Tagged: পরিবার
।। দ্য প্রমোশন টেস্ট ।।
:::দ্য প্রমোশন টেস্ট
(এক) বিখ্যাত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিসের কর্মকর্তারা ইদানিং বড় বড় ভুল করছেন স্টেইকহোল্ডারদের সাথে। সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বড় বড় ক্রেতা ও সাপ্লাইয়ারের সাথে। কারণ হিসেবে অনেক তথ্যই আসছে। এর মধ্যে অধৈর্য্য এবং অমার্জিত ব্যবহার অন্যতম। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান বেশ কয়েকটি কনট্রাক্ট হারিয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রয় আদেশ হারানোর পথে। নিয়মিত বেতন, ক্যারিয়ার ডিভেলপমেন্ট, মূল্যায়ন-ভিত্তিক প্রমোশন, সার্ভিস এওয়ার্ড, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ইনস্টিউট থেকে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং, বোর্ড মিটিংয়ে অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ – এতকিছুর পরও কর্মকর্তাদের মোটিভেশন কমে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে বিশেষ অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য মানবসম্পদ বিভাগকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হলো সিইও’র অফিস থেকে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত নথিপত্রে হামলা চালিয়ে বিশেষ কোন কারণ পাওয়া গেলো না। সিইও তাতে অসন্তুষ্ট হলেন মানবসম্পদ বিভাগের ওপর। পেশা, শিক্ষা এবং পারিবারিক তথ্যগুলো নিয়ে একটি গোপনীয় বিবৃতি তৈরি করতে ফের নির্দেশ দিলেন। কনফিডেনশাল রিপোর্টটি অফিস সময়ের মধ্যেই সিইও’র দপ্তরে পৌঁছানো হলো।
এরপর কয়েক মাস কেটে গেলেও সিইও কিছুই বললেন না মানবসম্পদ বিভাগকে। ডিসেম্বর মাসের স্বাভাবিক এক কর্মব্যস্ত দিনে প্রমোশন টেস্ট-এর নোটিশ এলো কর্মকর্তাদের স্মার্টফোনে: ‘প্রমোশন টেস্ট: বিকাল ৪টা, বল রুম।’ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তাদের জন্য প্রমোশন টেস্ট-এর আয়োজন করতে বললেন সিইও। তিনি নিজেও সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেন।
প্রার্থীদের নিজ নিজ ল্যাপটপে ইন্টারএকটিভ পদ্ধতির টেস্টটি শুরু হলো। শুরু হলো ক্লিক ক্লিক উত্তর প্রদান। প্রাতিষ্ঠানিক এবং পেশাগত প্রশ্নগুলো তাদের কাছে ডালভাত। প্রমোশন প্রার্থীরা একটির পর একটিতে উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন। তৃপ্তির ছবি ফুটে ওঠলো তাদের চোখে-মুখে। মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন। কফি মাগে চুমুকের সাথে মাউসের এক ক্লিক। চুমুক আর ক্লিকের শব্দে আন্দোলিত হলো বল রুম। মিটিমিটি হাসছেন সিইও। তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের দিকে দৃষ্টি বিতরণ করে যাচ্ছেন।
সেকশন এ: প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত বিষয়। এটি শেষ হয়ে গেলো কফিভর্তি মাগ শেষ হবার আগেই।
সেকশন বি: ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আচরণ। ওপেন-এন্ডেড কোয়েশ্চন। ছোট ছোট বাক্যে কিছু লিখতে হবে এবার। প্রশ্ন মাত্র পাঁচটি। সিলি কোয়েশ্চনস! প্রমোশন প্রার্থীরা মনে মনে বললেন। কিন্তু নড়ে-চড়ে বসলেন। কেউ এক চুমুকে বাকি কফিটুকু শেষ করে নিলেন। কেউ কেউ দু’হাত মাথার পেছনে নিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে। কেউ বা মাউসের কারসর নাড়াচাড়া করছেন রুপালি মনিটরের গায়ে। উত্তর নেই; ক্লিকের আওয়াজ নেই; কফিতে চুমুক দেবার আওয়াজও বন্ধ। ৬০-৫৯-৫৮ এভাবে একেকটি মিনিটের সাথে প্রশ্নগুলো বিনা-উত্তরে বাঁদিকে সরে যাচ্ছে।
প্রার্থীদের মনের চোখে ভেসে ওঠছে তাদের পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র-
“বাবা, আমি একজন নতুন বন্ধু পেয়েছি। নাম….. । খুব ভালো গান করে…”
“বাবা, রাতে কখন ফিরেছিলো? তুমি কি আজও দেরিতে আসবে?”
