বেহেস্ত হতে ‘ওহির’ মতো প্রাপ্ত মহামূল্যবান ভাবনাগুলোকে যখন ভাষায় রূপ দিতে যাই, ঠিক তখনই এসে হানা দেয় কয়েকটি পরিচিত শত্রু। এদেরকে এতো কাল বন্ধুই ভেবে এসেছিলাম। তাদের মধ্যে একনম্বর হলো ভাষার সৌন্দর্য্য; তারপর ছন্দ বা শব্দের তাল; তারপর আছে রূপক আর উপমা ব্যবহারের প্রচলিত প্রথা। ছন্দ মিলাতে গিয়ে ভুলে যাই কী ভেবেছিলাম। ভাষার সৌন্দর্য্য নির্ধারণ করতে গিয়ে ভাবনার ‘খেই’ হারিয়ে ফেলি। শেষে দেখি ‘ভাষা’ আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। কী ভেবেছিলাম কী পেয়েছিলাম, তার কিছুই খেয়াল থাকে না। লেখতে গিয়েছিলাম ছড়া, হয়ে গেলো গদ্য; অথবা লেখতে গিয়েছিলাম বিষাদের গল্প, হয়ে গেলো অট্টহাসির রম্য রচনা। পেয়েছিলাম প্রেমের স্বাদ, লিখে দিলাম বিচ্ছেদের রাগ।
ভাষাগত আগ্রাসনে পড়ে সবচেয়ে করুণ পরিণতিটি হলো, লেখাটি আদৌ শেষ না হওয়া। ভাষাগত শুদ্ধতার আকাঙ্ক্ষায় অথবা, পরবর্তিতে আরও ভালো লেখার আশায় কোন লেখক হয়তো কোন একটি ‘নোবেলবিজয়ী’ লেখাকে চিরতরে স্থগিত করে দেন। ভাবনারা শুকপাখির মতো ওড়ে যায়, আর না ফেরার জন্য। এভাবে যে কত সহস্র লেখকের মৃত্যু হয়েছে কে জানে!
পরাজয় মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু শত্রুকে চিনতে না পারার ব্যর্থতাকে মেনে নেওয়া যায় না। লেখার শুরুতেই ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যকরণগত শুদ্ধতা আর রূপক-উপমার দৌরাত্ম্য আমার কোমলমতি ভাবনাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলে। অথচ আমি সেটাকে ভালো বলেই মেনে নেই, কারণ আমি চাই লেখাটি যেন শুদ্ধ হয়। মেষের চামড়া পরে ‘ভাষা’ এসে নেকড়ের মতো তাড়িয়ে দেয় আমার অমূল্য অনুভূতিগুলো। ভাবনাকে কাগজাশ্রয়ে নেবার জন্য স্বতস্ফূর্তভাবে প্রাপ্ত শব্দগুলোকে আমি বিশ্বাস না করে খুঁজতে থাকি শেকসপিয়ার- কিংবা রবীন্দ্র-উপমা। লেখকের মৃত্যু হয় বন্ধুবেশি অজানা শত্রুর আক্রমণে।
হায় ভাষা! তুমি কি প্রুফরিডারের উপাসনায় সন্তুষ্ট হতে পারো না? মহামান্য প্রুফরিডাররা, যেদিন আমার মহাকাব্যটি হাতে নেবেন, তখন তো তোমাকে যথার্থ অর্ঘ্য দেবেনই। তবে কেন তুমি আমার ভাবনায় এসে হানা দাও? ছন্দ। ছন্দ কি থাকতেই হবে? ভাষাগত শুদ্ধতা? তা কি শুরুতেই থাকতে হবে? রূপক উপমা সিমিলি মেটাফর। এগুলো কি শুরুতেই থাকতে হবে? প্রথমে ভাবনার প্রতিফলনটুকু কাগজে আশ্রয় নিতে দিলে না। তোমাকে তোমার উপযুক্ত পূজা পরে আরও ভালোমতো দেওয়া যেতো। কিন্তু তা তো তুমি বুঝলে না! লেখাই যদি না হলো, তবে হে রূপময় ভাষা, তোমায় আমি কোথায় রাখবো?
