ব্যর্থ হোন, সফলতার সাথে – let’s fail successfully!
[এক]
আজ আমরা কমপিউটার ব্যবহার করছি যেখানে সেখানে। টেবিলে কম্পিউটার – কোলেও কম্পিউটার, হাতের মুঠোতেও কম্পিউটার – হাতের কব্জিতেও কম্পিউটার। সত্তরের দশকের আমেরিকার অবস্থা এরকম ছিলো না। মার্কিনীদের কমপিউটার ব্যবহারে বিপ্লব এনেছিলেন স্টিভ জবস। চলমান বিশ্বের বিখ্যাত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান অ্যাপেল’র প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ম্যাকিনটশ তৈরি করলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন মার্কিনীদের গর্বের প্রতিষ্ঠান অ্যাপেল। ম্যাকিনটশ তৈরি করে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিলেন। প্রাপ্তবয়স্ক হতে না হতেই তারকা বনে গেলেন স্টিভ। কিন্তু প্রতিভাবান মানুষেরা ভালো প্রশাসক হতে পারেন না – এটি তাদের সাথে যায় না। তিনি ব্যর্থ হলেন। কিন্তু ফল খুবই ভয়ানক। এক বছরের মধ্যেই নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হলেন। “আমার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের একমাত্র মনযোগের বিষয়টি থেকে বিতাড়িত হলাম। এটি ছিলো নিঃস্ব হয়ে যাবার মতো অবস্থা। ভেবেছিলাম সিলিকন ভ্যালি ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো। কিন্তু আমার কাজটিকে আমি দারুণ ভালোবাসতাম। তাই নতুন করে শুরু করলাম।” অ্যাপল থেকে নির্বাসিত হয়ে জবস তার আসল সত্ত্বাকে খুঁজে পেলেন। তিনি ‘নেক্সট’ প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৯৯২-১৯৯৩ সাল থেকে যারা কমপিউটার ব্যবহার করছেন, তারা হয়তো নেক্সট দেখে থাকতে পারেন। তিনি এনিমেশন স্টুডিও ‘পিকসার’কে বিখ্যাত করে তুলেন কর্পোরেট জগতে। তৈরি হয় ওয়াল্ট ডিজনি’র কার্টুন ছবিগুলো। নিজের প্রতিষ্ঠানকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যান, যার মাধ্যমে আবার তিনি স্বগৌরবে অ্যাপেলে ফিরে আসেন। রূপকথার গল্পের মতো। মাইক্রোম্যানেজার হিসেবে স্টিভ জবসের দুর্নাম আছে। প্রতিভাবানদের এসব দোষ থাকেই। কিন্তু ব্যর্থ না হলে এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা না পেলে স্টিভ জবসকে আজকে আমরা চিনতেই পারতাম না। (১)
ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা থেকে সফলতার উচ্চশিখরে ওঠেছেন, এমন আরেকটি দৃষ্টান্ত হলেন, বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী এবং ডি ভ্যালেরা’র চেয়েওউচ্চতর স্থান দিয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে (১৮৮৮-১৯৮৮) । নিউজউইক ম্যাগাজিন যাকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে অভিহিত করেছিল (এপ্রিল ১৯৭১), সেই বঙ্গবন্ধু জেনেছিলেন সফলতার জন্য দরকার আত্মবিসর্জন। তিনি বলতেন, “কীভাবে জীবন দিতে হয়, তা আমরা এতদিনে শিখে গেছি। কাজেই কেউ আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।” বারবার তিনি নিজেকে ফাঁসিকাষ্ঠে তুলে দিয়ে নিজেকে সমর্পন করেন। তেইশ বছরে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যর্থতার পথ ধরে আসে সফলতার মাহেন্দ্রক্ষণ। এই তালিকাটি একদম ছোট নয়, ওয়াশিংটন, নিউটন, নেপোলিয়ন… এভাবে অনেক নাম বলা যায়। তারা ব্যর্থতা থেকে সফলতার বীজ খুঁজে পেয়েছেন।
[দুই]