“বাবা, তুমি কবে ছুটি পাবে।”
‘বাবা, আমি কিন্তু তোমার মুখ ভুলে যাবো একদিন!”
“বাবা, আমি এবারও পরীক্ষায় প্রথম হয়েছি।…”
“বাবা, বলতো আমি কোন্ ক্লাসে পড়ি?”
“বাবা, দেখো তোমার ও মা’র একটি ছবি এঁকেছি।”
“বাবা, আমাদেরকে তুমি বেড়াতে নিয়ে যাবে না।”
“বাবা, তুমি কী চাকরি করো?”
অবশেষে প্রমোশন টেস্টটি বেশ কঠিনভাবেই শেষ হলো। কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে একে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলছেন। কিন্তু পরীক্ষা শেষে একজন প্রার্থী প্রতিবাদ করে ওঠলেন।
ক/১. আপনার সন্তানের তিনজন বন্ধুর নাম লিখুন।
খ/২. প্রথম সন্তানের উচ্চতা লিখুন।
গ/৩. সন্তানের প্রিয় খাবারটি কী?
ঘ/৪. আপনার সন্তান কোন্ ক্লাসে পড়ে? অথবা, ক্লাসে তার অবস্থান কী?
ঙ/৫. আপনার সন্তান কোন্ বিষয়টিতে সাধারণত কম নম্বর পায়?
এসব কি প্রমোশনের সাথে প্রাসঙ্গিক? উত্তরে এইচআর ম্যানেজার স্মিত হেসে শুধু বললেন, সব প্রশ্ন সিইও তৈরি করেছেন। এবং তিনি সেকশন বি’তে ৮০% নম্বর নির্ধারণ করেছেন।
(দুই) প্রতিষ্ঠানের সিইও একজন কেতাদুরস্ত এবং নিয়মনিষ্ঠ মানুষ। বিকেল পাঁচটা বাজলে তাকে আর অফিসে পাওয়া যায় না। সকলকে সময়মতো অফিস ছাড়ার সুযোগ করে দিয়ে তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। তিনি মনে করেন, তিনি থাকলেই বাকিরা থাকতে বাধ্য হবে। “পাঁচটার পর যারা অফিসে থাকে, তাদের বউয়ের সাথে ঝামেলা আছে।” এই বলে তিনি টিপ্পনি কাটেন ডিপুটি ডিরেক্টরদের সাথে।
-“কিন্তু স্যার, সবাই তো কাজের জন্যই দেরিতে বের হতে বাধ্য হয়। কেউ কি ইচ্ছে করে রাত পর্যন্ত অফিসে থাকে?” ডিরেক্টরদের যুক্তি।
-“আট ঘণ্টার মধ্যে কাজ শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সাবঅর্ডিনেটদেরকেও সেভাবে উৎসাহিত করুন।” বিগ বসের সাফ জবাব।
তার মতে পারিবারিক জীবন আর কর্মজীবন আলাদা হলেও এগুলো একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল। পারিবারিক জীবন সুখের হলে তা কর্মজীবনকে আলোকিত করে। স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে ক্লায়েন্ট-এর সাথে কত ভদ্রতা করা যায়! সন্তানের প্রতি উদাসীনতা স্ত্রীর প্রতি উদাসীনতার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেবল। দাম্পত্য জীবনে ভালো সম্পর্ক না থাকলে সন্তানের সাথেও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। সম্পর্কের দূরত্ব অবচেতনে মনের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ ও হতাশাবোধ সৃষ্টি করে। এরই পরোক্ষ প্রভাব গিয়ে পড়ে কর্মজীবন ও কর্মস্থলে। সিইও জানতেন এসব বিষয় কখনও বক্তৃতা দিয়ে বুঝানো যাবে না – দরকার ডেমোনস্ট্রেশন। তাই তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই কর্মকর্তাদের পারিবারিক জীবনকে উন্নত করতে চাইলেন। তাতে যদি কর্মস্পৃহা এবং পেশাদারিত্ব বাড়ে!
