায়টি সাহিত্য সৃষ্টির রত্নগর্ভা হয়ে আছে। এ অধ্যায়ের কারণে রবি ঠাকুর তাঁর সাহিত্যে ঝুলিতে অসংখ্য মানিক তুলে নিতে পেরেছিলেন। এ অধ্যায়েই রবি ঠাকুর সৃষ্টি করেছেন করেছেন অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম। (বাবলা ভাইয়ের সাহিত্য-বিষয়ক প্রবন্ধগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।)
ভং ছাড়ো কাঙ্গাল: বিধুভূষণ ভট্টাচার্য্য [১০০]
চুম্বক অংশটুকু:
আমরাউ চাষাভূষা
আমরাউ বাঙ্গাল
অউ দেশ আমরার
ভং ছাড়ো কাঙ্গাল
ছড়াকারের কথা: এই ছড়াটি সিলেটের স্বনামধন্য আবৃত্তি সংগঠন মৃত্তিকায় মহকাল-এর প্রধান, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সংগঠক সৈয়দ সাইমূম আঞ্জুম ইভান (প্রথম আলো ব্লগের ‘সাইমূম ইভান’)-এর অনুরোধে রচিত এবং গত বছর ও চলতি বছর নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মৃত্তিকায় মহকাল কর্তৃক মনমুগ্ধকর ভাবে পরিবেশিত হয়েছে। আলো ব্লগের বন্ধুদের জন্য এখানে নিবেদন করলাম। (আমার ব্লগে আসার প্রথম সময়টিতে বিধু’দা এতই নিয়মিত ছিলেন যে, সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীদের তালিকায় তার নাম থাকতো। তখন জিনজির নামেও আরেকজন ব্লগারকে খুব দেখা যেতো।)
ঈদের ছুটিতে ভারত ভ্রমণ: রব্বানী চৌধুরী [৫৫]
চুম্বক অংশটুকু: গত ৩০শে অক্টোবর ছিল প্রকৃতির ভূ-স্বর্গ মানালিতে আমাদের শেষ দিন। বিকাল পাঁচটায় পর্যটকদের বাসে করে দিল্লীতে যাওয়ার সময়সূচি। সকাল থেকে আমাদের অবসর, আর মালানি ও পুরাতন মানালি ঘুরে দেখার দিন। বাজার-ঘাট, পার্ক, আর টুকি-টাকি সোপিং। ঝকঝকে রোদে হোটাল থেকে তোলা পাহাড়ে রোদের বন্ধুত্ব। (যুক্ত আছে বেশকিছু চমৎকার ছবি। পেয়ে যাবেন জনপ্রিয় এই ব্লগারের সুখময় পারিবারিক জীবনের সচিত্র প্রতিবেদন।)
আদিবাসী নারী: এইচ এস মং মারমা [৪০]
চুম্বক অংশ:
অগ্নিমাখা বিস্তীর্ণ প্রান্তরে ক্রমান্বয়ে তুমি
হারিয়ে যাও, হারিয়ে যেতে থাকো;
একদিন তুমি আর ফিরে আসো না,
কল্পনা চাকমাও আর ফিরে আসেনি।
কবিকে আমি এই বলে সেদিন অনুভূতি জানিয়েছিলাম: “এতো আহত আমি আর কখনও হই নি।” ব্লগ থেকে মং মারমা ভাইয়ের অন্তর্ধান নিয়ে একবার আলাদা পোস্ট দিয়েছিলাম। তারপর তিনি ছিলেনও কয়েকদিন। তারপর আবারও উদাও! আদিবাসীদের ওপর যতবার উপদ্রুব এসেছে ততবারই তাদের বিবেকের প্রতিনিধি হয়ে কবি মং মারমা আমাদের সাথে তার কবিতায় কেঁদেছেন। কাঁদিয়েছেন আমাদেরকেও। ভালো থাকুন কবি!