.
—————–
ফটো সোর্স: internet.philipmartin.info
প্রথমেই শুভেচ্ছা, পরে পড়ছি———–
আর পড়া দরকার নাই।
মেজদা, বাম হাত ঢুকিয়ে কই গেলেন…….!
লুকটা সব সময় ডান হাত পকেটে রেখে বাম হাত ডুকিয়ে দেয়
হাহাহা…. ঠিক ধরেছেন, কামাল ভাই…
কেন নাই মেজদা, টাসকি খাওয়ার ভয়ে !!!!
কামরুন্নাহার আপা, অবশেষে সাইন-আপ করতে পেরেছেন তাহলে।
দেখে খুশি হলাম……..
এত ভাষা আর ছন্দ নিয়ে ভাবেন কেন। যত ভাববেন তত ডুববেন। শুভেচ্ছা রইলো। একদিন রবীন্দ্র নাথ হবে দোয়া করলাম।
হাহাহা…. ভাবি না, ভাবায়!
যারা মহাকাব্য লেখে আর যারা শব্দখোর, তাদের সমস্যা হবে… আমার কী, ‘মুই তো মামুলি পাঠক’…
মেজদাকে ধন্যবাদ।
আপনি তো খৈই হারিয়েও সৃষ্টি করেছেন সেটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু শুদ্ধতার প্রশ্নে যে প্রতিজ্ঞ তার জন্য ও সাধুবাদ। লেখা হোক সু-চিন্তিত এবং শুদ্ধ এটাই কাম্য।
//লেখা হোক সু-চিন্তিত এবং শুদ্ধ//
আর কী চাই!…………
চমৎকার বললেন, সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল…..
শুভেচ্ছা আপনার জন্যও……
‘পেয়েছিলাম প্রেমের স্বাদ, লিখে দিলাম বিচ্ছেদের রাগ।’ হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা। যথারীতি আপনার স্টাইল। হিউমার।
অনেক লেখকই কিছু না ভেবেই লেখা শুরু করেন। কলম বা কীবোর্ড দ্বারা তাঁরা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত, এবং ধাবিত হোন। অনেকে খুব ভেবেচিন্তে লেখাটি শুরু করেন।
কেউ কেউ হয়তো এ দুটোর মিশেলে অভ্যস্ত- যেমন আমি। একটা থিম মাথায় ঢুকে গেলে ইনস্ট্যান্টলি ওটা লেখা হয়ে যায়। মাথায় থিম না থাকলে বারান্দায় পায়াচারি করার মতো কলমের ডগাও অর্থহীন শব্দ খুঁজতে থাকে।
আপনি আপনার সহজাত হাতে লিখলেই আপনার সেরা লেখাটি আমরা পাবো।
ভালো থাকুন মইনুল ভাই।
আমার স্টাইলটি ধরে ফেলার পরই আমি আপনাকে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজে বের করতে হলো, কারণ নামটি অচেনা……
‘অনেক লেখকই কিছু না ভেবেই লেখা শুরু করেন।’ প্রায় লেখক শুরু করেন একভাবে ভাবে, শেষ হয় অন্যভাবে… প্রায় ক্ষেত্রে ভালোর দিকেই শেষ হয়।
‘সহজাত লেখলেই সেটি সেরা’… সত্য। সহজাত লেখতে পারলে তো ওটা একটা কিছু হবে… কিন্তু সহজাত ধারাটিই মার খেয়ে যায়…….
আপনাকে চেনার আরেকটি চিহ্ন হলো, আপনার এই সহজাত বিস্তারিত মন্তব্য। অনেক কৃতজ্ঞতা ………
মইনুল ভাই আ——পনি !!!!! ভাষাদ্বন্দে ভুগছেন !!!! ইয়া মা’বুদ, রক্ষে কর। আমার অস্তিত্ব বিলীন হবার আর বাকি রইল না !!!!
নাহার আপু ইমো কিভাবে দিমো?