(তিন) সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম করপোরেট প্রতিষ্ঠান গুগল ইনকর্পোরেশনে একটি মজাদার ঘটনা হয়ে গেলো এক শিশুকে নিয়ে। সংবাদটি পেয়েছি ইঅনলাইন থেকে।
ক্যাটি নামের এক শিশু সরাসরি গুগলকে চিঠি লিখে বসে। তার বাবাকে ছুটি দিবে হবে! কারণ এটি তার বাবার জন্মদিন! সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন হলেও তার বাবার মাত্র একদিন ছুটি ভোগ করেছেন। অতএব, এক দিন বিবেচনা করে তার বাবার কিছু ছুটি পাওনা হয়েছে। কন্যা সন্তানের সরাসরি বক্তব্য: বাবাকে ছুটি দিতে হবে, কারণ এটি তারও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। গুগল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে ক্যাটির চিঠির উত্তর দেয় এবং তার বাবার জন্য ছুটিও নিশ্চিত করে।
গুগলকে ক্যাটি’র চিঠি:
ক্যাটিকে গুগল-এর উত্তর:
চিঠিটি আমার কাছে পৃথিবীর সমস্ত ক্যাটি’র পক্ষ থেকে তাদের পিতার প্রতি একটি স্মারণলিপির মতো মনে হয়েছে।
.
.
** শততম পোস্টে প্রিয় সহব্লগারদেরকে প্রীতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার লেখাগুলোতে মন্তব্য বা ইমো এমনকি একটি ক্লিকও দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এতো ভালোবাসা আর এতো প্রেরণা পেয়েছি যে কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝেও কিছু লিখার প্রচেষ্টায় আনন্দ পাই। যেন বিনিময়ে আরও অধিক পড়া ও মিথষ্ক্রিয়ার সুযোগ পাই। নাম প্রকাশ করে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চাই না, কিন্তু ‘লেখায় লেখায়’ অনেক গুণী লেখক ও প্রেরণাদায়ক বন্ধু পেয়েছি, আমি যাদের ভক্তও। বন্ধু পাওয়াকে আমার জীবনের সেরা অর্জন বলে মানি। শুভেচ্ছা বন্ধুগণ!
[লেখাটি প্রথম আলো ব্লগে প্রথমে দেওয়া হয়েছিল]
৭২ টি মন্তব্য
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক২৬ জুন ২০১৪, ২০:২১
আরজু মুন জারিন২৬ জুন ২০১৪, ২০:২৩
পারিবারিক জীবন আর কর্মজীবন আলাদা হলেও এগুলো একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল। পারিবারিক জীবন সুখের হলে তা কর্মজীবনকে আলোকিত করে। স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে ক্লায়েন্ট-এর সাথে কত ভদ্রতা করা যায়! সন্তানের প্রতি উদাসীনতা স্ত্রীর প্রতি উদাসীনতার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেবল। দাম্পত্য জীবনে ভালো সম্পর্ক না থাকলে সন্তানের সাথেও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। সম্পর্কের দূরত্ব অবচেতনে মনের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ ও হতাশাবোধ সৃষ্টি করে। এরই পরোক্ষ প্রভাব গিয়ে পড়ে কর্মজীবন ও কর্মস্থলে। সিইও জানতেন এসব বিষয় কখনও বক্তৃতা দিয়ে বুঝানো যাবে না – দরকার ডেমোনস্ট্রেশন। তাই তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই কর্মকর্তাদের পারিবারিক জীবনকে উন্নত করতে চাইলেন। তাতে যদি কর্মস্পৃহা এবং পেশাদারিত্ব বাড়ে!