শৈল্পিক হাততালী: কবি কুহক [৬২]
চুম্বক অংশ: “টুপ করে খসে পড়ে তার নব যৌবন
সুযোগ বুঝে বাতাসী উড়িয়ে দেয় মার্কসবাদী চুল”
কবির সাথে আমার কথোপকথন:
আমি: হাহাহা, ভালো লাগলো সমগ্র কবিতাটি। কোন এক সময় আরও বিস্তারিত বলার ইচ্ছা আছে।
কুহক: দুহাই লাগে আর বিস্তারিতো কিছু কইয়েন না। পুরাই লজ্জায় পইড়া যামুগা।আমি:
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: তুহিন সরকার [১০০]
চুম্বক অংশটুকু: বান্দরবন জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি আছে, এলাকার বাসিন্দাদের মুখে প্রচলিত রূপকথায় অত্র এলাকায় এ সময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এই বানরগুলো শহরের প্রবেশ মুখে ছড়ার পাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অতি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেলে বানরের দল ছড়া পাড় থেকে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পার হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে জায়গাটি “ম্যাঅকছি ছড়া” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মার্মা ভাষায় ম্যাঅক শব্দটির অর্থ হল বানর আর ছি শব্দটির অর্থ হল বাধঁ। কালের প্রবাহে বাংল ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম বান্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবনের প্রকৃত নাম “রদ ক্যওচি চিম্রো’।
মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মিনারের স্থপতি ও চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান: নূর মোহাম্মদ নূরু [১৬]
চুম্বক অংশটুকু: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে হামিদুর রহমানের নকশা অনুসারে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। উল্লেখ্য হামিদুর রহমানের রূপকল্পনা অনুসারে ১৯৬২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়। (কৃতী মানুষের জীবনী লেখে এই ব্লগার বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন মহাকালের জন্য।)
রেলপথ ধরে বাংলাদেশ ভ্রমণ: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, লক্ষ্য আখাউড়া [২৩]
চুম্বক অংশটুকু: সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাঁটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাঁটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাঁটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌঁছতে পারি । (ব্লগের ট্যুরিস্ট ব্লগার কামাল উদ্দিন ভাইয়ের একটি জনপ্রিয় আয়োজন এটি।)
ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং ৭
ব্লগিং নিয়ে ব্লগিং ১
——————————
*‘প্রিয়’ কথাটি নিয়ে কৈফিয়ত এবং এপোলজি আছে: সকল ‘প্রিয়কে’ এক সংকলণে আনা যায় নি। আগেই বলেছি তালিকার বাইরেও অনেক প্রিয় পোস্ট আছে। প্রিয় ব্লগারের তালিকাটিও এক্ষেত্রে আমার সহায়ক। তাই পাঠক যেন মনে না করেন যে প্রিয় তালিকা এখানেই শেষ। পরে আরও আসবে।
লেখকমাঈনউদ্দিন মইনুল
- মাঈনউদ্দিন মইনুল -এর ব্লগ
- ৬৫ টি মন্তব্য
- ১৭ মে ২০১৪, ২১:০৩
- ব্লগালোচনা
- গড় রেটিং: ১০
প্রিন্ট করুন
- ৬৫ টি মন্তব্য
-
ফেরদৌসা১৭ মে ২০১৪, ২১:১৪
চুম্বক অংশটুকু পড়ে উনাদের পুরো পোস্ট পড়ার লোভ হচ্ছে। যদিও রব্বানী ভাই আর কামাল ভাইয়ের পোস্ট দেখা আছে । -
নীল সাধু১৭ মে ২০১৪, ২১:২০
বাহ। চমৎকার।আপনার প্রিয় পোষ্ট মানে অনেক কিছু। আমার প্রায় পোষ্ট পড়া আছে।
একটি পোষ্ট পড়ে আসি। সেটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল মনে হচ্ছে।এভাবেই আমরা ভালো লেখাগুলোকে সবার সামনে নিয়ে আসতে পারি। মুল্যায়িত হতে পারে সেরা/প্রিয় পোষ্টগুলো।
ধন্যবাদ জানবেন।
ভালোবাসা সহ -
পরানের কথা১৭ মে ২০১৪, ২১:২৩
অনেক ভালো লাগলো এই আলোচনা । আমার মতো নতুনদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রলাম।অফুরান আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । -
নীল সাধু১৭ মে ২০১৪, ২১:৩৪
ইহা একটি বিজ্ঞাপন মন্তব্যপ্রথম আলো ব্লগে চলছে “প্রথম আলো-ঘুড়ি প্রিয় চিঠি আয়োজন ২০১৪”
মে ১৫ থেকে পোষ্ট-কৃত সকল চিঠি এই আয়োজনের জন্য বিবেচিত হবে। চিঠি পোষ্ট করার শেষ সময় জুন ১৫।
চিঠি লিখুন। চিঠি পড়ুন।
প্রথম আলো ব্লগে পোষ্ট করুন আপনার নিজের লেখা চিঠিটি!ধন্যবাদ।
-
আরজু মুন জারিন১৭ মে ২০১৪, ২১:৪২
কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি। তাই প্রিয় বিষয়টি একটু পক্ষপাতিত্বমূলক হলেও এনিয়ে আমি কোন চাপে থাকি না। প্রকাশ করতেও দ্বিধা রাখি না।(*
চমৎকার মইনুল ভাই।আপনার সব লেখায় আমার মুগ্ধতা সিল মেরে বলে দিলাম।আমার লেখায় যখন আমি আপনার কমেন্টস দেখি নিজেকে সন্মানিত বোধ করি গুরুত্বপূর্ন মনে করি।কমেন্টসে বুঝতে পারি আপনার উদারতা।পুরা লেখা নিখূঁতভাবে পড়ছেন বিশ্লেষন করছেন।কিন্তু কমেন্টস করার সময়ে লেখককে আপনি তাই বলছেন যা তাকে প্রেরনা দেওয়ার মত আপনার দৃষ্টিতে প্রেরনা পাওয়ার মত।আপনার এই মানসিক গঠনকে আমার শ্রদ্ধা।
আর লেখাতো সবসময় অসাধারন লিখেন।আপনার লেখা বিশ্লেষন করার স্পর্ধা আমার নাই।অনেক ভাল লাগা/মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।অনেক শুভকামনা রইল আপনার চলার পথে।ভাল থাকবেন কেমন।
-
পুলক বিশ্বাস১৭ মে ২০১৪, ২১:৪৫
ব্লগিং মুক্তভাবে লেখার ও মত প্র্রকাশের দারুণ এক প্লাটফরম হতে পারে যদি আমরা একটু ধীরস্থিরভাবে শুদ্ধ-অশুদ্ধ যাচাই করে নিজের পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করি। আমাদের মতো নতুনদের নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে একটু সময় লাগবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা নিয়ে আমার কোন খেদও নেই। অগ্রজদের, ভাল লেখকদের মূল্যায়ণ করা যেমন জরুরি তেমনি নতুনদের ভাল লেখাকেও অনেকে মূল্যয়ণ করেন যা আমাদেরকে অণুপ্রাণিত করে সবসময়।মইনুল ভাইকে অনিঃশেষ শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন। -
আলভী১৭ মে ২০১৪, ২১:৫৫
এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী পোষ্ট আশা করছি আমার মত সবার ভালো লাগবে। এক পোষ্টেই অনেক কিছূ জানা সম্ভব বিশেষ করে যারা নতুন ব্লগার তাদের জন্য অনেক ভালো লাগবে কারন আমাদের পুরাতন অনেক প্রিয় ব্লগা্র আজ যারা ব্লগে যে কারনেই হোক সক্রিয় না তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা সম্ভব হচ্ছে। ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই। -
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা১৭ মে ২০১৪, ২২:১০
প্রথমে মইনুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই অনেকগুলো পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
এ পোস্টগুলো বাছাই করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে সাথে বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়েছে। ব্লগিং নিয়ে পোস্টগুলো প্রত্যেকটিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।আগের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পের্কে ধারনা পেলাম।আপনি যেই পোস্টগুলোর কথা লিখলেন সেই পোস্টগুলোর সূত্র ধরে আগামীতে আরো আগাতে পারবো।
মইনুল ভাইকে আমাদের বড়বেশী দরকার। কারণগুলোর একটি আজকের মতো পোস্টগুলি।
শুভকামনা। -
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা১৭ মে ২০১৪, ২২:২০
কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না,
যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি।মাঝে মাঝে কিছু পোস্টে সতর্কতার সাথে “দারুন” “অসাধারণ” কথাগুলো না লিখে কেবল কোথায় বা কোন কথাগুলো ভালো লেগেছে তা উল্লেখ করেই বলি “ভালো লেগেছে”।
আমি মাঝে মাঝে মনে করি-ডাহা মিথ্যাচারিতা না করে উৎসাহমূলক মন্তব্য ব্লগিং এ তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে হয় না। অনেকে উৎসাহিত হতে পারেন।
“ব্লগরত্ন” কথাটি আবারো প্রমানিত হলো।
শুভেচ্ছা মইনুল ভাইকে। -
রব্বানী চৌধুরী১৭ মে ২০১৪, ২২:৪৩
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় মইনুল ভাই।
“লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি। তাই প্রিয় বিষয়টি একটু পক্ষপাতিত্বমূলক হলেও এনিয়ে আমি কোন চাপে থাকি না। প্রকাশ করতেও দ্বিধা রাখি না।”একজন লেখক কতটা নিরপেক্ষ, মেধার বিচারে, দক্ষতার কলম দিয়ে লিখে থাকেন উপরের কথাগুলি খুব স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে। এ লেখার যোগত্যা নিয়ে যারা চিন্তা করবেন আমার ধারণা মতে তাঁরা একদিন লেখকের খাতায় নাম লেখাবে। আমাকে দিয়ে যে এমন লেখা হবে না, এ আমার সৌজন্যতা করে বলা নয়, মন থেকেই বলা তবে আমারও নাম লেখকের খাতায় উঠতে পারে যদি আমার যোগ্যতা আমাকে লিখায়।এ পোষ্টটি আমাদের শিখাবে এক একটি পোষ্ট থেকে আর একটি পোষ্টের পার্থক্য কত !! আপনার প্রিয় কিছু পোষ্ট যুক্ত করে দিয়ে আমাদের পড়ার পরিধী বাড়িয়ে দিলেন। আর আমরা বুঝে নিলাম কোন পোষ্টগুলিকে কি ভাবে গুরুত্ব দিতে হয়, নবীন কবি ও লেখকদের জন্য একটি ভুবন তৈরী করে দিলেন অতীতকে জানার।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।