আলভী ভাই ১ নাম্বার টেবিলে যান, আমি নিজেই আজ সবে ঢুকলাম——–
//নাহার আপু ইমো
কীভাবে দিমো//
-হাহাহা!
ধন্যবাদ, কামরুন্নাহার আপা… দ্বন্দ্বের দেখছেন কী
আমি তো লেখক নই…. (ব্লগার ওরফে আড্ডাবাজ)
তাড়াতাড়ি ভ্রমণ পোস্ট ছাড়ুন, যতগুলো জমে আছে……
উপরে শব্দকবিতা ভাই বেশ কিছু মুল্যবান কথা বলেছেন। ধন্যবাদ জানাই।
আমি মনে করি সহজাত ভাবে যে লেখাটি মনে আসে সেটিই হতে পারে সেরা কোন লেখা। লেখার সময় আমরা অতো কিছু ভাবিওনা। সবার কথা নয় আমি আমার কথা বলতে পারি। আবার কিছু লেখা ভেবেও লিখতে হয়। তবে ছন্দ বাক্য গঠন কবিতায় রুপক উপমা এসবে দক্ষতা থাকাও প্রয়জন হয় যদি আপনি লেখালেখিটাকে সিরিয়াসলি নেন। জানা থাকলে তা না মানলেও হয়। অজ্ঞানতা নিয়ে সৃজনশীলতা হয়না।
শুভেচ্ছা পোষ্টটির জন্য।
ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ সাধু ভাই। একমত।
‘জানা থাকলে তা না মানলেও হয়।’ -সুন্দর বলেছেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের প্রতিটি শব্দে আমি একমত। লেখাটি আপনাদের মতো কবিদের জন্য নয়। আমার মতো হাতুড়ে লেখক, যারা ভাষার দ্বন্দ্বে লেখা থামিয়ে দেন, তাদের জন্য। ভাবনা আর অনুভব যার আছে, ভাষা থাকে তার ভৃত্য হয়ে।
শুভেচ্ছা!
মইনুল ভাই ভাষা দিয়ে হাসালেন! আমি কি লিখবো সে ভাষা হারিয়ে ফেললাম………..
ছড়াকার আলভী ভাইকে দেখে আমি আনন্দিত……..
ছড়া দিয়ে চলে আসুন আজই………
মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা
এমন উপলব্ধি থেকেই হয়তো বেরিয়ে আসে কোনো সৃষ্টি। এ শুধু ভাবনাকে দীর্ঘায়িত করায়। হয়তো আরো ভালো কিছু বেরিয়ে আসব বলে এই পীড়ন।
শুভ কামনা মইনুল ভাই।
খাঁটি কথা।
সুমন আহমেদ ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
” একনম্বর হলো ভাষার সৌন্দর্য্য; তারপর ছন্দ বা শব্দের তাল; তারপর আছে রূপক আর উপমা ব্যবহারের প্রচলিত প্রথা। ছন্দ মিলাতে গিয়ে ভুলে যাই কী ভেবেছিলাম। ভাষার সৌন্দর্য্য নির্ধারণ করতে গিয়ে ভাবনার ‘খেই’ হারিয়ে ফেলি।”
মনের কথাগুলি তুলে এনেছেন আর কথাগুলি বড় লেখক কবিদের বেলায় প্রযোজ্য হলেও আমার মত লেখকদের বেলায়ও খাটে যদিও কিছুদিন আগে একটি লেখার জায়গা আর লেখাগুলি হারিয়ে যাওয়ার কারণে নিজকে একজন বায়ু লেখক হিসাবে দাবি করেছিলাম। এখনও বায়ু লেখকের র পর্যায়েই আছি, কখন লেথার ধারা থেকে বায়ুতে মিলিয়ে যাই বলা মুশকিল।
অনেক কিছু জানা হলো আপনার এই লেখাটি থেকে, ভালো থাকবেন মইনুল ভাই্
হাহাহা… নামটি খুব জুতসই হয়েছে…. সকল ব্লগারই এক অর্থে বায়ু লেখক, যেহেতু তাদের লেখা কাগজে আসে না। লেখতে লেখতে যদি ভালো কথাগুলো মনে রাখতে পারি, তবে অন্তত ভালো কাজটুকু করতে ভুলে যাবো না। এজন্যই লেখি।
আপনার মন্তব্যে সবসময় আনন্দ পাই, রব্বানী ভাই। ধন্যবাদ!
