ইদানিং রাখাল বালক
১) গন্তব্যহীন সন্তরণ আর কত ভালো লাগে!
.
ইদানিং জীবন সাগরে সন্তরণে
সনাতন আলসেমি আঁকড়ে ধরে…
মনোযোগ মনোসংযোগ ইদানিং
প্রতিনিয়ত প্রতিরোধ করে।
.
ইদানিং সুহৃদ-সঙ্গ রসরঙ্গ
আটকে আর রাখে না…
নিজের সাথে নিজের সঙ্গ
প্রতিবাদী বোধের অঙ্গ
ঝগড়া হলেও রাগে না।
.
ইদানিং গোপন কিছু অনুভবে
বুকের ছাতি থাকে ধোঁয়াচ্ছন্ন…
ছলনার ডাক আর ছদ্ম রোগে!
নিঃসঙ্গতা নীলাকাশে একাকার…
পাখির ডাকে চকিত হৃদয়
ইদানিং ধুকধুক করে বুকে।
.
.
২) সূর্যের পরশ পেলেই বোধগুলো নিশাতুর প্রাণীর মতো সজাগ হয়ে ওঠে। সজীব হয়ে ওঠে; না হয় পালিয়ে যায়। বলা যায় সাবধান হয়ে যায়। পক্ষান্তরে অবাঞ্ছিত বোধগুলো কিছু সময়ের জন্য প্রস্থান করে। এমনকি দিনের বেলাতেও একটু অন্ধকার পেলেই বুকের গহীনের নিষিদ্ধ স্পর্শভুক অনুপ্রাণীগুলো যেন আসকারা পেয়ে যায়। অন্ধকার যদি নাও থাকে, একটু একাকীত্বেই ওদের পোয়াবারো! ঘিরে ধরে একাকী রাখালকে। আর রাখালের কথা তো বলাই বাহুল্য। মাত্র একবার কি দু’বার সে প্রত্যাখ্যান করবে। তৃতীয়বারের আবেদন সে ফিরিয়ে দেয় কীভাবে! কখনও দেয়নিও।
.
তাই রাখাল বালকের জন্য সূর্যালোক শুধু আলো আর তাপের উৎস নয়। এটি তার পাহারাদার। স্পর্শভুক থেকে নিরাপত্তা। কিন্তু কতকাল সূর্যের আলো তাকে পাহারা দিয়ে রাখবে? স্পর্শভুক প্রাণীগুলোর কি মরণ নেই? অতএব এটি এখন শৈশবের ঐকিক অংকের মতো সোজা। অর্থাৎ রাখাল বাবুর বিপদ অবশ্যম্ভাবী। এ যেন নিয়তির নিয়মে নির্ধারিত! আহা, করুণা করারও সময় গেলো বলে!
.
.
[বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রথম আলো ব্লগ থেকে স্থানান্তরিত: ১৪ মে ২০১৪]