১) নতুন-পুরাতন, নবীন-প্রবীণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পেশাদার-অপেশাদার, লেখক-পাঠক, রসিক-সমঝদার, সমাজদার সকলের সমাবেশ এই কমিউনিটি ব্লগ। ‘দৃশ্যমান সমাজের’ (virtual society) বৈশিষ্ট্য নিয়ে এব্লগে সহাবস্থান করছেন সব রকমের এবং সব বয়সের লেখক ও পাঠক। পথ, মত ও আদর্শের ভিন্নতার মধ্যেই একটি পাবলিক ব্লগের সৌন্দর্য্য। কিন্ত এসৌন্দর্য্যকে অক্ষুণ্ন রাখার কাজে প্রধান সহায়ক হলেন সহব্লগাররা।
.
ভাষাগত ভুল ধরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কর্ম। এধরণের ভুলগুলো অনেক সময় আপেক্ষিকও – আমার কাছে যা ভুল, অন্যের কাছে তা সঠিক। একটি প্রতিষ্ঠিত দৈনিক পত্রিকা যাকে লিখছে ‘ইতোমধ্যে’ সকলে সেটিকে দিব্বি ‘ইতিমধ্যে’ লেখে যাচ্ছেন। আমি ভাবতাম ‘ঐকমত্য’, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত লেখকরা এটিকে ভুল না বললেও তাদের লেখায় ‘ঐক্যমত্য’ লেখে যাচ্ছেন। ‘সম্মানকে’ অধিকাংশ মানুষ ‘সন্মান’ লেখছে এবং বলছেও। বড় বড় সমঝদার ব্যক্তি আজকাল ‘সন্মান’ বলেন। বিখ্যাতে লেখকরা আত্মাকে লেখছেন ‘আত্না’, সত্ত্বাকে সত্বা, দ্বন্দ্বকে দ্বন্ধ ইত্যাদি। একে বলে আগ্রাসন – ভাষার নীতিতে বিদ্রোহ। ‘আগ্রাসন’ হলো ভাষা বদল বা বহমানতার একটি বড় কারণ। বেশির ভাগ সময়েই ‘আগ্রাসন’ হয় না জানা এবং না মানার কারণে। ‘আমি মানলাম না আপনার ভাষারীতি, হয়েছে?’ এভাবে ‘অবাধ্য ভাষাভাষীদের’ সংখ্যা অধিক হলে এবং কয়েকটি প্রজন্ম অতিক্রম করলেই সেটি অবধারিতভাবে অভিধানে ওঠবে।
.
অনেকেই অভিধান আর ব্যাকরণের কথা বলেন। ব্যাকরণের গায়ে জোয়ালি রেখে তারা অন্যদের চর্চিত ভাষার ক্ষেত্রে আরামে মই দেন। ব্যাকরণ আর অভিধান কুরানের (বাইবেলের/ গীতার/ ত্রিপিটকের) বাণী নয়। অভিধানের কথা বলি: অভিধান সঠিক শব্দটি বলার জন্য নয়, সকল প্রচলিত শব্দকে তালিকাবদ্ধ করার জন্য। ব্যাকরণের কথা বলি: এর প্রধান কাজ মানুষের ভাষাকে শুদ্ধ করা নয়, মানুষের প্রচলিত ভাষাকে শ্রেণীবদ্ধ ও গ্রন্থবদ্ধ করে তা প্রজন্মের জন্য ব্যবহার-উপযোগী করা। আজকের ‘মাইরালা আমারে’ হয়তো একদিন অভিধানে ওঠবে, সেদিন আমরা থাকি বা না থাকি। অভিধানের শব্দটি হলো একদল মানুষের সুচিন্তিত এবং আলোচনাপ্রসূত সংজ্ঞা। একে ‘অর্থ’ বলাটাও সেটি আপেক্ষিক। আকাশ থেকে এসে পড়ে নি। ফলে সেটি অকাট্য বা অলঙ্ঘনীয় নয়।
.
.
.
২) ভুল ধরবো কার? তিনি কি আমার সংশোধন গ্রহণ করবেন? বা সেটি গ্রহণ করার অবস্থানে আছেন? তিনি কোন্ কিবোর্ড ব্যবহার করেন, এর ওপরও অনেকটা নির্ভর করে, তার ভুলটি ইচ্ছাকৃত কিনা। তাছাড়া আছে বয়সের ব্যাপার; সামর্থ্যের ব্যাপার। লেখকের নামটি দেখলেই কিন্তু বুঝা যায় না, লেখক কোন্ স্তরের। বুঝা যায় না, তিনি কোন্ বয়সের। দেখা যাবে যে, ‘পরিমিত ভাষাজ্ঞান’ অর্জনের সময়ই লেখকের হয় নি, অথবা পেশাগত কারণে সেদিকে বেশিদূর হাঁটতে পারেন নি। কিন্তু আমি একটি তুচ্ছ ভুল ধরে, তার লেখার স্পৃহাকে নষ্ট করে দিলাম অথবা আত্মবিশ্বাসকে বেলুনের মতো ফুটো করে দিলাম।
.
ভুল ধরা এক বিষয়, আর নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করা ভিন্ন বিষয়। সামান্য বানান বা ভাষার ভুলের জন্য বিশাল বড় যুক্তি দেবার প্রয়োজন আছে কিনা, মাঝে মাঝে ভাবি। রূপক উপমা ভাষাগত ভুল থাকলে, বা লেখার মধ্যে পরস্পর-বিরোধী বিষয় থাকলে, সেটি যদি উপযুক্তভাবে উপস্থাপন করা না যায়, তবে নিরবে এড়িয়ে যাওয়াই অনেক সময় ভালো মনে হয়। পর্যাপ্ত দৃষ্টান্ত ও ব্যাখ্যা সহকারে এর মূল্যায়ন করা যায়, যেখানে থাকবে লেখার সবল এবং দুর্বল দিকের ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা।
.
রাজনৈতিক তথ্য, দেশের মৌলিক ইতিহাস, সামাজিক মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয়ে লেখকের অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকলে, সেক্ষেত্রে ভুল সংশোধন সুযোগ সৃষ্টি হয়।
.