অসাধারণ লিখা। আমি পুরা টা আবার পড়ব মইনুল ভাই। তারপর বিশদ মন্তব্য। না আপনাকে আমার সালাম জানাতে হয়। এই লিখা শুধু আপনার কলম থেকে আসবে।
ফেরদৌসা২৬ জুন ২০১৪, ২০:২৪
১০০তম পোস্টের জন্য অভিনন্দন
লেখায় লেখায় এবং বাস্তবে আপনার মত একজন বন্ধু পেয়ে আমিও ভাগ্যবান
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক২৬ জুন ২০১৪, ২০:২৪
এসব কি প্রমোশনের সাথে প্রাসঙ্গিক? উত্তরে এইচআর ম্যানেজার স্মিত হেসে শুধু বললেন, সব প্রশ্ন সিইও তৈরি করেছেন। এবং তিনি সেকশন বি’তে ৮০% নম্বর নির্ধারণ করেছেন।
ধন্যবাদ মাঈন উদ্দিন ভাই।
আরজু মুন জারিন২৬ জুন ২০১৪, ২০:২৪



শহীদুল ইসলাম প্রামানিক২৬ জুন ২০১৪, ২০:৩১
শুভেচ্ছা জানাই
কেমন আছেন ব্লগ প্রিয়
মাঈনউদ্দিন ভাই।
কামরুন্নাহার২৬ জুন ২০১৪, ২০:৩১
প্রথমেই শততম পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা——-
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক২৬ জুন ২০১৪, ২১:১৭
কামরুন্নাহার২৬ জুন ২০১৪, ২০:৩২
খ/২. প্রথম সন্তানের উচ্চতা লিখুন।
গ/৩. সন্তানের প্রিয় খাবারটি কী?
ঘ/৪. আপনার সন্তান কোন্ ক্লাসে পড়ে? অথবা, ক্লাসে তার অবস্থান কী?
ঙ/৫. আপনার সন্তান কোন্ বিষয়টিতে সাধারণত কম নম্বর পায়?এসব কি প্রমোশনের সাথে প্রাসঙ্গিক? উত্তরে এইচআর ম্যানেজার স্মিত হেসে শুধু বললেন, সব প্রশ্ন সিইও তৈরি করেছেন। এবং তিনি সেকশন বি’তে ৮০% নম্বর নির্ধারণ করেছেন।কেমন হলো




নীল সাধু২৬ জুন ২০১৪, ২০:৩৭
শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন মঈনুল ভাই।
ব্লগে আপনার উপস্থিতি আমাদেরকে আনন্দিত করে।
আপনার পোষ্ট মানে অন্যান্য সকল পোষ্ট থেকে অনেকটাই ভিন্ন।
মনে ভাবনার খোরাক তৈরি করে।
আপনি আমাদের ব্লগরত্ন।
ভালোবাসা জানবেন।
ফেসবুকে নিউজে গুগলের এই কাহিনীটি আমি পড়েছি।
আমি নিজেও চমৎকৃত হয়েছি।
এ ছাড়া কর্পোরেট লাইফ নিয়ে যা বলেছেন সেখানেও সহমত জানাই।
আমরা অনেকেই বুঝতে বা মানিয়ে নিতে পারিনা কর্ম এবং জীবনের নানা অনুষঙ্গগুলোকে
যা পারা উচিত সকলেরই
কারণ জীবন একটি।
আর কোন ২য় জীবন আমরা কেউই পাবো না
ভালো থাকুন। নিরন্তর শুভকামনা।
সালমা কবীর২৬ জুন ২০১৪, ২০:৪৭

ভাল লাগল।

সালমা কবীর২৬ জুন ২০১৪, ২১:১০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক২৬ জুন ২০১৪, ২০:৫১