-
কাছের মানুষ১৭ মে ২০১৪, ২২:৫৯
চমৎকার একটা পোষ্ট, এর মাঝে কিছু পোষ্ট আগেই পড়েছিলাম !!চুম্ভক অংশটি দিয়ে আবারো লেখা গুলো পড়ার জন্য লোভ বাড়িয়ে দিলেন।আপনার এই উদ্দগটি ব্লগারদের লেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং লেখার প্রতি উৎসাহ এই বিষয় গুলোতে গুরুত্বপূর্ন্য ভুমিকা রাখবে ।
আপনার পোষ্ট মানেই ভিন্ন কিছু পাই, এবারো তার ব্যাতিক্রম হল না
-
কামরুন্নাহার১৭ মে ২০১৪, ২৩:১৭
লেখককে যেমন প্রেরণা পেতে হবে, তেমনি তার লেখার মেরিট অনুযায়ি মতামতও পেতে হবে। তা না হলে লেখক উন্নয়নের পথ দেখতে পাবেন না। কারো লেখা ভালোমতো না পড়ে মন্তব্য দেওয়া অথবা লেখার মান ভালো না হলেও ‘মিথ্যা প্রশংসা করা’ আমার পক্ষে সম্ভব হয় না, যদিও অনুপ্রেরণা দেবার কাজটি আমি আমার মতোই করে থাকি।
সময় পেলে এবং ভালো লাগলে পড়ি, প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য দেই। কারও লেখায় বা মন্তব্যে ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত পেলে নিজে হজম করি। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে হেয় করা হয় এরকম লেখাকে এড়িয়ে চলি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিবাদ করি।
আপনার এই লেখাটুকু আবারও প্রমাণ করলো আপনিই ব্লগরত্ন।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য, সমালোচনা, একজন লেখককে কতখানি অনুপ্রাণিত করে তা’ একবাক্যে সবাই স্বীকার করবেন। এমনটাই সবার প্রয়োজন। যা আপনি দিয়ে আসছেন, দিচ্ছেন, দিতে থাকবেন।
আপনার লেখায় ডাহা-মিথ্যাচার করবার প্রশ্নই আসে না। আপনি এমন করে লিখতে থাকুন, ব্লগকে এগিয়ে নিয়ে চলুন তার পরিপূর্ণতায়, প্রাপ্তিতে।আপনি সে সব ঐতিহাসিক লেখাগুলো আবারও আমাদের সামনে এনে দিলেন, তা’ সত্যিই অসাধারণ !!
ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।অনেক শুভকামনা রইল। এমনটাই আরো চাইব, এ আমার দাবি। -
মেজদা১৮ মে ২০১৪, ০১:১৯
বিভিন্ন জনের কথা জানলাম। ভাল লাগলো। কয়েকজনকে চিন্তে পারি নাই। সেটা আমার ব্যর্থতা। ধন্যবাদ মঈনুল ভাই। -
লুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ মে ২০১৪, ০১:২৯
বেশ কিছু পোস্ট আগেই পড়েছিলাম । আজ আবার একটু করে উকি দিয়ে এলাম । না পড়াগুলো পড়ে ফেলতে হবে খুব তাড়াতাড়ি ।
এমন অসাধারণ আর সময়সাপেক্ষ চিন্তা মাথায় এনে তা আবার প্রকাশ করার সময় পান কিভাবে ? আসলেই যারা গুণী তারা সবদিকেই তার ছাপ রাখে । শুধু আমার মত বে গুণীরা চেয়ে চেয়ে দেখে আর অবাক হয় ।আর বেশি কিছু কইতে পারুম না । আমার স্টক অল্প থাকে আপ্নে জানেন । এই নিয়ে এক মজার ঘটনা বলি । আমাদের এখানে এক ভাবীর( পলাশের কলিগ ) বিদায় উপলক্ষে আমরা সবাই মিলে একসাথে হলাম । ভাবী চলে যাচ্ছে তাই সবাই তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলছিলেন । দুই তিনজন বলার পর আমার পালা এলো । আমি অল্প কথার মানুষ । দুই লাইন বলেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পুরো অনুষ্ঠান থামিয়ে দিলাম । এরপর আর বেশিক্ষণ কথা চলে নি । কিন্তু আমার ঐ দুই লাইন সবাইকে আবেগাক্রান্ত করে দিল ।ওরে বাবা অনেক কথা বলা হয়ে গেল । ভাল থাইকেন
-
হাফিজুল ইসলাম১৮ মে ২০১৪, ০২:০৮
এইসব ঘোড়ার ডিম না কইরা যা করলে সমাজের কোন কামে লাগে হেইডা করতে পারেন না? মানুষের মধ্যে কোন রকম সচেতনতা ছড়াইতে পারেন না? বড় একখান পোস্ট দিছেন তাতে আবার এত্ত প্রশংসা! ভাই, ব্লগটারে খাজুইরা আলাপের আর গুছানো কিছু মিষ্টি কথার বিতরণের স্থান না বানাইয়া পারলে কামের কাম কিছু করেন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রকৃতি তুইলা ধরেন, সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন নইলে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে মিষ্টির মাঝে যেমনে ওষুধ খাওয়ায়- তেমনে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেন।
আর সহজ বাংলায় মন্তব্য করলে কি মাইনষের কষ্ট হয়? “ভালোলাগা রেখে গেলাম, শুভেচ্ছা শতত, পাশে রইলাম” এইসব আঁতেল মার্কা কথা বাদ দিয়া লেখার ব্যাপারে সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন না? লেখার মান বা লেখার বিষয়- এইসব নিয়া?