কিন্তু আমি সত্যিই ভুলটি ধরবো কি না, সেটা নির্ভর করছে বেশ কিছু পরিস্থিতির ওপর। যথা:
• ভুল বা নেতিবাচক বিষয়টি সব দৃষ্টিকোণ থেকে যথার্থ কিনা
• লেখকের সাথে সম্পর্ক বা বোঝাপড়া
• লেখক কতটুকু বুঝতে পারবেন, সেই সম্ভাবনা
• লেখক নিজেই সেটি সংশোধন করবেন কিনা, সেই পরিস্থিতি
• ভুলটি পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভুলপথে পরিচালিত করার আশঙ্কা আছে কিনা ইত্যাদি
আমরা কেউই সর্বজ্ঞ যেমন নই, তেমনই সকলেই পেশাদার ক্রিটিকও নই। তাই সাহিত্য-বিষয়ক ভুল থাকলে, সেখানে ভারসাম্যপূর্ণ মূল্যায়ন থাকতে হবে। শুধু ভুল দেখালে সেটি একপেশে হয়ে যায়।
.
বিশাল বড় ভুল না হলে এবং তা লেখার মেসেজকে বদলে না দিলে প্রথমত না ধরাই শ্রেয়, যদি সেরকম বোঝাপড়া না থাকে লেখকের সাথে।
.
তারপরও পাবলিক ব্লগ হিসেবে যদি ভুল ধরতেই হয়, সেখানে যেন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটুকু থাকে। যিনি একটু বেশি জানেন, তাকে এ-ও প্রমাণ করতে হবে যে, তার জ্ঞান তাকে বিনয়ী করতে পেরেছে। প্রকৃত জ্ঞানের মানে যেহেতু ‘নিজের অজ্ঞনতার পরিমাপ’ সেহেতু জ্ঞানের প্রথম বহিঃপ্রকাশ হলো বিনয়ে।
.
.
.
৩) আমি খুব চাই, পাঠক আমার লেখার প্রতি ক্রিটিকেল হোক। অনেক লেখার নিচে ‘নির্দয় সমালোচনা’ করার জন্য একটি নিমন্ত্রণপত্রও জুড়ে দেই। কিন্তু অনেকেই সেরকম মন্তব্য করেন না। এপর্যন্ত যারা করেছেন, তারা আমার খুবই আপনজন এবং ঘনিষ্ট ব্লগার। বুঝা গেলো, আপনজনই কেবল সংশোধনের কথা বলেন। এতে পুরোনো একটি বিশ্বাসই আরও দৃঢ় হচ্ছে। তা হলো, যারা ভুল ধরিয়ে দেন, তারা লেখকের উপকারই করেন। যারা নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করেন, তারা গভীরভাবেই লেখাটি পড়েন।
.
বড় ভুল বড় পরিণতি ডেকে আনে। একটি প্রজন্মকে বিভ্রান্ত, সমাজকে বিপথে পরিচালিত করতে পারে। অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে এরকম লেখা পেলে, অরাজনৈতিক বিষয় হলে, সেসব লেখার প্রতিবাদ করেছি। লেখক যা-ই মনে করুন, সামাজিক ব্লগে এটি প্রতিটি ব্লগারের দায়িত্ব।
.
নেতিবাচক দিক নিয়েও আমি কিছু লেখায় মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়েছি। বেশ সোজাসুজিভাবেই তা করেছি। সৌভাগ্যবশত, আমার সাথে কারও সম্পর্ক নষ্ট হয় নি এবং আজ তারা আমার অনেক ভালো বন্ধু। এর কমপক্ষে দু’টি কারণ থাকতে পারে: ক) লেখক প্রাজ্ঞ এবং উন্নয়নকামী এবং/অথবা খ) আমার সাথে তার ভালো সম্পর্ক আছে। তাছাড়াও, সমালোচনাটি গ্রহণ করার জন্য লেখককে কমপক্ষে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।
.
সবশেষে কথা হলো, সমালোচনা যেন সত্যিই হয় ‘সম আলোচনা’: ইতিবাচক এবং নেতিবাচক বিষয়ের সুষম বিন্যাস। কারও দুর্বল দিকের উন্নয়ন করতে গিয়ে তা যেন ব্যক্তিগত রেষারেষিতে গিয়ে না ঠেকে। সমালোচনা হবে সাহিত্য সমালোচনা এবং যুক্তি ও মননশীলতার সুসমন্বয়।
.
.
.
——————-
পরিমার্জন ছাড়াই প্রকাশ করা হলো।
না জানা দোষের নয়
তবে জানতে না চাওয়া ক্রাইম!
সুতরাং ভুল ধরা বা শুধরে দেওয়া
সকল সচেতন ব্লগার ও পাঠকের
দ্বায়বদ্ধতা। সুতরাং ভুল ধরুন, শুধরে দিন,
পরামর্শ সাদরে গ্রহীত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
সহমত জানিয়ে গেলাম।
আলভী ভাই, থ্যাংকস!
//না জানা দোষের নয়
তবে জানতে না চাওয়া ক্রাইম!//
-হাহাহা, মোক্ষম!
নূরু ভাই, ধন্যবাদ!
পোস্ট পড়লাম মইনুল ভাই। কিন্তু মন্তব্যটা কী দেবো সেটা নিয়ে ভাবছি। কারণটা মনে হয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনারই কথা, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। আপাতত
সঞ্চালককে পোস্টটা স্টিকি করার অনুরোধ করে গেলাম।
পরে আবার বিস্তারিত মন্তব্য নিয়ে আসছি। আলোচনা সমালোচনা চলতে থাক (সম ভাবে)।
বুদ্ধিমানের কাছ থেকে ইশারার অপেক্ষায় থাকলাম
ধন্যবাদ!
কে বুদ্ধিমান? ঘাস ফুল খুবই বুদ্ধিমতি।
মইনুল ভাই, আমি গোবেচারা মানুষ……..জ্ঞাণী কথাগুলো আমার মাথায় ঢোকে কম। তবে আমি মনে করি, কেউ ভুল করলে অন্য কারো যদি সঠিকটা জানা থাকে তাকে সেটা জানানো উচিৎ, সেটা সে মানুক কিংবা না মানুক। তবে সবই হতে হবে মাধুর্য্যতা রক্ষাকরে, কারো মনে কষ্ট দিয়ে নয় (আমার এখানে কয়টা ভুল আছে সেটাও জানতে চাই)
কামাল ভাই “মাধুর্যতা” হবে মনে হয়……………..