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক২৬ জুন ২০১৪, ২১:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম২৬ জুন ২০১৪, ২১:০১
প্রথমে শত কোটি সালাম নিবেদনপূর্বক শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন। পর সমাচার এই যে, আমরা আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর শুনিয়া হুদাহুদি হাত তালি দেই। কর্পোরেট হাউসগুলির অভ্যন্তরে কত কী ঘটে তাহা আমাদের মতো নাদানদের বোধগম্যতার অতীত। প্রমোশনের প্রশ্নগুলি পড়িয়া বহু বছর আগে আমার আক্কেল দাঁত গজাইবার সময় যে ব্যথা হইয়াছিল অনুরূপ অনুভূতি হইল, এতটুকু বলিতে পারি।
ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দীন মইনুল ভাই।
দীপংকর চন্দ২৬ জুন ২০১৪, ২১:৩৭
শততম পোস্টটি বৃহস্পতিবার উপলক্ষে শিশুদের জন্য উৎসর্গিত।
প্রিয় মইনুল ভাই,
শত শুভেচ্ছা ।
শততম ধাপ স্পর্শ করার ক্ষণটি অসাধারণভাবে সাজানো মনে হলো আমার কাছে।
ক্যাটির চিঠির মতো স্বর্গীয় হোক জীবন।
ইতি, আমি।
পুনশ্চ: শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
পুন: পুনশ্চ: ভালো থাকবেন। সবসময়।
শাহিদুল হক২৬ জুন ২০১৪, ২১:৪১
আপনার শততম পোস্টের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আজ হঠাৎ করেই এখানে চলে আসা। আপনার পোস্ট বিধায় অনেক গুরুত্বসহকারে পড়লাম। অভিব্যক্তিটা ভিতরেই থাক। শুভকামনা রেখে গেলাম।
নীল সাধু২৬ জুন ২০১৪, ২১:৪৮
শুভেচ্ছা


হামি্দ২৬ জুন ২০১৪, ২১:৫৫
১০০তম পোস্টের জন্য অভিনন্দন মইনুল ভাই…………………..
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা২৬ জুন ২০১৪, ২২:১১
অভিনন্দন।






মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা২৬ জুন ২০১৪, ২৩:০৪
শত পোস্টের চেয়ে বেশী ভারী এ শততম পোস্টটি । ক্যাটি আর গুগলে চিঠি চালাচালি সারা বিশ্বের জন্য মডেল হয়ে থাকলো।
আশা করি শিশু ক্যাটির এ চিঠি অনেক বাবাদের ভেতরের চোখ খুলে দিবে। এ ক্ষেত্রে গুগলকে ধন্যবাদ দিতে পারি।
তবে একটি বিষয়— অনেক বাবা আছেন প্রবাসী। জীবিকার কারণে তাদের বিদেশ যাত্রা। যতটুকু জানি অধিকাংশ কঠোর পরিশ্রম করেন আর দেশে আসেন দু-তিন বছর পর পর। এ ক্ষেত্রে প্রভাব আরো বিরূপ হবে বলে মনে হয়। দুয়েকটি পরিবারের কাহিনি নিজে দেখে ব্যথিত হয়েছি।
ক্যাটিরা সচেতন আছে তারা বাবাদের মিস করে। এখন বাবাদের সচেতন হবার পালা। না হলে Sweet Home আর থাকবে না হয়ে যেতে পারে Hellish Home.