বহুত তো করছেন, এইবার ভণ্ডামি বাদ দেন। পাগলের বোর্ড বসাইছে একলগে। আর ব্লগরত্ন আবার কী? ফাইজলামির টাইটেল?? -
নীল সাধু১৮ মে ২০১৪, ১৫:৩৩
হাফিজুল ইসলাম ভাই আপনি দড়ি ছিড়া কই থেইকা বাইর হইলেন?
কে ছাড়লো আপনারে?
এতো জ্ঞান নিয়ে সাগরে ঝাপ না দিয়ে ব্লগে কি করেন?এমন বেয়াদপি মন্তব্য আমি অনেকদিন পর দেখলাম।
ভ্রাতা মাঈনউদ্দিন খুব ভদ্র এবং সজ্জন একজন মানুষ। তাই বেঁচে গেলেন। আমাদের হাতে পড়লেতো ভাই মাফ চাইয়া কুল পাইতেন না। আপনারে একটা উপদেশ দেই। দৌড়ের উপর থাকেন। নিজের চিন্তা করেন।
ইয়াহ নাফসি ইয়াহ নাফসি করেন।আশা করি বুঝেছেন।
আপনার এমন অশালীন কুরুচিপুর্ন মন্তব্যের প্রতিবাদে আমার রুঢ মন্তব্য- মাঈনদ্দিন ভাই এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। -
ভোরের মিছিল২০ মে ২০১৪, ০১:৪৫
Hafizplp
হাফিজুল ইসলাম
১৮ মে ২০১৪, ০২:০৮
এইসব ঘোড়ার ডিম না কইরা যা করলে সমাজের কোন কামে লাগে হেইডা করতে পারেন না? মানুষের মধ্যে কোন রকম সচেতনতা ছড়াইতে পারেন না? বড় একখান পোস্ট দিছেন তাতে আবার এত্ত প্রশংসা! ভাই, ব্লগটারে খাজুইরা আলাপের আর গুছানো কিছু মিষ্টি কথার বিতরণের স্থান না বানাইয়া পারলে কামের কাম কিছু করেন। বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রকৃতি তুইলা ধরেন, সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন নইলে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে মিষ্টির মাঝে যেমনে ওষুধ খাওয়ায়- তেমনে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেন।
আর সহজ বাংলায় মন্তব্য করলে কি মাইনষের কষ্ট হয়? “ভালোলাগা রেখে গেলাম, শুভেচ্ছা শতত, পাশে রইলাম” এইসব আঁতেল মার্কা কথা বাদ দিয়া লেখার ব্যাপারে সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন না? লেখার মান বা লেখার বিষয়- এইসব নিয়া?
বহুত তো করছেন, এইবার ভণ্ডামি বাদ দেন। পাগলের বোর্ড বসাইছে একলগে। আর ব্লগরত্ন আবার কী? ফাইজলামির টাইটেল??এই সব সবুজ ঘাস খোর পুলা পাইন পাইলে চটকায়তে মন চায়দেখেন এই জ্ঞানীর অবস্থা
অবস্থানDhaka
ব্লগে আছেন৩ বছর, ৮ মাস, ১ দিন, ১ ঘন্টা, ৫৬ মিনিট
সর্বমোট পোস্ট৫৮ টি
সর্বমোট মন্তব্য৮১ টি -
হাফিজুল ইসলাম২৮ মে ২০১৪, ২০:১০
ক্যান নীলসাধু সাহেব, কলিজায় লাগলো সত্যকথাগুলান? আর আপনে নিজেই তো বেশি পণ্ডিত। আর আপনের কাছে মাপ চাইতাম মানে? আপনে তো মিয়া একটা চামচা। চামচামির বাইরে কিছু বুঝেন নাকি পারেন? সারদিন তো শুধু আজাইরা লেখা লেইখাই কাম সারেন।
আর শোনেন, বলদামি সবার লগে করন ঠিক না। আমি আপনার মত চামচামি পছন্দ করি না আর করিও না। বুঝছেন? আপনি না কইছেন আমি বেয়াদব? আমি মনে করি আপনি একখান আসল আঁতেল। আর মনে রাইখেন, দেশে ব্লগ কিন্তু একটা না। -
হাফিজুল ইসলাম২৮ মে ২০১৪, ২০:১৩
ভোরের মিছিল, আপনি আবার কে ভাই? আমি ব্লগে কয়দিন আছি আর কয়টা মন্তব্য করছি তাতে আপনার কী? আপনি নিজের পথ দেখেন।
আর চটকাইতে মন চায়? তাইলে চটকানোর বহুত কিছু আছে, দরকারে নিজের কান চটকান।
আর আতলামি না কইরা থাকতে কী খুব কষ্ট লাগে?? নাকি চুলকায়?? -
কামাল উদ্দিন১৮ মে ২০১৪, ০৭:২৫
ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে আপনার এমন গবেষণা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। আমি সব সময় হালকা ব্লগিং করি, আমার মাঝে কখনো আপনাদের মতো গভীরতা খুজে পাবেন না, কারণ সবাকে দিয়ে সব কিছু হয়না। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।………………………………………………………………………………………………………………..