আলভী ভাই, কেমন আছেন?
কামাল ভাই ভালো আছি। আপনার দুবলার চর ভ্রমণ কেমন চলছে? রাশ উৎসব কেমন লাগলো।
খারাপ লাগেনি, তয় আমি কিন্তু ওখানে হারিয়ে গিয়েছিলাম
কামাল ভাই! বুল অই গেছে…….
আমারে ক্ষেমা দেইন যে! এবং ঠেংকু!
বানান ভীতির কারনেই লিখতে সাহস পাইনা!
এখানে ক’টা ভুল করেছি মইনুল ভাই?
দয়া করে বানান রীতি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে
ভাবনা রীতিতে চলে আসুন….
ছড়া লেখা থামাবেন না, আলভী ভাই! ওটা আপনার জিনিস – সামলে রাখুন।
‘মাইরালা আমারে’ এটা দারুন লেগেছে আমার কাছে!
-হাহাহা! মজা করলাম।
গেলাম কইয়া রইয়া গেলাম আলভী।
ভুলের ভয়ে হয়না লেখা
মনের ভিতর রাখি
কেমন করে প্রকাশ করি
লজ্জায় মরে আঁখি!
লিখতে থাকেন, ভুল হইলে আমি আছিনা? =))
লিখতে থাকেন, ভুল হইলে আমি আছিনা? =)) ….. :O :O :O মিয়া ভাই আপনার ভুল দরতে হবে না

চাতক পাখিকে দেখে ভালো লাগছে…….
ক্যান মিঞা ভাই, আমি কি খালি বুলই ধরি?
হুম…. কামাল ভাই থাকতে কেডায় ভুল ধরে….. !
মনের কথা বাহির করুন
ভুল হবে না ভাই
ভাষা নয়, ভাবনার দিকে
মনযোগ দিবার চাই!
(ছন্দ কি ঠিক আছে?)
সাহস দিলে লিখবো আবার
নিজের মত করে
আশা করছি ভুলগুলো সব
দিবেন আপনি ধরে।
সাহস আপনার সাথেই আছে
সবাই জানে সেটা
ভাবের ছন্দ ভাষায় মিলবে
ভুল বলবে কেঠা?
(আপনার সাথে চেষ্টা করছি। ভুল ধরা নিষেধ! হাহাহা!)
শিরোনামে যে প্রশ্ন রেখেছেন তার উত্তর পোস্টেই আছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো এবং প্রাসঙ্গিক। মনে করি মন্তব্যে উপস্থাপনার ধরনের ওপর নির্ভর করে বিষয়টি। পাশাপাশি যে বিষয়গুলো স্মরণে রাখা ভালো বলে মনে করি –
১। উপযুক্ত যুক্তি বিনয়ের সাথে উপস্থাপন।
২। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রেফারেন্স ব্যবহার।
৩। সমালোচনার প্রকৃত অর্থ বুঝে সমালোচনা করা।
৪। ভুলটাকে সরাসরি তুলে না ধরে ইঙ্গিতে কিংবা “এমন না হয়ে এমন হলে কি ভালো হয়?” -এভাবে বলা।
৫। পাঠক অথবা লেখকের যুক্তি যদি উভয়ের কাছে উপযুক্ত না মনে হয় তাহলে পুনরায় পারষ্পারিক যুক্তি তুলে ধরা। এটা না মনে করা আমি বললাম মানলো না! আর বলবো না।
৬। পরষ্পরে মন্তব্য আদান-প্রদানে শ্রদ্ধাবোধ রাখা।
৭। মন্তব্য গ্রহণ ও প্রদানের মানসিকতা থাকা।
৮। কোনো লেখকের লেখা প্রথম পাঠের সময় নিজের পাঠকযোগ্যতাকে উপযুক্তভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে লেখকের মনে একটি আস্থা তৈরি করে নেওয়া, যা থেকে লেখক পাঠকের জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করবেন।
৯। লেখক-পাঠক উভয়ে পারষ্পারিক সু-সম্পর্ক তৈরি করে নেওয়া।
১০। পাণ্ডিত্য জাহির নয় উভয় উভয়কে সহযোগিতা করছি এই মনোভাব থেকে ব্লগিং করা।
খুব দৃষ্টিকটু না হলে বানান ভুল না ধরাই ভালো (কেননা বানানরীতি নিয়ে মতপার্থক্য স্বয়ং ব্যাকরণবিদগণের মধ্যে) আবার লেখকেও সজাগ থাকা দরকার যে তিনি এমন এক স্থানে লেখছেন যেখানে, সব ধরনেরই পাঠক রয়েছেন। এ-ক্ষেত্রে লেখককে নিজেই নিজের লেখার সমালোচকের ভূমিকা নেওয়া অথবা লেখা পোস্ট করবার আগে এ-বিষয়ে তার চেয়ে ভালো জানা-শোনা আছে এমন কাউকে দিয়ে দেখিয়ে নিয়ে পোস্ট করা।
লেখকে মনে রাখা একজন ভালো সমালোচক হচ্ছে তার প্রকৃতবন্ধু। সমালোচনার আড়ালে আসলে তিনি তাকে সতর্ক এবং সহযোগিতাই করে চলেছেন। আর একজন সমালোচকের মনে রাখা যে, তিনি যা বলছেন তা খুব ভেবে-চিন্তে বলছেন (ভুল ধরার ক্ষেত্রে) এবং সমালোচকের মতামত প্রতিষ্ঠা করার মতো উপযুক্ত যুক্তি তার রয়েছে।
ব্লগিং শিখতে যেয়ে আমার এ-উপলব্ধিগুলো হয়েছে। আর আপনি যা বলেছেন তাতে শতভাগ সমর্থন রয়েছে।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
সুমন আহমেদ ভাই, যথাযথ নির্দেশনা দিয়ে যেমন ভুল সংশোধনের বিষয়টিকে স্পস্ট করেছেন, তেমনি লেখাটিকে দিয়েছেন সমৃদ্ধি।
আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা জানবেন………
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন দেখে ভাল লাগল। আপনার এই পোস্ট পড়ে আগামীতে হয়ত কারো লেখায় ভুল ধরতে গেলে সেটা যতোই আন্তরিক ভাবেই হোক না কেন, কিছুক্ষণ ভাবতে হবে। তবে আমার লেখায় সবাইকে ভুল ধরার অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হোল।
ভুল ধরার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হলো…. হাহাহা!