//ভালোভাবে চেষ্টা করলে ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তা করার সময়ই পাওয়া না। কিছু ব্যর্থতা বিজয়ের চেয়েও বিজয়ী করে তোলে। কৃতিত্বের মাধ্যমে সফলতা আসে এরকম ধারণা করা ভুল। সফলতা আসে ব্যর্থতার পথ ধরে। সফলতার চেয়ে অধিক ব্যর্থতা আর কোথাও নেই, কারণ সফলতা থেকে আমরা কিছু শিখি না। আমরা শিখি শুধু ব্যর্থতা থেকে।// (২)
ভালোমতো ব্যর্থ না হলে নাকি সেখান থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া যায় না। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে এবং ষোলকলায় ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত যেমন সমস্যার রকম বুঝা যায় না, তেমনি জেদও আসে না মনে। সফলভাবে ব্যর্থ হবার প্রক্রিয়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে সফলতার বীজ।
‘নিশ্চিত ব্যর্থতা’ বিকল্প পথ ধরতে অনুপ্রাণিত করে। পারবো-কি-পারবো-না মনোভাব আমাদেরকে লেগে থাকা আর ছেড়ে দেবার মাঝ পথে আটকে দেয়। আমরা কিছুই করতে পারি না। সফল হতে তো পারিই না, ব্যর্থ হবারও সুযোগ পাই না। মাঝখানে জীবনের মূলবান সময় নষ্ট হয়ে যায়।
ব্যর্থতার ভয় আমাদেরকে প্রচেষ্টা থেকে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের অহংকার অল্পতেই আহত হয়। ছেড়ে দিই, না বুঝেই। ফিরে আসি ব্যর্থ হবার আগেই। ফলে নিজের ত্রুটি বা দুর্বলতা কোথায়, তা বুঝতে পারি না। নিজেকে জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হই।
আমি ব্যর্থ হই নি – শুধু জানতে পেরেছি যে ১০,০০০টি উপায় কেন কাজে আসবে না (থমাস আলভা এডিসন)। হেনরি ফোর্ড বলেন, “প্রকৃত ভুল তখনই হয়, যখন তা থেকে আমরা কিছুই শিখি না।” কিন্তু ব্যর্থতার ভয় আমাদেরকে চেষ্টা করা ও ভুল করা থেকে বিরত রাখার কারণে আমাদের শেখা হয় না।
[তিন]
ব্যর্থতাকে আপনি কী ভাবে দেখছেন, সেটা আপনার সাফল্যের বড় ভিত। এই মত রাহুল দ্রাবিড়ের। এবং এই মতামত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দ্রাবিড় যেমন নিজের উদাহরণ এনেছেন, তেমনই টেনে এনেছেন সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারকেও।
বেঙ্গালুরুর এক স্পোর্টস কনক্লেভের মঞ্চে গতকাল, বুধবার বলতে উঠেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের এক সময়ের বড় ভরসা, ‘দ্য ওয়াল’। টেস্ট এবং ওডিআই মিলিয়ে দ্রাবিড়ের মোট রান ২৪,১৭৭। মোট সেঞ্চুরি ৪৮টি। কিন্তু এই সাফল্যের থেকে তাঁর ব্যর্থতা যে অনেক বেশি, সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। দ্রাবিড় বলেন, “আমার সময় অর্ধশতরানকে ন্যুনতম ভাল স্কোর বলে বিবেচনা করা হত। সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে আমি ভারতের হয়ে ৬০৪ বার ব্যাট করেছি। তার মধ্যে ৪১০ বারই ৫০ রানের গণ্ডি পেরতে পারিনি। আমি যত না সাফল্য পেয়েছি, তার থেকে বেশি ব্যর্থ হয়েছি। সাফল্যের তুলনায় আমার ব্যর্থতাই বেশি।”
একই কথা স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকরের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ভাবে প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। “আমার সময়কার সেরা ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকর। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছে ও। কিন্তু ভারতের হয়ে সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলিয়ে ৭৮১ বারের মধ্য ৫১৭ বারই হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি। ফলে সচিনেরও সফল্যের তুলনায় ব্যর্থতাই বেশি।”