মাইনুল ভাই আপনার লেখা এক নিঃশ্বসে পড়লাম। আপনি আমার মনের কথাগুলো পুরোটাই
লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাহাহা, তাই নাকি? প্রামানিক ভাইয়ের মতো প্রাকৃতিক কিছু থাকা চাই, তা হলে ঠেলেটুলে কি লেখক হওয়া যায়?
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় ছড়াকার!
দারুন লাগলো
ধন্যবাদ, কবি সকাল রয়!
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটা সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন, ‘ছন্দ জানা দরকার, কিন্তু ছন্দের দাসত্ব স্বীকার করা ক্ষতিকর।’ কথাটা আমার মনে ধরেছিল খুব।
দারুণ একটি বিষয়ে আপনার অন্তর্গূঢ় কথা ভাল লাগলো।
শুভেচ্ছা…….
বিশাল বড় একজন সাক্ষী যোগাড় করলেন, প্রিয় মিশু মিলন।
আপনার আন্তরিক মন্তব্য আনন্দ পেলাম………
ভালো থাকবেন…….
এত দেখি পুরাই হাই থট … মাথার উপর দিয়ে কেন যায়? আমি এত কম বুঝি কেন? :O
//আমি এত কম বুঝি কেন?//
-হাহাহাহা………..
কবি ইকুকে শুভেচ্ছা……
আমি আইয়া পরছি
মনের কথা পরকাশ পাইলেই হয়, আমি কিন্তু বাউন বাইড়ার কথায় কমু, হুম
আফা নি? আফনে ডুব মারেন কিতার লাগি?
ফুস্ট কই… ফুস্ট দেন বাউনবাইরা ভাসায়
সহজাত লেখাটাই ভাল একটা লেখা হতে পারে। তবে লেখকের উপমা, অলঙ্কার ইত্যাদির জ্ঞান থাকলে ভাল। তখন সহজাত লেখাটার মধ্যে সহজাতভাবেই সেসব ঢুকে যেতে দেখি আমরা। ধন্যবাদ মেইনুল ভাই সুন্দর বিষয়টির অবতারণের জন্য
সহজাত লেখাটাই ভালো…… হুম!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, হামিদ ভাই……….
“লেখার শুরুতেই ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যকরণগত শুদ্ধতা আর রূপক-উপমার দৌরাত্ম্য আমার কোমলমতি ভাবনাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলে।”
আতঙ্কগ্রস্ত শুধু আপনাকেই করে তুলে না, বরং আমার মনে হয় যারা আজ প্রতিষ্ঠিত লেখক, তাদের লেখালেখি জীবনের শুরুতেও আপনার আমার মতো এমন ভাষা আর ভাবনার সংঘাত হয়েছে। যারা শুরুতেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল তারা নিজেরাই নিজেদের অঙ্কুরে বিনষ্ট করে ফেলেছে। যারা অধ্যবসায় সহকারে চর্চা করে যাচ্ছে, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’ টাইপের স্লোগান বুকে নিয়ে নবোদ্যময়ে এগিয়ে যাচ্ছে………… তাদের হাতেই বাংলা সাহিত্য সুরক্ষিত থাকবে।