স্বাধীনতার সাথে কিন্তু দায়িত্ব থাকে।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন, কবি রোদের ছায়া।
এটা তো ভুল ধরা না, এটা সংশোধন করে দেওয়া। যত পারেন আমাকে সংশোধন করে দিন, মাইন্ড খাবো না। এ আমার প্রমিজ ও প্রতিজ্ঞা।
//এ আমার প্রমিজ ও প্রতিজ্ঞা//
-হাহাহা।
ভুলের চেয়ে লেখার ভার বেশি হলে, সেখানে ভুল ধরার মানে হলো… লেখকের প্রতিভাকে খাটো করে দেখা…….. (আমার অভিমত)।
অনেক ধন্যবাদ, মেজদা!
মানলাম না। এটা আমার অভিমত।
মানে দু’জনের একই মত!
তাহলে আহেন দুই ভাইয়ে গলাগলি করি….
গালাগালি হইলে কেমন হয়?
কি বলবো বুঝতে পারছি না । অনেকদিন কিছু না বলার অভ্যাস , যেটুকু বলার ছিল তাও খুঁজে পাচ্ছি না । যাই হোক , পড়ে নিজের যেটুকু নেওয়ার সেটুকু নিয়ে নিলাম ।
বাকি কথা পরে
মাঝে মাঝে কিছু বলার/লেখার চেষ্টা করুন…. জেসমিন আপা
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা……….
এটা তো ভুল ধরা না, এটা সংশোধন করে দেওয়া। যত পারেন আমাকে সংশোধন করে দিন, মাইন্ড খাবো না। এ আমার প্রমিজ ও প্রতিজ্ঞা।
দ্রোহের কবিতায় ভাষার ভুল ধরতে আমি রাজি না ভাই…
মাফ করইনযে!
আমি মেজদার সাথে একমত । শুভেচ্ছা সবাইকে ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ….. কবি এনামুল হক মানিক ভাই
আপনার এই পোস্ট পড়ার সময় আকিফ তার পড়া নিয়ে এসে বলে ”মা আমার পড়া ধরেন”। আমি বললাম ”আমি খুব ইম্পরট্যান্ট একটা লেখা পড়ছি, এখন ডিস্টার্ব করবেনা”।
এবার বুঝেন কত গুরুত্ব দিয়ে পড়লাম।
আপনার প্রতিটা কথার সাথেই একমত তাই আর কিছু কইলামনা ।
আপনি আমার লেখা মাঝে মাঝে গুরুত্ব দিয়ে পড়েন, আমি জানি…..
একমত হবার জন্য ঠেংকু, পেদুচা আফা……….
“আজকের ‘মাইরালা আমারে’ হয়তো একদিন অভিধানে ওঠবে, সেদিন আমরা থাকি বা না থাকি। অভিধানের শব্দটি হলো একদল মানুষের সুচিন্তিত এবং আলোচনাপ্রসূত সংজ্ঞা। একে ‘অর্থ’ বলাটাও সেটি আপেক্ষিক। আকাশ থেকে এসে পড়ে নি। ফলে সেটি অকাট্য বা অলঙ্ঘনীয় নয়।”
=====================
সুন্দর বলেছেন। হয়তো তা হবে। আমরা আজ যেভাবে লিখি, বঙ্কিম আমলে এ লেখা সাহিত্যে দুরস্ত হতো না। আর অভিধান নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাও যুক্তিগ্রাহ্য।
একাত্মতার জন্য ধন্যবাদ…. প্রিয় লিমেরিক শিল্পী
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন মইনল ভাই।
যারা ব্লগে লিখেন তাদের জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ লেখা, আমি মনে হয় একটি ব্লগের কথা জানি যেখানে সামান্য বানানের ভুল খুব বড় করে দেখা হয়, ফলে ব্লগটি এখন দৈউলিয়া দশায় পড়েছে, লেখার মান রাখতে গিয়ে ব্লগ যদি লেখক শূণ্য হয়ে পড়ে বা ভুল বানানের কারনে বা ভয়ে লেখক যদি লেখায় ইতি টানে তবে সেটা সুখকর উন্নতি নয় যদিও আমার এই মতামতটি বাংলা সাহিত্যের বেলায় একটি কু-ফল দিক।
তবে সবার সঠিক বানানে সঠিক ভাষায় লেখা উচিত, বাবানে বা ভাষায় ঘাটতি থাকলে তা উন্নতি করা দরকার আর যিনি সাহিত্যিক হবে তিনি তো সাহিত্যে অনেক জ্ঞানের অধিকারী হবেনই।
ঘুড়িতে এক জন লেখক একটি লেখা লিখলেন একজন পাঠক তা পড়ে শুধু মন্তব্য করলেন সৃতি বানানটি ভুল সঠিক হবে স্মৃতি, এমন মন্তব্য কাম্য নয়। পাঠকের উচিত অনেক দক্ষতায় লেখকের ভুলটি তুলে ধরা। তা ছাড়া প্রযুক্তির নানান লেখার অপসনের কারণে অনেকে সঠিক অক্ষর ফুটিয়ে তুলতে পারেন না।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা মইনুল ভাই।
রব্বানী ভাইয়ের পর্যবেক্ষণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ভাষাগত শুদ্ধতা যেন আমাদের মানবিক শুদ্ধতাকে অতিক্রম না করে ফেলে।
সুন্দর মন্তব্য দিয়ে আলোচনায় যুক্ত হবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আলোচনা, সমালোচনা, গঠনমূলক, বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা এগুলো সবই প্রকারন্তে একসূত্রে বাঁধা, যা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে অপরিহার্য। বিশেষ করে বাংলা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে। কারণ বাংলা ব্লগিং এখন আর ব্যক্তিগত ব্লগিং এর পর্যায়ে পরে না। এটা সাহিত্য চর্চার বিকল্প মাধ্যম হিসাবে ইতিমধ্যেই সুপ্রতিষ্ঠিত। এটা বললেও মনে হয় অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলা ব্লগিং এখন বাংলা সাহিত্যের মূল ধারার সাথে সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলছে। যার প্রমাণ হিসাবে বই মেলায় ব্লগারদের প্রকাশিত বইয়ের তালিকাই যথেষ্ট, যেখানে ব্লগগুলো সরাসরিও অংশগ্রহণ করছে। তাই ব্লগে প্রকাশিত পোস্টের ওপর আলোচনা ও সমালোচনা সবই হওয়া উচিৎ এবং এগুলো সবাইকে ইতিবাচক হিসাবেই গ্রহণ করা উচিৎ এবং এগুলো গ্রহণের মন মানসিকতাও আমাদের মধ্যে গড়ে উঠা উচিৎ। যদি সেটা করতে আমরা ব্যর্থ হই, তবে বাংলা ব্লগিং একদিন হয়তো হারিয়ে যাবে কিংবা সাহিত্য চর্চার মাধ্যম হিসাবে আর পরিগণিত হবে না, যা আমাদের জন্য সুখকরও হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