(ব্লগের ট্যুরিস্ট ব্লগার কামাল উদ্দিন ভাইয়ের একটি জনপ্রিয় আয়োজন এটি।)আমি নিজেকে কখনো টুরিষ্ট ব্লগার বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না, আমি আমাকে ট্রাভেলার ব্লগার হিসাবেই ভাবতে চাই।
এবার দেখে নেই টুরিষ্ট আর ট্রাভেলারের পার্থক্য
টুরিস্ট আসলে কারা? টুরিস্ট হচ্ছে, অবকাশ যাপন আর সাথে বিনোদনের জন্য যারা ছুটিতে ঘুরতে বেড়োয়। টুরিস্টদের সাথে থাকে কাঁধে ঝুলানো ক্যামেরা, জামা কাপড়ে ফিটফাট-কেতারদুস্তর। বেড়ানোর জায়গাগুলো হয় বিখ্যাত সব স্থান অথবা স্থাপনা। টুরিস্টরা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের ফ্রেমে বন্দী হয়ে একটি সীমাবদ্ধ গণ্ডীতে আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। এরা ফিটফাট বাবু সেজে স্থান অথবা স্থাপনা’র সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে ব্যাস্ত থাকে ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন (নাকি প্রমাণ) ধরে রাখতে। টুরিস্টরা ব্যাস্ত থাকে ভালো মানের হোটেলে থাকা, আরামদায়ক যানে ভ্রমণ আর সাথে সুস্বাদু লোভনীয় মুখরোচক খাবারের স্বাদ নেয়ায়।
ট্রাভেলার
১. ট্র্যাভেলার সবসময় যে কোন পরিস্থিতিতে নিজের মত করে খাপ খাইয়ে নেয়। একজন টুরিস্ট প্ল্যান মোতাবেক ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু ট্র্যাভেলারের স্বাতন্ত্র্য হল সে প্রতিনিয়ত প্ল্যান আপডেট করতে থাকে সময়ের দাবী মেনে।২. টুরিস্ট মাত্রই যে কাজটি বেশী করে তা হল, সব দর্শনীয় স্থান কাভার করতে হবে, তাই মিনিট পাঁচেকের জন্য হলেও সেখানে যেতে হবেই। কিন্তু একজন ট্র্যাভেলারের কাছে স্থান বা স্থাপনার কাভারেজ সংখ্যা মুখ্য নয়। মুখ্য সেগুলোর পরিপূর্ণ রূপসুধা পান করতে সক্ষম হওয়া।
৩. ছোট ছোট সেই সব বিষয়ে লক্ষ্য করা যা সাধারণত চোখ এড়িয়ে যায়।
৪. পায়ে হেটে অথবা সাইকেলে বা লোকাল পরিবহণে করে ভ্রমণের স্থানের চারিপাশ, লোকালয়, জনবসতি ঘুরে দেখা।
৫. খুব বিখ্যাত নয়, সচরাচর কেউ তেমন একটা বেড়াতে যায় না এমন জায়গাগুলোতে ভ্রমণে বের হওয়া।এক কথায়, বেড়াতে গিয়ে যারা টুরিস্টদের থেকে দূরে পালিয়ে যান, তারাই ট্রাভেলার!