আবারো অভিন্দন।
শুভকামনা থাকলো আগামী সব লেখার জন্য।
লুৎফুন নাহার জেসমিন২৬ জুন ২০১৪, ২৩:২৮
প্রথমে অভিনন্দন জানাই শততম পোস্টের জন্য । ফুলের ছবি কিন্তু আমার নিজের হাতে তোলা
নাসরিন চৌধুরী২৭ জুন ২০১৪, ০২:১০
শ্রদ্ধা মইনুল ভাই—আপনার পোষ্ট বলে কথা।
আগে শততম পোষ্টের জন্য অভিনন্দন।
পারিবারিক জীবন আর কর্মজীবন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনেকে বাবা’রাই রেসের ঘোড়ার মত ছুটেই চলি কিন্তু নিজের সন্তান কোন ক্লাসে পড়ে সেটার খবর জানিনা–এমন উদাহরন দেয়া তেমন কষ্টকর কিছুনা। আবার অনেক বাবা’রা সত্যিই অনেক হতভাগ্য বাবা যারা জীবনের প্রয়োজনে পরিবার ও সন্তান থেকে দূরে–যে কথাটি বাবলা ভাই বলেছেন।
আমার মনে হয় আমরা সবই বুঝি –জানি , কিন্তু মানতে চাইনা।
সন্তানের আকুলতা –বাবার ভালবাসা –স্বামী স্ত্রী’র সম্পর্ক ইত্যাদি বেশ ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার লেখাটিতে।
আমি বিশ্বাস করি আপনার সন্তান’রা অনেক ভাগ্যবান–তেমনি ভাবীও।
আমরা আমাদের জীবনে ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করবো–সেটাই করা উচিত।
আপনার পোষ্টে আমি ভয়ে ভয়ে কমেন্ট করি —পাছে যদি ভুল করে ফেলি !!!!
ধন্যবাদ অনেক –বেশ ভাল একটি পোষ্ট পড়ে ঘুমুতে যাচ্ছি
সাঈদ চৌধুরী২৭ জুন ২০১৪, ০৯:৩৬
রব্বানী চৌধুরী২৭ জুন ২০১৪, ১০:০৪
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় মইনুল ভাই
শততম পোস্টে প্রিয় সহব্লগারদেরকে প্রীতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
শততম পোষ্টের জন্য আপনারকে আমাদের অভিনন্দন ও অসংখ্য শুভেচ্ছা।
রব্বানী চৌধুরী২৭ জুন ২০১৪, ১০:১৫
শততম পোস্টটি বৃহস্পতিবার উপলক্ষে শিশুদের জন্য উৎসর্গিত।
শততম পোস্টটি বৃহস্পতিবার উপলক্ষে শিশুদের জন্য উৎসর্গিত করার জন্য সঠিক কি ভাবে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে হবে তা আমার অন্ততঃ জানা নেই, এ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা আপনাকে জানানো অন্তরের অনেক গভীর থেকে তা আপনি নিিজের অন্তর দিয়ে অনুভব করে নিবেন আশা রাখি।
প্রসংগতঃ কথাটি ভিন্ন মতের সৃষ্টি করতে পারে তবুও আমার ধারণা, আমরা আমাদের নিজের সন্তানকে বা শিশুদেরকে যতটুকু স্নেহ ভরা দৃষ্টিতে, হৃদয় দিয়ে দেখি থাকি ঠিক তেমন করে অন্যের সন্তানকে বা শিশুদেরকে ঠিক তেমন ভাবে দেখি না।
আমার ধারণা দৃষ্টি ভংগি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সকল শিশুকে আমারা নিজেদের মধ্যে সম্পৃক্ত করতে পারি- এমনই একটি বার্তা আপনার পোষ্টটিতে পাওয়া যাচ্ছে।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন মইনুল ভাই।
পরানের কথা২৭ জুন ২০১৪, ১০:১৭