আপনি নিজেই যথেষ্ট সুন্দর করে এবং গুছিয়ে লিখেছেন, সেখানে সংযোজন খুব একটা জরুরী নয়। পাশাপাশি সুমন ভাইও চমৎকার একটা মন্তব্য দিয়ে আপনার পোস্টকে ইতিমধ্যেই বেশ বিস্তৃত করে দিয়েছেন। যা অনুধাবন এবং প্রয়োগ করতে পারলেই আপনার পোস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যটা পূরণ হয়ে যাবে।
আপনি নিজেই আমার পোস্টের মন্তব্যে বলেছিলেন, আজকাল প্রমাণ ছাড়া কেউ কিছু মেনে নিতে চায় না। তাই কিছুটা প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করছি কেবল।
আপনি বলেছেন, “ভুল ধরা এক বিষয়, আর নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করা ভিন্ন বিষয়।” সুমন ভাই একই কথাকে একটু ভিন্নভাবে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “পাণ্ডিত্য জাহির নয় উভয় উভয়কে সহযোগিতা করছি এই মনোভাব থেকে ব্লগিং করা।”
আপনাদের দু’জনেই যথার্থ বলেছেন। যদি আমরা পাণ্ডিত্য জাহিরের চেষ্টা করি, তখন নিজেদের মধ্যে জেতার একটা প্রবণতা তৈরি হবে। যা লেখক এবং পাঠকের জন্য কখনই সুখকর হবে না। বরং পরস্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে, যা পরস্পরের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। এটা কখনোই আমাদের কাম্য না। আলোচনা হওয়া উচিৎ পরস্পরের উন্নতির জন্য, বিজয়ের জন্য নয়। এই প্রসঙ্গে ফরাসী লেখক Joseph Joubert এর একটা উক্তি উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন, “The aim of argument, or of discussion, should not be victory, but progress.”
আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে পারস্পারিক জ্ঞানের বিনিময় হয়, আর বিতর্কে হয় অজ্ঞতা বিনিময়। এই জন্যই অ্যামেরিকান সাংবাদিক Robert Quillen বলেছেন, “Discussion is an exchange of knowledge; an argument an exchange of ignorance.”
আলোচনা যেমন সাহিত্যের ক্ষেত্রে কিংবা অন্য যেকোনো ব্যাপারেই অগ্রগতিতে ভুমিকা রাখে, সমালোচনাও ঠিক তাই করে। কখনো কখনো সমালোচনা বড় কোন ভুলের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। সমূহ বিপদের আগেই আমাদের সতর্ক করে দেয়। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী Winston Churchill তাই যথার্থই বলেছেন, “Criticism may not be agreeable, but it is necessary. It fulfils the same function as pain in the human body. It calls attention to an unhealthy state of things.”
অ্যামেরিকান পাদ্রি Norman Vincent Peale যা বলেছেন, সেটা সমালোচনাকে গ্রহণ করার মানসিকতাকে নিঃসন্দেহে আরও বাড়িয়ে দেবে। তিনি বলেছেন, “The trouble with most of us is that we would rather be ruined by praise than saved by criticism.”
তবে যারা আমরা কোন মতেই সমালোচনাকে সহ্য করতে রাজি নই, তাদের জন্য অ্যামেরিকান লেখক Elbert Hubbard খুব সুন্দর উপায় বাৎলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “To avoid criticism, do nothing, say nothing, and be nothing.”
আর কী অনেক হয়ে গেলো বোধ হয়! দুঃখিত। আপনার পোস্ট এবং সুমন ভাইয়ের মন্তব্য দুইয়ে মিলে যা আছে, যা আমাদের বুঝার জন্য এবং অনুধাবনের জন্য যথেষ্ট। দায়িত্বটা এখন আমাদের ওপর। আমরা কীভাবে আপনার পোস্ট এবং সুমন ভাইয়ের মন্তব্যটা গ্রহণ করছি এবং কীভাবে এটা নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করছি।
অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই। আপনার পোস্ট আমাদের সবার চোখ খুলে দিক। তবে হয়তো ব্লগিংটা সবার কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠবে, যা আমাদের বাংলা সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর। ব্লগিং তখন অমরত্ব পেয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
//আলোচনা হলো জ্ঞানের বিনিময়, বিবাদ হলো অজ্ঞানতার বিনিময়//
-হাহাহা! দারুণ উদ্ধৃতি।
//বাংলা ব্লগিং এখন বাংলা সাহিত্যের মূল ধারার সাথে সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলছে। যার প্রমাণ হিসাবে বই মেলায় ব্লগারদের প্রকাশিত বইয়ের তালিকাই যথেষ্ট, যেখানে ব্লগগুলো সরাসরিও অংশগ্রহণ করছে। তাই ব্লগে প্রকাশিত পোস্টের ওপর আলোচনা ও সমালোচনা সবই হওয়া উচিৎ এবং এগুলো সবাইকে ইতিবাচক হিসাবেই গ্রহণ করা উচিৎ এবং এগুলো গ্রহণের মন মানসিকতাও আমাদের মধ্যে গড়ে উঠা উচিৎ।//
-চমৎকার সংযুক্তি!