-
কামাল উদ্দিন২০ মে ২০১৪, ০৭:৩১
ডিকশনারী আমাকে মাইর দিয়ে দিয়েছে, এবার দেখলেন আমার ব্লগিং হালকা না পাতলা -
নূর মোহাম্মদ নূরু১৮ মে ২০১৪, ০৯:৩২
অনেক যত্ন নিয়ে, অনেক খাটুনির
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আশা করি
যারা গবেষণাধর্মী কাজের সাথে সম্পৃক্ত
তাদের উপকারে আসবে।
ধন্যবাদ মাইনুল ভাই
আপনার অসাধারণ
লেখার জন্য। -
আমি..১৮ মে ২০১৪, ১৭:৪৬
সঞ্চালক ভাই,সালাম, আমি “আমি মেজদা” নাম নিয়ে লেখা লেখি করতে চাই। এটার সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রথম আলো ব্লগে আমি নতুন। শুরুতেই এরকম একটি ধাক্কা খেয়ে আমি হতাশ। -আমি কালপুরুষ- যদি কালপুরুষ নামের সাথে লেখালেখি করতে পারে তবে আমি নই কেণ? এখানে সকলের স্বাধীনতা রয়েছে। প্রথম আলো মুক্ত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আপনি আমার পূর্বের নামটি ফিরিয়ে দিন। এটা ব্লগারদের প্রতি জুলুম। আমার নাম ঠিক করে না দেয়া পর্যন্ত আমি আন্দোলন চালিয়ে যাব। ইশ্বর আমার সাথে আছেন।আমি মেজদা
-
খালিদ উমর১৮ মে ২০১৪, ১৮:০৪
কেমন আছেন মইনুল ভাই?
অসাধারণ একটা বিশ্লেসনি প্রবন্ধ লিখেছেন। একেবারে বাস্তব চিত্র এঁকেছেন। বোঝাই যাই অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষনের ফল।
ভাল থাকুন। ধন্যবাদ। -
হাসান পারভেজ১৮ মে ২০১৪, ১৯:৩৮
অামার মত নতুন ব্লগকর্মীর জন্য এটা নিশ্চয়ই দরকারী পোস্ট। তাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাঈন ভাইকে।
প্রিয়তে যুক্ত হ’ল। -
মুক্তমন৭৫২২ মে ২০১৪, ১৭:১৯
অনেকদিন পর প্রিয় মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইকে ব্লগে লিখছি।
ফেসবুকে না গেলে জানতেও পারতাম না আপনার এত সুন্দর পোষ্ট এর কথা, যেখানে আমার নিজের লেখাও একটা পোষ্ট দেখতে পারছি।যাহোক, কর্মক্ষেত্রের প্রচন্ড চাপে এবং সেই সংগে অনিয়মিত নেট কানেকশনের জন্য বেশ কঠিনভাবেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি আপনাদের থেকে।তবে চেষ্টা থাকবে যখনই নেট পাবো, অন্তত হাই হ্যালো বলে যাবো
শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
-
মুক্তমন৭৫২৩ মে ২০১৪, ০২:২৬
অবশ্যই প্রিয় মঈন ভাই।আমিও খুব মিস করি আপনাকে সহ সহ ব্লগার সকলকেই।নেট পেলেই পাশে পাবেন ফ্রি সময় গুলোতে।
ভালো থাকবেন।
-
ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী)০৯ জুন ২০১৪, ০৮:২৯
আপনার ব্যক্তিগত প্রিয় তালিকার পোস্টগুলো নিয়ে এই সংকলনে লেখা আপনার মূল্যবান কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং চুম্বক অংশটুকু পড়ে অনেক কিছু জানা হলো। আপনাদের মত গুণীজনেরাই পারেন সেরা/প্রিয় পোষ্টগুলো সঠিক মূল্যায়ন করতে। আপনার প্রিয় পোষ্টগুলো শেয়ার করার জন্য এবং আমাদেরও দেখার সৌভাগ্য করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মইনুল ভাইকে। আপনাকে সহ আপনার প্রিয় পোষ্টের লেখকদের জন্যও রইলো অনাবিল শুভেচ্ছা।
বাংলা ব্লগের সম্ভাবনা
কিছু দিন আগেও ইংরেজি বর্ণমালায় বাংলা লিখতে হয়েছে ব্লগারদেরকে। অথচ আজ দেখুন বাংলা ব্লগসাইটের সংখ্যা একশত হয়ে যাবে, যেখানে সৃষ্টি হচ্ছে সহস্র ব্লগ পোস্ট। তবু অনেকে মনে করেন, ইংরেজির দৌরাত্মে বাংলা কনটেন্টস এর কোন পাঠক-উপযোগিতা নেই। বাস্তবতা সকল পূর্বধারণাকে হার মানায়। বাস্তবতা হলো বাংলা ভাষায় রয়েছে বহুসংখ্যক একটিভ ব্লগার, যাদের মনে আছে গভীর স্বদেশ প্রেম আর আত্মপ্রকাশের ক্ষয়হীন প্রেরণা। তাদের একত্রিত প্রচেষ্টা বিভিন্ন সময়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আর চেতনা যুগিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
.