ভালো লিখতে পারিনা আমি। অভিনন্দন জানানোতেও তাই আমি পিছিয়ে । সংখ্যা ও গুণ– দুদিক থেকেই। তবু হৃদয় থেকে শুধু এটুকুই বলছিঃ আমার খুব ভালো লাগছে। সংখ্যায় ১০০ আমার কাছে মূখ্য ঠেকছে না; আমি আপনার লেখার গুণের কথাই বলতে চাচ্ছি শুধু। প্রতিটি পোস্ট স্বকীয়তায় অনন্য; উর্বরতায় অনন্যসধারণ। ইংরেজিতেই বলতে হচ্ছে;;; আঊটস্ট্যান্ডিং।
অভিনন্দন মইনুল ভাই।
ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স নিয়ে ১০০তম পোস্টটি পরান ছুঁয়ে যাওয়া। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করি আমি। এখানে অবস্থা আরো খারাপ। করুণ বলতে পারেন। কষ্ট নিয়ে আমি লিখেছিলামঃ
গাছ লাগিয়ে এক ধরন;ফল চাই যে সব
মাল্টিটাস্কিং-এর নামে এইতো প্রাইভেট জব
রাইটস আর নট শিউরড
প্রিভিলিজেস আর লিউরড
ফিটফাট লেবাসে সব; মনে শূন্য অনুভব।।
আপনার জন্য ভালোবাসা আর শুভকামনা ।
রব্বানী চৌধুরী২৭ জুন ২০১৪, ১১:৪৬
বিখ্যাত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিসের কর্মকর্তারা ইদানিং বড় বড় ভুল করছেন স্টেইকহোল্ডারদের সাথে। সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বড় বড় ক্রেতা ও সাপ্লাইয়ারের সাথে।
আমার ধারণা মানুষ যখন অফিসে কাজ করতে এসে অফিস ও বাসাকে এক করে ফেলেন তখন এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
রব্বানী চৌধুরী২৭ জুন ২০১৪, ১১:৫৯
বিষয়টি নিয়ে বিশেষ অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য মানবসম্পদ বিভাগকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হলো সিইও’র অফিস থেকে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত নথিপত্রে হামলা চালিয়ে বিশেষ কোন কারণ পাওয়া গেলো না।
আমারও কোন ধারণা নেই, তবে অফিসে কাজ করতে এসে নিজে বেশ কয়েকজন মানবকে খুঁজে পেয়েছি, যেমন, অফিস মানব, কর্ম মানব, অর্থ মানব, পারিবারিক মানব, সামাজিক মানব ইত্যাদি নানান মানব।
– যিনি অফিস মানব তিনি সারাক্ষণই শুধু অফিসের কথা বলেন, অফিসের মালিকের কথা বলেন, অফিসের নিয়ম নীতির কথা বলেন ও মেনে চলেন। এর বাইরে যে আরও কিছু জগৎ আছে তা ভেবে দেখে না।
– যিনি কর্ম মানব তিনি সারাক্ষণই শুধু অফিসের কাজ নিয়ে মহা ব্যস্ত থাকেন, অফিসের কাজের কথা বলেন, অফিসের নিয়ম নীতি মেনে সারা ক্ষণ কাজ করেন। এর বাইরে যে আরও কিছু কাজ করার আছে তা ভেবে দেখে না।
– যিনি অর্থ মানব তিনি সারাক্ষণই শুধু কী ভাবে অর্থ আয় করবেন বা কিছু বাড়তি আয় এই নিয়ে মহা ব্যস্ত থাকেন, অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছু বাড়তি আয়ের কথা ভাবেন, বাড়তি আয়ের কথা ভেবে সারা ক্ষণই কাজ করেন। অর্থ আয় ছাড়া যে বাইরে আরও কিছু কাজ করার আছে তা ভেবে দেখে না।