বিশাল বড় মন্তব্যটি যেন ভারসাম্যপূর্ণ মন্তব্য প্রদানে সকলকে প্রেরণা দেয়।
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য সবসময় আমাকে উৎসাহ যোগায়, ঘাসফুল।
ভালো থাকবেন……….
সমালোচনা হবে সাহিত্য সমালোচনা এবং যুক্তি ও মননশীলতার সুসমন্বয়।
সুন্দর আলোচনা করেছেন। প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে সাজিয়েছেন।
সমালোচককে আমি আমার প্রকৃত বন্ধু মনে করি। কারণ আমি তো জানি যা লিখি কিছু হয় না। কিন্তু কিছু সমালোচক ব্লগারের কাছ থেকে যা আমি শিখতে পেরেছি( যদিও আমার ব্লগিং লাইফ অল্পদিনের) তাকে অমূল্য মনে করি।
## পোস্টটিকে স্টিকি করতে সঞ্চালককে অনুরোধ করছি।
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানুন মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই।
‘সমালোচক আমার বন্ধু’ -এরকম একটি প্রবাদও প্রচলিত আছে।
প্রাসঙ্গিক মন্তব্য দিয়ে আলোচনায় অংশ নেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, কে এম রাকিব
তারপরও পাবলিক ব্লগ হিসেবে যদি ভুল ধরতেই হয়, সেখানে যেন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটুকু থাকে। যিনি একটু বেশি জানেন, তাকে এ-ও প্রমাণ করতে হবে যে, তার জ্ঞান তাকে বিনয়ী করতে পেরেছে। প্রকৃত জ্ঞানের মানে যেহেতু ‘নিজের অজ্ঞনতার পরিমাপ’ সেহেতু জ্ঞানের প্রথম বহিঃপ্রকাশ হলো বিনয়ে।
=============================
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটুকু খুব জরুরী। অনেকসময় ভুলটা একটু কৌশলে ঠিক করে দেয়া যায় । ভুল শব্দটার শুদ্ধ ব্যবহার করে একটা মন্তব্য করা বা অন্য ভাবেও করা যেতে পারে। আজকের দিনে, শিক্ষকগণও বন্ধুর মতো।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটুকু জরুরি।
ধন্যবাদ, সোহেল আহমেদ ভাই, আবারও এসে মন্তব্য করার জন্য!
সহমত মাইনুল ভাই
শুভেচ্ছা নেবেন।
এম এ কাশেম ভাইকে অনেক কৃতজ্ঞতা!
আপনার সুচিন্তিত পোস্টে অকৃত্রিম সহমত ………………..
ভুল যে ধরল তার এটিচিউড একটি বড় ফ্যাক্টর। এক জায়গায় আমি অনেক চেষ্টা করেও কীবোর্ডের সমস্যার কারণে রেফ দিতে পারছিলাম না। এখন একজন যদি আমাকে বলে:
কী লেখেন এসব। আগে ভাষা শিখে তারপর লেখেন – তাকে আমি কষে গালি দিবই দিব।
আমি ছাত্র জীবনে একটা প্রকাশনায় কাজ করতাম। যত বড় লেখকই হোক না কেন পান্ডুলিপিতে অসংখ্য বানান ভুল থাকবেই। এমন না যে লেখক বানান জানেন না। পান্ডুলিপি লেখার সময় বানানের লেখার ভাবের দিকে মন বেশি নিবদ্ধ থাকে। ব্লগ এখনকার ব্লগ লেখাটা পান্ডুলিপির জায়গায় ধরতে হবে। এখানে বানান ভুল ধরার কছিু নাই। যখন দরকার হবে ঠিক করে নয়ো যাবে। বানান সম্পর্কে কেউ অসচেতন নয় বা এটা এমন বিদ্যা নয় যে কেবল পন্ডিতগণ পারবেন। বরং পন্ডিতদের বানান ঠিক করার জন্য প্রেসে প্রূফরিডার রাখতে হয় যারা একটি ছোট্ট রচনা লেখারও যোগ্য নয়।
সবচেয়ে বড় কথা আমি বাজি ধরে বলতে পারি যারা অন্যের বানান ভুল ধরে খুব ভাব নেয় তাদেরকে ইন্সট্যান্ট একটা পেজ অভিধান না দেখে লেখতে দেন দেখবেন বানান ভুলে তারাও এভারেজদের কাতারে।
//ভুল যে ধরল তার এটিচিউড একটি বড় ফ্যাক্টর।//
হুম। এর অনুপস্থিতি দেখে মাঝে মাঝে নিজেই লজ্জা পাই।
অভিধান কীভাবে লেখককে অচল করে দেয় দেখুন: একজন বাঙলার প্রফেসরকে আমি দেখেছি একটি বাক্য লেখতে অন্তত তিনবার অভিধান বের করতে।
শুভেচ্ছা জানবেন, হামিদ ভাই।
এ পোস্টটি স্টিকি করলে ভাল হয় ।
ধন্যবাদ……..
আপনাদের মন্তব্যই আমার বড় পাওয়া।
বেশী না লিখে আমি শুধু ঘাস ফুলের মন্তব্যের সামান্য অংশ তুলে দিলামঃ
আপনি(লেখক)নিজেই যথেষ্ট সুন্দর করে এবং গুছিয়ে লিখেছেন, সেখানে সংযোজন খুব একটা জরুরী নয়। পাশাপাশি সুমন ভাইও চমৎকার একটা মন্তব্য দিয়ে আপনার পোস্টকে ইতিমধ্যেই বেশ বিস্তৃত করে দিয়েছেন। যা অনুধাবন এবং প্রয়োগ করতে পারলেই আপনার পোস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যটা পূরণ হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।
সুলেখক তাপসকিরণ রায়কে আমার লেখায় পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন!