কেন এমন উদাহরণ তুলে ধরলেন রাহুল? তাঁর মতে, ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিখতে হবে যে, ব্যর্থতাকেই সাফল্যের মূল ভিত্তি। ব্যর্থতার পথ ধরেই সাফল্য আসে।
ওপরের (তিন নম্বর) অংশটি সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সংযুক্ত। তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭।
[চার]
ব্যর্থতা থেকে কোনকিছু শেখা অবশ্য সহজ কাজ নয়। কে তিক্ত পথে শিখতে চায়! নিজের ভুল বা ত্রুটিকে আমরা খুব কমই দেখতে পাই। যা কামনা করি, তাতেই লেগে থাকি আমরা। যেটি আমাদের প্রয়োজন, সেটিই আকর্ষণীয়। যাকে চিনি সে-ই নজরে আসে। আমাদের মস্তিষ্ক এমনভাবে গঠিত যে, আমরা যা চাই, তা-ই দেখতে পাই। অন্যেরা ভুল করুক তা আমরা চাই, তাই অন্যের ভুলই শুধু দেখি। নিজের দুর্বলতা দেখা যায় না, কারণ তা আমরা চাই না। সহকর্মীর ভুল ধরা তার চেয়ে ঢের বেশি সহজ, কারণ এটা আমরা দেখতে চাই। ভুল থেকে শিখতে চাইলে, নিজের দিকে দৃষ্টি দিতে হয়।
মস্তিষ্ক বিভ্রম সেটিকেই বলে যখন যখন ভালোকে মন্দ এবং মন্দকে ভালো মনে হয়। আমাদের মস্তিষ্ক যেহেতু আমাদের বিপক্ষেই কাজ করে, সেহেতু ব্যর্থতা থেকে শেখার জন্য আমাদের কিছু শৃঙ্খলা মানতে হয়। শৃঙ্খলার কথা বললেই, মনে পড়ে যায় সেনাবাহিনীর কথা। শৃঙ্খলতাই তাদের শক্তি। প্রতিটি কাজের শেষে তারা ৪টি প্রশ্ন নিয়ে ‘কাজ-পরবর্তি, মূল্যায়নে বসে যায়। ১) আমাদের উদ্দেশ্য কী ছিলো? ২) কী হয়েছে? ৩) কেন তা হয়েছে? ৪) পরবর্তিতে আমরা কী করতে পারি? কিন্তু নিজেদের কাজে সফল হবার জন্য সকলকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে, তা তো সম্ভব নয়। তবে কাজের শেষে এধরণের আত্মমূল্যায়ন আসলে কাজেরই অংশ।
আমরা ব্যর্থ হতে চাই, যেন পরিপূর্ণরূপে সফল হতে পারি। সফলতার জন্যই ব্যর্থতার প্রতি ভয় কাটুক। নোবেল বিজয়ী এবং ‘ওয়েটিং ফর গোডো’ খ্যাত আইরিশ লেখক স্যামুয়েল বেকেটের উক্তি দিয়ে শেষ করছি:
“আবার চেষ্টা করুন – আবার ব্যর্থ হোন – ভালোভাবে ব্যর্থ হোন।”
(এলোমেলো নোটসকল)
———————————————————————————————
লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে সরাসরি স্থানান্তরিত।
———————————————————————————————-
০
লেখক বলেছেন:
আমি দেখেছি যেসব কাজ ভালোমতো পারি না, সেগুলোতে ব্যর্থ হবার অভিজ্ঞতা ছিলো না
ধন্যবাদ, মামুন ‘রসিক’ ভাই …..
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সফলতার চেয়ে অধিক ব্যর্থতা আর কোথাও নেই, কারণ সফলতা থেকে আমরা কিছু শিখি না। আমরা শিখি শুধু ব্যর্থতা থেকে।
চমৎকার জীবন দর্শন। ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল হতে চাই।
+++++
০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রবাসী পাঠক….
দুবাইয়ে ব্লগ দিবসের ডাক দিন….
আমরা যেতে পারি না পারি আওয়াজ দেবো অবশ্যই
দীপংকর চন্দ বলেছেন: “আবার চেষ্টা করুন – আবার ব্যর্থ হোন – ভালোভাবে ব্যর্থ হোন।”
চিন্তায় ফেললেন! ভীষণ রকম!
অনেক অনেক ভালো, সুগ্রন্থিত উপস্থাপন।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন। সবসময়।
০
লেখক বলেছেন:
কবি দীপংকর চন্দকে দেখে খুশি হলাম…
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন

১
লেখক বলেছেন:
আচ্ছা…. ওকে…. অলরাইট…. কোই বাত নেহি….
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: “আবার চেষ্টা করুন – আবার ব্যর্থ হোন – ভালোভাবে ব্যর্থ হোন।”
আমি ব্যর্থ হইতাম চাই মাঈনুল ভাই সফলতার জন্য।
দারুণ+++++++++++++++
০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম….

০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ

০
লেখক বলেছেন:
এটি দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়…
আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছঅ, রিয়াদ হাকিম

ব্যর্থতা আছে বলেই আপনি আমি এখানে এইভাবে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে হচ্ছে ! তা-না হলে তো গুহায় বসেই খোঁচাখুঁচি করতুম… আপনার এহেন লেখালেখি আমাকে আনন্দিত করে …কৃতজ্ঞতা।
০
লেখক বলেছেন:
আমার লেখালেখি আপনাকে আনন্দিত করায় আমিও আনন্দিত
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, প্রিয় অন্ধবিন্দু
০
লেখক বলেছেন:
তাই?
অনেক আনন্দ পেলাম, ইমিনা….
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন
সুমন কর বলেছেন: আমরা ব্যর্থ হতে চাই, যেন পরিপূর্ণরূপে সফল হতে পারি। সফলতার জন্যই ব্যর্থতার প্রতি ভয় কাটুক।
অামার জন্য অার্দশ পোস্ট !
শুধু ব্যর্থতা ব্যর্থতা ব্যর্থতা ব্যর্থতা !! ঘুরে ফিরে ….. নাকি নিজের সব ভুল, হিসেব মেলানো দায়!
চমৎকার গুছিয়ে অারো একটি মাষ্টার পিস (পোস্ট) দেবার জন্য ধন্যবাদ।
০
লেখক বলেছেন:
প্রিয় ব্লগবন্ধু সুমন কর, আপনার চোখে মাস্টারপিস আমি গর্বিত….
প্রেরণা দেবার জন্য ধন্যবাদ….
কারও কাজে আসলে সেটি আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি হবে…
ভালো থাকবেন
একলা ফড়িং বলেছেন: যদিও ব্যর্থতা কারো কাম্য নয় তবুও ব্যর্থতার সিঁড়ি না ডিঙিয়ে সফলতার চূড়ায় পৌঁছানো সহজ নয়!
আবার চেষ্টা করুন – আবার ব্যর্থ হোন – ভালোভাবে ব্যর্থ হোন!
পোস্টে প্লাস!
০
লেখক বলেছেন:
একলা ফড়িং আপনি বেশ সুন্দর করে বলেছেন…. ভালো লাগলো
এনামুল রেজা বলেছেন: আমরা ব্যর্থ হতে চাই, যেন পরিপূর্ণরূপে সফল হতে পারি। সফলতার জন্যই ব্যর্থতার প্রতি ভয় কাটুক।
গ্রেট!
০
লেখক বলেছেন:
এনামুল রেজাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা

০
লেখক বলেছেন:
শুভেচ্ছা থাকলো…..
অনেক ধন্যবাদ ভাই/বোন
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই ব্যর্থ শব্দটা নিজের ডিকশানারিতে রাখতে চাই না….. যতক্ষন ডেসিমল ফ্যাক্টর সম্ভাবনা ও আছে…….
পোস্টে ভালো লাগা সহ +++++++++
০
লেখক বলেছেন:
বাহ্…. দারুণ কথা বলেছেন, সোহানী
ধন্যবাদ!
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য……..
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম। এবার আমার জীবনে শুদ্ধভাবে পিলার রোপনের (!) পথে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না
চমৎকার পোস্ট মইনুল ভাই। আসলে সফলতা ব্যর্থতা তো মুদ্রার দুই পিঠের মতই। আর আমরা শুধুই সফল হতে চাই……. প্রকৃতি বা মহাকালের নিয়ম উল্টে যাবে যে!!
১
লেখক বলেছেন:
আরে মহামহোপাধ্যায় বাবু, এতদিন পর!!
কেমন আছেন?
আপনার মন্তব্যে এবার আমিও প্রেরণা পেলাম, ভাই!
অনেক ধন্যবাদ…..
ডি মুন বলেছেন: কিন্তু প্রতিভাবান মানুষেরা ভালো প্রশাসক হতে পারেন না – এটি তাদের সাথে যায় না।
মাইক্রোম্যানেজার হিসেবে স্টিভ জবসের দুর্নাম আছে। প্রতিভাবানদের এসব দোষ থাকেই। কিন্তু ব্যর্থ না হলে এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা না পেলে স্টিভ জবসকে আজকে আমরা চিনতেই পারতাম না।
নিউজউইক ম্যাগাজিন যাকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে অভিহিত করেছিল (এপ্রিল ১৯৭১), সেই বঙ্গবন্ধু জেনেছিলেন সফলতার জন্য দরকার আত্মবিসর্জন। তিনি বলতেন, “কীভাবে জীবন দিতে হয়, তা আমরা এতদিনে শিখে গেছি। কাজেই কেউ আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।”
সফলভাবে ব্যর্থ হবার প্রক্রিয়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে সফলতার বীজ।
ব্যর্থতার ভয় আমাদেরকে প্রচেষ্টা থেকে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের অহংকার অল্পতেই আহত হয়। ছেড়ে দিই, না বুঝেই। ফিরে আসি ব্যর্থ হবার আগেই। ফলে নিজের ত্রুটি বা দুর্বলতা কোথায়, তা বুঝতে পারি না। নিজেকে জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হই।
দারুণ সব অনুপ্রেরণামূলক কথা। কিছু কিছু ঘরের দেয়ালে(সেই সাথে মনের দেয়ালেও) সেটে রাখার মত।
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম++++
প্রিয় মইনুল ভাইকে শুভেচ্ছা।
০
লেখক বলেছেন:
অনেক সুন্দর করে লেখার বিভিন্ন অংশকে মূল্যায়ন করেছেন, আপনি, ডি’মুন। ভালো লেগেছে….
প্রিয়তে যেতে পেরে আমিও আনন্দিত….
শুভেচ্ছা জানবেন
০
লেখক বলেছেন:
শুভেচ্ছা থাকলো, আপনার সঙ্গী হয়ে
ধন্যবাদ, কবি!

চমৎকার পোস্ট মইনুল ভাই। পোস্টে ভাল লাগা।
একটু উল্টো করে বলি সফল হউন ব্যর্থতার মাঝে।
শুভ কামনা।
০
লেখক বলেছেন:
উল্টো হলেও সুন্দর হয়েছে কিন্তু
ধন্যবাদ, অন্তরন্তর…….