যে সব শত্রুদের কথা বলেছেন, সেগুলোকে শত্রু বলে দূরে ঠেলে না দিয়ে বন্ধু বলে বুকে জড়িয়ে নিতে হবে। তবে একদিনে হবে না, নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই শত্রুগুলোই এক সময় প্রভুভক্ত কুকুরের মতো লেখকের আশেপাশে ঘুরঘুর করবে। তখন লেখকও যখন যেটা দরকার লেখার মধ্যে বসিয়ে দিতে পারবেন।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকারটি আমারও পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম আলোতে পড়েছিলাম। বাংলা সাহিত্যের এই বিখ্যাত লেখক যথার্থই বলেছেন। মিশুকে ধন্যবাদ উনার মূল্যবান কথাটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
কবিতা নিয়ে আমরা অনেকেই অস্বস্তিতে পড়ে যাই কী মন্তব্য করবো বলে। কারণ অনেক সময়ই এর অন্তর্নিহিত অর্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হই। তবে কবি বুদ্ধদেব বসুর নিচের উক্তিটি আমাদের মনে হয় এই অস্বস্তি থেকে রেহাই দিবে। তিনি বলেছেন,
“কবিতা সম্বন্ধে ‘বোঝা’ কথাটাই অপ্রসঙ্গিক। কবিতা আমরা বুঝিনা, কবিতা আমরা অনুভব করি। কবিতা আমাদের ‘বোঝায়’ না; স্পর্শ করে, স্থাপন করে একটা সংযোগ। ভালো কবিতার প্রধান লক্ষণই এই যে তা ‘বোঝা’ যাবে না, ‘বোঝানো ‘ যাবে না”।
কবিতার ব্যাপারটা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলো, তবে মিশু মিলনের জন্য একটু উৎসাহ পেলাম।
সবাই বেশ চুটিয়ে ব্লগিং করে যাচ্ছেন দেখেও অসুস্থতার জন্য আমি অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। হাফসোস! এখনো অসুস্থ। সুস্থ হয়ে আমিও চুটিয়ে ব্লগিং করবো ইনশাল্লাহ। অনেক দিন হল চুটিয়ে ব্লগিং করা হয় না।
ভালো একটা লেখা পড়ার সৌভাগ্য করে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
কবিতা সম্বন্ধে ‘বোঝা’ কথাটাই অপ্রসঙ্গিক। কবিতা আমরা বুঝিনা, কবিতা আমরা অনুভব করি। কবিতা আমাদের ‘বোঝায়’ না; স্পর্শ করে, স্থাপন করে একটা সংযোগ। ভালো কবিতার প্রধান লক্ষণই এই যে তা ‘বোঝা’ যাবে না, ‘বোঝানো ‘ যাবে না
— দারুন একটা কথা।শুভেচ্ছা ঘাসফুল ভাই , সুন্দর একটা উক্তি পড়তে পারলাম
কবিরা কবির মতোই কথা বলে………… আর কবিই কবিকে বুঝে
থেংকু আলভিনা চৌধুরী……..
দীর্ঘ মন্তব্য মানেই ঘাসফুল। চুটিয়ে ব্লগিং করা যায় না ঘাসফুল ছাড়া। সুস্থ হোন!
.
.
কবিতা আমরা বুঝি না, অনুভব করি…
আমার জন্য ওই কথাই নিরাপদ…. সত্যিই বুঝি না…
ভাষা আসে ভাবনা আর অনুভবের পর…
জীবনবোধের ফলে আসে অনুভব/ভাবনা/অভিজ্ঞতা ইত্যাদি
জীবনবোধ আসতে পারে দেখা থেকে পড়া থেকে ভ্রমণ থেকে….
তীব্র জীবনবোধ যার, তার পেছনে ভাষা ঘুরে মৌমাছির মতো….
আমার কথা আমি বলে যাই। সকলকে একমত হতেই হবে, তা তো নয়।
মিশু মিলন একটা জোরানো সাক্ষী জোগাড় করেছেন…
আপনার মন্তব্যে সবসময় শক্তি পাই। থ্যাংকস, প্রিয় ঘাসফুল…..
আমিও মন্তব্যে সাহস পাই ব্লগরত্ন আমাদের আশেপাশে থাকে বলেই।
আমার কাছে ওহী ও আসে না, আবার আমি ছন্দ, তাল, লয়ও বুঝি না, আমি স্বাধীন
সবাই তো ওহি আসলে লেখতে বসে না….