– যিনি পারিবারিক মানব তিনি সারাক্ষণই শুধু তার পারিবারিক ভাবনা নিয়ে মহা ব্যস্ত থাকেন, এরা খুব গুছানো মানব বাসা থেকে খাবার এনে খায় অফিস থেকে বার হয়ে সোজা বাসায় চলে যায় বা বাসায় ফিরার পথে দোকানে ঘরের কিছু সওদা এই সব বা পরবিরকে নিয়ে ডাক্তার আত্মীয় স্বজনের বাসায়, সময় মত ঘুমিয়ে পড়া সকালে অফিসে আসা। অফিস -বাসা ছাড়া বাইরে যে আরও কিছু কাজ করার আছে তা ভেবে দেখে না।
– যিনি সামাজিক মানব তিনি সারাক্ষণই শুধু নানান সামাজিক বিষয়ের ভাবনায় মহা ব্যস্ত থাকেন যেমন রাজনীতি, অর্থনীতি সমাজের নানান বিষয়ে বেশ পন্ডিত ধরনের, এরা বেশ অগুছানো মানব বাসার খাবার খায় না, সকলের সাথে খায়, অফিস থেকে বের হয়ে সোজা বাসায় না গিয়ে অন্য জায়গা ঘুরে বাসায় যায় নিজের পরিবারকে তেমন সময় দেয় না।
তবে আমার ধারনা উপরের প্রতিটি মানবের সাথে আরো কতকগুলি মানের বৈশিষ্ঠ নিযে চলা উচিত যেমন অফিস মানব হিসবে ১৫ ভাগ, কর্ম মানব হিসিবে ১৫ ভাগ, অর্থ মানব হিসাবে ১৫ ভাগ,…………. এই ভাবে।
তবেই হয়তো তার প্রতিটি কাজে সে গুরুত্ত্ব পূর্ণ হয়ে উঠবেন, পোষ্টের সিইও যা যাচ্ছেন তার কিছু অংশ হয় তো পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ মইনুল ভাই পোষ্টটি আমার কাছে এই গুরুত্ত্ব পূর্ণ যে আমার এখানে অনেক কিছুই লেখার আছে তবে নানান ব্যস্তার কারণে তেমন ভাবে লেখা হচ্ছে না।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় মইনুল ভাই।
আহমেদ রব্বানী২৭ জুন ২০১৪, ১২:০৪
আমি মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় পড়লাম।অভিনন্দন জানাতে তাই একটু দেরী হয়ে গেল প্রিয়।
ছোট্ট কেটি আর গুগলের চিঠিটি সত্যি অসাধারণ।
আহমেদ রব্বানী২৮ জুন ২০১৪, ০০:০৭


ভোরের মিছিল২৭ জুন ২০১৪, ১৪:৫৫
যাদব সূত্রধর২৭ জুন ২০১৪, ১৯:০০
পড়ে অনেক ভাল লাগলো।শততম পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা।আরও অনেক লিখুন।
শুভকামনা.
ফেরদৌসা২৭ জুন ২০১৪, ২০:৫৭

উদয়ের বাণি২৮ জুন ২০১৪, ০০:১৩
শুভেচ্ছা জানাই.
ব্লগ রতন মাঈন ভাই
উদয়ের বাণি২৮ জুন ২০১৪, ০০:১৪

পুলক বিশ্বাস২৮ জুন ২০১৪, ১১:৩৪
ব্যতিক্রমধর্মী পোস্ট যা আপনার সহজাত। এসব না হলে আমরা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হই। ব্লগটাকে বনস্পতির ছায়ায় রেখেছেন বলে আমরা শ্যামল ছায়া পাচ্ছি।
আশা করছি রুঢ়তা পাবো না কোনোদিন।
অনেক অনেক শুভকামনা মইনুল ভাইয়ের প্রতি।
তৌফিক মাসুদ২৬ জুলাই ২০১৪, ১৩:১৮
আপনার লেখা পড়ে আপ্লুত হলাম। কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও এমন লেখা উপহার দিয়েছেন আমাদের। যারা জীবনের এই সময়টা পার করছেন তাদের পারিবারিক সমস্যাগুলো মিটে যাক।
যারা এখনো ইউনিভারসিটি তে আছেন তারা এই লেখার উপরে ভিত্তি করে দারুন এস্যাইনমেন্ট তৌরী করতে পারেন, আর যারা প্রতিষ্ঠানের এইচ আর এ আছেন তারা এমন একটা টেষ্ট নিয়ে নিতে পারেন।
চাকুরী হাড়ালে মইনুল ভাই দায়ী থাকবেন না।
অগ্রিম ঈদ মোবারক।