১
লেখক বলেছেন:
হাহাহাহা! তাই নাকি? দামের দরকার নেই ভাই, কামে লাগলেই আমি খুশি….
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
লাগসই একটি মন্তব্য করতে গিয়ে হলোনা । সফলতার সাথেই ব্যর্থ হলুম ।
এবার কি এই মন্তব্যটি সফলতা পাবে ??????????
শুভেচ্ছান্তে ।
০
লেখক বলেছেন:
কেন ভাই…. মন্তব্য দিতে সমস্যা হচ্ছে?
আমি তো আপনার স্বভাবসুলভ সুন্দর মন্তব্যটি সহিসালামতে পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ
.jpg)
ভালোমতো ব্যর্থ না হলে নাকি সেখান থেকে পরিপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া যায় না। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে এবং ষোলকলায় ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত যেমন সমস্যার রকম বুঝা যায় না, তেমনি জেদও আসে না মনে। সফলভাবে ব্যর্থ হবার প্রক্রিয়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে সফলতার বীজ। দুঃসময়ে আপনার পোস্টগুলো রিফ্রেসার এর মতো কাজ করে !অনুপ্রেরনাদায়ি পোস্ট টি তাই নিজের কাছেই রাখতে চাই ।
ভালো থাকুন, সুন্দর থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন ।
০
লেখক বলেছেন:
অনুপ্রেরণা হয়েছে? বাহ্ খুশি হলাম… স্বপ্নচারী গ্রানমা!
আপনার শরীর এখন কেমন…. শরীর মনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠুন…
অনেক শুভেচ্ছা
খেলাঘর বলেছেন:
“বঙ্গবন্ধুকে ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী এবং ডি ভ্যালেরা’র চেয়েও উচ্চতর স্থান দিয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে (১৮৮৮-১৯৮৮) ”
-শেখ সাহেব কি করেছেন, মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে; উনি যা বলতেন, তা নিজে বুঝতেন কিনা সেটা বুঝার চেস্টা করছি।
০
লেখক বলেছেন:
-হাহাহা, আমি জানতান এবিষয়টিতে আপনার দৃষ্টি পড়বে।
আপনার মনোভাবকে সম্মান জানাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখুন ভাইজান… তারা যা করেছেন সেগুলো পরিমাপ করতেই কয়েক আমাদের জনম যাবে…
অন্তত দু’একজন নেতাকে রাজনৈতিক ক্যারিকেচার থেকে মুক্ত রাখা উচিত… দেশের কল্যাণেই
আন্তরিক মন্তব্যের অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় সহব্লগার
বৃতি বলেছেন: “আবার চেষ্টা করুন – আবার ব্যর্থ হোন – ভালোভাবে ব্যর্থ হোন।”
সুন্দর পোস্ট ভালো লাগলো ভাইয়া।
০
লেখক বলেছেন:
বৃতিকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা

০
লেখক বলেছেন:
সফলতা না পর্যন্ত
শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় নেক্সাস….
অনেক দিন পর?
আরজুপনি বলেছেন:
আমি ব্যর্থ এমন হতাশার কথাই ভাবতে চাই না । তবে এটা সত্যি ব্যর্থতাই উঠে দাড়াতে সাহায্য করে।
দারুন পোস্ট ।
আপনার হাজারতম পোস্টে মন্তব্য করার আশা পোষণ করি ।
৮ম প্লাস ।।
০
লেখক বলেছেন:
আশাজাগানিয়া আরজুপনির মন্তব্য মানেই হলো বিরাট প্রেরণা পাওয়া।
আপনার মন্তব্য পড়ে গুণে দেখলাম…. দু’বছরে মাত্র ৯৪ পোস্ট
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন… প্রিয় সহব্লগার
০
লেখক বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

০
লেখক বলেছেন:
জনাব, আপনাকেও ধন্যবাদ
০
লেখক বলেছেন:
আরে, মাহমুদ লাকি সেভেন…. এতদিন পর!
কেমন আছেন, ভাইটি? ব্লগ দিবসের আয়োজন হচ্ছে তো?
‘কাজের পোস্ট’ কাজে লাগুক…. আর আমি ধন্য হই!

০
লেখক বলেছেন:
আপনকে অনেক ধন্যবাদ

০
লেখক বলেছেন:
ঢাকাবাসীকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা…….
০
লেখক বলেছেন:
শুভেচ্ছা লিরিকস….!

০
লেখক বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় হাসান মাহবুব…
শুভেচ্ছা জানবেন
]
১. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০০
+++++