পাণ্ডিত্য জাহির নয় উভয় উভয়কে সহযোগিতা করছি এই মনোভাব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন। সেটা বানান হোক বা বাক্য হোক। অনেক সময় টাইপ মিসিং হয়। পাঠক যদি বিনয়ের সাথে সেই ভুলটা ধরিয়ে দেয় তাহলে লেখক বুঝতে পারবে তার কি ধরনের ভুল হয়েছে। টাইপ মিসিং নাকি সঠিক বানান না জানার ভুল। অনেকে আছে নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করার জন্য সবার লেখাতেই বানান ভুল ধরে থাকেন। যে বানানটাকে সারা জীবন যিনি শুদ্ধ জেনে আসছেন সে বানানটাকে তিনি ভুল বলছেন। এটা মোটেও উচিত নয়।
ছোটখাটো ভুল ধরার পক্ষেই আমি নেই। লেখক নিজেই তা এক সময় ঠিক করবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আমির হোসেন ভাই
চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন, আপনি বলেছেন “দেখা যাবে যে, ‘পরিমিত ভাষাজ্ঞান’ অর্জনের সময়ই লেখকের হয় নি, অথবা পেশাগত কারণে সেদিকে বেশিদূর হাঁটতে পারেন নি। কিন্তু আমি একটি তুচ্ছ ভুল ধরে, তার লেখার স্পৃহাকে নষ্ট করে দিলাম অথবা আত্মবিশ্বাসকে বেলুনের মতো ফুটো করে দিলাম।”
আপনার এই কথা বলার পর আর কোন কিছুই বলার থাকে না কারণ আপনি শেকড় পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন। সম্পূর্ণ সহমত আপনার সাথে। পারষ্পারিক সহযোগিতার আবডালে একটি লেখকের (হোক সে আনাড়ি) স্পৃহা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেই দিকে নজর রাখাটা অনেক প্রয়োজন। অনেক সময় টাইপিং জাতীয় একটি ভুলের জন্য অনেকে কটুবাক্য ছুড়ে দেন যা ঠিক না। কিছুদিন পূর্বে এক ব্লগারের একটি লেখায় কিছু বানান ভুলের কারণে এক বিশিষ্ট পণ্ডিত মন্তব্য করলেন যে, “আপনার ভুল বানান দেখে আমি অনেক বিরক্ত হয়েছি, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।” সেদিন থেকে সেই সদ্য কলম ধরা লেখকের লেখা আর পোষ্ট হয়নি কোন ব্লগেই। ফেবুতে ব্যক্তিগতভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তর দিলো, ” ভাই আমার পিসি নেই মোবাইল থেকেই পোষ্ট লিখি ব্লগে পোষ্ট করি, তাই অনেক জানা বানানও ভুল হয়। নিজের কাছেই লজ্জা লাগে।” লক্ষ্য করলে দেখবেন মোবাইল থেকে “দূর” আর “দুর” এই দুটোর মাঝে পার্থক্য জুম করে না দেখলে খুঁজে পাওয়া যায় না। কোন পণ্ডিতের একটি কটুমন্তব্য একজন উঠতি লেখকের জন্য বিপদজনক মনে হয়।
হ্যা আমার নিজেরও অনেক অনেক বানান ভুল হয় তাই বলে যদি কটুকথা শুনতে হয় তাহলে আমার এসবের দরকার নেই। তবে এটি আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে একজন লেখক কখনোই ইচ্ছেকৃতভাবে বানানভুল করে না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় পোষ্টির জন্য। অনেক ভালো থাকুন।
কটুকথা ছাড়া অনেকে জানেনও না! এ হলো আমাদের দৈন্যতা।
আপনার দৃষ্টান্তগুলো পড়লাম।
ব্লগে নবীন লেখক বেশি। তাই মন্তব্য করা উচিত দায়িত্বের সাথে।
আমারও বানান ভুল হয়। এলেখায়ও বেশি কিছু ভুল হয়তো পাবেন।
প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্ত দিয়ে আলোচনায় যুক্ত হবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, প্রহেলিকা
শুভেচ্ছা জানবেন!
১. বানান ভুল ধরার কিছু নাই। এটা যখন প্রয়োজন হবে লেখক নিজেই সময় করে দেখে ঠিক করে নিতে পারবেন।
২. বিতর্কিত বানানের ক্ষেত্রে নিজের মতটা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করা একটা সভ্যতা বিবর্জিত কাজ।
৩. হ্যাঁ, যাদের সাথে ব্যাক্তিগত ভাল সম্পর্ক্ আছে তাদের বানানাট ঠিক করে দেয়াই যায়।
//বিতর্কিত বানানের ক্ষেত্রে নিজের মতটা চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করা একটা সভ্যতা বিবর্জিত কাজ।//
-হাহাহা! কিন্তু দ্বিমত করতে পারছি না।
ধন্যবাদ, হামিদ ভাই
৩ নম্বরটা পছন্দ হইছে
আমারও!
শুভেচ্ছা সুপ্রিয় ভ্রাতা!
পোষ্টটি নিঃসন্দেহে মূল্যবান। ওজনদার অনেক কথা আছে পোষ্টে।
সহ ব্লগারদের চমৎকার অংশগ্রহণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য আরও বেশী মূল্যবান।
একটি পোষ্ট সবাই আগ্রহ নিয়ে পড়লে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্তব্য আদান প্রদান করলে সেই পোষ্টটি সত্যিকার অর্থে সফল এবং স্বার্থক হয়ে উঠে- এই পোষ্টটি তার প্রমাণ।
ব্লগিং তখন শুধু নিছক ব্লগিং থাকে না হয়ে উঠে তার চেয়ে কিছুটা বেশী।
শুভেচ্ছা নিরন্তর জানবেন।

পোষ্ট
মন্তব্যে ভুল ধরা বা
কিভাবে কি করা যায়
কি করলে ভালো হবে সে সব আলাপে গেলাম না।
আমি এসব এড়িয়ে চলি ভ্রাতা!
‘ওজনদার অনেক কথা’ -হাহাহা
এটা কোন্ ওজন ভাই….. মহাশূন্যের ‘ওজন’ না তো….
শুভেচ্ছা জানবেন!