বাংলা ব্লগের সম্ভাবনা
বাংলা ভাষায় ব্লগিং বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং যে কত সম্ভাবনাময়, এর অন্তত একশ’টি কারণ আছে। এর মধ্যে কয়েকটি আমি তুলে ধরছি:
• বাংলা ভাষায় কথা বলা লোকের সংখ্যা ২১ কোটিরও ওপরে এবং এটি রাশান, জার্মান বা জাপানি প্রভৃতি প্রভাবশালী ভাষাগুলোর চেয়েও বেশি প্রচলিত।
• থ্রিজি’র সম্প্রসারণে অতি অল্প সময়ে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে।
• কমিউনিটি ব্লগের দ্রুত সম্পসারণের কারণে বলা যায়, ইংরেজির পরই বাংলা ভাষার ব্লগ এবং ব্লগারদের তৎপরতা বেশি।
• ইংরেজি ভাষার কনটেন্টস বেশি হলেও এটি বিশ্বের তৃতীয় এবং মাত্র ৬% মানুষের ভাষা। বাংলা ভাষায় পৃথিবীর ৩% এরও বেশি লোক কথা বলে।
• লেখার মান ভালো হলে বাংলা ভাষার কনটেন্টস, বিশেষত ব্লগ, ইংরেজির পরই স্থান করে নেওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বর্তমানে বাংলা আর ইংরেজি’র মাঝামাঝি অবস্থানরত তিনটি ভাষা হলো: হিন্দি, আরবি ও পর্তুগীজ।
.
.
ভালো কনটেন্টস, অধিক হিট, সুসংহত বাংলা ব্লগ
ব্লগারদের একটি বড় অংশ জুড়ে আছেন শিক্ষার্থী এবং কর্মপ্রত্যাশী। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা চেতনা নিয়ে ব্লগিং করছেন এরকম ব্লগারের সংখ্যা কম এবং তারা অনিয়মিত। শিক্ষার্থী এবং কর্মপ্রত্যাশী ব্লগারদের সংখ্যাটি বেশি হওয়ায় তাদের লেখার মান বৃদ্ধি করা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
আমার মতে, তারা যদি নিজেদের পড়াশুনার বিষয়গুলো নিয়েও আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করেন এবং তা ব্লগে তুলে ধরেন, তবে তা বাংলা ব্লগের অনেক উপকারে আসবে।
আর যারা কর্মপ্রত্যাশী বা পড়াশুনা করে একটি সফল কর্মজীবনের অপেক্ষা করছেন, তারা যদি তাদের পছন্দের পেশা নিয়ে আরও অনুসন্ধান করেন, তবে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উপকারে আসবে। বাংলা ব্লগের জন্য তা হবে অতিরিক্ত পাওয়া।
ইংরেজি ব্লগ গুলোর অধিকাংশই গসিপ আর ট্রিভিয়া’র মেলা। তবে এসব ব্লগসাইটগুলো পড়লে নিজের লেখার কনটেন্টস সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যায়। গুগলে সার্চ দিলে এরকম শত শত ব্লগটসাইট ভেসে ওঠে পলকে। সেরা ২৫টি ব্যক্তিগত এবং জনপ্রিয় ব্লগের তালিকা পাওয়া যাবে নিচে দেওয়া লিংকে।
.
.
এখন সময় ব্লগারদের
ব্লগ আর ব্লগের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক তো বলেছি। অনেকে মনে করেন, এত কিছু জেনে কী লাভ? সত্যিই কোন লাভ নেই। তবে যারা ব্লগিংকে সিরিয়াসলি নিতে পারেন, তারা এখান থেকে অনেক কিছু পেতে পারেন। ভাষাগত দক্ষতা নিয়ে অনেকে চিন্তিত হন, অথচ বড় চ্যালেন্জ হলো লেখার সারবস্তু। সৃজনশীল চিন্তা আর ভালো আইডিয়া যদি থাকে, তবে ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করতে আর কী সমস্যা। সৃজনশীলতার চাপেই বাকি সব পাওয়া যায়।
এমন কোন বিষয় কি আপনার আছে যা নিয়ে বিশ্বের মানুষ মহা-কৌতূহলী? এমন কোন বিষয় নিয়ে কি আপনি ভাবেন, যা লেখলে সকলেই হুমরি খেয়ে এসে পড়বে? এর সঙ্গে যদি থাকে নিয়মিত লেখে যাবার সময় ও মানসিকতা, তবে আর দেরি কেন? বসে পড়ুন লিখতে। পৃথিবী এখন ব্লগারদের হাতে!
.
[নক্ষত্র ব্লগে পাঠক প্রতিক্রিয়া]
.
.
*পরিশিষ্ট:
ভাষা ব্যবহারকারী পরিসংখ্যান ২০১০
সময় পেলে এবং ভালো লাগলে পড়ি, প্রয়োজন মনে করলে মন্তব্য দেই। কারও লেখায় বা মন্তব্যে ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত পেলে নিজে হজম করি। সামগ্রিকভাবে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে হেয় করা হয় এরকম লেখাকে এড়িয়ে চলি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিবাদ করি।আপনার সাথে একমত।