কেউ শিষ্য যোগাড় করতে শুরু করে
কেউবা কোন দেশের ছাদ পরিদর্শনে বের হয়ে যায়…. হুম!
চমৎকার একটা লেখা।শব্দের প্রয়োগ,শৈল্পিকতা,রুপকতা, ভাবনাবিলাস এবং একটা লেখা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা এই বিসয়গুলো সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। ভাষার গভীরতা এবং মাধুর্যত্যা দিয়ে একটা লেখা যেমন পাঠককে ছুঁয়ে যায় তেমনি সহজ ভাষা প্রয়োগে ও একটা লেখা পাঠককে স্পর্শ করে। আমি মনে করি একটা লেখা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই ভাষাগত দ্বন্ধটা মাথায় রাখা উচিত না। লেখালেখি বিষয়টা একটা সাধনার বিষয়।এখানে যতটা সময় দেওয়া যাবে ক্রমে ততটা দক্ষতা অর্জিত হবে।আর একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে আমি যদি লিখতে চায় তবে আমাকে প্রচুর পড়তে হবে।
এই পোষ্টের জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্বা মইনুল ভাই।হৃদ্যতা জানবেন।
‘হৃদ্যতা’ শব্দটি হলো মেঘনীলের নিজের…. ওটি দেখলেই বুঝা যায় মন্তব্যটি কার…
চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ভাই….
লেখালেখি বিষয়টা সাধনার বিষয়…. কিন্তু সাধনার কোন বিষয় আমার আবার পছন্দের না….
.
যা হোক, কৃতজ্ঞতা জানবেন……….
সালাম জানবেন গুরু
কার গুরু যে কেডা… সেটা আসর গুরুর কাছে না যাওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না….
গুরুভাই বলাটাই শ্রেয়….
সংগ্রাম গুরুভাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ওয়াস্সালাম!
বরাবরই আপনার পোস্ট গুল অসাধারন
ফটো না পাওয়াতে আপনার অনেক কষ্ট হচ্ছে… বুঝতে পারছি….
এবিষয়ে শিঘ্রই ব্যবস্থা হবে…. নিশ্চিত!
জ্বি মইনুল দা
খুবি জ্ঞানের কথা লেখেছেন
প্রতিটি চয়ণের মাঝে অনুভূতির উপলদ্ধি করেছি
ভাল থাকুন———
ধন্যবাদ
একদম সত্যি কথা । আমার তো মনে হয় সবার সাথেই এমন হয়।


শুভেচ্ছা মাঈনুল ভাই
আমার লেখা আপনার চোখে পড়লো কেমনে, তাই ভাবছি… (চিন্তার ইমো)
আমি তো কবিতা লিখি নি ভাই
অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা…………
লেখাই যদি না হলো, তবে হে রূপময় ভাষা, তোমায় আমি কোথায় রাখবো?
সহমত পোষণ করছি প্রিয় মইনুল ভাই। শুরুটা আসলেই কঠিন। আমরা কেউই আছাড় না খেয়ে হাঁটতে শিখিনি। লেখার খেত্রেও তাই। আগে তো শুরু করতে হবে। তার পরে তার শুদ্ধতা, পরিমার্জন।
শুভেচ্ছা অফুরান ।
হুম… এই কথাডায় কেউ কর্ণপাত করলো না….
এটা যদি কোন ব্রাউনিং বা হেমিংওয়ে বলতো, দেখতেন কী কদর!
তাহলে আছড় খাওয়া থামবে কীভাবে বলুন…..!
আপনাকেও অফুরান কৃতজ্ঞতা, প্রিয় কবি সুখেন্দু বিশ্বাস
ফন্টের সমস্যা আছে। আমি ফায়ারফক্সেও চেক করেছি। ডিফল্ট ফন্ট ভালো নয়।
ডিফল্ট ফন্ট ভালো নয়, আমিও তাই মনে করি।
কিন্তু ফন্টটি খুব পরিচ্ছন্ন……..
ধন্যবাদ, প্রিয় আব্দুলহাক ভাই