একজন প্রকৃত লেখকের কাজ নিজের লেখালেখি করা। অন্যের খুঁত খোঁজা নয়।
চলমান সময়ের অনেকেই বানান বিষয়ে অর্ধজ্ঞাত- না হয় অজ্ঞ। এরা অভিধান দেখেন
না। দৌড়ের উপ্রে কবি লেখক বনে যেতে চান। তাই তাদের লেখা নিয়ে মন্তব্য করাও
কঠিন কাজ। এদের অনেকেই পড়াশোনা করেন না। কবিতার,সাহিত্যের,গদ্যের বিবর্তন
কীভাবে হচ্ছে- তা তারা জানেন না, জানতে চান না।
এই অবস্থায়, কেউ টিউটোরিয়াল খুলে কি কাউকে শিখাতে পারবেন ? না পারবেন না ।
যদি নিজে কেউ অধ্যবসায়ী না হয়, অন্য কেউ কাউকে কিছু গিলাতে পারবে না।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
অনেক মূল্যবান কথা বলেছেন। প্রতিটি কথাই উদ্ধৃতি করার মতো।
কবিকে অনেক কৃতজ্ঞতা
অসাধারন পোষ্ট।আপনি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট করেন।আপনি নিখূত বানান,শব্দের প্রয়োগে দক্ষ।আপনি ভূল ধরে দিলে বা শুদ্ধ করিয়ে দিলে কেও কিছু মনে করবেনা মইনুল ভাই।আমরা আপনার আন্তরিকতা টুকু বুঝতে পারি।
আমার লেখা দিয়ে শুরু করুন।আমার বানানে সবাই ভূল ধরে।আপনি এখন ও ধরেন নি।আমার একটা প্রবলেম হচ্ছে ইদানীং বানানে।বানান ভূলে যাচ্ছি মনে হয়।লজ্জা!!
চমৎকার পোষ্টটিতে কোটি কোটি লাইক।
শুভেচ্ছা রইল।ভাল থাকবেন।
অনেক দিন পর আরজু মুন জারিন ব্র্যান্ডের একটি মন্তব্য পেলাম। বিস্তর আনন্দ!
‘কোটি কোটি লাইক’।
হাহাহা…….. ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার!
ব্র্যান্ড আপনি।!!!দেখছেন কত পাঠক, মানুষ আপনাকে ভালবাসে।ব্লগ রত্ন বলে কথা।
‘কোটি কোটি লাইক’।
হাহাহা…….. ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার!
আপনাকে বাংলার ব্লগজাতি আরও বেশি পেয়ে অভ্যস্ত…
দয়া করে আরও নিয়মিত হোন… এবং
দয়াময় মন্তব্য দিয়ে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করুন!
ব্লগে লেখক আছেন, কিন্তু অনুপ্রেরণাদাতার খুবই অভাব।
১০২ বার ভুল ধরবেন ভুল না ধরলে শিখুম ক্যামনে।
অসাধারণ পোষ্ট অনেক ভাল লাগা
আফা…. নিজেই ভুলে ভরা….
কথায় আছে, ‘বিচার করিও না, বিচারিত হইয়ো না’
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, ছবি আফা………!
আমার ভুল কেউ ধরলে আমি খুশি হই বা হবো। শুভেচ্ছা মইনুল ভাই।
ভাইজান…. ধরার মতো ভুল ক’জনের হয়?
তাছাড়া, সেরকমের ভুল বুঝতেও কিছু তাকত লাগে, যেটা আমার মতো অনেকেরই নাই।
কিন্তু ‘ভুল’ বিষয়ে আপনার উদারতায় আমি আনন্দিত….
মালেক জমাদ্দার ভাইকে অনেক ধন্যবাদ!
আমরা যারা লিখি পড়ি আর মন্তব্য করি আমাদের মানসিকতা এমন হওয়া উচিত যে আমার ভুল যত ধরিয়ে দিবে তত আমি ভুল আর করবোনা ভবিষ্যতে। সচেতনের মাত্র বেড়ে যাবে তবে এখানে যে ইস্যুগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেটা খুবই জরুরী ইস্যু — অনেক তথ্যবহুল আর শেখারও –অনেক অনেক শুভেচ্ছা
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম, কবি লিনা জামবিল!
অন্যের কথা বলতে পারি না, অনেকে এটা সহজে গ্রহণ করে না কিন্তু আমি মূর্খ মানুষ আমি শিখতে চাই। আমি নিজের কথা বলতে পারি শুধুই। আমার লেখা ভুল থাকলে সেগুলো ধরিয়ে দিলে আমি উপকৃত হবো ভাই। আমি শিখতে চাই।
অতীতের ভুলগুলো আজ শুধুই তাড়া করে
সময় আর নেই,
অতীত তাই বর্তমানকে ধিক্কার জানায় আপন মনে
আরও আপনাকে হারাই।
আপনাকে আমি, রুদ্র আমিন। এরকম মানসিকতার জন্য একদিন অনেক দূর যাবেন… এই দোয়া করি।
সবকিছু ডেল কার্নেগী স্টাইলে হ্যান্ডল করতে হবে

পোস্টের সাথে একমত ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মাইনুল ভাই
-হাহাহাহা…. একদম মাহমুদ০০৭ স্টাইলের মন্তব্য!
থেংকু প্রিয় সহব্লগার…..
দেখা হোক ঘন ঘন!
আপনার মূল্যবান এই লেখাটির প্রতিটি চরণই উদ্ধৃত করার দাবি রাখে। ///ভুল ধরবো
নাকি ধরবো না?/// আপনার এই প্রশ্নের পরে, দয়া কর আপনি আবারো প্রশ্ন রাখুন,” সংশোধিত ভুল গ্রহনের মানষিকতা আছে কি নেই?”
নীল সাধু ভাই-এর কল্যাণে গত দু’বছরে “প্রিয় চিঠি আয়োজনের”- মাধ্যমে অনেক শিক্ষা হয়েছে আমার। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্লগার/লেখকের সাধারন একটি ভুল সংশোধন করেছিলাম। তাও করতাম না, যদি না তিনি সে ভুল আবারো না করতেন। একটি শব্দ তিনি তিন/চার বার ব্যবহার করেছিলেন, যার প্রতিটাই ভুল ছিল। বার্তার মাধ্যমে তাঁকে আমি জানিয়েছিলাম এবং তাও প্রতিষ্ঠিত আরেক লেখকের উক্তি দিয়ে। তার জবাবে তিনি মূল পোষ্টেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
তাই ভুল শংশোধন আর আমাকে দিয়ে হবে না (আমার থলিতেই ভুলের বেড়ালের অবাধ বিচরন)।
ভুল সম্পর্কে একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা জানাবার জন্য ধন্যবাদ….
কামরুন্নাহার আপা মন্তব্য পেয়ে বিশেষভাবে আনন্দিত।
আপনাকে ব্লগে পেয়ে খুশি লাগছে………..
শুভেচ্ছা রইলো…….